নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধনীদের ওপর আরও বেশি হারে করারোপের প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। করযোগ্য ৫ লাখ টাকার বেশি আয়ের ওপর করহার ছিল ২৫ শতাংশ। সেটি ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে বলছে সংস্থাটি।
গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক্-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিডি এই প্রস্তাব দিয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নিয়ে বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বা এসএমই ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, পিডব্লিউসি, এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্স।
সিপিডির রিসার্চ ফেলো মুনতাসির কামাল বলেন, ‘সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয় করমুক্ত আছে। করমুক্ত সীমার ওপর প্রতি ১ লাখ টাকায় ৫ শতাংশ কর ধার্য করা হয়। এটার সীমা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করার প্রস্তাব জানাচ্ছি। কারণ, যারা সীমিত আয়ের মানুষ, তাদের করের বোঝা কিছুটা কমে আসবে।’
মুনতাসির কামাল আরও বলেন, ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করহার ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা রয়েছে, সেটি ২ লাখে নিয়ে আসা হোক। আর ধনীদের ওপর ৫ শতাংশ বাড়িয়ে করহার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ করা হোক।
এ ছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার, পলিথিন, সিগারেট, কার্বোনেটেড পানীয়ে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ব্যক্তিপর্যায়ের পুরুষ এসএমইদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং মহিলা এসএমইদের জন্য ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। আর ব্যক্তিপর্যায়ে এসএমইদের কর রেয়াত ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হোক।’
এ ছাড়া সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সীমা ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা এবং রপ্তানির বিপরীতে প্রাপ্ত নগদ প্রণোদনার ওপর উৎসে কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
প্রস্তাব শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এসএমইকে ওঠাতে পারছি না। আমি নিজে দেখছি এসএমইর ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকার। এসএমইর জায়গাটা বিগ প্লেয়াররা নিয়ে ফেলেছে। কীভাবে এটাকে ঠিক করা যায়? কোন দিক আমি সামাল দেব?’
নীতি সহায়তা পেয়েও এসএমইর অসফলতার কারণ খোঁজার তাগিদ দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা নিয়ে ভালো করে কাজ করা দরকার। সমস্যাটা কোথায়? কোথায় কাজ করতে হবে, এটা নিয়ে আরও গভীরে দেখা দরকার। কেন এসএমই ফ্লারিশ করছে না। এনবিআরের তরফ থেকে নানা কিছু করে দিলাম, তারপরেও কেন ভালো করছে না, সেটা দেখা দরকার।’
এদিকে রাজস্ব আয়ের ২৭টি উৎসের কথা জানায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে সরকারের নতুন নতুন আয়ের উৎস খুঁজে বের করা দরকার। এ অনুসন্ধানে আমরা বাজেটে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোট ২৭টি নতুন উৎস নির্দিষ্ট করেছি, যা অতীতে ছিল না।’
এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি পরামর্শক ফি, বিউটি পারলার, বিদেশি নাগরিকদের ওপর কর রাজস্ব আয়। এ ছাড়া সংস্থাটি কালো টাকা ও পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে এনবিআরকে জোর দেওয়ার আহ্বান জানায়।
ধনীদের ওপর আরও বেশি হারে করারোপের প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। করযোগ্য ৫ লাখ টাকার বেশি আয়ের ওপর করহার ছিল ২৫ শতাংশ। সেটি ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে বলছে সংস্থাটি।
গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক্-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিডি এই প্রস্তাব দিয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নিয়ে বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বা এসএমই ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, পিডব্লিউসি, এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্স।
সিপিডির রিসার্চ ফেলো মুনতাসির কামাল বলেন, ‘সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয় করমুক্ত আছে। করমুক্ত সীমার ওপর প্রতি ১ লাখ টাকায় ৫ শতাংশ কর ধার্য করা হয়। এটার সীমা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করার প্রস্তাব জানাচ্ছি। কারণ, যারা সীমিত আয়ের মানুষ, তাদের করের বোঝা কিছুটা কমে আসবে।’
মুনতাসির কামাল আরও বলেন, ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করহার ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা রয়েছে, সেটি ২ লাখে নিয়ে আসা হোক। আর ধনীদের ওপর ৫ শতাংশ বাড়িয়ে করহার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ করা হোক।
এ ছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার, পলিথিন, সিগারেট, কার্বোনেটেড পানীয়ে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ব্যক্তিপর্যায়ের পুরুষ এসএমইদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং মহিলা এসএমইদের জন্য ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। আর ব্যক্তিপর্যায়ে এসএমইদের কর রেয়াত ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হোক।’
এ ছাড়া সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সীমা ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা এবং রপ্তানির বিপরীতে প্রাপ্ত নগদ প্রণোদনার ওপর উৎসে কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
প্রস্তাব শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এসএমইকে ওঠাতে পারছি না। আমি নিজে দেখছি এসএমইর ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকার। এসএমইর জায়গাটা বিগ প্লেয়াররা নিয়ে ফেলেছে। কীভাবে এটাকে ঠিক করা যায়? কোন দিক আমি সামাল দেব?’
নীতি সহায়তা পেয়েও এসএমইর অসফলতার কারণ খোঁজার তাগিদ দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা নিয়ে ভালো করে কাজ করা দরকার। সমস্যাটা কোথায়? কোথায় কাজ করতে হবে, এটা নিয়ে আরও গভীরে দেখা দরকার। কেন এসএমই ফ্লারিশ করছে না। এনবিআরের তরফ থেকে নানা কিছু করে দিলাম, তারপরেও কেন ভালো করছে না, সেটা দেখা দরকার।’
এদিকে রাজস্ব আয়ের ২৭টি উৎসের কথা জানায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে সরকারের নতুন নতুন আয়ের উৎস খুঁজে বের করা দরকার। এ অনুসন্ধানে আমরা বাজেটে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোট ২৭টি নতুন উৎস নির্দিষ্ট করেছি, যা অতীতে ছিল না।’
এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি পরামর্শক ফি, বিউটি পারলার, বিদেশি নাগরিকদের ওপর কর রাজস্ব আয়। এ ছাড়া সংস্থাটি কালো টাকা ও পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে এনবিআরকে জোর দেওয়ার আহ্বান জানায়।
ঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য পরিশোধে আগ্রহী ছিল না। এতে চুক্তিটির বাস্তবায়ন হুমকির মধ্যে পড়ে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি রক্ষার জন্য আদানি স্থানীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তাঁদের এই বিদ্যুৎ কিনতে রাজি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
২ ঘণ্টা আগে