সিরিশ কাগজ, ধানের কুঁড়ার তেল রপ্তানি করলেই নগদ টাকা

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮: ২৫

সিরিশ কাগজ, ধানের কুঁড়া থেকে উৎপাদিত তেল রপ্তানি এবং অ্যালয় পণ্য উৎপাদনের জন্য নগদ সহায়তা বা প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচিত বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে বলা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে গত ১২ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অধিশাখার অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিরিশ কাগজ, ধানের কুঁড়া থেকে উৎপাদিত তেল রপ্তানি এবং ফেরো অ্যালয় পণ্য উৎপাদনে উৎসাহী করতে নগদ সহায়তা বা প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা রয়েছে—এমন সম্ভাবনাময় নতুন পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে পণ্যওয়ারি প্রদেয় নগদ সহায়তা পর্যালোচনা করে এ-সংক্রান্ত তালিকা সংযোজন, বিয়োজন ও যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

জানা গেছে, গ্রাইন্ড টেক লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি সিরিশ কাগজ উৎপাদন করছে। এ খাতে প্রণোদনা দিলে রপ্তানির সুযোগ তৈরির পাশাপাশি আমদানি প্রবণতা কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এ খাতে বিশ্বে ৬০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। আর বাংলাদেশ ৬-৭ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে।

ধানের কুঁড়া থেকে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেল রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা বা প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন কর্তৃক ধানের কুঁড়া থেকে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেল রপ্তানির বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এফই সার্কুলারের ৬ মোতাবেক অ্যাগ্রো প্রসেসিং কৃষিপণ্য হিসেবে রাইস ব্র্যান ফুড অয়েল রপ্তানি মূল্যের ওপর ২০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

ফেরো অ্যালয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জানান, পশ্চাৎসংযোগমুখী শিল্প হিসেবে দেশে ফেরো অ্যালয় পণ্য উৎপাদনকারী একমাত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে নগদ সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বলা হয়, একমাত্র প্রতিষ্ঠানের জন্য সহায়তা করা যৌক্তিক হবে না। পরে এ বিষয়ে নগদ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি মতামতের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে মতামত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. মুনির হোসেন বলেন, নতুন পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির সহায়তায় প্রণোদনা দেওয়া খুবই ভালো উদ্যোগ। শুরুতে পণ্য উৎপাদন করতে অনেক বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত