বরাদ্দ কমল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন খাতে 

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ১৯: ০১
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ১৯: ৩৬

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন খাতে ৫ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৬৫৪ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বিগত ১৫ বছরে অর্থনীতির আকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ায় বহির্বিশ্বে বিমানে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের পরিমাণও বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ চলাচলের ক্ষেত্রেও বিমানের ব্যবহার বেড়েছে। তাই বিমান পরিবহন এবং আনুষঙ্গিক সেবাকে আধুনিক ও বিশ্বমানে উন্নীত করার জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, উড়োজাহাজের নিরাপদ উড্ডয়ন-অবতরণ সুবিধা বাড়াতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার বিমানবন্দর ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে উন্নত ও দীর্ঘ করা হয়েছে। 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এটি দেশের অ্যাভিয়েশন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পাশাপাশি ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের নিমিত্ত সমুদ্রের দিকে এ বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

পর্যটন খাতের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমরা ২৫ বছর মেয়াদি পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। মহাপরিকল্পনাটি বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সাল নাগাদ জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান হবে ৪৭৭ কোটি মার্কিন ডলার।’ 

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘চট্টগ্রামের পারকি, নোয়াখালীর হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দায় পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি এবং দেশি-বিদেশি জনগণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে দেশে ইকো-ট্যুরিজম, হেরিটেজ ট্যুরিজম এবং বিজনেস ও মাইস (এমআইসিই) ট্যুরিজম বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এসব ট্যুরিজম উন্নয়নের জন্য আমরা টাঙ্গুয়ার হাওর, নিঝুম দ্বীপ, সুন্দরবনের শরণখোলায় ও পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহারে পর্যটক সুবিধা এবং পদ্মা ব্রিজের মাওয়া প্রান্তে ট্যুরিজম কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’ 

এ ছাড়া টেকসই ট্যুরিজম শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ট্যুরিজমের সঙ্গে জড়িত ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের নিবন্ধনের পাশাপাশি উন্নত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে চট্টগ্রামের পারকি, নোয়াখালীর হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দায় পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া রংপুর, চাঁদপুর ও কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত