গ্রামীণফোন, বিকাশ, স্যামসাংসহ ৪০টি ব্র‍্যান্ডকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘মোস্ট লাভড ব্র্যান্ড’ বা দেশের জনপ্রিয়তম ব্র্যান্ডের সম্মানসূচক পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্র‍্যান্ড ফোরাম।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে ১৫ তম বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

এ বছর ৪০টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪০টি ব্র্যান্ডকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া ১৫টি ব্র্যান্ডকে দেওয়া হয় ‘ওভারঅল টপ ১৫ মোস্ট লাভড ব্র্যান্ডস অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা।

বাংলাদেশের ওভারঅল টপ ১৫টি ব্র্যান্ডের মধ্যে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো আধিপত্য বজায় রেখেছে। এ বছর বেস্ট ব্র্যান্ডের মর্যাদা লাভ করেছে বিকাশ। রাঁধুনি এবং আরএফএল হাউসওয়্যার যথাক্রমে দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের খেতাব অর্জন করেছে।

এ তালিকায় থাকা অন্য ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে: গ্রামীণফোন, ইস্পাহানি মির্জাপুর চা, স্বপ্ন, দারাজ, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড হেয়ার অয়েল, সানসিল্ক, ক্লোজ আপ, কোকাকোলা, ম্যাগি ২ মিনিট নুডলস, এসিআই পিউর সল্ট, লাক্স এবং স্যামসাং মোবাইল।

ব্র্যান্ড ইকুইটি ইনডেক্সের ভিত্তিতে বিগত ৩ বছর ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে ঊর্ধ্বগামী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করায় নগদকে’ মোস্ট ইমার্জিং ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এই সম্মাননাটি সেসব ব্র্যান্ডগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে প্রদান করা হয় যারা ব্যবসায়িক মূল্যে এবং ভোক্তার জীবনে অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে একটি অর্থপূর্ণ উচ্চতায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বছরের সেরা ব্র্যান্ড বাছাই করতে, এনসার্চ লিমিটেড একটি জরিপ পরিচালনা করে। এই জরিপটি বাংলাদেশের আটটি বিভাগের শহর ও গ্রামীণ উভয় অঞ্চলে পরিচালিত হয়েছিল। সমান শতাংশের নারী ও পুরুষ নিয়ে মোট ১০ হাজার জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এনসার্চ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার সামিনা আফরিন এক বিস্তারিত আলোচনায় বেষ্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৩–এর মেথোডোলজি ব্যাখ্যা করেন।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের পরিচালক এবং ক্রিয়েটিভ এডিটর নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, ‘ভোক্তাদের জীবনে ব্র্যান্ডগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ব্র্যান্ডের বৃদ্ধির যাত্রায় তার ব্যবসার পাশাপাশি দেশ এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বও বৃদ্ধি পায়। এই আয়োজনটি সেই সমস্ত ব্র্যান্ডগুলোকে স্বীকৃতি জানায় যারা কেবল তাদের ব্যবসায় নয় বরং সমগ্র জাতি এবং অর্থনীতির বৃদ্ধিতেও ব্যাপক অবদান রেখেছে।’

 ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে উপস্থিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড গুলোকে অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের হাত ধরে শুরু হয় বেষ্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের যাত্রা। এক দশকের অধিক সময়ের ধারাবাহিকতায় আয়োজনটি হয়ে উঠেছে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডিং সম্মাননা।