শরীফুল ইসলাম
ঢাকা: বিনা দরপত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন করে আরও পাঁচ বছরের দায়মুক্তি চায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এ জন্য মেয়াদ বাড়াতে ইতিমধ্যে প্রস্তাব করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। গত ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই দিন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অন্তত ৫৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য পরবর্তী প্রক্রিয়া গ্রহণের নির্দেশনা দেন। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সঞ্চালন ও বিতরণ খাতেও বিশেষ আইনটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। আন্তমন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপনের উপযুক্ত যুক্তি প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে, ১৭ জুন আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে আইনটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে অর্থ, বাণিজ্য, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের সারমর্ম বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি সই করার পর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করলে তা পাঠানো হবে জাতীয় সংসদে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কেউ আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন যে কোনো মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিই মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেননি। তবে কেন বাড়ানো প্রয়োজন তার যৌক্তিকতা জানতে চেয়েছেন।
অবশ্য দায়মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিপরীতে অবস্থান বিশেষজ্ঞদের। আইনটির মেয়াদ কোনোভাবেই যাতে আর না বাড়ে সে বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ চায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমাদের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা করার মতো যথেষ্ট দক্ষতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ আইনের প্রয়োগের ফলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি আর দক্ষতার ব্যত্যয় হচ্ছে বলে প্রমাণ মিলেছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নতুন করে এই আইনের মেয়াদ না বাড়িয়ে বাতিল করাই যৌক্তিক হবে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেয়াদ বাড়ানো না–বাড়ানোর প্রসঙ্গের আগে এই আইনটি একটি অসাংবিধানিক আইন। কারণ এই আইনের আওতায় নেওয়া প্রকল্পের বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা যাবে না। এমনকি অনিয়ম হলে আদালতেও যাওয়া যাবে না। এই আইনটি একটি পরিবেশ বিধ্বংসী আইনও। এই আইনের আওতাতেই সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই আইনটি যখন করা হয়েছিল, তখনই আমরা বলেছিলাম, এর আওতায় এমন সব প্রকল্প নেওয়া হবে, যেখানে দুর্নীতি হবে। যেগুলো আড়াল করতেই এই আইন।
সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ফওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এর আওতায় দুর্নীতি অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, বিভিন্ন প্রকল্পে কী হচ্ছে তা জানার সুযোগই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বারবার এর কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে, যা মোটেই সমীচীন হয়। সরকারের উচিত কোনো অবস্থাতেই এই আইনের মেয়াদ আর না বাড়ানো।
ঢাকা: বিনা দরপত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন করে আরও পাঁচ বছরের দায়মুক্তি চায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এ জন্য মেয়াদ বাড়াতে ইতিমধ্যে প্রস্তাব করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। গত ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই দিন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অন্তত ৫৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য পরবর্তী প্রক্রিয়া গ্রহণের নির্দেশনা দেন। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সঞ্চালন ও বিতরণ খাতেও বিশেষ আইনটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। আন্তমন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপনের উপযুক্ত যুক্তি প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে, ১৭ জুন আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে আইনটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে অর্থ, বাণিজ্য, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের সারমর্ম বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি সই করার পর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করলে তা পাঠানো হবে জাতীয় সংসদে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কেউ আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন যে কোনো মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিই মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেননি। তবে কেন বাড়ানো প্রয়োজন তার যৌক্তিকতা জানতে চেয়েছেন।
অবশ্য দায়মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিপরীতে অবস্থান বিশেষজ্ঞদের। আইনটির মেয়াদ কোনোভাবেই যাতে আর না বাড়ে সে বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ চায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমাদের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা করার মতো যথেষ্ট দক্ষতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ আইনের প্রয়োগের ফলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি আর দক্ষতার ব্যত্যয় হচ্ছে বলে প্রমাণ মিলেছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নতুন করে এই আইনের মেয়াদ না বাড়িয়ে বাতিল করাই যৌক্তিক হবে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেয়াদ বাড়ানো না–বাড়ানোর প্রসঙ্গের আগে এই আইনটি একটি অসাংবিধানিক আইন। কারণ এই আইনের আওতায় নেওয়া প্রকল্পের বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা যাবে না। এমনকি অনিয়ম হলে আদালতেও যাওয়া যাবে না। এই আইনটি একটি পরিবেশ বিধ্বংসী আইনও। এই আইনের আওতাতেই সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই আইনটি যখন করা হয়েছিল, তখনই আমরা বলেছিলাম, এর আওতায় এমন সব প্রকল্প নেওয়া হবে, যেখানে দুর্নীতি হবে। যেগুলো আড়াল করতেই এই আইন।
সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ফওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এর আওতায় দুর্নীতি অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, বিভিন্ন প্রকল্পে কী হচ্ছে তা জানার সুযোগই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বারবার এর কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে, যা মোটেই সমীচীন হয়। সরকারের উচিত কোনো অবস্থাতেই এই আইনের মেয়াদ আর না বাড়ানো।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৩ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৪ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৪ ঘণ্টা আগে