আমিনুল ইসলাম নাবিল

দরজায় কড়া নাড়ছে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। আর কয়েক ঘণ্টা। ভালোবাসার মানুষটির জন্য হৃদয়ের সবটা নিংড়ে একটা জুতসই বার্তা লিখতে হয়তো ব্যস্ত এখন অনেকে। অনেকের চোখের সামনেই হয়তো ভাসছে সেই মুহূর্তটি, যখন সে তার প্রিয় মানুষটিকে জানাবে তার ভালোবাসার কথা। ভালোবাসার বয়স নেই। তবু মূলত তরুণ-তরুণীরাই ভালোবাসার মানুষকে আকৃষ্ট করতে দিনটিকে বেছে নেয়। ভালোবাসার মানুষকে চমকে দিতে জোগাড় করে নানা উপহার। তা নিয়ে থাকে কত-না স্বপ্ন, কত-না ভাবনা। অনেকেই হয়তো প্রেমাষ্পদের জন্য সে উপহার কিনে ফেলেছেন। ভালোবাসা দিবস তো উৎসব এক। আর উৎসব তো উপহার ছাড়া হয় না। আর তাই দিনটিকে ঘিরে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয় হাসি ফোটে ব্যবসায়ীদের মুখেও।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে শুধু ভালোবাসার দেবতার রাজত্ব নয়; এটি একই সঙ্গে বাণিজ্যলক্ষ্মীরও। এটা শুধু এখানে নয়, গোটা বিশ্বেই এমন। প্রেম তো সব জড়িয়ে রাখে। ফলে বাণিজ্যের পরিসরও বিরাট। এখন তো আর শুধু ভ্যালেন্টাইন ডে নয়, আছে চকলেট ডে, প্রোপোজ ডে আরও কত কী। এই প্রতিটি দিনের জন্য আবার নির্ধারিত আছে নানা উপহার। মোটাদাগে উপহারের তালিকায় আছে ফুল, কেক, চকলেট, আংটি, রকমারি গ্যাজেট ইত্যাদি। আর উপহারের তালিকায় চির অমলিন পোশাক, জুয়েলারির মতো বিষয় তো আছেই। আছে বেড়াতে যাওয়া, খাওয়া, আড্ডা ইত্যাদি অনুষঙ্গ। ফলে হোটেল-রিসোর্ট, বিনোদনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁর হিস্যাও জোরদার। সব মিলিয়ে এই দিবসকে কেন্দ্র করে লেনদেনের পরিমাণ কমপক্ষে কয়েক শ কোটি টাকা বললে অত্যুক্তি হবে না।
গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসা তেমন না জমলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছেন ব্যবসায়ীরা। রেস্তোরাঁগুলোতে চলছে যুগলদের জন্য বিশেষ অফার। পোশাক, জুয়েলারির বিভিন্ন শোরুমে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের কেনাকাটায় চলছে বিশেষ ছাড়। ক্রেতারাও হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তবে জমজমাট ব্যবসার ভিড়েও কিছুটা শঙ্কা জাগিয়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। ওমিক্রনের শঙ্কা না থাকলে ব্যবসা আরও জমজমাট হতো বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে একেবারে খারাপ হচ্ছে না। রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’-এর ওয়ারী শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটলেট অপারেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ রাকিব হোসেন রাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশ ভালো। শুধু আমাদের এই শাখাতেই ভ্যালেন্টাইন ডের বিক্রি সাত-আট লাখ টাকা। স্বপ্নের দুই শতাধিক আউটলেট আছে। সব আউটলেট মিলে কোটি টাকার হিসাব। সঠিক অঙ্ক বলা মুশকিল। কারণ, একেক শাখায় বিক্রি একেক রকম।’
কী ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে সুপারশপগুলো থেকে? এর একটা জবাব পাওয়া যায় রাকিব হোসেনের কথায়। তিনি জানালেন, ‘ভ্যালেন্টাইন ডেতে মূলত চকলেট, কৃত্রিম ফুল, পুতুল, খেলনা, উপহারসামগ্রী, শো-পিসের বিক্রি বেড়েছে। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক পণ্যের চালান আটকে আছে। সেই পণ্যগুলো হয়তো ভ্যালেন্টাইন ডের পর ঢুকবে। সেগুলো সময়মতো পাওয়া গেলে বিক্রি আরও বাড়ত।’
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সবচেয়ে বেশি চাহিদা বাড়ে ফুলের। ভালোবাসা প্রদর্শনের অন্যতম মাধ্যম প্রিয়জনকে ফুল উপহার দেওয়া। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের ব্যবসা জমজমাট। ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী অঞ্চলের ফুলচাষিরা জানিয়েছেন, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের উৎসবকে ঘিরে প্রায় ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে এরই মধ্যে।
আজকের পত্রিকার ঝিকরগাছা প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, চাহিদা বেশি থাকায় ফুলের দামও বেড়েছে। ফলে করোনার কারণে গত বছরের লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন কৃষকেরা। এবার বাজারে ১০০টি গোলাপ বিক্রি হয়েছে ১৫০০-১৬০০ টাকা দরে, যা আগে বিক্রি হতো ৩০০-৪০০ টাকায়। এবার রজনীগন্ধা একেকটি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১০-১২ টাকায়, যা আগে ছিল ৫-৬ টাকা। রঙিন গ্লাডিউলাস প্রতিটি মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬ থেকে ১৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৪-৬ টাকা। জারবেরা বিক্রি হয়েছে ১০-১২ টাকায়, যার আগে ছিল ৬-৮ টাকা। ফুল বাঁধাইয়ের জন্য কামিনীর পাতা বিক্রি হয়েছে প্রতি আঁটি ১০০ টাকায়, যা আগে বিক্রি হতো ৪০-৫০ টাকায়। জিপসির আঁটি বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়। যা আগে ছিল ২০-২৫ টাকায়। গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে প্রতি হাজার ৬০০-৮০০ টাকায়, যা আগে ছিল ২০০-৩০০ টাকা। লিলিয়াম প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। চন্দ্রমল্লিকা ৩০০ টাকা, যা আগে বিক্রি হতো ১০০ টাকায়। রকস্টিকের আঁটি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, আগে বিক্রি হতো ৫০ টাকায়।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, করোনাভাইরাস, লকডাউন, আম্ফান ঘূর্ণিঝড় ও অসময়ে বৃষ্টিতে ফুলচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে পাঁচ দিনে প্রায় ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হওয়ায় চাষিদের মুখে এবার হাসি ফুটেছে।
ভ্যালেন্টাইন ডের অন্যতম আকর্ষণ কেক। ভ্যালেন্টাইন এলেই বিভিন্ন আকার, নকশা ও ফ্লেভারের কেকের চাহিদা বাড়ে। প্রিয়জনকে সারপ্রাইজ দিতে অনেকেই উপহার হিসেবে কেক বেছে নেন। এই সময়ে বেকারি ও পেস্ট্রি শপগুলোতে ব্যস্ততার শেষ থাকে না। কিন্তু কতটা বিক্রি হচ্ছে তার একটা ধারণা পাওয়া গেল স্যান্ড্রা ফুডসের উৎপাদন ব্যবস্থাপক রিদওয়ানুর রহমানের কাছে। তিনি বলেন, ‘ভ্যালেন্টাইন ডেতে বিক্রি বেড়েছে। আমাদের ছয়টি আউটলেটে কয়েক লাখ টাকার ভ্যালেন্টাইন কেক বিক্রি হবে। এরই মধ্যে তিন শতাধিক কেক বিক্রি হয়েছে। ভ্যালেন্টাইন ডের দিনেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভ্যালেন্টাইন কেক সেল হবে।’
তবে এই কেকের বাজার ঠিক কত বড়, সে সম্পর্কে সঠিক পরিসংখ্যান হাতে নেই। একই অবস্থা চকলেটের ক্ষেত্রেও। চকলেটকে বলা যেতে পারে ম্যান্ডেটরি গিফট। সব বয়সী মানুষই এই উপহার পছন্দ করেন। কিন্তু ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এই বাজার ঠিক কতটা বড়, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। দেশে চকলেটের চাহিদার একটি বড় অংশই মেটে আমদানি থেকে। এখানেও রয়েছে জটিলতা। অনেকে শুল্ক ফাঁকি দিতে ব্যক্তিগতভাবে লাগেজে করে চকলেট পরিবহন করেন। ফলে একটি দিবসকে কেন্দ্র করে এর বাজারের পরিসর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া আসলেই দুরুহ।
করোনার ধকল কাটিয়ে পর্যটন খাতেও আশার আলো নিয়ে এসেছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দম্পতিদের জন্য বিভিন্ন কাপল অফার আছে। ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট রয়েছে। ক্যান্ডেল লাইট ডিনারসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকছে। আমরা চাই দম্পতিদের জন্য যেন দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকে।’
কলিম উল্লাহ আরও বলেন, ‘এবার বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। এটা বেশ আশা জাগানিয়া বিষয়। মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা আমাদের অণুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা রাখছি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হবে।’
এ ছাড়া জুয়েলারি, মোবাইল সেটসহ নানা ডিভাইস এখন ভালোবাসা দিবসের উপহারের তালিকায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জুয়েলারি, ডিভাইস ইত্যাদি উপহারের বিষয়টি সামর্থ্যের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এই সামর্থ্যের পরিসরও কিন্তু বাড়ছে। ফলে বাড়ছে ভালোবাসা দিবসকেন্দ্রিক ব্যবসার পরিসর। বাংলাদেশে এই উপহারের বাজারের আকার এখন কত বড়, তার ঠিকঠাক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে অনুমান করা যায় ঠিকই। শুধু ফুল ও পর্যটন খাত মিলিয়েই কিন্তু বাজারটির আকার ২০ কোটি ছাড়িয়ে গেল। এর সঙ্গে চকলেট, জুয়েলারি, পুতুল, রকমারি ডিভাইস, অনলাইন কেনাকাটার গিফট কুপন ইত্যাদি যোগ করে নিলে এটি শত কোটি টাকা অনায়াসে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা যায়।
একটু বিদেশ ঘুরে এলেই ব্যাপারটি কিছুটা বোঝা যাবে। স্ট্যাটিস্টা ডটকমের তথ্যমতে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভালোবাসা দিবস ঘিরে ২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলারের ব্যবসা হয়েছে। ২০২১ সালে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৮০ কোটি ডলার। আর ২০২০ সালে ছিল ২ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এ দিবসকে কেন্দ্র করে শুধু উপহারসামগ্রীর ব্যবসার আকার ছিল ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের। নিউজিল্যান্ডে এর পরিমাণ ছিল ২১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের।
পাশের দেশ ভারতে এর আকারটি কেমন? করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশটিতে ভ্যালেন্টাইন ডে ঘিরে মাথাপিছু ব্যয়ে বেড়েছে। এ বছরের হিসাব পাওয়া না গেলেও গেল বছর গড়ে প্রতিজন তাদের প্রিয়জনকে উপহার দিতে ১৩০ ডলারের বেশি ব্যয় করেছেন। নিশ্চিতভাবেই আগের তুলনায় দেশটিতে এ বাবদ মানুষের বাজেট বেড়েছে। আগে কেমন ছিল। ইকোনমিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, ২০০৭ সালে ভালোবাসা দিবসে ১ হাজার ২০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা হয়েছিল। তাহলে বর্তমানের ব্যবসার পরিসরটি সহজেই বোঝা যাচ্ছে। আর বাংলাদেশ? সঠিক পরিসংখ্যান হাতে না থাকলেও ব্যবসার আকারটি যে চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

দরজায় কড়া নাড়ছে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। আর কয়েক ঘণ্টা। ভালোবাসার মানুষটির জন্য হৃদয়ের সবটা নিংড়ে একটা জুতসই বার্তা লিখতে হয়তো ব্যস্ত এখন অনেকে। অনেকের চোখের সামনেই হয়তো ভাসছে সেই মুহূর্তটি, যখন সে তার প্রিয় মানুষটিকে জানাবে তার ভালোবাসার কথা। ভালোবাসার বয়স নেই। তবু মূলত তরুণ-তরুণীরাই ভালোবাসার মানুষকে আকৃষ্ট করতে দিনটিকে বেছে নেয়। ভালোবাসার মানুষকে চমকে দিতে জোগাড় করে নানা উপহার। তা নিয়ে থাকে কত-না স্বপ্ন, কত-না ভাবনা। অনেকেই হয়তো প্রেমাষ্পদের জন্য সে উপহার কিনে ফেলেছেন। ভালোবাসা দিবস তো উৎসব এক। আর উৎসব তো উপহার ছাড়া হয় না। আর তাই দিনটিকে ঘিরে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয় হাসি ফোটে ব্যবসায়ীদের মুখেও।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে শুধু ভালোবাসার দেবতার রাজত্ব নয়; এটি একই সঙ্গে বাণিজ্যলক্ষ্মীরও। এটা শুধু এখানে নয়, গোটা বিশ্বেই এমন। প্রেম তো সব জড়িয়ে রাখে। ফলে বাণিজ্যের পরিসরও বিরাট। এখন তো আর শুধু ভ্যালেন্টাইন ডে নয়, আছে চকলেট ডে, প্রোপোজ ডে আরও কত কী। এই প্রতিটি দিনের জন্য আবার নির্ধারিত আছে নানা উপহার। মোটাদাগে উপহারের তালিকায় আছে ফুল, কেক, চকলেট, আংটি, রকমারি গ্যাজেট ইত্যাদি। আর উপহারের তালিকায় চির অমলিন পোশাক, জুয়েলারির মতো বিষয় তো আছেই। আছে বেড়াতে যাওয়া, খাওয়া, আড্ডা ইত্যাদি অনুষঙ্গ। ফলে হোটেল-রিসোর্ট, বিনোদনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁর হিস্যাও জোরদার। সব মিলিয়ে এই দিবসকে কেন্দ্র করে লেনদেনের পরিমাণ কমপক্ষে কয়েক শ কোটি টাকা বললে অত্যুক্তি হবে না।
গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসা তেমন না জমলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছেন ব্যবসায়ীরা। রেস্তোরাঁগুলোতে চলছে যুগলদের জন্য বিশেষ অফার। পোশাক, জুয়েলারির বিভিন্ন শোরুমে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের কেনাকাটায় চলছে বিশেষ ছাড়। ক্রেতারাও হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তবে জমজমাট ব্যবসার ভিড়েও কিছুটা শঙ্কা জাগিয়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। ওমিক্রনের শঙ্কা না থাকলে ব্যবসা আরও জমজমাট হতো বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে একেবারে খারাপ হচ্ছে না। রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’-এর ওয়ারী শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটলেট অপারেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ রাকিব হোসেন রাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশ ভালো। শুধু আমাদের এই শাখাতেই ভ্যালেন্টাইন ডের বিক্রি সাত-আট লাখ টাকা। স্বপ্নের দুই শতাধিক আউটলেট আছে। সব আউটলেট মিলে কোটি টাকার হিসাব। সঠিক অঙ্ক বলা মুশকিল। কারণ, একেক শাখায় বিক্রি একেক রকম।’
কী ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে সুপারশপগুলো থেকে? এর একটা জবাব পাওয়া যায় রাকিব হোসেনের কথায়। তিনি জানালেন, ‘ভ্যালেন্টাইন ডেতে মূলত চকলেট, কৃত্রিম ফুল, পুতুল, খেলনা, উপহারসামগ্রী, শো-পিসের বিক্রি বেড়েছে। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক পণ্যের চালান আটকে আছে। সেই পণ্যগুলো হয়তো ভ্যালেন্টাইন ডের পর ঢুকবে। সেগুলো সময়মতো পাওয়া গেলে বিক্রি আরও বাড়ত।’
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সবচেয়ে বেশি চাহিদা বাড়ে ফুলের। ভালোবাসা প্রদর্শনের অন্যতম মাধ্যম প্রিয়জনকে ফুল উপহার দেওয়া। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের ব্যবসা জমজমাট। ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী অঞ্চলের ফুলচাষিরা জানিয়েছেন, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের উৎসবকে ঘিরে প্রায় ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে এরই মধ্যে।
আজকের পত্রিকার ঝিকরগাছা প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, চাহিদা বেশি থাকায় ফুলের দামও বেড়েছে। ফলে করোনার কারণে গত বছরের লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন কৃষকেরা। এবার বাজারে ১০০টি গোলাপ বিক্রি হয়েছে ১৫০০-১৬০০ টাকা দরে, যা আগে বিক্রি হতো ৩০০-৪০০ টাকায়। এবার রজনীগন্ধা একেকটি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১০-১২ টাকায়, যা আগে ছিল ৫-৬ টাকা। রঙিন গ্লাডিউলাস প্রতিটি মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬ থেকে ১৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৪-৬ টাকা। জারবেরা বিক্রি হয়েছে ১০-১২ টাকায়, যার আগে ছিল ৬-৮ টাকা। ফুল বাঁধাইয়ের জন্য কামিনীর পাতা বিক্রি হয়েছে প্রতি আঁটি ১০০ টাকায়, যা আগে বিক্রি হতো ৪০-৫০ টাকায়। জিপসির আঁটি বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়। যা আগে ছিল ২০-২৫ টাকায়। গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে প্রতি হাজার ৬০০-৮০০ টাকায়, যা আগে ছিল ২০০-৩০০ টাকা। লিলিয়াম প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। চন্দ্রমল্লিকা ৩০০ টাকা, যা আগে বিক্রি হতো ১০০ টাকায়। রকস্টিকের আঁটি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, আগে বিক্রি হতো ৫০ টাকায়।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, করোনাভাইরাস, লকডাউন, আম্ফান ঘূর্ণিঝড় ও অসময়ে বৃষ্টিতে ফুলচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে পাঁচ দিনে প্রায় ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হওয়ায় চাষিদের মুখে এবার হাসি ফুটেছে।
ভ্যালেন্টাইন ডের অন্যতম আকর্ষণ কেক। ভ্যালেন্টাইন এলেই বিভিন্ন আকার, নকশা ও ফ্লেভারের কেকের চাহিদা বাড়ে। প্রিয়জনকে সারপ্রাইজ দিতে অনেকেই উপহার হিসেবে কেক বেছে নেন। এই সময়ে বেকারি ও পেস্ট্রি শপগুলোতে ব্যস্ততার শেষ থাকে না। কিন্তু কতটা বিক্রি হচ্ছে তার একটা ধারণা পাওয়া গেল স্যান্ড্রা ফুডসের উৎপাদন ব্যবস্থাপক রিদওয়ানুর রহমানের কাছে। তিনি বলেন, ‘ভ্যালেন্টাইন ডেতে বিক্রি বেড়েছে। আমাদের ছয়টি আউটলেটে কয়েক লাখ টাকার ভ্যালেন্টাইন কেক বিক্রি হবে। এরই মধ্যে তিন শতাধিক কেক বিক্রি হয়েছে। ভ্যালেন্টাইন ডের দিনেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভ্যালেন্টাইন কেক সেল হবে।’
তবে এই কেকের বাজার ঠিক কত বড়, সে সম্পর্কে সঠিক পরিসংখ্যান হাতে নেই। একই অবস্থা চকলেটের ক্ষেত্রেও। চকলেটকে বলা যেতে পারে ম্যান্ডেটরি গিফট। সব বয়সী মানুষই এই উপহার পছন্দ করেন। কিন্তু ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এই বাজার ঠিক কতটা বড়, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। দেশে চকলেটের চাহিদার একটি বড় অংশই মেটে আমদানি থেকে। এখানেও রয়েছে জটিলতা। অনেকে শুল্ক ফাঁকি দিতে ব্যক্তিগতভাবে লাগেজে করে চকলেট পরিবহন করেন। ফলে একটি দিবসকে কেন্দ্র করে এর বাজারের পরিসর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া আসলেই দুরুহ।
করোনার ধকল কাটিয়ে পর্যটন খাতেও আশার আলো নিয়ে এসেছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দম্পতিদের জন্য বিভিন্ন কাপল অফার আছে। ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট রয়েছে। ক্যান্ডেল লাইট ডিনারসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকছে। আমরা চাই দম্পতিদের জন্য যেন দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকে।’
কলিম উল্লাহ আরও বলেন, ‘এবার বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। এটা বেশ আশা জাগানিয়া বিষয়। মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা আমাদের অণুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা রাখছি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হবে।’
এ ছাড়া জুয়েলারি, মোবাইল সেটসহ নানা ডিভাইস এখন ভালোবাসা দিবসের উপহারের তালিকায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জুয়েলারি, ডিভাইস ইত্যাদি উপহারের বিষয়টি সামর্থ্যের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এই সামর্থ্যের পরিসরও কিন্তু বাড়ছে। ফলে বাড়ছে ভালোবাসা দিবসকেন্দ্রিক ব্যবসার পরিসর। বাংলাদেশে এই উপহারের বাজারের আকার এখন কত বড়, তার ঠিকঠাক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে অনুমান করা যায় ঠিকই। শুধু ফুল ও পর্যটন খাত মিলিয়েই কিন্তু বাজারটির আকার ২০ কোটি ছাড়িয়ে গেল। এর সঙ্গে চকলেট, জুয়েলারি, পুতুল, রকমারি ডিভাইস, অনলাইন কেনাকাটার গিফট কুপন ইত্যাদি যোগ করে নিলে এটি শত কোটি টাকা অনায়াসে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা যায়।
একটু বিদেশ ঘুরে এলেই ব্যাপারটি কিছুটা বোঝা যাবে। স্ট্যাটিস্টা ডটকমের তথ্যমতে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভালোবাসা দিবস ঘিরে ২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলারের ব্যবসা হয়েছে। ২০২১ সালে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৮০ কোটি ডলার। আর ২০২০ সালে ছিল ২ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এ দিবসকে কেন্দ্র করে শুধু উপহারসামগ্রীর ব্যবসার আকার ছিল ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের। নিউজিল্যান্ডে এর পরিমাণ ছিল ২১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের।
পাশের দেশ ভারতে এর আকারটি কেমন? করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশটিতে ভ্যালেন্টাইন ডে ঘিরে মাথাপিছু ব্যয়ে বেড়েছে। এ বছরের হিসাব পাওয়া না গেলেও গেল বছর গড়ে প্রতিজন তাদের প্রিয়জনকে উপহার দিতে ১৩০ ডলারের বেশি ব্যয় করেছেন। নিশ্চিতভাবেই আগের তুলনায় দেশটিতে এ বাবদ মানুষের বাজেট বেড়েছে। আগে কেমন ছিল। ইকোনমিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, ২০০৭ সালে ভালোবাসা দিবসে ১ হাজার ২০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা হয়েছিল। তাহলে বর্তমানের ব্যবসার পরিসরটি সহজেই বোঝা যাচ্ছে। আর বাংলাদেশ? সঠিক পরিসংখ্যান হাতে না থাকলেও ব্যবসার আকারটি যে চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

দরজায় কড়া নাড়ছে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। ভালোবাসার মানুষকে আকৃষ্ট করতে দিনটিকে বেছে নেয় মানুষ। এই দিনে রংবেরঙের উপহারসামগ্রী একে অন্যকে দিয়ে থাকে। দিনটিকে ঘিরে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয় হাসি ফোটে ব্যবসায়ীদের মুখেও
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

দরজায় কড়া নাড়ছে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। ভালোবাসার মানুষকে আকৃষ্ট করতে দিনটিকে বেছে নেয় মানুষ। এই দিনে রংবেরঙের উপহারসামগ্রী একে অন্যকে দিয়ে থাকে। দিনটিকে ঘিরে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয় হাসি ফোটে ব্যবসায়ীদের মুখেও
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

দরজায় কড়া নাড়ছে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। ভালোবাসার মানুষকে আকৃষ্ট করতে দিনটিকে বেছে নেয় মানুষ। এই দিনে রংবেরঙের উপহারসামগ্রী একে অন্যকে দিয়ে থাকে। দিনটিকে ঘিরে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয় হাসি ফোটে ব্যবসায়ীদের মুখেও
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

দরজায় কড়া নাড়ছে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। ভালোবাসার মানুষকে আকৃষ্ট করতে দিনটিকে বেছে নেয় মানুষ। এই দিনে রংবেরঙের উপহারসামগ্রী একে অন্যকে দিয়ে থাকে। দিনটিকে ঘিরে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয় হাসি ফোটে ব্যবসায়ীদের মুখেও
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে