ফারুক মেহেদী, ঢাকা
অর্থনীতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। ডলারের দর একলাফে ৭ টাকা বাড়ানোর পর খোলাবাজারে ডলার আরও দুষ্প্রাপ্য হয়েছে। আমদানি কড়াকড়ির কারণে ব্যবসায় চলছে স্লথগতি। ফলে রাজস্ব আয়ে বড় ঘাটতি পড়ছে। তহবিলসংকটে ঠিকমতো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। জিনিসপত্রের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে ডলারে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি শোধের। ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফও বাজেট প্রণয়নে সরকারকে চাপে রেখেছে। এমন একটি সময়ে প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য-উপাত্ত, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের পর্যালোচনা থেকে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা যায়, অর্থনীতির নানা সংকটেও সরকার ৩৫ হাজার ১১৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে বড় বাজেটই করতে যাচ্ছে। ফলে আসছে বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আর বর্তমান বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বর্তমানটির চেয়ে আসছে বাজেটের আকার বেড়েছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে কর রাজস্ব থেকে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে ঘাটতির কারণে ২০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়। ফলে সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে সরকারের ৪ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার কর রাজস্ব আদায় করার কথা।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। আশা করি সরকার সে রকমই একটি বাজেট দেবে। বাজেট এমন হওয়া উচিত, যাতে সরকারও রাজস্ব পায়, আবার আমাদের শিল্পও সুরক্ষিত থাকে।’
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছর পর্যাপ্ত তহবিলসংকট ও খরচে কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কাটছাঁট করা হয়। তারপরও কাঙ্ক্ষিত হারে বাস্তবায়ন হয়নি। আসছে অর্থবছরেও সরকার প্রয়োজনের বাইরে কোনো প্রকল্প অনুমোদন দিতে চায় না। এমনকি বড় বড় প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রেও রক্ষণশীলতা বজায় রাখা হবে। এমন বাস্তবতায় আসছে এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগের এডিপি থেকে মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে নতুন এডিপিতে। তবে বিশ্লেষকেরা জানান, বিদ্যমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটিও বড় এডিপি। এর বাস্তবায়ন নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
নতুন অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। আর নতুন বাজেটের জন্য মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে সাড়ে ৬ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা জানান, প্রবৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির দুটি লক্ষ্য অর্জনও কঠিন। কারণ সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগে ধীরগতি চলছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ দেওয়া ও টাকার প্রবাহ কমাতে কড়াকড়ি আরোপ করে রেখেছে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না। তাই প্রবৃদ্ধির গতি বাড়বে এমনটিও ভাবার কারণ নেই। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতিও কোনোভাবেই কমছে না। উল্টো বাড়ছে। ফলে সামনে মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে আসবে এমনটিও মনে করছেন না বিশ্লেষকেরা। তাঁরা জানান, সম্প্রতি ডলারের দর বাড়ানোর ফলে আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের পণ্য আমদানির খরচ আরেক দফা বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এটিও বাজারে পণ্যের দামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
জানা যায়, আসছে বাজেটে যেসব লক্ষ্য ধরা হয়েছে, এর প্রতিটিই উচ্চাভিলাষী। কারণ বড় বাজেট বাস্তবায়নের জন্য যে তহবিল সরকার পরিকল্পনা করছে, তার জোগান দেওয়া চ্যালেঞ্জের। রাজস্ব আদায় হচ্ছে না ঠিকমতো। প্রতিবছরই বড় রাজস্ব লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত কাটছাঁট করে ছোট করা হয়। সেটিও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয় না। আর এবার যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়ানোর কৌশল নেওয়া হচ্ছে। আইএমএফের শর্ত মেনে বিভিন্ন খাতের করছাড় কমানো হচ্ছে। এর ফলে এমন সব খাতের কর অবকাশ উঠে যাবে, যার ফলে শিল্পগুলোর প্রসার বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মসংস্থানও সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক পণ্যে আসছে বাজেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, আইএমএফের চাপে পণ্য আমদানিতে শূন্য শুল্ক প্রথা তুলে দেওয়ার পথে রয়েছে এনবিআর। গুটি কয়েক বিশেষ অত্যাবশ্যক বিবেচনায় শূন্য শুল্ক থাকলেও বেশির ভাগ পণ্যেই এবার শুল্ক বসতে পারে। ফলে এসব পণ্য বাজারে এলে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা ভোক্তার ঘাড়েই পড়বে।
এসব ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজস্ব আয়ের স্বার্থে আইএমএফের কিছু কিছু পরামর্শ ভালো। যারা করছাড় নিয়ে নিজেদের সক্ষম করে তুলতে পেরেছে, তাদের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। তবে ঢালাও কর অবকাশ তুলে দেওয়ার বিষয়টি কিছু কিছু শিল্পের প্রসার কমিয়ে দেবে। এতে কর্মসংস্থান কমে যাবে। তা ছাড়া ব্যক্তির ন্যূনতম কর এবার না বসালেই ভালো।
এনবিআরের শুল্ক ও ভ্যাট শাখার সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারি বলেন, রাজস্ব আদায় করতে হলে সরকারকে কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর নতুন সরকারের প্রথম দিকেই এসব সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেদিক থেকে আসছে বাজেটে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে রাজস্বের জন্য ইতিবাচক হবে। তবে পুরো কর আদায়ের কৌশল যেন ব্যবসা-বিনিয়োগবান্ধব হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অর্থনীতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। ডলারের দর একলাফে ৭ টাকা বাড়ানোর পর খোলাবাজারে ডলার আরও দুষ্প্রাপ্য হয়েছে। আমদানি কড়াকড়ির কারণে ব্যবসায় চলছে স্লথগতি। ফলে রাজস্ব আয়ে বড় ঘাটতি পড়ছে। তহবিলসংকটে ঠিকমতো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। জিনিসপত্রের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে ডলারে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি শোধের। ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফও বাজেট প্রণয়নে সরকারকে চাপে রেখেছে। এমন একটি সময়ে প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য-উপাত্ত, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের পর্যালোচনা থেকে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা যায়, অর্থনীতির নানা সংকটেও সরকার ৩৫ হাজার ১১৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে বড় বাজেটই করতে যাচ্ছে। ফলে আসছে বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আর বর্তমান বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বর্তমানটির চেয়ে আসছে বাজেটের আকার বেড়েছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে কর রাজস্ব থেকে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে ঘাটতির কারণে ২০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়। ফলে সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে সরকারের ৪ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার কর রাজস্ব আদায় করার কথা।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। আশা করি সরকার সে রকমই একটি বাজেট দেবে। বাজেট এমন হওয়া উচিত, যাতে সরকারও রাজস্ব পায়, আবার আমাদের শিল্পও সুরক্ষিত থাকে।’
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছর পর্যাপ্ত তহবিলসংকট ও খরচে কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কাটছাঁট করা হয়। তারপরও কাঙ্ক্ষিত হারে বাস্তবায়ন হয়নি। আসছে অর্থবছরেও সরকার প্রয়োজনের বাইরে কোনো প্রকল্প অনুমোদন দিতে চায় না। এমনকি বড় বড় প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রেও রক্ষণশীলতা বজায় রাখা হবে। এমন বাস্তবতায় আসছে এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগের এডিপি থেকে মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে নতুন এডিপিতে। তবে বিশ্লেষকেরা জানান, বিদ্যমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটিও বড় এডিপি। এর বাস্তবায়ন নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
নতুন অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। আর নতুন বাজেটের জন্য মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে সাড়ে ৬ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা জানান, প্রবৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির দুটি লক্ষ্য অর্জনও কঠিন। কারণ সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগে ধীরগতি চলছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ দেওয়া ও টাকার প্রবাহ কমাতে কড়াকড়ি আরোপ করে রেখেছে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না। তাই প্রবৃদ্ধির গতি বাড়বে এমনটিও ভাবার কারণ নেই। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতিও কোনোভাবেই কমছে না। উল্টো বাড়ছে। ফলে সামনে মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে আসবে এমনটিও মনে করছেন না বিশ্লেষকেরা। তাঁরা জানান, সম্প্রতি ডলারের দর বাড়ানোর ফলে আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের পণ্য আমদানির খরচ আরেক দফা বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এটিও বাজারে পণ্যের দামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
জানা যায়, আসছে বাজেটে যেসব লক্ষ্য ধরা হয়েছে, এর প্রতিটিই উচ্চাভিলাষী। কারণ বড় বাজেট বাস্তবায়নের জন্য যে তহবিল সরকার পরিকল্পনা করছে, তার জোগান দেওয়া চ্যালেঞ্জের। রাজস্ব আদায় হচ্ছে না ঠিকমতো। প্রতিবছরই বড় রাজস্ব লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত কাটছাঁট করে ছোট করা হয়। সেটিও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয় না। আর এবার যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়ানোর কৌশল নেওয়া হচ্ছে। আইএমএফের শর্ত মেনে বিভিন্ন খাতের করছাড় কমানো হচ্ছে। এর ফলে এমন সব খাতের কর অবকাশ উঠে যাবে, যার ফলে শিল্পগুলোর প্রসার বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মসংস্থানও সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক পণ্যে আসছে বাজেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, আইএমএফের চাপে পণ্য আমদানিতে শূন্য শুল্ক প্রথা তুলে দেওয়ার পথে রয়েছে এনবিআর। গুটি কয়েক বিশেষ অত্যাবশ্যক বিবেচনায় শূন্য শুল্ক থাকলেও বেশির ভাগ পণ্যেই এবার শুল্ক বসতে পারে। ফলে এসব পণ্য বাজারে এলে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা ভোক্তার ঘাড়েই পড়বে।
এসব ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজস্ব আয়ের স্বার্থে আইএমএফের কিছু কিছু পরামর্শ ভালো। যারা করছাড় নিয়ে নিজেদের সক্ষম করে তুলতে পেরেছে, তাদের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। তবে ঢালাও কর অবকাশ তুলে দেওয়ার বিষয়টি কিছু কিছু শিল্পের প্রসার কমিয়ে দেবে। এতে কর্মসংস্থান কমে যাবে। তা ছাড়া ব্যক্তির ন্যূনতম কর এবার না বসালেই ভালো।
এনবিআরের শুল্ক ও ভ্যাট শাখার সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারি বলেন, রাজস্ব আদায় করতে হলে সরকারকে কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর নতুন সরকারের প্রথম দিকেই এসব সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেদিক থেকে আসছে বাজেটে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে রাজস্বের জন্য ইতিবাচক হবে। তবে পুরো কর আদায়ের কৌশল যেন ব্যবসা-বিনিয়োগবান্ধব হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৬ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৭ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৮ ঘণ্টা আগে