জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
অর্থ না নিয়েই পরিচালকদের নামে শেয়ার হস্তান্তর, চেয়ারম্যানের স্বজনদের পেছনে অঢেল টাকা খরচ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) জন্মদিনে দামি উপহারসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সচল রাখতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফেরদৌসকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। নতুন প্রশাসক গতকাল রোববার দায়িত্ব নিয়েছেন।
আইডিআরএ সূত্রে জানা যায়, সোনালী লাইফের অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের জন্য অডিট ফার্ম হুদাবাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানিকে গত ৩১ ডিসেম্বর নিরীক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি তদন্তে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমা কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস তাঁর ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, সাবেক ৮ জন পরিচালকের মাসিক বেতন বাবদ ১ কোটি ২৪ লাখ, গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২১ লাখ, চিকিৎসা বাবদ ১ কোটি, বিদেশভ্রমণ বাবদ প্রায় ৪ লাখ, মেয়ের বিদেশে উচ্চশিক্ষা ব্যয় বাবদ ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) জন্মদিন উপলক্ষে সাজসজ্জা ও ডায়মন্ডের রিং উপহার বাবদ ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। চাইলেই নিজের মতো করে অনেক কিছু করা যায় না। নিয়ম মেনেই কোম্পানি পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে। আইডিআরএ তা গ্রহণ করেনি।
জানা গেছে, ৪ এপ্রিল এক চিঠিতে সোনালী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে কেন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় আইডিআরএ। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে ১৮ এপ্রিল আইডিআরএ আয়োজিত শুনানিতে সোনালীর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেদিন শুনানিতে মূলত কোম্পানির পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান নূর-এ হাফজা পৃথকভাবে জবাব দাখিল করেন। পর্ষদের পক্ষে জবাব দেন কোম্পানির চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান। যদিও শুনানির আগের দিন হঠাৎ পদত্যাগ করেন পরিচালক আহমেদ রাজিব সামদানী, হুদা আলী সেলিম ও হাজেরা।
কাজী মনিরুজ্জামান তাঁর জবাবে কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য ইস্যু করা শেয়ারের মূল্য, মাসিক বেতন গ্রহণ, তার নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ প্রদান, বিদেশভ্রমণ, বিদেশে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ব্যয় বাবদ অর্থ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। যদিও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস দাবি করেন, সোনালী লাইফের কাছে তাঁর পাওনা ১৫৮ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ৩০৫ টাকা। তবে কোম্পানির বুক অব অ্যাকাউন্টস, লেজার সিস্টেম জেনারেটেট ভাউচার, ব্যাংকের অ্যাডভাইস চেক ইত্যাদি দলিলের সঙ্গে কুদ্দুসের দাবির অসামাঞ্জস্য থাকায় আইডিআরএ তা গ্রহণ করেনি।
জানা গেছে, ২০১৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বছরভিত্তিক ফ্লোর এরিয়ার চাহিদা নির্ধারণ করে মোট ১৮৪ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ৮০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণে চুক্তি হয়। তবে ভাড়ার ওই চুক্তিতে কোম্পানির পক্ষে চেয়ারম্যান সই করেননি। সই করেন ভবনমালিক সোনালী লাইফের স্পনসর পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল। তিনি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের জামাতা। অভিযুক্ত নূর-এ হাফজা জবাবে দাবি করেন, তাঁর নামে ইস্যু করা প্লেসমেন্ট শেয়ারের মূল্য তিনি পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। তিনি কোম্পানি থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন, তা পরিশোধ করতে চান।
কোম্পানি পরিচালনা বিষয়ে আইডিআরএর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব কোম্পানিটিতে দেশি বা বিদেশি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা সম্পন্ন করাবেন।
আইডিআরএ পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষায় বিমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বজনদের অর্থ তছরুপের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় ছয় সদস্যের পর্ষদ ভেঙে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অর্থ না নিয়েই পরিচালকদের নামে শেয়ার হস্তান্তর, চেয়ারম্যানের স্বজনদের পেছনে অঢেল টাকা খরচ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) জন্মদিনে দামি উপহারসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সচল রাখতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফেরদৌসকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। নতুন প্রশাসক গতকাল রোববার দায়িত্ব নিয়েছেন।
আইডিআরএ সূত্রে জানা যায়, সোনালী লাইফের অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের জন্য অডিট ফার্ম হুদাবাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানিকে গত ৩১ ডিসেম্বর নিরীক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি তদন্তে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমা কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস তাঁর ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, সাবেক ৮ জন পরিচালকের মাসিক বেতন বাবদ ১ কোটি ২৪ লাখ, গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২১ লাখ, চিকিৎসা বাবদ ১ কোটি, বিদেশভ্রমণ বাবদ প্রায় ৪ লাখ, মেয়ের বিদেশে উচ্চশিক্ষা ব্যয় বাবদ ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) জন্মদিন উপলক্ষে সাজসজ্জা ও ডায়মন্ডের রিং উপহার বাবদ ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। চাইলেই নিজের মতো করে অনেক কিছু করা যায় না। নিয়ম মেনেই কোম্পানি পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে। আইডিআরএ তা গ্রহণ করেনি।
জানা গেছে, ৪ এপ্রিল এক চিঠিতে সোনালী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে কেন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় আইডিআরএ। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে ১৮ এপ্রিল আইডিআরএ আয়োজিত শুনানিতে সোনালীর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেদিন শুনানিতে মূলত কোম্পানির পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান নূর-এ হাফজা পৃথকভাবে জবাব দাখিল করেন। পর্ষদের পক্ষে জবাব দেন কোম্পানির চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান। যদিও শুনানির আগের দিন হঠাৎ পদত্যাগ করেন পরিচালক আহমেদ রাজিব সামদানী, হুদা আলী সেলিম ও হাজেরা।
কাজী মনিরুজ্জামান তাঁর জবাবে কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য ইস্যু করা শেয়ারের মূল্য, মাসিক বেতন গ্রহণ, তার নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ প্রদান, বিদেশভ্রমণ, বিদেশে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ব্যয় বাবদ অর্থ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। যদিও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস দাবি করেন, সোনালী লাইফের কাছে তাঁর পাওনা ১৫৮ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ৩০৫ টাকা। তবে কোম্পানির বুক অব অ্যাকাউন্টস, লেজার সিস্টেম জেনারেটেট ভাউচার, ব্যাংকের অ্যাডভাইস চেক ইত্যাদি দলিলের সঙ্গে কুদ্দুসের দাবির অসামাঞ্জস্য থাকায় আইডিআরএ তা গ্রহণ করেনি।
জানা গেছে, ২০১৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বছরভিত্তিক ফ্লোর এরিয়ার চাহিদা নির্ধারণ করে মোট ১৮৪ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ৮০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণে চুক্তি হয়। তবে ভাড়ার ওই চুক্তিতে কোম্পানির পক্ষে চেয়ারম্যান সই করেননি। সই করেন ভবনমালিক সোনালী লাইফের স্পনসর পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল। তিনি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের জামাতা। অভিযুক্ত নূর-এ হাফজা জবাবে দাবি করেন, তাঁর নামে ইস্যু করা প্লেসমেন্ট শেয়ারের মূল্য তিনি পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। তিনি কোম্পানি থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন, তা পরিশোধ করতে চান।
কোম্পানি পরিচালনা বিষয়ে আইডিআরএর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব কোম্পানিটিতে দেশি বা বিদেশি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা সম্পন্ন করাবেন।
আইডিআরএ পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষায় বিমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বজনদের অর্থ তছরুপের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় ছয় সদস্যের পর্ষদ ভেঙে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৩ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৪ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে