নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিভিন্ন কারণে বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বন করছেন দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধার করেই চলেছে সরকার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের মার্চ শেষে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা বা ৯৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। এর বেশির ভাগই সরকারের দায়। যার পরিমাণ ৬১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। তবে তিন মাস আগে এসব ঋণের পরিমাণ ছিল ৬০ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ তিন মাসে সরকারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের মার্চ শেষে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ ছিল ২ হাজার ২১৮ কোটি বা ২২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বরে যা ছিল ২৪ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার কমেছে। অনুকূল নয়, এমন সব শর্তের কারণে এই খাতে বিদেশি ঋণ কমেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক ঋণের ওপর। বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার আগে কয়েকবার ভাবছেন দেশি উদ্যোক্তারা। কারণ, একটা সময় দেশের ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম সুদে ঋণ পাওয়া যেত বিদেশি উৎস থেকে। ডলারের দাম বাড়ার কারণে এখন সেসব ঋণের সুদহার বেড়ে গেছে দ্বিগুণের বেশি। তাই এখন ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করেছেন দেশের উদ্যোক্তারা।
২০২১ সালে দেশের বৈদেশিক ঋণ বাড়তে শুরু করে। তখন বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মহামারির কারণে সৃষ্ট মন্দা থেকে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে সুদের হার কমিয়ে দেয়। কিন্তু ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বিদেশি ঋণ কমতে শুরু করে। কারণ, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়াতে থাকে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সে সময় ডলারের মজুত ধরে রাখার কারণে আমাদের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে বেসরকারি খাতের জন্য অর্থায়নের সুযোগ খুবই সীমিত হয়ে পড়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে বৈশ্বিক রেটিং এজেন্সি মুডিস বাংলাদেশের আর্থিক খাতের রেটিং কমিয়ে দেয়। এরই মধ্যে বিদেশে সুদের হার অনেক বেড়েছে। মুডিসের ডাউনগ্রেড ও দেশের সুনামহানির কারণে বাংলাদেশি ঋণগ্রহীতাদের জন্য সুদের হার আরও বেশি হয়েছে।’
বিভিন্ন কারণে বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বন করছেন দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধার করেই চলেছে সরকার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের মার্চ শেষে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা বা ৯৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। এর বেশির ভাগই সরকারের দায়। যার পরিমাণ ৬১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। তবে তিন মাস আগে এসব ঋণের পরিমাণ ছিল ৬০ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ তিন মাসে সরকারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের মার্চ শেষে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ ছিল ২ হাজার ২১৮ কোটি বা ২২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বরে যা ছিল ২৪ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার কমেছে। অনুকূল নয়, এমন সব শর্তের কারণে এই খাতে বিদেশি ঋণ কমেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক ঋণের ওপর। বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার আগে কয়েকবার ভাবছেন দেশি উদ্যোক্তারা। কারণ, একটা সময় দেশের ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম সুদে ঋণ পাওয়া যেত বিদেশি উৎস থেকে। ডলারের দাম বাড়ার কারণে এখন সেসব ঋণের সুদহার বেড়ে গেছে দ্বিগুণের বেশি। তাই এখন ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করেছেন দেশের উদ্যোক্তারা।
২০২১ সালে দেশের বৈদেশিক ঋণ বাড়তে শুরু করে। তখন বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মহামারির কারণে সৃষ্ট মন্দা থেকে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে সুদের হার কমিয়ে দেয়। কিন্তু ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বিদেশি ঋণ কমতে শুরু করে। কারণ, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়াতে থাকে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সে সময় ডলারের মজুত ধরে রাখার কারণে আমাদের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে বেসরকারি খাতের জন্য অর্থায়নের সুযোগ খুবই সীমিত হয়ে পড়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে বৈশ্বিক রেটিং এজেন্সি মুডিস বাংলাদেশের আর্থিক খাতের রেটিং কমিয়ে দেয়। এরই মধ্যে বিদেশে সুদের হার অনেক বেড়েছে। মুডিসের ডাউনগ্রেড ও দেশের সুনামহানির কারণে বাংলাদেশি ঋণগ্রহীতাদের জন্য সুদের হার আরও বেশি হয়েছে।’
দীর্ঘদিন ধরে দেশের ব্যাংক খাত এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উচ্চ খেলাপি ঋণের প্রবাহ ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্যকে নাজুক করে তুলছে, আর তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতিতে। ঋণের বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রভিশন রাখা বাধ্যতামূলক হলেও লাগামহীন খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে অনেক ব্যাংকই...
১ ঘণ্টা আগেঈদুল ফিতরের আগে ১৫ রমজানের মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (মার্চ পর্যন্ত) বস্ত্র খাতসহ অন্যান্য রপ্তানি খাতের জন্য বরাদ্দ ৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়ের আবেদন করেছে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রাভা হেলথ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ইমনকে কোম্পানির নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিযুক্ত করেছে। তিনি প্রাভার প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সিইও সিলভানা কাদের সিনহার স্থলাভিষিক্ত হলেন, যিনি প্রাভা হেলথ বোর্ডের চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পণ্য রপ্তানি থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ২ হাজার ৯৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
৪ ঘণ্টা আগে