অনলাইন ডেস্ক
পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার তেল বিক্রির বিষয়ে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল গত বছর। তবে সেই দামের চেয়েও অনেক বেশিতে জ্বালানি তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। এ ক্ষেত্রে দেশটির জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতাগুলোর একটি ভারত। দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে পশ্চিমা বিশ্বের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি দিয়ে জ্বালানি কিনছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাব বলছে, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল কেনার ক্ষেত্রে প্রতি ব্যারেলে ৮০ ডলার করে বা এর আশপাশে মূল্য পরিশোধ করছে। মূলত বিশ্ববাজারে জ্বালানির ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় রাশিয়ার পক্ষে জ্বালানি তেল রপ্তানি অনেকটা সহজ হয়ে উঠেছে।
জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস, সৌদি আরব ও রাশিয়া চলতি বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয়। এর পর থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের নির্ধারিত দাম উপেক্ষা করে রাশিয়ার অন্যতম রপ্তানি উপযোগী জ্বালানি উরাল গ্রেড ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলারের বেশি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
ফ্রি অন বোর্ড পদ্ধতি অনুসরণ করে ভারত রাশিয়া থেকে আসা উরাল গ্রেড জ্বালানি কিনছে প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলার হারে। ফ্রি অন বোর্ড হলো এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে ক্রেতা কেবল পণ্যের জন্যই মূল্য পরিশোধ করে। পণ্যের পরিবহন বা অন্যান্য খরচ বহন করতে হয় বিক্রেতাকে।
পশ্চিমা বিশ্বের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দিয়ে কেন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে—এ বিষয়ে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রাশিয়ার সংরক্ষণে থাকা তেলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি তেলের উৎপাদনও কমে গেছে। স্বাভাবিকভাবে তাই বাজারে সরবরাহও কমে গেছে।’
উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে ভারতকে তুলনামূলক বেশি দাম পরিশোধ করতে হচ্ছে। সপ্তাহ দু-এক আগেও যেখানে প্রতি ব্যারেল ৬ থেকে ৭ ডলার করে ছাড় পাওয়া যেত, এখন সেটা ৪ থেকে ৫ ডলারে নেমে এসেছে। এ বিষয়ে ভারতের তেল আমদানি বাজারের সঙ্গে জড়িত এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘উরাল গ্রেডের দাম আবারও বেড়েছে। কিন্তু বিকল্প যেগুলো রয়েছে, সেগুলোর দাম অনেক বেশি হওয়ার পাশাপাশি সহজলভ্যও নয়।’
সাধারণত উরাল গ্রেড ডিজেলের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ছাড় দিয়ে থাকে রাশিয়া। আবার ভারতেরও সবচেয়ে বেশি চাহিদা ডিজেলেরই। দেশটির মোট জ্বালানি তেলের চাহিদার দুই-পঞ্চমাংশই ডিজেল। কিন্তু রাশিয়া নির্দিষ্টভাবে ডিজেল ও গ্যাসোলিন রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় বাজারে উরাল গ্রেড ক্রুডের চাহিদা বেড়ে গেছে।
কেবল ভারতই নয়, তুরস্কও বিপুল পরিমাণে রাশিয়ার উরাল গ্রেড জ্বালানি কিনছে। বলা ভালো—রাশিয়ার উরাল গ্রেড জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে তুরস্ক রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে চীন ও বুলগেরিয়া। এই চার দেশের বাইরে এখন রাশিয়ার জ্বালানি বিক্রি হচ্ছে ব্রাজিলেও।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে দেশটির জ্বালানি রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণ করে দেয় পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো। সিদ্ধান্ত অনুসারে রাশিয়া যদি পশ্চিমা বিশ্বের কোনো ব্যাংক, জাহাজ ও বিমা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে তেল রপ্তানি করতে চায় কিংবা কোনো দেশ যদি উল্লিখিত সুবিধার মধ্যে থেকে রাশিয়ার জ্বালানি কিনতে চায়, তবে প্রতি ব্যারেলে ৬০ ডলারের বেশি দামে কেনাবেচা করা যাবে না।
পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার তেল বিক্রির বিষয়ে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল গত বছর। তবে সেই দামের চেয়েও অনেক বেশিতে জ্বালানি তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। এ ক্ষেত্রে দেশটির জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতাগুলোর একটি ভারত। দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে পশ্চিমা বিশ্বের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি দিয়ে জ্বালানি কিনছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাব বলছে, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল কেনার ক্ষেত্রে প্রতি ব্যারেলে ৮০ ডলার করে বা এর আশপাশে মূল্য পরিশোধ করছে। মূলত বিশ্ববাজারে জ্বালানির ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় রাশিয়ার পক্ষে জ্বালানি তেল রপ্তানি অনেকটা সহজ হয়ে উঠেছে।
জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস, সৌদি আরব ও রাশিয়া চলতি বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয়। এর পর থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের নির্ধারিত দাম উপেক্ষা করে রাশিয়ার অন্যতম রপ্তানি উপযোগী জ্বালানি উরাল গ্রেড ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলারের বেশি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
ফ্রি অন বোর্ড পদ্ধতি অনুসরণ করে ভারত রাশিয়া থেকে আসা উরাল গ্রেড জ্বালানি কিনছে প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলার হারে। ফ্রি অন বোর্ড হলো এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে ক্রেতা কেবল পণ্যের জন্যই মূল্য পরিশোধ করে। পণ্যের পরিবহন বা অন্যান্য খরচ বহন করতে হয় বিক্রেতাকে।
পশ্চিমা বিশ্বের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দিয়ে কেন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে—এ বিষয়ে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রাশিয়ার সংরক্ষণে থাকা তেলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি তেলের উৎপাদনও কমে গেছে। স্বাভাবিকভাবে তাই বাজারে সরবরাহও কমে গেছে।’
উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে ভারতকে তুলনামূলক বেশি দাম পরিশোধ করতে হচ্ছে। সপ্তাহ দু-এক আগেও যেখানে প্রতি ব্যারেল ৬ থেকে ৭ ডলার করে ছাড় পাওয়া যেত, এখন সেটা ৪ থেকে ৫ ডলারে নেমে এসেছে। এ বিষয়ে ভারতের তেল আমদানি বাজারের সঙ্গে জড়িত এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘উরাল গ্রেডের দাম আবারও বেড়েছে। কিন্তু বিকল্প যেগুলো রয়েছে, সেগুলোর দাম অনেক বেশি হওয়ার পাশাপাশি সহজলভ্যও নয়।’
সাধারণত উরাল গ্রেড ডিজেলের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ছাড় দিয়ে থাকে রাশিয়া। আবার ভারতেরও সবচেয়ে বেশি চাহিদা ডিজেলেরই। দেশটির মোট জ্বালানি তেলের চাহিদার দুই-পঞ্চমাংশই ডিজেল। কিন্তু রাশিয়া নির্দিষ্টভাবে ডিজেল ও গ্যাসোলিন রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় বাজারে উরাল গ্রেড ক্রুডের চাহিদা বেড়ে গেছে।
কেবল ভারতই নয়, তুরস্কও বিপুল পরিমাণে রাশিয়ার উরাল গ্রেড জ্বালানি কিনছে। বলা ভালো—রাশিয়ার উরাল গ্রেড জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে তুরস্ক রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে চীন ও বুলগেরিয়া। এই চার দেশের বাইরে এখন রাশিয়ার জ্বালানি বিক্রি হচ্ছে ব্রাজিলেও।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে দেশটির জ্বালানি রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণ করে দেয় পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো। সিদ্ধান্ত অনুসারে রাশিয়া যদি পশ্চিমা বিশ্বের কোনো ব্যাংক, জাহাজ ও বিমা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে তেল রপ্তানি করতে চায় কিংবা কোনো দেশ যদি উল্লিখিত সুবিধার মধ্যে থেকে রাশিয়ার জ্বালানি কিনতে চায়, তবে প্রতি ব্যারেলে ৬০ ডলারের বেশি দামে কেনাবেচা করা যাবে না।
আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
৮ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে শিগগিরই হবে চুক্তি। চুক্তির আওতায় বছরে ১৬ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি।
৮ ঘণ্টা আগেফলজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ও ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারকেরা এখন মোট রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
৮ ঘণ্টা আগে