আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত এক কাপ চায়ের জন্য ১ থেকে ২ চা-চামচ চা-পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি চা-চামচের ওজন প্রায় ২ গ্রাম। সুতরাং যদি প্রতি কাপ চায়ে ৪ গ্রাম চা-পাতা (২ চা-চামচ) ব্যবহার করা হয়, তাহলে ১ কেজি (১০০০ গ্রাম) চা-পাতা থেকে গড়ে ২৫০ কাপ চা তৈরি করা সম্ভব। এটি একটি গড় হিসাব, যেহেতু ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানি গরম করার পদ্ধতি অনুযায়ী এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
চা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে চা ভোগের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এই চা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়—‘বেস্ট’, ‘গুড’ এবং ‘সাধারণ’ চা। দেশীয় চা ভোগের এই পরিমাণের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দৈনিক গড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ কেজি চা ব্যবহৃত হয়েছে, যা থেকে ভোক্তারা মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ কাপ চা পান করেছে। আর বছরের শেষে সারা বছর চা পান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি কাপ।
চা বিক্রির মূল্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান ও মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত প্রতি কাপ চায়ের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। কিছু জায়গায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে, চায়ের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে এই দাম আরও বেশি। চায়ের দামভেদে গড় মূল্য যদি ৮ টাকা ধরা হয়, তাহলে ভোক্তাদের দৈনিক চা পানে ব্যয় হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সারা দেশে বছরজুড়ে চায়ের অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকার।
চা শুধু অভ্যর্থনার পানীয়ই নয়, এর ঔষধি গুণও রয়েছে। চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায়, রক্তনালি সুস্থ রাখে এবং শরীর সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। বিভিন্ন ধরনের চায়ে বিভিন্ন ভেষজ গুণ থাকে। এ ছাড়া চায়ের নানা ব্যবহার রয়েছে; যেমন গাছের সার হিসেবে, কাপড়ের রং ধরে রাখতে, জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে, কার্পেট ও কাচ পরিষ্কার করতে, এমনকি রূপচর্চায়ও চা ব্যবহৃত হয়।
ঐতিহ্যের গৌরবেও সংকটের ছায়া
এভাবে বাংলাদেশের চা-শিল্প শুধু একটি অর্থনৈতিক খাত নয়, বরং এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ, যার বয়স ১৮৪ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় চায়ের উৎপাদন ধাপে ধাপে বেড়েছে এবং গত বছর রেকর্ড ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। তবে উৎপাদনে এই সাফল্য কাগজে-কলমে গর্ব করার মতো হলেও বাস্তবে সমস্যা অনেক। সরকারি পরিকল্পনার অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং মালিকদের উদাসীনতার কারণে শিল্পটি এখন সমস্যায় পড়েছে এবং তা পুরোপুরি কার্যকরভাবে কাজ করছে না।
এই সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে বহুমুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। এর প্রভাব পড়েছে চা রপ্তানিতে। মানসম্পন্ন চায়ের উৎপাদন বাড়াতে না পারায় গত এক দশকে বাংলাদেশি চায়ের ঐতিহ্য ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। ২০২২ সালে চায়ের রপ্তানি মাত্র ১ শতাংশে পৌঁছেছিল। আর গত ২২ বছরে অন্তত ১৩ গুণ কমেছে রপ্তানি। দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও এখন তাদের অনেকে রপ্তানিতে নেই।
অদ্ভুতভাবে, চায়ের উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকার পরেও দেশে চা আমদানির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নিলামে চায়ের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। ২০২৩ সালে প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২৯৭ টাকা এবং বর্তমানে তা ৩০০ টাকার কাছাকাছি। কেনিয়ায় প্রতি হেক্টরে চায়ের গড় উৎপাদন ৪ হাজার কেজি, সেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ১ হাজার ৫০০ কেজি। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। চা বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে নিলামে ‘বেস্ট’ ক্যাটাগরি চায়ের কেজি ২৮০-৩৩০ টাকা, ‘গুড’ ক্যাটাগরি ২৪৫-২৭০ টাকা এবং সাধারণ চায়ের কেজি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফলে রপ্তানির জন্য মানসম্পন্ন চা উৎপাদনে আগ্রহ কমে গেছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেক চা-বাগান লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর এতে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমানেও উন্নতির অভাব দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বাগানমালিকেরা নিলামে কম দাম পেলেও তাঁদের উৎপাদিত চা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা বাড়তি খরচে চা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে সাধারণ মানের চা খোলাবাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর কোম্পানির প্যাকেটজাত চায়ের দাম ৫০০ টাকার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে চা-শিল্পের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে।
বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘শ্রমিকের বেতন, ডিজেল, গ্যাস ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। সে তুলনায় নিলাম মূল্য না বেড়ে বরং কমে গেছে; যা চা-শিল্পের জন্য উদ্বেগজনক। যদি নিলাম মূল্য না বাড়ে, তাহলে একে একে বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল টিয়ের ১২টি বাগান বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরও অনেক বাগান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি সরকার সহায়তা না দেয়, তবে চা-শিল্পের হাজারো শ্রমিকের জীবিকা এবং তাঁদের পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে চায়ের দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে চায়ের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে। এর ফলে বাজারে চায়ের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ হচ্ছে না, যা চা-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
দেশে চা-বাগানের চিত্র
চলতি বছরের ১১ আগস্ট প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১৬৯টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশি চা-বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়, ৯০টি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, খাগড়াছড়িতে ১টি, রাঙামাটিতে ২টি, পঞ্চগড়ে ৯টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা-বাগান রয়েছে। এই চা-বাগানগুলো দেশের চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দাম ও মানোন্নয়নে যে বিতর্ক
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (উপসচিব) মিনহাজুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২১ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ে, যা অনেক চা-বাগানমালিকের জন্য আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চা উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি এবং আর্থিক সংকটের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের চায়ের গুণগত মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) সুমন শিকদার জানিয়েছেন, ভালো মানের চা উৎপাদন নিশ্চিত করতে বোর্ড বিভিন্ন পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে। তবে চায়ের গুণগত মান উন্নত করার মূল দায়িত্ব বাগানমালিকদের। তিনি উল্লেখ করেন, বাগানমালিকেরা যদি উৎপাদনের মান উন্নত করেন, তাহলে নিলামে চায়ের ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘যদি ভালো মানের চা উৎপাদন করি, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে, কিন্তু দাম বাড়বে।’
দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে দেশে চায়ের দাম অনেক কমাতে হবে, কিন্তু সেটি সম্ভব নয়।’
আছে মজুরি বিতর্কও
চা-শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, বিশেষত অন্য খাতের তুলনায় কম মজুরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তবে বাংলাদেশ চা সংসদ মনে করে, অন্য শিল্পের সঙ্গে চা-শিল্পের মজুরি তুলনা করা সঠিক নয়। কামরান টি রহমান বলেন, চা-শিল্পে শ্রমিকদের ‘ইন ক্যাশ অ্যান্ড ইন কাইন্ড’ মজুরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৭৮ টাকা ক্যাশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি রেশন হিসেবে ২ টাকা কেজিতে চাল বা গম, বাসস্থানের সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
কামরান টি রহমান আরও বলেন, এই খাতে একজন শ্রমিক অবসরে যাওয়ার পর আজীবন রেশন পান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যও একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, যা অন্য শিল্পে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি বলেন, মালিকপক্ষের দাবি করা ৫৭০ টাকা মজুরি ভিত্তিহীন। তাঁর মতে, শ্রম আইনের অধীনে বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মূল্য মজুরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
আশার আলো খুঁজতে হবে
চা-শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিক নীতিমালা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রপ্তানি বাজার পুনরুদ্ধারে জোর দিলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। চলমান সংকট উত্তরণে প্রস্তাব করা হয়েছে কিছু কার্যকর উদ্যোগের। উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে গুণগত মান উন্নত করার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী চা উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে আইন সহজ করা এবং সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব উদ্যোগই চা-শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত এক কাপ চায়ের জন্য ১ থেকে ২ চা-চামচ চা-পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি চা-চামচের ওজন প্রায় ২ গ্রাম। সুতরাং যদি প্রতি কাপ চায়ে ৪ গ্রাম চা-পাতা (২ চা-চামচ) ব্যবহার করা হয়, তাহলে ১ কেজি (১০০০ গ্রাম) চা-পাতা থেকে গড়ে ২৫০ কাপ চা তৈরি করা সম্ভব। এটি একটি গড় হিসাব, যেহেতু ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানি গরম করার পদ্ধতি অনুযায়ী এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
চা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে চা ভোগের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এই চা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়—‘বেস্ট’, ‘গুড’ এবং ‘সাধারণ’ চা। দেশীয় চা ভোগের এই পরিমাণের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দৈনিক গড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ কেজি চা ব্যবহৃত হয়েছে, যা থেকে ভোক্তারা মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ কাপ চা পান করেছে। আর বছরের শেষে সারা বছর চা পান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি কাপ।
চা বিক্রির মূল্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান ও মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত প্রতি কাপ চায়ের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। কিছু জায়গায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে, চায়ের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে এই দাম আরও বেশি। চায়ের দামভেদে গড় মূল্য যদি ৮ টাকা ধরা হয়, তাহলে ভোক্তাদের দৈনিক চা পানে ব্যয় হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সারা দেশে বছরজুড়ে চায়ের অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকার।
চা শুধু অভ্যর্থনার পানীয়ই নয়, এর ঔষধি গুণও রয়েছে। চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায়, রক্তনালি সুস্থ রাখে এবং শরীর সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। বিভিন্ন ধরনের চায়ে বিভিন্ন ভেষজ গুণ থাকে। এ ছাড়া চায়ের নানা ব্যবহার রয়েছে; যেমন গাছের সার হিসেবে, কাপড়ের রং ধরে রাখতে, জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে, কার্পেট ও কাচ পরিষ্কার করতে, এমনকি রূপচর্চায়ও চা ব্যবহৃত হয়।
ঐতিহ্যের গৌরবেও সংকটের ছায়া
এভাবে বাংলাদেশের চা-শিল্প শুধু একটি অর্থনৈতিক খাত নয়, বরং এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ, যার বয়স ১৮৪ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় চায়ের উৎপাদন ধাপে ধাপে বেড়েছে এবং গত বছর রেকর্ড ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। তবে উৎপাদনে এই সাফল্য কাগজে-কলমে গর্ব করার মতো হলেও বাস্তবে সমস্যা অনেক। সরকারি পরিকল্পনার অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং মালিকদের উদাসীনতার কারণে শিল্পটি এখন সমস্যায় পড়েছে এবং তা পুরোপুরি কার্যকরভাবে কাজ করছে না।
এই সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে বহুমুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। এর প্রভাব পড়েছে চা রপ্তানিতে। মানসম্পন্ন চায়ের উৎপাদন বাড়াতে না পারায় গত এক দশকে বাংলাদেশি চায়ের ঐতিহ্য ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। ২০২২ সালে চায়ের রপ্তানি মাত্র ১ শতাংশে পৌঁছেছিল। আর গত ২২ বছরে অন্তত ১৩ গুণ কমেছে রপ্তানি। দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও এখন তাদের অনেকে রপ্তানিতে নেই।
অদ্ভুতভাবে, চায়ের উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকার পরেও দেশে চা আমদানির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নিলামে চায়ের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। ২০২৩ সালে প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২৯৭ টাকা এবং বর্তমানে তা ৩০০ টাকার কাছাকাছি। কেনিয়ায় প্রতি হেক্টরে চায়ের গড় উৎপাদন ৪ হাজার কেজি, সেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ১ হাজার ৫০০ কেজি। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। চা বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে নিলামে ‘বেস্ট’ ক্যাটাগরি চায়ের কেজি ২৮০-৩৩০ টাকা, ‘গুড’ ক্যাটাগরি ২৪৫-২৭০ টাকা এবং সাধারণ চায়ের কেজি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফলে রপ্তানির জন্য মানসম্পন্ন চা উৎপাদনে আগ্রহ কমে গেছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেক চা-বাগান লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর এতে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমানেও উন্নতির অভাব দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বাগানমালিকেরা নিলামে কম দাম পেলেও তাঁদের উৎপাদিত চা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা বাড়তি খরচে চা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে সাধারণ মানের চা খোলাবাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর কোম্পানির প্যাকেটজাত চায়ের দাম ৫০০ টাকার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে চা-শিল্পের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে।
বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘শ্রমিকের বেতন, ডিজেল, গ্যাস ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। সে তুলনায় নিলাম মূল্য না বেড়ে বরং কমে গেছে; যা চা-শিল্পের জন্য উদ্বেগজনক। যদি নিলাম মূল্য না বাড়ে, তাহলে একে একে বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল টিয়ের ১২টি বাগান বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরও অনেক বাগান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি সরকার সহায়তা না দেয়, তবে চা-শিল্পের হাজারো শ্রমিকের জীবিকা এবং তাঁদের পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে চায়ের দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে চায়ের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে। এর ফলে বাজারে চায়ের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ হচ্ছে না, যা চা-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
দেশে চা-বাগানের চিত্র
চলতি বছরের ১১ আগস্ট প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১৬৯টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশি চা-বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়, ৯০টি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, খাগড়াছড়িতে ১টি, রাঙামাটিতে ২টি, পঞ্চগড়ে ৯টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা-বাগান রয়েছে। এই চা-বাগানগুলো দেশের চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দাম ও মানোন্নয়নে যে বিতর্ক
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (উপসচিব) মিনহাজুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২১ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ে, যা অনেক চা-বাগানমালিকের জন্য আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চা উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি এবং আর্থিক সংকটের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের চায়ের গুণগত মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) সুমন শিকদার জানিয়েছেন, ভালো মানের চা উৎপাদন নিশ্চিত করতে বোর্ড বিভিন্ন পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে। তবে চায়ের গুণগত মান উন্নত করার মূল দায়িত্ব বাগানমালিকদের। তিনি উল্লেখ করেন, বাগানমালিকেরা যদি উৎপাদনের মান উন্নত করেন, তাহলে নিলামে চায়ের ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘যদি ভালো মানের চা উৎপাদন করি, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে, কিন্তু দাম বাড়বে।’
দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে দেশে চায়ের দাম অনেক কমাতে হবে, কিন্তু সেটি সম্ভব নয়।’
আছে মজুরি বিতর্কও
চা-শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, বিশেষত অন্য খাতের তুলনায় কম মজুরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তবে বাংলাদেশ চা সংসদ মনে করে, অন্য শিল্পের সঙ্গে চা-শিল্পের মজুরি তুলনা করা সঠিক নয়। কামরান টি রহমান বলেন, চা-শিল্পে শ্রমিকদের ‘ইন ক্যাশ অ্যান্ড ইন কাইন্ড’ মজুরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৭৮ টাকা ক্যাশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি রেশন হিসেবে ২ টাকা কেজিতে চাল বা গম, বাসস্থানের সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
কামরান টি রহমান আরও বলেন, এই খাতে একজন শ্রমিক অবসরে যাওয়ার পর আজীবন রেশন পান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যও একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, যা অন্য শিল্পে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি বলেন, মালিকপক্ষের দাবি করা ৫৭০ টাকা মজুরি ভিত্তিহীন। তাঁর মতে, শ্রম আইনের অধীনে বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মূল্য মজুরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
আশার আলো খুঁজতে হবে
চা-শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিক নীতিমালা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রপ্তানি বাজার পুনরুদ্ধারে জোর দিলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। চলমান সংকট উত্তরণে প্রস্তাব করা হয়েছে কিছু কার্যকর উদ্যোগের। উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে গুণগত মান উন্নত করার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী চা উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে আইন সহজ করা এবং সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব উদ্যোগই চা-শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে