নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বরূপে ফিরতে সময় নিচ্ছে অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি। এ কারণে গত তিন মাসেও উৎপাদন, নির্মাণ, কৃষি ও সেবার মতো অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো সংকোচনমূলক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। অর্থনীতির এই মূল চারটি খাতের ভিত্তিতে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের (পিই) জরিপ-পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্সের (পিএমআই) মান বিশ্লেষণে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। পিএমআই মান সূচক অনুযায়ী এসব খাতসংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে বিদ্যমান অর্থনীতিকে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার জরিপে ১০০-এর মধ্যে ৫০-এর কম মান দেওয়া হলে সেটি সংকোচনমুখী অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়। এর বেশি হলে সম্প্রসারণমূলক দাবি করা যায়। সেপ্টেম্বর মাসের প্রতিবেদনে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতি পেয়েছে ৪৯ দশমিক ৭ পয়েন্ট।
তবে পিএমআই মান সূচকে দাবি করা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা, ব্যবস্থাপক, শ্রমিক ও কৃষকের প্রাণান্ত চেষ্টা রয়েছে; যা অর্থনীতিকে শিগগির সম্প্রসারণমূলক ধারায় ফেরার বার্তা দিচ্ছে। কারণ, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও অর্থনীতির এই মহানায়কেরা ধীরে ধীরে খাতগুলোকে প্রবৃদ্ধির ছোঁয়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে সার্বিকভাবে অর্থনীতি এখনো সংকোচনের ধারায় প্রবাহিত হলেও আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি খাতওয়ারির পাশাপাশি সার্বিক সূচকেও দৃশ্যমান হয়েছে। এতে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরেও দেশের অর্থনীতির সংকোচনের গতি কমেছে।
তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে পিএমআই সূচক আগের মাসের চেয়ে ৬ দশমিক ২ পয়েন্ট বেড়েছে। আগস্ট মাসে পিএমআই ছিল ৪৩ দশমিক ৫, যা সেপ্টেম্বরে হয়েছে ৪৯ দশমিক ৭। অর্থাৎ আগস্টের চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে সূচকের মানও। তা সত্ত্বেও অর্থনীতির সার্বিক পিএমআই মান এখনো ৫০-এর নিচে রয়েছে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরেও অর্থনীতি সংকোচনমুখী ছিল। একই অবস্থা ছিল জুলাই মাসেও। জুলাইয়ে পিএমআই ছিল ৩৬ দশমিক ৯। অর্থাৎ গত জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর—এই তিন মাস দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি সংকোচনমুখী রয়েছে।
গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে সেপ্টেম্বর মাসের পিএমআই সূচকের তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন এমসিসিআইয়ের সিইও ফারুক আহমেদ এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে পিএমআই সূচকের মান নির্ণয় করা হচ্ছে। তবে গত মে মাসে প্রথম পিএমআই সূচক প্রকাশ করা হয়। এই সময়ের মধ্যে পিএমআই সূচকের মান ওঠানামা করলেও জুলাই মাসেই প্রথম ৫০-এর নিচে নেমে আসে।
তথ্যমতে, মার্চ মাসে দেশে পিএমআই সূচকের মান ছিল ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ, এপ্রিল মাসে ৬২ দশমিক ২, মে মাসে ৭০ দশমিক ১ এবং জুন মাসে ছিল ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার জেরে জুলাই মাসে প্রথম দেশের অর্থনীতির প্রধান চারটি খাত সংকুচিত হয়। পিমএআই সূচকের মান তখন ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দেশে পিএমআই সূচকের মান কমে যায় ২৭ পয়েন্ট।
জুলাইয়ের পর এখন পর্যন্ত পিএমআই সূচক বেড়েছে প্রায় ১৩ পয়েন্ট। তবে পিএমআই এখনো ৫০-এর নিচে রয়েছে। অর্থাৎ পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অর্থনীতি এখনো সম্প্রসারণের ধারায় ফিরতে পারেনি। এদিকে সেপ্টেম্বরের পিএমআই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতের ব্যবসা সূচক ইতিবাচক। কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ, সেবাসহ সব প্রধান খাতের দ্রুত হারে সম্প্রসারণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিল্পাঞ্চলে এখনো অস্থিরতা আছে, সে কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তার মধ্যেও সেপ্টেম্বর মাসে উৎপাদন খাত সম্প্রসারণের ধারায় ফিরেছে। এই বাস্তবতায় ভবিষ্যতের বিষয়ে শিল্পোদ্যোক্তারা আশাবাদী।
সেপ্টেম্বরের সূচক থেকে বোঝা যায়, আগস্টের তুলনায় অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনো চ্যালেঞ্জ আছে। সেপ্টেম্বরে শুধু উৎপাদন খাত সম্প্রসারণের ধারায় ফিরেছে। বাকি তিনটি খাত এখনো সংকোচনের ধারায় আছে। তবে সব খাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে কৃষি খাতের পিএমআইয়ের মান ছিল ৪৭, যা আগস্ট মাসে ছিল ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ। উৎপাদন খাতের ৫২ দশমিক ৬, আগস্ট মাসে যা ছিল ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ। নির্মাণ খাতের ৪৬, যা আগস্টে ছিল ৪০ এবং সেবা খাতের পিএমআই ৪৯ দশমিক ৪, যা আগস্টে ছিল ৪৩.২ শতাংশ।
স্বরূপে ফিরতে সময় নিচ্ছে অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি। এ কারণে গত তিন মাসেও উৎপাদন, নির্মাণ, কৃষি ও সেবার মতো অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো সংকোচনমূলক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। অর্থনীতির এই মূল চারটি খাতের ভিত্তিতে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের (পিই) জরিপ-পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্সের (পিএমআই) মান বিশ্লেষণে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। পিএমআই মান সূচক অনুযায়ী এসব খাতসংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে বিদ্যমান অর্থনীতিকে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার জরিপে ১০০-এর মধ্যে ৫০-এর কম মান দেওয়া হলে সেটি সংকোচনমুখী অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়। এর বেশি হলে সম্প্রসারণমূলক দাবি করা যায়। সেপ্টেম্বর মাসের প্রতিবেদনে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতি পেয়েছে ৪৯ দশমিক ৭ পয়েন্ট।
তবে পিএমআই মান সূচকে দাবি করা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা, ব্যবস্থাপক, শ্রমিক ও কৃষকের প্রাণান্ত চেষ্টা রয়েছে; যা অর্থনীতিকে শিগগির সম্প্রসারণমূলক ধারায় ফেরার বার্তা দিচ্ছে। কারণ, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও অর্থনীতির এই মহানায়কেরা ধীরে ধীরে খাতগুলোকে প্রবৃদ্ধির ছোঁয়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে সার্বিকভাবে অর্থনীতি এখনো সংকোচনের ধারায় প্রবাহিত হলেও আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি খাতওয়ারির পাশাপাশি সার্বিক সূচকেও দৃশ্যমান হয়েছে। এতে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরেও দেশের অর্থনীতির সংকোচনের গতি কমেছে।
তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে পিএমআই সূচক আগের মাসের চেয়ে ৬ দশমিক ২ পয়েন্ট বেড়েছে। আগস্ট মাসে পিএমআই ছিল ৪৩ দশমিক ৫, যা সেপ্টেম্বরে হয়েছে ৪৯ দশমিক ৭। অর্থাৎ আগস্টের চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে সূচকের মানও। তা সত্ত্বেও অর্থনীতির সার্বিক পিএমআই মান এখনো ৫০-এর নিচে রয়েছে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরেও অর্থনীতি সংকোচনমুখী ছিল। একই অবস্থা ছিল জুলাই মাসেও। জুলাইয়ে পিএমআই ছিল ৩৬ দশমিক ৯। অর্থাৎ গত জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর—এই তিন মাস দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি সংকোচনমুখী রয়েছে।
গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে সেপ্টেম্বর মাসের পিএমআই সূচকের তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন এমসিসিআইয়ের সিইও ফারুক আহমেদ এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে পিএমআই সূচকের মান নির্ণয় করা হচ্ছে। তবে গত মে মাসে প্রথম পিএমআই সূচক প্রকাশ করা হয়। এই সময়ের মধ্যে পিএমআই সূচকের মান ওঠানামা করলেও জুলাই মাসেই প্রথম ৫০-এর নিচে নেমে আসে।
তথ্যমতে, মার্চ মাসে দেশে পিএমআই সূচকের মান ছিল ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ, এপ্রিল মাসে ৬২ দশমিক ২, মে মাসে ৭০ দশমিক ১ এবং জুন মাসে ছিল ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার জেরে জুলাই মাসে প্রথম দেশের অর্থনীতির প্রধান চারটি খাত সংকুচিত হয়। পিমএআই সূচকের মান তখন ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দেশে পিএমআই সূচকের মান কমে যায় ২৭ পয়েন্ট।
জুলাইয়ের পর এখন পর্যন্ত পিএমআই সূচক বেড়েছে প্রায় ১৩ পয়েন্ট। তবে পিএমআই এখনো ৫০-এর নিচে রয়েছে। অর্থাৎ পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অর্থনীতি এখনো সম্প্রসারণের ধারায় ফিরতে পারেনি। এদিকে সেপ্টেম্বরের পিএমআই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতের ব্যবসা সূচক ইতিবাচক। কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ, সেবাসহ সব প্রধান খাতের দ্রুত হারে সম্প্রসারণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিল্পাঞ্চলে এখনো অস্থিরতা আছে, সে কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তার মধ্যেও সেপ্টেম্বর মাসে উৎপাদন খাত সম্প্রসারণের ধারায় ফিরেছে। এই বাস্তবতায় ভবিষ্যতের বিষয়ে শিল্পোদ্যোক্তারা আশাবাদী।
সেপ্টেম্বরের সূচক থেকে বোঝা যায়, আগস্টের তুলনায় অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনো চ্যালেঞ্জ আছে। সেপ্টেম্বরে শুধু উৎপাদন খাত সম্প্রসারণের ধারায় ফিরেছে। বাকি তিনটি খাত এখনো সংকোচনের ধারায় আছে। তবে সব খাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে কৃষি খাতের পিএমআইয়ের মান ছিল ৪৭, যা আগস্ট মাসে ছিল ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ। উৎপাদন খাতের ৫২ দশমিক ৬, আগস্ট মাসে যা ছিল ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ। নির্মাণ খাতের ৪৬, যা আগস্টে ছিল ৪০ এবং সেবা খাতের পিএমআই ৪৯ দশমিক ৪, যা আগস্টে ছিল ৪৩.২ শতাংশ।
আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
৮ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে শিগগিরই হবে চুক্তি। চুক্তির আওতায় বছরে ১৬ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি।
৮ ঘণ্টা আগেফলজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ও ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারকেরা এখন মোট রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
৯ ঘণ্টা আগে