তাসনিম মহসিন, ঢাকা
বাংলাদেশে শ্রম খাতের পরিস্থিতি দেখতে ঢাকা আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল। আগামী সোমবার (১৪ মার্চ) প্রতিনিধিদলটির ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শ্রম খাতের পরিদর্শনে ইইউ প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘শ্রম খাতের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বা ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান অন লেবার সেক্টর নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিনিধিদলটি সফর করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বেসরকারি খাত এবং শ্রম সংগঠনগুলোর সঙ্গে এ সফরকালে বৈঠক করবে তারা।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সফরটি ঝুলে ছিল। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে বাংলাদেশ। নিয়ম অনুযায়ী এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিদ্যমান জিএসপি সুবিধা থাকার কথা নয়। তবে এ সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইইউ। এর মধ্যে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে শ্রম পরিবেশ থেকে শুরু করে সার্বিক পরিস্থিতি সে অনুযায়ী উন্নতি করতে কাজ করছে বাংলাদেশ। ফলে বর্তমান শ্রম খাতের পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে সন্তোষজনক হলে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
ফলে সফরটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বাংলাদেশ। ১৪ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে ইইউ প্রতিনিধিদলটি। এতে নেতৃত্ব দেবেন এমপ্লয়মেন্ট, সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ইনক্লুশন মহাপরিচালক জর্ডি কুরেল গোতোর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও) ও ইইউয়ের দেওয়া মান অনুযায়ী শ্রম খাতের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছে শ্রম মন্ত্রণালয়। ২০২০ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে শিশুশ্রম বন্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শ্রম খাতের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬), জোরপূর্বক শ্রম, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এগুলোর আইন ও বিধি নিয়েও কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়।’
তবে এ খাতে বেশ কিছু বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। চ্যালেঞ্জগুলোতে সরকার আগের মতো অস্বীকার করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। না হলে ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।’
শ্রম খাতের সার্বিক অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানবাধিকার ও পরিবেশগত উন্নয়নের দিকটি মূল্যায়ন করবে প্রতিনিধিদলটি। ২০২১ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ ও ইইউয়ের মধ্যকার পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ‘ডিপ্লোম্যাটিক কনসালটেশন’ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর জিএসপি সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়ায় ইইউ। এটিকে কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন থেকেই জিএসপি প্লাস সুবিধা অর্জনে কাজ করা শুরু করেছে বাংলাদেশ। তাজরীন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দৃশ্যমান সংস্কার ও উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো কিছু বিষয়ে পশ্চিমা ক্রেতাদের নারাজি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যমত ট্রেড ইউনিয়ন। কাগজকলমে এ সুবিধা দেওয়া থাকলেও মূলত ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকর নয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইউরোপে অবৈধ বাংলাদেশি ইস্যু, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র, শ্রম ইস্যুতে আগে থেকেই সোচ্চার ইইউ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে উচ্ছ্বাসও রয়েছে তাদের। ফলে বাংলাদেশকে আর উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে দেখতে রাজি নয় ইইউভুক্ত দেশগুলো। এখন বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে ইউরোপ।
বাংলাদেশে শ্রম খাতের পরিস্থিতি দেখতে ঢাকা আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল। আগামী সোমবার (১৪ মার্চ) প্রতিনিধিদলটির ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শ্রম খাতের পরিদর্শনে ইইউ প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘শ্রম খাতের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বা ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান অন লেবার সেক্টর নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিনিধিদলটি সফর করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বেসরকারি খাত এবং শ্রম সংগঠনগুলোর সঙ্গে এ সফরকালে বৈঠক করবে তারা।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সফরটি ঝুলে ছিল। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে বাংলাদেশ। নিয়ম অনুযায়ী এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিদ্যমান জিএসপি সুবিধা থাকার কথা নয়। তবে এ সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইইউ। এর মধ্যে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে শ্রম পরিবেশ থেকে শুরু করে সার্বিক পরিস্থিতি সে অনুযায়ী উন্নতি করতে কাজ করছে বাংলাদেশ। ফলে বর্তমান শ্রম খাতের পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে সন্তোষজনক হলে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
ফলে সফরটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বাংলাদেশ। ১৪ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে ইইউ প্রতিনিধিদলটি। এতে নেতৃত্ব দেবেন এমপ্লয়মেন্ট, সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ইনক্লুশন মহাপরিচালক জর্ডি কুরেল গোতোর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও) ও ইইউয়ের দেওয়া মান অনুযায়ী শ্রম খাতের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছে শ্রম মন্ত্রণালয়। ২০২০ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে শিশুশ্রম বন্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শ্রম খাতের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬), জোরপূর্বক শ্রম, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এগুলোর আইন ও বিধি নিয়েও কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়।’
তবে এ খাতে বেশ কিছু বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। চ্যালেঞ্জগুলোতে সরকার আগের মতো অস্বীকার করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। না হলে ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।’
শ্রম খাতের সার্বিক অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানবাধিকার ও পরিবেশগত উন্নয়নের দিকটি মূল্যায়ন করবে প্রতিনিধিদলটি। ২০২১ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ ও ইইউয়ের মধ্যকার পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ‘ডিপ্লোম্যাটিক কনসালটেশন’ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর জিএসপি সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়ায় ইইউ। এটিকে কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন থেকেই জিএসপি প্লাস সুবিধা অর্জনে কাজ করা শুরু করেছে বাংলাদেশ। তাজরীন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দৃশ্যমান সংস্কার ও উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো কিছু বিষয়ে পশ্চিমা ক্রেতাদের নারাজি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যমত ট্রেড ইউনিয়ন। কাগজকলমে এ সুবিধা দেওয়া থাকলেও মূলত ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকর নয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইউরোপে অবৈধ বাংলাদেশি ইস্যু, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র, শ্রম ইস্যুতে আগে থেকেই সোচ্চার ইইউ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে উচ্ছ্বাসও রয়েছে তাদের। ফলে বাংলাদেশকে আর উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে দেখতে রাজি নয় ইইউভুক্ত দেশগুলো। এখন বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে ইউরোপ।
ঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৭ মিনিট আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৪০ মিনিট আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য পরিশোধে আগ্রহী ছিল না। এতে চুক্তিটির বাস্তবায়ন হুমকির মধ্যে পড়ে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি রক্ষার জন্য আদানি স্থানীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তাঁদের এই বিদ্যুৎ কিনতে রাজি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
১ ঘণ্টা আগে