সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমল

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৩০
Thumbnail image

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ মার্চ থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী মিল মালিকদের নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম, বসুন্ধারা গ্রুপের প্রতিনিধিরা ছিলেন। 

বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ৫ টাকা ট্যারিফ কমিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেন, বড় শিল্প গ্রুপ এবং ব্যবসায়ীরাও সামাজিক দায়বদ্ধতায় এগিয়ে আসবেন।

তিনি বলেন, ‘সব কিছু বিবেচনায় আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা ভোজ্য তেলের দাম ১০ টাকা প্রতি লিটারে কমানোর জন্য একমত হয়েছেন। উনারা নিজেরাই প্রস্তাবটা করেছেন। সর্বোচ্চ বাজার মূল্য রমজানে প্রতি এক লিটারের বোতল ১৬৩ টাকা করার বিষয়ে আমরা একমতে পৌঁছেছি। যে মূল্যটা ছিল ১৭৩ টাকা এবং তার আগের বছরে ১৮৫ টাকার মতো ছিল।’

আগে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৭৩ টাকা, এখন ১০ টাকা কমিয়ে তা ১৬৩ টাকা হবে। আর খোলা সয়াবিন তেল ১৫৯ থেকে কমিয়ে ১৪৯ টাকা করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। 

ফাইল ছবি নির্ধারিত দামে ভোজ্য তেল বিক্রি করা না হলে ১৯৫৬ সালের এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট, ভোক্তা অধিকার আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

আহসানুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের ট্যারিফের সার্কুলারটা এসেছে ৮ ফেব্রুয়ারি, যে কোনো জাহাজের বিদেশ থেকে আসতে প্রায় এক মাস লেগে যায় এবং সেটা খালাস করে ভোক্তা পর্যায়ে যেতে ন্যূনতম দুই মাস লেগে যায়। দুই মাস আমাদের রমজানের নেই। তবে আমাদের বিশেষ অনুরোধে ব্যবসায়ীরা এই বাজার মূল্যটা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করবে।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভোজ্যতেলের সঙ্গে অনেক কিছু সম্পৃক্ত, তাই আশা করি ভোক্তা পর্যায়ে একটা স্বস্তি বাজারে আসবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, খোলা তেলের সর্বোচ্চ মূল্য থাকবে ১৪৯ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় বিক্রি হবে। আমরা আশা করছি, এতে ভোক্তা সাধারণ উপকৃত হবেন।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যারা ব্যবসায়ী আছেন বিভিন্ন পর্যায়ের তারা এটুকু নিশ্চিত করেছেন, আগামী রমজানে যে পরিমাণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাজারে থাকা দরকার বা মজুত থাকা দরকার বা পাইপলাইনে থাকা দরকার সবগুলোই পর্যাপ্ত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ নানা কারণে পরিবহনের ব্যয় বেড়েছে, ডলারে আমদানি পর্যায়ে ব্যয় বেড়েছে। তারপরও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমাদের ব্যবসায়ীরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে সেজন্য কিছু পরিবর্তন করেছে।’

আগামীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি সহযোগিতা পাবেন বলে তিনি জানান।

আহসানুল ইসলাম আরও জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলোর ট্যারিফ আগামী বাজেটে যেন যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন আমদানিকৃত যে পণ্য আছে এবং যে পরিমাণ মজুদ আছে এটা রমজানের জন্য যথেষ্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত