জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
দেশের প্রায় সব ব্যাংকই এখন ডিজিটাল। শাখায় না গিয়েও ঘরে বসেই সেবা নিতে পারেন গ্রাহকেরা। নতুন যত প্রযুক্তি আসছে, তা-ও গ্রহণ করছে ব্যাংকগুলো। বলা যায়, ব্যাংকিং খাত ডিজিটালের রূপান্তর পর্বে রয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন তাড়াহুড়ো করে নতুনভাবে আলাদা ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটির ঝুঁকি, অনভিজ্ঞতা আর ডিজিটাল প্রতারণার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিবেচনা না করেই অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে এ কাজে যুক্ত করায় নিরাপদ লেনদেনভীতি তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার দুটি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যাংকের প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। আর লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেয়েছে মোট আটটি প্রতিষ্ঠান। তবে অনুমোদনপ্রাপ্ত নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির ডিজিটাল সেবার অভিজ্ঞতা থাকলেও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আবার এই দুটো ব্যাংকের কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করে বাকি ছয়টি ব্যাংকের পরবর্তী কার্যক্রম বিবেচনা করা হবে।
ব্যাংকিং খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ব্যাংকগুলোই যেখানে সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় এখনো পুরো প্রস্তুত নয়, তখন নতুন করে আলাদা ডিজিটাল ব্যাংক কতটা সফলভাবে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে বলে মনে করেন তাঁরা।
অনুমোদন পাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রস্তুতি ও ঝুঁকির বিষয়ে নগদের হেড অব কমিউনিকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কেবল অনুমোদন দিয়েছে। এটা নতুন ধারণা হওয়ায় ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। বিদেশ থেকে টেকনোলজি আনতে হবে। দক্ষ জনবলের ব্যবস্থা করতে হবে। ঝুঁকি এড়াতে সব করা হবে। তবু দুর্ঘটনার বিষয়ে শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া মুশকিল। কিন্তু গ্রাহক ভুল না করলে কেউ প্রতারণার সুযোগ পাবে না।’
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বর্তমানে ব্যাংকে সেবা মিলছে। তারপরও ঘরে বসে যাতে গ্রাহক কম খরচে বেশি সেবা পায়, সে জন্য ডিজিটাল ব্যাংক চালু করা হচ্ছে। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। ব্যাংকের কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। এটা রাতারাতি হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক আটটি ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে ডিজিটেন ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজিট-অল ডিজিটাল ব্যাংক, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের এমডি জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়াদ শেষের দিকে। তাই উদ্যোক্তারা সরকারকে এ ব্যাপারে একধরনের চাপ তৈরি করেন। উদ্যোক্তাদের লবিংয়ে ও সরকারের চাপে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, মানদণ্ড অনুসরণ করে ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও মাত্র আটটি অনুমোদন পেয়েছে। সাইবার ঝুঁকি নিশ্চিতে বিষয়টি চালু হলে বোঝা যাবে আগাম কিছু বলা কঠিন।
দেশের প্রায় সব ব্যাংকই এখন ডিজিটাল। শাখায় না গিয়েও ঘরে বসেই সেবা নিতে পারেন গ্রাহকেরা। নতুন যত প্রযুক্তি আসছে, তা-ও গ্রহণ করছে ব্যাংকগুলো। বলা যায়, ব্যাংকিং খাত ডিজিটালের রূপান্তর পর্বে রয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন তাড়াহুড়ো করে নতুনভাবে আলাদা ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটির ঝুঁকি, অনভিজ্ঞতা আর ডিজিটাল প্রতারণার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিবেচনা না করেই অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে এ কাজে যুক্ত করায় নিরাপদ লেনদেনভীতি তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার দুটি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যাংকের প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। আর লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেয়েছে মোট আটটি প্রতিষ্ঠান। তবে অনুমোদনপ্রাপ্ত নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির ডিজিটাল সেবার অভিজ্ঞতা থাকলেও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আবার এই দুটো ব্যাংকের কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করে বাকি ছয়টি ব্যাংকের পরবর্তী কার্যক্রম বিবেচনা করা হবে।
ব্যাংকিং খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ব্যাংকগুলোই যেখানে সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় এখনো পুরো প্রস্তুত নয়, তখন নতুন করে আলাদা ডিজিটাল ব্যাংক কতটা সফলভাবে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে বলে মনে করেন তাঁরা।
অনুমোদন পাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রস্তুতি ও ঝুঁকির বিষয়ে নগদের হেড অব কমিউনিকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কেবল অনুমোদন দিয়েছে। এটা নতুন ধারণা হওয়ায় ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। বিদেশ থেকে টেকনোলজি আনতে হবে। দক্ষ জনবলের ব্যবস্থা করতে হবে। ঝুঁকি এড়াতে সব করা হবে। তবু দুর্ঘটনার বিষয়ে শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া মুশকিল। কিন্তু গ্রাহক ভুল না করলে কেউ প্রতারণার সুযোগ পাবে না।’
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বর্তমানে ব্যাংকে সেবা মিলছে। তারপরও ঘরে বসে যাতে গ্রাহক কম খরচে বেশি সেবা পায়, সে জন্য ডিজিটাল ব্যাংক চালু করা হচ্ছে। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। ব্যাংকের কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। এটা রাতারাতি হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক আটটি ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে ডিজিটেন ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজিট-অল ডিজিটাল ব্যাংক, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের এমডি জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়াদ শেষের দিকে। তাই উদ্যোক্তারা সরকারকে এ ব্যাপারে একধরনের চাপ তৈরি করেন। উদ্যোক্তাদের লবিংয়ে ও সরকারের চাপে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, মানদণ্ড অনুসরণ করে ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও মাত্র আটটি অনুমোদন পেয়েছে। সাইবার ঝুঁকি নিশ্চিতে বিষয়টি চালু হলে বোঝা যাবে আগাম কিছু বলা কঠিন।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৩৯ মিনিট আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৬ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৭ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৭ ঘণ্টা আগে