অনলাইন ডেস্ক
ক্ষতিপূরণের রায় এড়িয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কমাতে গোপন পরিকল্পনা করেছিল বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য ও ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন (জে অ্যান্ড জে)। তাদের প্রস্তুতকৃত বেবি ও ট্যালকম পাউডারে ক্যানসারের উপাদান আছে এমন অভিযোগের পর প্রতিষ্ঠানটি বিচারের সম্মুখীন হয় এবং বিশাল অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন মার্কিন আদালত।
এই ক্ষতির পরিমাণ কমাতেই গোপনে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে ট্যালকম পাউডার উৎপাদন, বিপণন এবং এর যাবতীয় দায় সেই প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিল জে অ্যান্ড জে। এ লক্ষ্যে তারা ‘প্রজেক্ট প্লেটো’-এর অধীনে অন্তত ৩০ জন কর্মী নিয়োগ দেয়। এই কর্মীদের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি স্বামী/স্ত্রীকে পর্যন্ত না বলার নির্দেশ ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জে অ্যান্ড জে-এর তৈরি ট্যালকম পাউডারে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরির মতো যথেষ্ট পরিমাণে অ্যাসবেসটসের উপস্থিতির প্রমাণ পায়। পরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটিকে বাজার থেকে পাউডার তুলে নিতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর ২০২০ সালের মে থেকে জে অ্যান্ড জে পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
এরপরই ২২ জন নারী তাঁদের ‘জরায়ু ক্যানসার’-এর জন্য জে অ্যান্ড জে-এর ট্যালকম পাউডারকে দায়ী করে আদালতে মামলা করেন। আদালত তাঁদের ৪৬৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে আপিলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে কিছু বেশি কমানো হয়। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার মামলা রয়েছে জে অ্যান্ড জে-এর পাউডারের নামে।
সম্প্রতি রয়টার্সের হাতে আসা গোপন নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
৩০ জনের ওই গোপন দলের কাজ ছিল নতুন একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে জনসনের ট্যালকম পাউডারের বিষয়ে করা ৩৮ হাজার মামলা নতুন ওই প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর করা। জনসনের পরিকল্পনা ছিল শিগগিরই ওই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্তরা কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন।
তবে গত বছরের জুলাই মাসে আদালত এবং গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জে অ্যান্ড জে জানায়, তাদের পণ্যগুলো অনিরাপদ ছিল এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। কিন্তু গোপনে তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল যাতে ট্যালকম পাউডারের মামলাটি সাধারণ আদালতে ওঠার পরিবর্তে দেউলিয়াত্বের মামলার বিচারের দিকে ঝুঁকে যায়। যাতে করে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে প্রজেক্ট প্লেটো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ে এই পরিকল্পনা করে জে অ্যান্ড জে। এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবীরা এ বিষয়ে ধারণা দেন। আইনজীবীদের পরামর্শের পর প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালস্ট্রিটে খোঁজখবর নেয় যে, নতুন প্রতিষ্ঠানটি খুলে তা দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে মূল প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে কি না। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সে বছরের জুলাইয়ের ১২ তারিখ ‘প্রজেক্ট প্লেটো’ টিম গঠন করা হয়।
জে অ্যান্ড জে-এর বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা ওই ৩০ জন নিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্টোবরের ১১ তারিখে এলটিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রথম বোর্ড মিটিং হয় ১৪ অক্টোবর। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যাবতীয় দায়সহ ট্যালকম পাউডারের স্বত্ব নতুন কোম্পানির নামে নিয়ে নেওয়া এবং এরপর সময় বুঝে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা।
কিন্তু তার আগেই সব ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়তে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, জে অ্যান্ড জে-এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ বিলিয়ন ডলার এবং নগদ অর্থের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ডলার। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দেউলিয়াত্বের বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ক্ষতিপূরণের রায় এড়িয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কমাতে গোপন পরিকল্পনা করেছিল বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য ও ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন (জে অ্যান্ড জে)। তাদের প্রস্তুতকৃত বেবি ও ট্যালকম পাউডারে ক্যানসারের উপাদান আছে এমন অভিযোগের পর প্রতিষ্ঠানটি বিচারের সম্মুখীন হয় এবং বিশাল অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন মার্কিন আদালত।
এই ক্ষতির পরিমাণ কমাতেই গোপনে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে ট্যালকম পাউডার উৎপাদন, বিপণন এবং এর যাবতীয় দায় সেই প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিল জে অ্যান্ড জে। এ লক্ষ্যে তারা ‘প্রজেক্ট প্লেটো’-এর অধীনে অন্তত ৩০ জন কর্মী নিয়োগ দেয়। এই কর্মীদের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি স্বামী/স্ত্রীকে পর্যন্ত না বলার নির্দেশ ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জে অ্যান্ড জে-এর তৈরি ট্যালকম পাউডারে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরির মতো যথেষ্ট পরিমাণে অ্যাসবেসটসের উপস্থিতির প্রমাণ পায়। পরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটিকে বাজার থেকে পাউডার তুলে নিতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর ২০২০ সালের মে থেকে জে অ্যান্ড জে পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
এরপরই ২২ জন নারী তাঁদের ‘জরায়ু ক্যানসার’-এর জন্য জে অ্যান্ড জে-এর ট্যালকম পাউডারকে দায়ী করে আদালতে মামলা করেন। আদালত তাঁদের ৪৬৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে আপিলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে কিছু বেশি কমানো হয়। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার মামলা রয়েছে জে অ্যান্ড জে-এর পাউডারের নামে।
সম্প্রতি রয়টার্সের হাতে আসা গোপন নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
৩০ জনের ওই গোপন দলের কাজ ছিল নতুন একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে জনসনের ট্যালকম পাউডারের বিষয়ে করা ৩৮ হাজার মামলা নতুন ওই প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর করা। জনসনের পরিকল্পনা ছিল শিগগিরই ওই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্তরা কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন।
তবে গত বছরের জুলাই মাসে আদালত এবং গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জে অ্যান্ড জে জানায়, তাদের পণ্যগুলো অনিরাপদ ছিল এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। কিন্তু গোপনে তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল যাতে ট্যালকম পাউডারের মামলাটি সাধারণ আদালতে ওঠার পরিবর্তে দেউলিয়াত্বের মামলার বিচারের দিকে ঝুঁকে যায়। যাতে করে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে প্রজেক্ট প্লেটো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ে এই পরিকল্পনা করে জে অ্যান্ড জে। এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবীরা এ বিষয়ে ধারণা দেন। আইনজীবীদের পরামর্শের পর প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালস্ট্রিটে খোঁজখবর নেয় যে, নতুন প্রতিষ্ঠানটি খুলে তা দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে মূল প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে কি না। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সে বছরের জুলাইয়ের ১২ তারিখ ‘প্রজেক্ট প্লেটো’ টিম গঠন করা হয়।
জে অ্যান্ড জে-এর বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা ওই ৩০ জন নিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্টোবরের ১১ তারিখে এলটিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রথম বোর্ড মিটিং হয় ১৪ অক্টোবর। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যাবতীয় দায়সহ ট্যালকম পাউডারের স্বত্ব নতুন কোম্পানির নামে নিয়ে নেওয়া এবং এরপর সময় বুঝে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা।
কিন্তু তার আগেই সব ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়তে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, জে অ্যান্ড জে-এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ বিলিয়ন ডলার এবং নগদ অর্থের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ডলার। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দেউলিয়াত্বের বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৫ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৬ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৭ ঘণ্টা আগে