জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। ওয়ালটন গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। দেশের প্রথম মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন ও এয়ারকন্ডিশনার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়ভাবেই এই শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হলেও থেমে নেই এর অপব্যবহার।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি শর্তসাপেক্ষে রেয়াতি সুবিধায় আমদানি করা যন্ত্রাংশ অন্য কাজে ব্যবহার এবং বাজারে বিক্রি করেছে। এতে এসআরওর শর্ত লঙ্ঘিত হওয়ায় রেয়াতি সুবিধা কার্যকর থাকবে না। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আমদানি পর্যায়ের সিপিসি (কাস্টমস প্রোসিডিউর কোড) অপব্যবহার করে প্রায় ৯ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির কারখানা। প্রতিষ্ঠানটির বিআইএন নম্বর ০০০৩৫৬৪২২-০১০৩। প্রতিষ্ঠানটি বেআইনি ও অসত্য ঘোষণায় ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ৫৬টি বিল অব এন্ট্রির (বি/ই) মাধ্যমে পি অ্যান্ড কম অব মোটরস, মোটর ক্যাসিং (এফওবি), রোটর (এফওবি), স্মল ব্লেড ফর মোটরস, স্ট্যাটর, স্ট্যাটর (১২ ইঞ্চি মোটরের) ও এইচএস কোড ৮৫০৩.০০.৩০ ও ৮৫০৩.০০.৯০ আমদানি করে। এতে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে ওয়ালটন। কাস্টমস মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কাস্টমস বিভাগের জারি করা এসআরও অনুযায়ী, যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশের বা উভয়ের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক, যে পরিমাণে মূল্যভিত্তিক ১ শতাংশের অতিরিক্ত হয়, সেই পরিমাণ এবং সমুদয় মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক, যদি থাকে, নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ প্রতিপালন সাপেক্ষে অব্যাহতি প্রদান করা হবে।
তবে এই সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্তের মধ্যে একটি হলো আমদানি করা মেশিনারি, প্ল্যান্ট, যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ বা অন্যান্য অংশ সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যবহার করা হবে এবং খালাসের পর অন্য কাজে ব্যবহার, হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তন করা হলে আমদানি করা পণ্যের ওপর স্বাভাবিক ও প্রযোজ্য হারে শুল্ক ও কর প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন। এ মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা (যথাযথ মূল্যমানের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে) আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট কমিশনার অব কাস্টমস বরাবর দাখিল করবেন।
ওয়ালটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি আমদানি করা যন্ত্রাংশ অন্য কাজে ব্যবহার করেছে এবং বাজারে বিক্রি করেছে। এতে জারি করা এসআরওর শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে। সুতরাং রেয়াতি সুবিধায় আমদানি করা পণ্যের ওপর এই এসআরও অনুযায়ী রেয়াতি সুবিধা কার্যকর হবে না। তাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। বেআইনি ও অসত্য ঘোষণায় পণ্য আমদানি করায় রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটিত হয়েছে।
জানতে চাইলে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা তো আগে আমাদের জানার কথা। এটা আমার জানা নেই। এসব আমরা কখনো করি না, এ ধরনের উদ্দেশ্যও ছিল না। আমাদের এ ধরনের কোনো ইস্যু নেই।’
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে গঠিত হয় ওয়ালটন। ২০০৮ সালে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকারি নানা নীতি সহায়তা পেয়ে আজ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। বর্তমানে ২৫ হাজারের বেশি কর্মী এখানে কর্মরত। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওয়ালটন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। ওয়ালটন গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। দেশের প্রথম মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন ও এয়ারকন্ডিশনার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়ভাবেই এই শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হলেও থেমে নেই এর অপব্যবহার।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি শর্তসাপেক্ষে রেয়াতি সুবিধায় আমদানি করা যন্ত্রাংশ অন্য কাজে ব্যবহার এবং বাজারে বিক্রি করেছে। এতে এসআরওর শর্ত লঙ্ঘিত হওয়ায় রেয়াতি সুবিধা কার্যকর থাকবে না। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আমদানি পর্যায়ের সিপিসি (কাস্টমস প্রোসিডিউর কোড) অপব্যবহার করে প্রায় ৯ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির কারখানা। প্রতিষ্ঠানটির বিআইএন নম্বর ০০০৩৫৬৪২২-০১০৩। প্রতিষ্ঠানটি বেআইনি ও অসত্য ঘোষণায় ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ৫৬টি বিল অব এন্ট্রির (বি/ই) মাধ্যমে পি অ্যান্ড কম অব মোটরস, মোটর ক্যাসিং (এফওবি), রোটর (এফওবি), স্মল ব্লেড ফর মোটরস, স্ট্যাটর, স্ট্যাটর (১২ ইঞ্চি মোটরের) ও এইচএস কোড ৮৫০৩.০০.৩০ ও ৮৫০৩.০০.৯০ আমদানি করে। এতে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে ওয়ালটন। কাস্টমস মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কাস্টমস বিভাগের জারি করা এসআরও অনুযায়ী, যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশের বা উভয়ের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক, যে পরিমাণে মূল্যভিত্তিক ১ শতাংশের অতিরিক্ত হয়, সেই পরিমাণ এবং সমুদয় মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক, যদি থাকে, নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ প্রতিপালন সাপেক্ষে অব্যাহতি প্রদান করা হবে।
তবে এই সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্তের মধ্যে একটি হলো আমদানি করা মেশিনারি, প্ল্যান্ট, যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ বা অন্যান্য অংশ সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যবহার করা হবে এবং খালাসের পর অন্য কাজে ব্যবহার, হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তন করা হলে আমদানি করা পণ্যের ওপর স্বাভাবিক ও প্রযোজ্য হারে শুল্ক ও কর প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন। এ মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা (যথাযথ মূল্যমানের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে) আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট কমিশনার অব কাস্টমস বরাবর দাখিল করবেন।
ওয়ালটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি আমদানি করা যন্ত্রাংশ অন্য কাজে ব্যবহার করেছে এবং বাজারে বিক্রি করেছে। এতে জারি করা এসআরওর শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে। সুতরাং রেয়াতি সুবিধায় আমদানি করা পণ্যের ওপর এই এসআরও অনুযায়ী রেয়াতি সুবিধা কার্যকর হবে না। তাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। বেআইনি ও অসত্য ঘোষণায় পণ্য আমদানি করায় রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটিত হয়েছে।
জানতে চাইলে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা তো আগে আমাদের জানার কথা। এটা আমার জানা নেই। এসব আমরা কখনো করি না, এ ধরনের উদ্দেশ্যও ছিল না। আমাদের এ ধরনের কোনো ইস্যু নেই।’
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে গঠিত হয় ওয়ালটন। ২০০৮ সালে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকারি নানা নীতি সহায়তা পেয়ে আজ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। বর্তমানে ২৫ হাজারের বেশি কর্মী এখানে কর্মরত। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওয়ালটন।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১২ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৩ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৪ ঘণ্টা আগে