আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
ওটিসির ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ১টি কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য নেই। বাকি ৫৫টি কোম্পানির সর্বশেষ লেনদেন হওয়া শেয়ারদর ধরে হিসাব করলেও ৩৯৬ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আটকে রয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের এই টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। যদিও বিনিয়োগকারীদের মূল বিনিয়োগের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি। কারণ, এসব কোম্পানির অনেকের শেয়ার সর্বশেষ ২ টাকারও কমে লেনদেন হয়েছে। এমন অবস্থায় কোম্পানিগুলোর অবসায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওটিসির ভবিষ্যৎ দেখি না। উদ্যোক্তারা আগেই শেয়ার বিক্রি করে ফেলেছেন। শেয়ার বিক্রি করে ফেলার পর এসব কোম্পানি জাহান্নামে চলে গেলেই তাঁদের কী আসে যায়? ভোগান্তি সাধারণ বিনিয়োগকারীর। আমি রেগুলেটর বডি হলে উদ্যোক্তাদের শেয়ার বেচতেই দিতাম না।’
এগুলো থেকে বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখেন না অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার সুযোগই নেই। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ইতিবাচক হলে অবসায়নের মাধ্যমে কিছু ফিরে পাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এগুলোর দেনা এত বেশি যে অবসায়ন করলেও কিছুই পাবেন না বিনিয়োগকারীরা।’
এরপরও কোম্পানিগুলোর অবসায়নের পরামর্শ দিয়ে আবু আহমেদ বলেন, এগুলো অবসায়নে যাওয়াই ভালো। এর জন্য পরীক্ষা করতে হবে। দেনা বাদ দিয়ে যদি সম্পদ থাকে, সে ক্ষেত্রে কিছু ফেরত পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
সাধারণত দেউলিয়া হয়ে যাওয়া, উৎপাদন বন্ধ, অস্তিত্ববিহীন কোম্পানির শেয়ারগুলোই ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হয়। এটা পুঁজিবাজারেরই অংশ। যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে যোগ্যতা ধরে রাখতে পারে না, সেসব কোম্পানি তালিকাচ্যুত হয়ে চলে আসে ওটিসি মার্কেটে। ওটিসিকে অনেকটা পুঁজিবাজারের ডাস্টবিনও বলা চলে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হওয়া ৫৫টি কোম্পানির সর্বশেষ দর অনুযায়ী উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বিনিয়োগকারীদের টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৯৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ১৫৩ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকার বিনিয়োগ রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে। তবে এই কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরিমাণ অন্তত ১০ গুণ বেশি। এভাবে প্রতিটি কোম্পানিরই বিনিয়োগের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি।
সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীদের টাকার পরিমাণ হলো আল আমিন কেমিক্যাল ১৭ কোটি ১০ লাখ, আলফা টোব্যাকো ৩ কোটি ৮৯ লাখ, আমান সি ফুড ৭৬ লাখ, আরবি টেক্সটাইল ২৩ লাখ, আশরাফ টেক্সটাইল ৮ কোটি ৪০ লাখ, আজাদী প্রিন্টার্স ১০ লাখ, বাংলা প্রোসেস ৪ কোটি ২৭ লাখ, বাংলা কেমিক্যাল ১ কোটি ১৭ লাখ, বাংলাদেশ ডায়িং ১ কোটি ৬০ লাখ, বাংলাদেশ হোটেল ৪৬ লাখ, বাংলাদেশ লাগেজ ১ কোটি ৪০ লাখ, বাংলাদেশ প্ল্যানটেশন ৬৯ লাখ, বাংলাদেশ জিপার ৯৮ লাখ, বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি মিটার ১ কোটি ৬৬ লাখ, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস ২ কোটি ৭৪ লাখ, বায়োনিক সি ফুড ১ কোটি ৫ লাখ, বাংলাদেশ লিফ টোব্যাকো ১ কোটি ৭ লাখ, চিক টেক্স ১ কোটি ৯৮ লাখ, ড্যান্ডি ডাইং ১ কোটি ৭৯ লাখ, ঢাকা ফিশারিজ ৩ কোটি ৫১ লাখ, ডাইনামিক টেক্সটাইল ৯ কোটি ৯১ লাখ, ঈগল স্টার টেক্সটাইল ১ কোটি ৫৫ লাখ, দি ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ১০ লাখ, এক্সেলশিওর শুজ ৩৭ কোটি ১০ লাখ, গচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস ১৫ কোটি ৩৪ লাখ, জার্মান বাংলা জে ভি ফুড ৯০ লাখ, গালফ ফুডস ২ কোটি ৭১ লাখ, হিল প্ল্যান্টেশন ৩৯ লাখ, যশোর সিমেন্ট ১৩ কোটি ২০ লাখ, লেক্সো লিমিটেড ৪ কোটি ৯৮ লাখ, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ ৪ কোটি ৮৬ লাখ, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ ৯ কোটি ৫১ লাখ, মেঘনা শ্রিম্প কালচার ১০ কোটি ২৭ লাখ, মেটালেক্স করপোরেশন ৩০ লাখ, এম হোসাইন গার্মেন্টস ওয়াশিং অ্যান্ড ডাইং ৯২ লাখ, মিতা টেক্সটাইল ৮ কোটি ১১ লাখ, মডার্ন সিমেন্ট ৬ কোটি, মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ ৩৩ লাখ, মোনা ফুড প্রোডাক্টস ১ কোটি ২৪ লাখ, পারফিউম কেমিক্যাল ১৮ কোটি ৮ লাখ, পেট্রো সিনথেটিক ১৬ লাখ, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ১ কোটি ৬৫ লাখ, ফনিক্স লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড ১ কোটি ৯৯ লাখ, কাশেম সিল্ক মিলস ৫৯ লাখ, কাশেম টেক্সটাইল মিলস ৫৭ লাখ, রহমান কেমিক্যালস ৯ কোটি ২৩ লাখ, রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস ২ কোটি ৯৯ লাখ, রাশপিত বিডি ১ কোটি ৪৯ লাখ, রাশপিত ডাটা ম্যানেজমেন্ট ৮৭ লাখ, রোজ হ্যাভেন বলপেন ৭ কোটি ৬৭ লাখ, সালেহ কার্পেট মিলস ৩ কোটি ৯৪ লাখ, শ্রীপুর টেক্সটাইল ৬ কোটি ৩০ লাখ, থেরাপিউটিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ৩ কোটি ৩০ লাখ এবং টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকার বেশি। এ ছাড়া ডিএসইতে কোনো তথ্য মেলেনি কুয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিনিয়োগকারী মুবিনুল ইসলাম বলেন, ‘কমিশন রহিমা ফুডের মতো কোম্পানিকে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে এনেছে। আর আমাদের কথা চিন্তা না করেই ইউনাইটেড এয়ারকে তালিকাচ্যুত করেছে। মূল মার্কেটে থাকলে কিছুটা হলেও সুশাসনে থাকত। কিন্তু এখন অনিয়ম করা আরও সহজ হলো।’
এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কোম্পানিটি বিমান আকাশে উড়বে এমন টোপ (ফাঁদ) দিয়ে একের পর এক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভালো হবে ভেবে আমি নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন পথে বসেছি। বিনিয়োগের টাকা তো কোনোভাবেই ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। এই শেয়ারের কোনো ক্রেতা নেই। কোম্পানির অস্তিত্বই যখন নেই, ক্রেতা আসবে কোথায় থেকে?’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘ওটিসি মার্কেট থাকবে না। এটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। ওটিসির কোম্পানি এটিবিতে (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) যাবে। ওটিসি মার্কেট করা হয়েছিল, যাতে করে বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানি থেকে বের হতে পারেন।’
কোম্পানিগুলো অবসায়ন না করে এ রকম প্ল্যাটফর্মে রাখার কোনো প্রয়োজন আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা থাকলে সমস্যা কী? শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো প্ল্যাটফর্মই না থাকা ভালো, নাকি বিক্রির সুযোগ রাখা ভালো?’

দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
ওটিসির ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ১টি কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য নেই। বাকি ৫৫টি কোম্পানির সর্বশেষ লেনদেন হওয়া শেয়ারদর ধরে হিসাব করলেও ৩৯৬ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আটকে রয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের এই টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। যদিও বিনিয়োগকারীদের মূল বিনিয়োগের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি। কারণ, এসব কোম্পানির অনেকের শেয়ার সর্বশেষ ২ টাকারও কমে লেনদেন হয়েছে। এমন অবস্থায় কোম্পানিগুলোর অবসায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওটিসির ভবিষ্যৎ দেখি না। উদ্যোক্তারা আগেই শেয়ার বিক্রি করে ফেলেছেন। শেয়ার বিক্রি করে ফেলার পর এসব কোম্পানি জাহান্নামে চলে গেলেই তাঁদের কী আসে যায়? ভোগান্তি সাধারণ বিনিয়োগকারীর। আমি রেগুলেটর বডি হলে উদ্যোক্তাদের শেয়ার বেচতেই দিতাম না।’
এগুলো থেকে বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখেন না অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার সুযোগই নেই। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ইতিবাচক হলে অবসায়নের মাধ্যমে কিছু ফিরে পাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এগুলোর দেনা এত বেশি যে অবসায়ন করলেও কিছুই পাবেন না বিনিয়োগকারীরা।’
এরপরও কোম্পানিগুলোর অবসায়নের পরামর্শ দিয়ে আবু আহমেদ বলেন, এগুলো অবসায়নে যাওয়াই ভালো। এর জন্য পরীক্ষা করতে হবে। দেনা বাদ দিয়ে যদি সম্পদ থাকে, সে ক্ষেত্রে কিছু ফেরত পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
সাধারণত দেউলিয়া হয়ে যাওয়া, উৎপাদন বন্ধ, অস্তিত্ববিহীন কোম্পানির শেয়ারগুলোই ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হয়। এটা পুঁজিবাজারেরই অংশ। যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে যোগ্যতা ধরে রাখতে পারে না, সেসব কোম্পানি তালিকাচ্যুত হয়ে চলে আসে ওটিসি মার্কেটে। ওটিসিকে অনেকটা পুঁজিবাজারের ডাস্টবিনও বলা চলে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হওয়া ৫৫টি কোম্পানির সর্বশেষ দর অনুযায়ী উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বিনিয়োগকারীদের টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৯৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ১৫৩ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকার বিনিয়োগ রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে। তবে এই কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরিমাণ অন্তত ১০ গুণ বেশি। এভাবে প্রতিটি কোম্পানিরই বিনিয়োগের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি।
সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীদের টাকার পরিমাণ হলো আল আমিন কেমিক্যাল ১৭ কোটি ১০ লাখ, আলফা টোব্যাকো ৩ কোটি ৮৯ লাখ, আমান সি ফুড ৭৬ লাখ, আরবি টেক্সটাইল ২৩ লাখ, আশরাফ টেক্সটাইল ৮ কোটি ৪০ লাখ, আজাদী প্রিন্টার্স ১০ লাখ, বাংলা প্রোসেস ৪ কোটি ২৭ লাখ, বাংলা কেমিক্যাল ১ কোটি ১৭ লাখ, বাংলাদেশ ডায়িং ১ কোটি ৬০ লাখ, বাংলাদেশ হোটেল ৪৬ লাখ, বাংলাদেশ লাগেজ ১ কোটি ৪০ লাখ, বাংলাদেশ প্ল্যানটেশন ৬৯ লাখ, বাংলাদেশ জিপার ৯৮ লাখ, বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি মিটার ১ কোটি ৬৬ লাখ, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস ২ কোটি ৭৪ লাখ, বায়োনিক সি ফুড ১ কোটি ৫ লাখ, বাংলাদেশ লিফ টোব্যাকো ১ কোটি ৭ লাখ, চিক টেক্স ১ কোটি ৯৮ লাখ, ড্যান্ডি ডাইং ১ কোটি ৭৯ লাখ, ঢাকা ফিশারিজ ৩ কোটি ৫১ লাখ, ডাইনামিক টেক্সটাইল ৯ কোটি ৯১ লাখ, ঈগল স্টার টেক্সটাইল ১ কোটি ৫৫ লাখ, দি ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ১০ লাখ, এক্সেলশিওর শুজ ৩৭ কোটি ১০ লাখ, গচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস ১৫ কোটি ৩৪ লাখ, জার্মান বাংলা জে ভি ফুড ৯০ লাখ, গালফ ফুডস ২ কোটি ৭১ লাখ, হিল প্ল্যান্টেশন ৩৯ লাখ, যশোর সিমেন্ট ১৩ কোটি ২০ লাখ, লেক্সো লিমিটেড ৪ কোটি ৯৮ লাখ, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ ৪ কোটি ৮৬ লাখ, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ ৯ কোটি ৫১ লাখ, মেঘনা শ্রিম্প কালচার ১০ কোটি ২৭ লাখ, মেটালেক্স করপোরেশন ৩০ লাখ, এম হোসাইন গার্মেন্টস ওয়াশিং অ্যান্ড ডাইং ৯২ লাখ, মিতা টেক্সটাইল ৮ কোটি ১১ লাখ, মডার্ন সিমেন্ট ৬ কোটি, মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ ৩৩ লাখ, মোনা ফুড প্রোডাক্টস ১ কোটি ২৪ লাখ, পারফিউম কেমিক্যাল ১৮ কোটি ৮ লাখ, পেট্রো সিনথেটিক ১৬ লাখ, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ১ কোটি ৬৫ লাখ, ফনিক্স লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড ১ কোটি ৯৯ লাখ, কাশেম সিল্ক মিলস ৫৯ লাখ, কাশেম টেক্সটাইল মিলস ৫৭ লাখ, রহমান কেমিক্যালস ৯ কোটি ২৩ লাখ, রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস ২ কোটি ৯৯ লাখ, রাশপিত বিডি ১ কোটি ৪৯ লাখ, রাশপিত ডাটা ম্যানেজমেন্ট ৮৭ লাখ, রোজ হ্যাভেন বলপেন ৭ কোটি ৬৭ লাখ, সালেহ কার্পেট মিলস ৩ কোটি ৯৪ লাখ, শ্রীপুর টেক্সটাইল ৬ কোটি ৩০ লাখ, থেরাপিউটিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ৩ কোটি ৩০ লাখ এবং টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকার বেশি। এ ছাড়া ডিএসইতে কোনো তথ্য মেলেনি কুয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিনিয়োগকারী মুবিনুল ইসলাম বলেন, ‘কমিশন রহিমা ফুডের মতো কোম্পানিকে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে এনেছে। আর আমাদের কথা চিন্তা না করেই ইউনাইটেড এয়ারকে তালিকাচ্যুত করেছে। মূল মার্কেটে থাকলে কিছুটা হলেও সুশাসনে থাকত। কিন্তু এখন অনিয়ম করা আরও সহজ হলো।’
এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কোম্পানিটি বিমান আকাশে উড়বে এমন টোপ (ফাঁদ) দিয়ে একের পর এক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভালো হবে ভেবে আমি নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন পথে বসেছি। বিনিয়োগের টাকা তো কোনোভাবেই ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। এই শেয়ারের কোনো ক্রেতা নেই। কোম্পানির অস্তিত্বই যখন নেই, ক্রেতা আসবে কোথায় থেকে?’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘ওটিসি মার্কেট থাকবে না। এটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। ওটিসির কোম্পানি এটিবিতে (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) যাবে। ওটিসি মার্কেট করা হয়েছিল, যাতে করে বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানি থেকে বের হতে পারেন।’
কোম্পানিগুলো অবসায়ন না করে এ রকম প্ল্যাটফর্মে রাখার কোনো প্রয়োজন আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা থাকলে সমস্যা কী? শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো প্ল্যাটফর্মই না থাকা ভালো, নাকি বিক্রির সুযোগ রাখা ভালো?’

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে