ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসছে আরেকা সুপারির বীজ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসছে আরেকা সুপারি বীজের চালান। সৌদি আরবেও এই বীজের একটি চালান পাঠিয়েছে দেশটি। তবে চালানের পরিমাণ জানা যায়নি। 

ইন্দোনেশিয়ার বার্তা সংস্থা অন্তরা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জুলকিফলি হাসান আজ শনিবার জাম্বি প্রদেশ থেকে সৌদি আরব ও বাংলাদেশে আরেকা সুপারির চালান পাঠানো হয়েছে। এই বীজের স্থানীয় নাম পিনাং। 

মন্ত্রী বলেন, মুয়ারো জাম্বির কুম্পেহ থেকে আরেকা সুপারি রপ্তানি করা হয়। এই এলাকাটি জাম্বির বৃহত্তম সুপারি উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর একটি। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, এখানকার এই প্রধান পণ্যটি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারে। 

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ইন্দোনেশিয়া বিশ্বব্যাপী শীর্ষ আরেকা সুপারি রপ্তানিকারক। বিশ্বের ৩৫ শতাংশ আরেকা সুপারি সরবরাহ করে ইন্দোনেশিয়া। 

পিনাং রপ্তানির চালান পাঠাতে পারার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার এই পণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের পথ খুলে যাবে। জাতীয় ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে এই রপ্তানি বাণিজ্য অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। 

মন্ত্রী হাসান আরও বলেন, রপ্তানি গন্তব্য দেশগুলো এখন এই সুপারি উৎপাদন করতে শুরু করেছে। এ কারণে এখন দাম কমেছে। 

আরেকা পাম গৃহসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধনের ব্যবহার করা হয়। ছবি: সংগৃহীততিনি বলেন, ‘আমরা দাম বাড়ানোর জন্য লড়াই করেছি। এমনকি আমি ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছি। আমি পাঁচবার ভারতে গিয়েছি। ভারত সবচেয়ে বড় বাজার, আমাদের দাম তাদের ওপর নির্ভর করে। চ্যালেঞ্জ হলো, এই সুপারি ভারতের ভেতরেই উৎপাদিত হচ্ছে।’ তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, এর জন্য তাঁর মন্ত্রণালয় বাণিজ্য কূটনীতি চালিয়ে যাবে। 

সেই সঙ্গে চকলেট, কফি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, আরেকা সুপারি, দারুচিনির মতো পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

উল্লেখ্য, আরেকা সুপারি মূলত পাম জাতীয় উদ্ভিদ। এ ধরনের উদ্ভিদ সাধারণ গৃহসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধনে রোপণ করা হয়ে থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত