আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
ঈদের বাড়তি খরচ মেটাতে অনেক বিনিয়োগকারীই পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেন। তবে এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন। পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। এমন পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। মুনাফা দূরের কথা, ঈদের আগে শেয়ার বিক্রি করে মূল পুঁজি উত্তোলন করাই প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঈদের আগে কিছুটা শেয়ার বিক্রির চাপ থাকে। মুনাফা না করতে পারলেও অনেকেই মূল পুঁজি তুলে নেন ঈদের ব্যয় মেটানোর জন্য। তবে এ বছর টানা পতনের কারণে লোকসানে রয়েছেন প্রায় সবাই। ফলে মুনাফা বা মূল পুঁজি তুলতে পারবেন না অনেকেই।
তথ্যমতে, গত ২৮ কর্মদিবসের মধ্যে ২৩ দিনই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। সব মিলিয়ে টানা ছয় সপ্তাহ ধরে পতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। এতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৭৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। আর চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিনের দরপতনে পুঁজি কমেছে আরও ৮ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৮৮ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বেশি।
বিনিয়োগকারী মামুন হোসেন শামীম বলেন, ‘মানুষের কষ্ট, আহাজারি রয়েছে। প্রচণ্ড কষ্টের জায়গা। বাজারটা একটু ভালো থাকলে মুনাফা করে পরিবার নিয়ে আমরা ভালো করে ঈদ উদ্যাপন করতে পারতাম। সেটা তো সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।’
ক্ষোভ নিয়ে মামুন হোসেন শামীম বলেন, ‘এ রকম একটা খারাপ বাজার পৃথিবীর কোথাও নেই। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার পরেও পুঁজিবাজার ভালো। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়, তারপরও পুঁজিবাজার ভালো। অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতির সব সূচক ভালো হওয়ার পরেও বাজার ভালো নয়। এটা পুঁজিবাজারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ব্যর্থতা।’
আরেক বিনিয়োগকারী সানি মাহমুদ বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে দরপতনের কারণে ২০ থেকে ৪০ শতাংশের বেশি লোকসান হয়েছে আমাদের। এই অবস্থায় ঈদের আগে টাকা বের করতে হলে লোকসানে বেচতে হবে। মানে মূল পুঁজিটাও পাব না।’
সানি মাহমুদ বলেন, ঈদের আগে বাজার ভালো হবে—এমন প্রত্যাশা করা যাচ্ছে না। শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে পারে। কারণ, অনেকে লোকসান দিয়ে হলেও টাকা তুলে পরিবারের ঈদের কেনাকাটা করবেন।
আরেক বিনিয়োগকারী রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, ‘ঈদের আগে প্রত্যাশা থাকে যে, লাভজনক অবস্থানে থাকলে কিছুটা শেয়ার বিক্রি করে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে ঈদ উদ্যাপন করা। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।’ তবে ঈদের আগেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রতিবছর ঈদের আগে শেয়ার বেচে টাকা তুলে নেয় অনেকেই। এবার পারবে না। এবার আয় হয়নি। শুধু পুঁজিটা নিতে পারবে। যেভাবে পুঁজিবাজার পড়ছে বা পড়েছে, এতে কারও মুনাফা হয়েছে বলে মনে হয় না। হলেও খুবই কম সংখ্যকের হয়েছে। অধিকাংশের পোর্টফোলিও নেতিবাচক অবস্থায় আছে। অনেকেই হয়তো তারপরও টাকা তুলে নেয় বা নেবে।
তবে পুঁজিবাজার শিগগিরই ঘুরে দাঁড়ানোর অবস্থায় চলে এসেছে বলে মনে করেন আবু আহমেদ। তিনি বলেন, বাজার এ বছর অনেক বেশি সংশোধন হচ্ছে। অনেক মৌলভিত্তির শেয়ার যৌক্তিক দামে চলে এসেছে। শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে বাজার।
ঈদের বাড়তি খরচ মেটাতে অনেক বিনিয়োগকারীই পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেন। তবে এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন। পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। এমন পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। মুনাফা দূরের কথা, ঈদের আগে শেয়ার বিক্রি করে মূল পুঁজি উত্তোলন করাই প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঈদের আগে কিছুটা শেয়ার বিক্রির চাপ থাকে। মুনাফা না করতে পারলেও অনেকেই মূল পুঁজি তুলে নেন ঈদের ব্যয় মেটানোর জন্য। তবে এ বছর টানা পতনের কারণে লোকসানে রয়েছেন প্রায় সবাই। ফলে মুনাফা বা মূল পুঁজি তুলতে পারবেন না অনেকেই।
তথ্যমতে, গত ২৮ কর্মদিবসের মধ্যে ২৩ দিনই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। সব মিলিয়ে টানা ছয় সপ্তাহ ধরে পতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। এতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৭৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। আর চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিনের দরপতনে পুঁজি কমেছে আরও ৮ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৮৮ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বেশি।
বিনিয়োগকারী মামুন হোসেন শামীম বলেন, ‘মানুষের কষ্ট, আহাজারি রয়েছে। প্রচণ্ড কষ্টের জায়গা। বাজারটা একটু ভালো থাকলে মুনাফা করে পরিবার নিয়ে আমরা ভালো করে ঈদ উদ্যাপন করতে পারতাম। সেটা তো সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।’
ক্ষোভ নিয়ে মামুন হোসেন শামীম বলেন, ‘এ রকম একটা খারাপ বাজার পৃথিবীর কোথাও নেই। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার পরেও পুঁজিবাজার ভালো। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়, তারপরও পুঁজিবাজার ভালো। অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতির সব সূচক ভালো হওয়ার পরেও বাজার ভালো নয়। এটা পুঁজিবাজারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ব্যর্থতা।’
আরেক বিনিয়োগকারী সানি মাহমুদ বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে দরপতনের কারণে ২০ থেকে ৪০ শতাংশের বেশি লোকসান হয়েছে আমাদের। এই অবস্থায় ঈদের আগে টাকা বের করতে হলে লোকসানে বেচতে হবে। মানে মূল পুঁজিটাও পাব না।’
সানি মাহমুদ বলেন, ঈদের আগে বাজার ভালো হবে—এমন প্রত্যাশা করা যাচ্ছে না। শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে পারে। কারণ, অনেকে লোকসান দিয়ে হলেও টাকা তুলে পরিবারের ঈদের কেনাকাটা করবেন।
আরেক বিনিয়োগকারী রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, ‘ঈদের আগে প্রত্যাশা থাকে যে, লাভজনক অবস্থানে থাকলে কিছুটা শেয়ার বিক্রি করে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে ঈদ উদ্যাপন করা। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।’ তবে ঈদের আগেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রতিবছর ঈদের আগে শেয়ার বেচে টাকা তুলে নেয় অনেকেই। এবার পারবে না। এবার আয় হয়নি। শুধু পুঁজিটা নিতে পারবে। যেভাবে পুঁজিবাজার পড়ছে বা পড়েছে, এতে কারও মুনাফা হয়েছে বলে মনে হয় না। হলেও খুবই কম সংখ্যকের হয়েছে। অধিকাংশের পোর্টফোলিও নেতিবাচক অবস্থায় আছে। অনেকেই হয়তো তারপরও টাকা তুলে নেয় বা নেবে।
তবে পুঁজিবাজার শিগগিরই ঘুরে দাঁড়ানোর অবস্থায় চলে এসেছে বলে মনে করেন আবু আহমেদ। তিনি বলেন, বাজার এ বছর অনেক বেশি সংশোধন হচ্ছে। অনেক মৌলভিত্তির শেয়ার যৌক্তিক দামে চলে এসেছে। শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে বাজার।
অনুমতি ছাড়াই চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারালেন আসমা উল হুসনা নামের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (দক্ষিণ) কর্মকর্তা ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেইস্পাহানির পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতায় আয়োজিত ‘আনোয়ারা মান্নান বেগ আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট-মলি’-এর পর্দা নামল। আটটি দলের অংশগ্রহণে প্রায় এক মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোরের শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সেরা ২৫ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালের কাজের জন্য আন্তর্জাতিক ফরচুন ম্যাগাজিন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে১০০ দিনে অর্থনীতি সবল অবস্থানে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান
৩ ঘণ্টা আগে