
সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সুবিধা এবং সস্তায় উৎপাদন সক্ষমতার কারণে এই সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সামান্য পরিমাণে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে।
এসব ওষুধের অন্যতম প্রধান উপাদান ‘সেমাগ্লুটাইড’। এই সেমাগ্লুটাইড মূলত রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এটি নভো নরডিস্কের বিখ্যাত ওষুধ ‘উইগভি’ ও ‘ওজেমপিকের’ মূল উপাদান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনসেপ্টার যেসব ওষুধ রপ্তানি করে সেগুলো মূলত এশিয়াভিত্তিক একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ‘ওজেমপিকের’ সুলভ ‘কপি’ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী এই ওষুধের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওজেমপিক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। নভো নরডিস্ক এ কারণে স্থূলতার চিকিৎসা হিসেবে ‘উইগভি’ নিয়ে কাজ করছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ইনসেপ্টার তৈরি করা অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার প্যাক সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আছে। এসব দেশে ‘ওজেমপিক’–এর পেটেন্ট সুরক্ষিত থাকলেও এসব দেশে ইনসেপ্টার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইনসেপ্টার স্থূলতা কমানোর ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রির জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ইনসেপ্টাকে ফিটারো বা ওরসেমা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে, এটি কেবল তখনই তারা করতে পারবে যখন আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
অনুমোদনের জটিলতা থাকার কারণে এ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের নাম করে এসব ওষুধ নেওয়া হয়।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে তৈরি সেমাগ্লুটাইড ওষুধ ভারতভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়া মার্টে বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে যে, নভো নরডিস্কের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘সেমাগ্লুটাইড’ ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।
রয়টার্স অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, কেনিয়া, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাস্টমস বিভাগ এবং ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে জব্দ করা ওষুধের সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এশিয়াভিত্তিক চারটিসহ মোট ৬টি কম পরিচিত কোম্পানি সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে।
এর মধ্যে অন্তত তিনটি কোম্পানি ওষুধ তৈরির মূল উপাদান চীন থেকে আমদানি করেছে। এ ছাড়া, এসব কোম্পানি উৎপাদক দেশের বাইরে অন্য দেশে এসব ওষুধের বিজ্ঞাপন অন্তত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার করেছে। রয়টার্স বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছে, এই কোম্পানিগুলো স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অনুমোদিত বৈশ্বিক পেটেন্ট সুবিধার ছাড় এবং চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পেটেন্ট প্রয়োগের শিথিল নীতিমালার সুযোগ নেয়।
নভো নরডিস্ক রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি সেমাগ্লুটাইড উৎপাদনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত হলেও বাংলাদেশ–লাওসের মতো দেশগুলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে তালিকায় থাকার কারণে এর থেকে অব্যাহতির সুযোগ ভোগ করে।
নভো নরডিস্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কম উন্নত দেশগুলোতে পেটেন্ট লাইসেন্সের প্রয়োগ করে না। ওজেমপিকের ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নভো নরডিস্কের সম্ভাব্য পেটেন্ট লঙ্ঘনের আর্থিক প্রভাব বর্তমানে খুব বেশি নয়।
তবে পেটেন্ট ছাড়াই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধের কপি বা ‘অনুলিপি’ স্বাস্থ্যসেবায় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রকেরা ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক কিছু ওষুধ জব্দ, ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে রয়টার্স এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে, এই ওষুধগুলো রোগীদের কোনো ক্ষতি করেছে। তবে ব্যাপক আকারে এসব ওষুধের ছড়িয়ে পড়া বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সমান্তরাল সরবরাহ শৃঙ্খল
বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইনসেপ্টার ওরসেমা বাংলাদেশে অনুমোদিত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ফিটারোও বিক্রির জন্য অনুমোদিত। ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইনসেপ্টার তৈরি ফিটারো ইনজেক্টর পেন ২০ জন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। যাদের প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক।
ক্লিনিকটির এক ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে রোগীরা এই চিকিৎসার বিষয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় ক্লিনিকটির নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন রোগীরা জানতে পারেন যে, বাংলাদেশে ফিটারো গ্রহণের মাসিক খরচ প্রায় মাত্র ৬০ ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে উইগভির জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার), তখন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারকের নাম-পরিচয় নিয়ে খুব একটি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।’
কেবল বাংলাদেশেই নয়, লাওসেও এই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিষয়ে লাওসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক দাভোনে দুয়াংদানি রয়টার্সকে জানান, লাওসে সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধগুলো কেবল দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ করা যেতে পারে।
তবে কিছু চীনা কোম্পানি লাওসে উৎপাদিত সেমাগ্লুটাইড ট্যাবলেটের পক্ষে চীনে প্রচারণা চালাচ্ছে। চীনে নভো নরডিস্কের পেটেন্টের মেয়াদ ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের জুনে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে সেমাগ্লুটাইড প্রস্তুতকারী নানজিং হানজিন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি লাওসের বোটেন এলিমেন্টো ফার্মার প্রস্তুত করা ‘সেমাগকেয়ার’ ট্যাবলেট প্রদর্শন করে।
নানজিং হানজিনের পরিচালক অ্যাবদু জোগবি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি লাওসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না (সেমাগকেয়ার কোন দেশগুলোতে বিক্রি হয়), তবে আমরা এর প্রচারণা চালাচ্ছি। কারণ, তারা যত বেশি বিক্রি করবে, আমরা তাদের কাছে তত বেশি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) সরবরাহ করতে পারব।
ইনসেপ্টাকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহকারীর তালিকায় রয়েছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০২০–২৪ সালের মধ্যে চীন ও হংকং থেকে অন্তত ৮৯২ গ্রাম সেমাগ্লুটাইড আমদানি করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৫ হাজার ডলার। ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক ২০২৩–২৪ সালে রাশিয়ার ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেরোফার্মকে অন্তত ২৫ দশমিক ৬ কেজি সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লাখ ডলার।
চীনা কাস্টমসের তথ্য বলছে, ইনসেপ্টা কেবল চীন থেকে নয় সুইজারল্যান্ডের জেনেরিক ড্রাগ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাচেমের কাছ থেকেও উপাদানটি আমদানি করেছে।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সুবিধা এবং সস্তায় উৎপাদন সক্ষমতার কারণে এই সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সামান্য পরিমাণে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে।
এসব ওষুধের অন্যতম প্রধান উপাদান ‘সেমাগ্লুটাইড’। এই সেমাগ্লুটাইড মূলত রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এটি নভো নরডিস্কের বিখ্যাত ওষুধ ‘উইগভি’ ও ‘ওজেমপিকের’ মূল উপাদান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনসেপ্টার যেসব ওষুধ রপ্তানি করে সেগুলো মূলত এশিয়াভিত্তিক একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ‘ওজেমপিকের’ সুলভ ‘কপি’ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী এই ওষুধের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওজেমপিক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। নভো নরডিস্ক এ কারণে স্থূলতার চিকিৎসা হিসেবে ‘উইগভি’ নিয়ে কাজ করছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ইনসেপ্টার তৈরি করা অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার প্যাক সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আছে। এসব দেশে ‘ওজেমপিক’–এর পেটেন্ট সুরক্ষিত থাকলেও এসব দেশে ইনসেপ্টার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইনসেপ্টার স্থূলতা কমানোর ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রির জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ইনসেপ্টাকে ফিটারো বা ওরসেমা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে, এটি কেবল তখনই তারা করতে পারবে যখন আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
অনুমোদনের জটিলতা থাকার কারণে এ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের নাম করে এসব ওষুধ নেওয়া হয়।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে তৈরি সেমাগ্লুটাইড ওষুধ ভারতভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়া মার্টে বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে যে, নভো নরডিস্কের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘সেমাগ্লুটাইড’ ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।
রয়টার্স অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, কেনিয়া, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাস্টমস বিভাগ এবং ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে জব্দ করা ওষুধের সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এশিয়াভিত্তিক চারটিসহ মোট ৬টি কম পরিচিত কোম্পানি সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে।
এর মধ্যে অন্তত তিনটি কোম্পানি ওষুধ তৈরির মূল উপাদান চীন থেকে আমদানি করেছে। এ ছাড়া, এসব কোম্পানি উৎপাদক দেশের বাইরে অন্য দেশে এসব ওষুধের বিজ্ঞাপন অন্তত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার করেছে। রয়টার্স বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছে, এই কোম্পানিগুলো স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অনুমোদিত বৈশ্বিক পেটেন্ট সুবিধার ছাড় এবং চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পেটেন্ট প্রয়োগের শিথিল নীতিমালার সুযোগ নেয়।
নভো নরডিস্ক রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি সেমাগ্লুটাইড উৎপাদনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত হলেও বাংলাদেশ–লাওসের মতো দেশগুলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে তালিকায় থাকার কারণে এর থেকে অব্যাহতির সুযোগ ভোগ করে।
নভো নরডিস্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কম উন্নত দেশগুলোতে পেটেন্ট লাইসেন্সের প্রয়োগ করে না। ওজেমপিকের ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নভো নরডিস্কের সম্ভাব্য পেটেন্ট লঙ্ঘনের আর্থিক প্রভাব বর্তমানে খুব বেশি নয়।
তবে পেটেন্ট ছাড়াই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধের কপি বা ‘অনুলিপি’ স্বাস্থ্যসেবায় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রকেরা ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক কিছু ওষুধ জব্দ, ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে রয়টার্স এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে, এই ওষুধগুলো রোগীদের কোনো ক্ষতি করেছে। তবে ব্যাপক আকারে এসব ওষুধের ছড়িয়ে পড়া বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সমান্তরাল সরবরাহ শৃঙ্খল
বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইনসেপ্টার ওরসেমা বাংলাদেশে অনুমোদিত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ফিটারোও বিক্রির জন্য অনুমোদিত। ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইনসেপ্টার তৈরি ফিটারো ইনজেক্টর পেন ২০ জন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। যাদের প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক।
ক্লিনিকটির এক ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে রোগীরা এই চিকিৎসার বিষয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় ক্লিনিকটির নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন রোগীরা জানতে পারেন যে, বাংলাদেশে ফিটারো গ্রহণের মাসিক খরচ প্রায় মাত্র ৬০ ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে উইগভির জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার), তখন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারকের নাম-পরিচয় নিয়ে খুব একটি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।’
কেবল বাংলাদেশেই নয়, লাওসেও এই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিষয়ে লাওসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক দাভোনে দুয়াংদানি রয়টার্সকে জানান, লাওসে সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধগুলো কেবল দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ করা যেতে পারে।
তবে কিছু চীনা কোম্পানি লাওসে উৎপাদিত সেমাগ্লুটাইড ট্যাবলেটের পক্ষে চীনে প্রচারণা চালাচ্ছে। চীনে নভো নরডিস্কের পেটেন্টের মেয়াদ ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের জুনে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে সেমাগ্লুটাইড প্রস্তুতকারী নানজিং হানজিন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি লাওসের বোটেন এলিমেন্টো ফার্মার প্রস্তুত করা ‘সেমাগকেয়ার’ ট্যাবলেট প্রদর্শন করে।
নানজিং হানজিনের পরিচালক অ্যাবদু জোগবি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি লাওসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না (সেমাগকেয়ার কোন দেশগুলোতে বিক্রি হয়), তবে আমরা এর প্রচারণা চালাচ্ছি। কারণ, তারা যত বেশি বিক্রি করবে, আমরা তাদের কাছে তত বেশি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) সরবরাহ করতে পারব।
ইনসেপ্টাকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহকারীর তালিকায় রয়েছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০২০–২৪ সালের মধ্যে চীন ও হংকং থেকে অন্তত ৮৯২ গ্রাম সেমাগ্লুটাইড আমদানি করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৫ হাজার ডলার। ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক ২০২৩–২৪ সালে রাশিয়ার ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেরোফার্মকে অন্তত ২৫ দশমিক ৬ কেজি সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লাখ ডলার।
চীনা কাস্টমসের তথ্য বলছে, ইনসেপ্টা কেবল চীন থেকে নয় সুইজারল্যান্ডের জেনেরিক ড্রাগ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাচেমের কাছ থেকেও উপাদানটি আমদানি করেছে।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সুবিধা এবং সস্তায় উৎপাদন সক্ষমতার কারণে এই সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সামান্য পরিমাণে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে।
এসব ওষুধের অন্যতম প্রধান উপাদান ‘সেমাগ্লুটাইড’। এই সেমাগ্লুটাইড মূলত রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এটি নভো নরডিস্কের বিখ্যাত ওষুধ ‘উইগভি’ ও ‘ওজেমপিকের’ মূল উপাদান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনসেপ্টার যেসব ওষুধ রপ্তানি করে সেগুলো মূলত এশিয়াভিত্তিক একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ‘ওজেমপিকের’ সুলভ ‘কপি’ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী এই ওষুধের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওজেমপিক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। নভো নরডিস্ক এ কারণে স্থূলতার চিকিৎসা হিসেবে ‘উইগভি’ নিয়ে কাজ করছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ইনসেপ্টার তৈরি করা অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার প্যাক সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আছে। এসব দেশে ‘ওজেমপিক’–এর পেটেন্ট সুরক্ষিত থাকলেও এসব দেশে ইনসেপ্টার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইনসেপ্টার স্থূলতা কমানোর ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রির জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ইনসেপ্টাকে ফিটারো বা ওরসেমা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে, এটি কেবল তখনই তারা করতে পারবে যখন আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
অনুমোদনের জটিলতা থাকার কারণে এ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের নাম করে এসব ওষুধ নেওয়া হয়।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে তৈরি সেমাগ্লুটাইড ওষুধ ভারতভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়া মার্টে বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে যে, নভো নরডিস্কের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘সেমাগ্লুটাইড’ ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।
রয়টার্স অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, কেনিয়া, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাস্টমস বিভাগ এবং ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে জব্দ করা ওষুধের সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এশিয়াভিত্তিক চারটিসহ মোট ৬টি কম পরিচিত কোম্পানি সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে।
এর মধ্যে অন্তত তিনটি কোম্পানি ওষুধ তৈরির মূল উপাদান চীন থেকে আমদানি করেছে। এ ছাড়া, এসব কোম্পানি উৎপাদক দেশের বাইরে অন্য দেশে এসব ওষুধের বিজ্ঞাপন অন্তত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার করেছে। রয়টার্স বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছে, এই কোম্পানিগুলো স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অনুমোদিত বৈশ্বিক পেটেন্ট সুবিধার ছাড় এবং চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পেটেন্ট প্রয়োগের শিথিল নীতিমালার সুযোগ নেয়।
নভো নরডিস্ক রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি সেমাগ্লুটাইড উৎপাদনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত হলেও বাংলাদেশ–লাওসের মতো দেশগুলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে তালিকায় থাকার কারণে এর থেকে অব্যাহতির সুযোগ ভোগ করে।
নভো নরডিস্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কম উন্নত দেশগুলোতে পেটেন্ট লাইসেন্সের প্রয়োগ করে না। ওজেমপিকের ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নভো নরডিস্কের সম্ভাব্য পেটেন্ট লঙ্ঘনের আর্থিক প্রভাব বর্তমানে খুব বেশি নয়।
তবে পেটেন্ট ছাড়াই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধের কপি বা ‘অনুলিপি’ স্বাস্থ্যসেবায় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রকেরা ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক কিছু ওষুধ জব্দ, ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে রয়টার্স এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে, এই ওষুধগুলো রোগীদের কোনো ক্ষতি করেছে। তবে ব্যাপক আকারে এসব ওষুধের ছড়িয়ে পড়া বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সমান্তরাল সরবরাহ শৃঙ্খল
বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইনসেপ্টার ওরসেমা বাংলাদেশে অনুমোদিত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ফিটারোও বিক্রির জন্য অনুমোদিত। ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইনসেপ্টার তৈরি ফিটারো ইনজেক্টর পেন ২০ জন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। যাদের প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক।
ক্লিনিকটির এক ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে রোগীরা এই চিকিৎসার বিষয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় ক্লিনিকটির নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন রোগীরা জানতে পারেন যে, বাংলাদেশে ফিটারো গ্রহণের মাসিক খরচ প্রায় মাত্র ৬০ ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে উইগভির জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার), তখন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারকের নাম-পরিচয় নিয়ে খুব একটি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।’
কেবল বাংলাদেশেই নয়, লাওসেও এই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিষয়ে লাওসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক দাভোনে দুয়াংদানি রয়টার্সকে জানান, লাওসে সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধগুলো কেবল দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ করা যেতে পারে।
তবে কিছু চীনা কোম্পানি লাওসে উৎপাদিত সেমাগ্লুটাইড ট্যাবলেটের পক্ষে চীনে প্রচারণা চালাচ্ছে। চীনে নভো নরডিস্কের পেটেন্টের মেয়াদ ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের জুনে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে সেমাগ্লুটাইড প্রস্তুতকারী নানজিং হানজিন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি লাওসের বোটেন এলিমেন্টো ফার্মার প্রস্তুত করা ‘সেমাগকেয়ার’ ট্যাবলেট প্রদর্শন করে।
নানজিং হানজিনের পরিচালক অ্যাবদু জোগবি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি লাওসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না (সেমাগকেয়ার কোন দেশগুলোতে বিক্রি হয়), তবে আমরা এর প্রচারণা চালাচ্ছি। কারণ, তারা যত বেশি বিক্রি করবে, আমরা তাদের কাছে তত বেশি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) সরবরাহ করতে পারব।
ইনসেপ্টাকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহকারীর তালিকায় রয়েছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০২০–২৪ সালের মধ্যে চীন ও হংকং থেকে অন্তত ৮৯২ গ্রাম সেমাগ্লুটাইড আমদানি করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৫ হাজার ডলার। ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক ২০২৩–২৪ সালে রাশিয়ার ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেরোফার্মকে অন্তত ২৫ দশমিক ৬ কেজি সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লাখ ডলার।
চীনা কাস্টমসের তথ্য বলছে, ইনসেপ্টা কেবল চীন থেকে নয় সুইজারল্যান্ডের জেনেরিক ড্রাগ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাচেমের কাছ থেকেও উপাদানটি আমদানি করেছে।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সুবিধা এবং সস্তায় উৎপাদন সক্ষমতার কারণে এই সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সামান্য পরিমাণে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে।
এসব ওষুধের অন্যতম প্রধান উপাদান ‘সেমাগ্লুটাইড’। এই সেমাগ্লুটাইড মূলত রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এটি নভো নরডিস্কের বিখ্যাত ওষুধ ‘উইগভি’ ও ‘ওজেমপিকের’ মূল উপাদান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনসেপ্টার যেসব ওষুধ রপ্তানি করে সেগুলো মূলত এশিয়াভিত্তিক একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ‘ওজেমপিকের’ সুলভ ‘কপি’ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী এই ওষুধের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওজেমপিক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। নভো নরডিস্ক এ কারণে স্থূলতার চিকিৎসা হিসেবে ‘উইগভি’ নিয়ে কাজ করছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ইনসেপ্টার তৈরি করা অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার প্যাক সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আছে। এসব দেশে ‘ওজেমপিক’–এর পেটেন্ট সুরক্ষিত থাকলেও এসব দেশে ইনসেপ্টার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইনসেপ্টার স্থূলতা কমানোর ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রির জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ইনসেপ্টাকে ফিটারো বা ওরসেমা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে, এটি কেবল তখনই তারা করতে পারবে যখন আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
অনুমোদনের জটিলতা থাকার কারণে এ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের নাম করে এসব ওষুধ নেওয়া হয়।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে তৈরি সেমাগ্লুটাইড ওষুধ ভারতভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়া মার্টে বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে যে, নভো নরডিস্কের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘সেমাগ্লুটাইড’ ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।
রয়টার্স অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, কেনিয়া, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাস্টমস বিভাগ এবং ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে জব্দ করা ওষুধের সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এশিয়াভিত্তিক চারটিসহ মোট ৬টি কম পরিচিত কোম্পানি সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে।
এর মধ্যে অন্তত তিনটি কোম্পানি ওষুধ তৈরির মূল উপাদান চীন থেকে আমদানি করেছে। এ ছাড়া, এসব কোম্পানি উৎপাদক দেশের বাইরে অন্য দেশে এসব ওষুধের বিজ্ঞাপন অন্তত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার করেছে। রয়টার্স বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছে, এই কোম্পানিগুলো স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অনুমোদিত বৈশ্বিক পেটেন্ট সুবিধার ছাড় এবং চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পেটেন্ট প্রয়োগের শিথিল নীতিমালার সুযোগ নেয়।
নভো নরডিস্ক রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি সেমাগ্লুটাইড উৎপাদনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত হলেও বাংলাদেশ–লাওসের মতো দেশগুলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে তালিকায় থাকার কারণে এর থেকে অব্যাহতির সুযোগ ভোগ করে।
নভো নরডিস্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কম উন্নত দেশগুলোতে পেটেন্ট লাইসেন্সের প্রয়োগ করে না। ওজেমপিকের ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নভো নরডিস্কের সম্ভাব্য পেটেন্ট লঙ্ঘনের আর্থিক প্রভাব বর্তমানে খুব বেশি নয়।
তবে পেটেন্ট ছাড়াই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধের কপি বা ‘অনুলিপি’ স্বাস্থ্যসেবায় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রকেরা ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক কিছু ওষুধ জব্দ, ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে রয়টার্স এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে, এই ওষুধগুলো রোগীদের কোনো ক্ষতি করেছে। তবে ব্যাপক আকারে এসব ওষুধের ছড়িয়ে পড়া বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সমান্তরাল সরবরাহ শৃঙ্খল
বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইনসেপ্টার ওরসেমা বাংলাদেশে অনুমোদিত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ফিটারোও বিক্রির জন্য অনুমোদিত। ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইনসেপ্টার তৈরি ফিটারো ইনজেক্টর পেন ২০ জন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। যাদের প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক।
ক্লিনিকটির এক ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে রোগীরা এই চিকিৎসার বিষয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় ক্লিনিকটির নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন রোগীরা জানতে পারেন যে, বাংলাদেশে ফিটারো গ্রহণের মাসিক খরচ প্রায় মাত্র ৬০ ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে উইগভির জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার), তখন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারকের নাম-পরিচয় নিয়ে খুব একটি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।’
কেবল বাংলাদেশেই নয়, লাওসেও এই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিষয়ে লাওসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক দাভোনে দুয়াংদানি রয়টার্সকে জানান, লাওসে সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধগুলো কেবল দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ করা যেতে পারে।
তবে কিছু চীনা কোম্পানি লাওসে উৎপাদিত সেমাগ্লুটাইড ট্যাবলেটের পক্ষে চীনে প্রচারণা চালাচ্ছে। চীনে নভো নরডিস্কের পেটেন্টের মেয়াদ ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের জুনে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে সেমাগ্লুটাইড প্রস্তুতকারী নানজিং হানজিন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি লাওসের বোটেন এলিমেন্টো ফার্মার প্রস্তুত করা ‘সেমাগকেয়ার’ ট্যাবলেট প্রদর্শন করে।
নানজিং হানজিনের পরিচালক অ্যাবদু জোগবি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি লাওসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না (সেমাগকেয়ার কোন দেশগুলোতে বিক্রি হয়), তবে আমরা এর প্রচারণা চালাচ্ছি। কারণ, তারা যত বেশি বিক্রি করবে, আমরা তাদের কাছে তত বেশি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) সরবরাহ করতে পারব।
ইনসেপ্টাকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহকারীর তালিকায় রয়েছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০২০–২৪ সালের মধ্যে চীন ও হংকং থেকে অন্তত ৮৯২ গ্রাম সেমাগ্লুটাইড আমদানি করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৫ হাজার ডলার। ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক ২০২৩–২৪ সালে রাশিয়ার ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেরোফার্মকে অন্তত ২৫ দশমিক ৬ কেজি সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লাখ ডলার।
চীনা কাস্টমসের তথ্য বলছে, ইনসেপ্টা কেবল চীন থেকে নয় সুইজারল্যান্ডের জেনেরিক ড্রাগ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাচেমের কাছ থেকেও উপাদানটি আমদানি করেছে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
০২ নভেম্বর ২০২৪
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
০২ নভেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
০২ নভেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
০২ নভেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে