সাজ্জাদ হোসেন
কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতে সংকট সহসা কাটছে না। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে তারা। এতে ভোক্তার হাতে কমেছে নগদ অর্থের প্রবাহ। কমে যাচ্ছে ক্রয়ক্ষমতা। এর জেরে চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কমেছে ২৮ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ইউরোপের বাজারে কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আসছে। মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গুঞ্জন আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অস্বস্তি তৈরি করেছে ব্যবসায়ী মহলে। অন্যদিকে ইউরোপ তৈরি পোশাকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে পারে—এমন কথা চাউর হয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজনৈতিক কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ ও শুল্কারোপের মতো ঘটনা ঘটলে সেটির প্রভাব কেমন হবে জানতে আজকের পত্রিকার সাজ্জাদ হোসেন গতকাল শনিবার কথা বলেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হোসেনের সঙ্গে।
আজকের পত্রিকা: কেমন আছেন?
ফারুক হাসান: দেশের যা পরিস্থিতি তাতে ভালো থাকার কথা না! প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছি। চারদিক থেকে চাপে আছি। মালিকদের চাপ, ক্রেতাদের চাপ। বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে এটা-ওটা জানতে চাচ্ছে। ফোনের পর ফোন আসছে। এইগুলো নিয়ে চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র আরও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আপনারা ব্যবসায়ীরা কী ভাবছেন?
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে আমাদের তৈরি পোশাক খাতে এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এরপর যদি আরও নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে আমাদের রপ্তানি খাতে অনেক সমস্যা হবে। এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে এত বেশি লেখালেখি হচ্ছে, তাতে তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা আসছে—এই খবরে আমাদের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তৈরি পোশাকের ক্রেতারা কী ভাবছে?
ফারুক হাসান: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্রেতারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে কী হয়। বায়ারদের চিন্তা হচ্ছে, সামনের যে নির্বাচন আসছে, সেখানে কী হতে যাচ্ছে। তাদের মনে হচ্ছে, যদি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় তাহলে ক্রয়াদেশ দিলেও ঠিকমতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া বায়ারদের মধ্যে আরও একটি ব্যাপার কাজ করছে তা হলো—বাংলাদেশ সম্ভবত বিভিন্ন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে। আজকেও (শনিবার) আমাকে দুজন বায়ার তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। আমি তাদের এই ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু মিলিয়ে আমি বেশ চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ও আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি পোশাকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। ইউরোপ তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক বসালে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে কেমন প্রভাব পড়বে?
ফারুক হাসান: ইউরোপ যদি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে, তাহলে আমাদের রপ্তানি ধসে পড়বে। আমাদের পোশাক রপ্তানি আর টিকবে না। তৈরি পোশাক খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা কোনোভাবে ইউরোপের বাজারে শুল্ক দিয়ে পোশাক রপ্তানি করতে পারব না। ইউরোপের শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের পোশাকের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাবে। শুল্ক আরোপ হলে আমাদের খুবই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আমরা এই শুল্কারোপ চাই না। এই শুল্কারোপ যাতে না হয় এই জন্য রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা হলে আমি তাঁদের এই ব্যাপারে বলছি। শুল্কারোপ হলে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সে ব্যাপারে সরকারের উচিত অবগত থাকা।
আজকের পত্রিকা: আপনারা সরকারকে এই উদ্বেগগুলো জানিয়েছেন কি না?
ফারুক হাসান: ইউরোপের বাজারে এখন শুল্কারোপের যে কথা উঠছে, নির্বাচনকে ঘিরে সেটা নিয়ে আমরা সরকারকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আমরা বারবার বলছি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, সরকার আমাদের এই উদ্বেগের বিষয়গুলো আমলে নেবে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও (শনিবার) একটা অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।
আজকের পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
ফারুক হাসান: আমার মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবে। তবে কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর স্যাংশন দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যদি সেটিও করে, তাহলেও আমাদের ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা অনেক দিন ধরে কথাবার্তা বলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা শ্রম আইন ও শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে কথা বলছে।
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো শ্রম আইন সংশোধনের জন্য বলছে বেশ আগে থেকে। শ্রম আইন নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে উদ্বেগ আছে, সেটা সরকারকে জানাচ্ছি প্রতিনিয়ত। সরকারকে বলেছি, আইএলওর সর্বজনীন শ্রমিক অধিকারের আলোকে তারা (ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে শ্রম আইনের সংশোধন চাচ্ছে। সরকার থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, সংশোধিত শ্রম আইন কেবিনেটে আছে। শিগগিরই নতুন সংশোধিত শ্রম আইন পাস হয়ে যাবে। আমি এই ব্যাপারে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছি যাতে সরকার শ্রম আইন তাড়াতাড়ি পাস করে। আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সরকারকে বলতে পারি। এটা শেষমেশ সরকারকেই করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সরকারের ভাবনা কী এই ব্যাপারে?
ফারুক হাসান: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার সুযোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি অনেক দিনের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাকে বলেছে, ইপিজেড এলাকায় যদি শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার দেওয়া না হয়, তাহলে তোমরা সমস্যায় পড়বে। আমরা সরকারকে বলেছি তাদের দাবিগুলো আমলে নিতে।
কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতে সংকট সহসা কাটছে না। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে তারা। এতে ভোক্তার হাতে কমেছে নগদ অর্থের প্রবাহ। কমে যাচ্ছে ক্রয়ক্ষমতা। এর জেরে চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কমেছে ২৮ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ইউরোপের বাজারে কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আসছে। মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গুঞ্জন আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অস্বস্তি তৈরি করেছে ব্যবসায়ী মহলে। অন্যদিকে ইউরোপ তৈরি পোশাকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে পারে—এমন কথা চাউর হয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজনৈতিক কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ ও শুল্কারোপের মতো ঘটনা ঘটলে সেটির প্রভাব কেমন হবে জানতে আজকের পত্রিকার সাজ্জাদ হোসেন গতকাল শনিবার কথা বলেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হোসেনের সঙ্গে।
আজকের পত্রিকা: কেমন আছেন?
ফারুক হাসান: দেশের যা পরিস্থিতি তাতে ভালো থাকার কথা না! প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছি। চারদিক থেকে চাপে আছি। মালিকদের চাপ, ক্রেতাদের চাপ। বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে এটা-ওটা জানতে চাচ্ছে। ফোনের পর ফোন আসছে। এইগুলো নিয়ে চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র আরও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আপনারা ব্যবসায়ীরা কী ভাবছেন?
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে আমাদের তৈরি পোশাক খাতে এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এরপর যদি আরও নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে আমাদের রপ্তানি খাতে অনেক সমস্যা হবে। এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে এত বেশি লেখালেখি হচ্ছে, তাতে তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা আসছে—এই খবরে আমাদের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তৈরি পোশাকের ক্রেতারা কী ভাবছে?
ফারুক হাসান: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্রেতারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে কী হয়। বায়ারদের চিন্তা হচ্ছে, সামনের যে নির্বাচন আসছে, সেখানে কী হতে যাচ্ছে। তাদের মনে হচ্ছে, যদি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় তাহলে ক্রয়াদেশ দিলেও ঠিকমতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া বায়ারদের মধ্যে আরও একটি ব্যাপার কাজ করছে তা হলো—বাংলাদেশ সম্ভবত বিভিন্ন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে। আজকেও (শনিবার) আমাকে দুজন বায়ার তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। আমি তাদের এই ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু মিলিয়ে আমি বেশ চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ও আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি পোশাকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। ইউরোপ তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক বসালে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে কেমন প্রভাব পড়বে?
ফারুক হাসান: ইউরোপ যদি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে, তাহলে আমাদের রপ্তানি ধসে পড়বে। আমাদের পোশাক রপ্তানি আর টিকবে না। তৈরি পোশাক খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা কোনোভাবে ইউরোপের বাজারে শুল্ক দিয়ে পোশাক রপ্তানি করতে পারব না। ইউরোপের শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের পোশাকের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাবে। শুল্ক আরোপ হলে আমাদের খুবই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আমরা এই শুল্কারোপ চাই না। এই শুল্কারোপ যাতে না হয় এই জন্য রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা হলে আমি তাঁদের এই ব্যাপারে বলছি। শুল্কারোপ হলে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সে ব্যাপারে সরকারের উচিত অবগত থাকা।
আজকের পত্রিকা: আপনারা সরকারকে এই উদ্বেগগুলো জানিয়েছেন কি না?
ফারুক হাসান: ইউরোপের বাজারে এখন শুল্কারোপের যে কথা উঠছে, নির্বাচনকে ঘিরে সেটা নিয়ে আমরা সরকারকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আমরা বারবার বলছি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, সরকার আমাদের এই উদ্বেগের বিষয়গুলো আমলে নেবে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও (শনিবার) একটা অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।
আজকের পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
ফারুক হাসান: আমার মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবে। তবে কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর স্যাংশন দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যদি সেটিও করে, তাহলেও আমাদের ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা অনেক দিন ধরে কথাবার্তা বলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা শ্রম আইন ও শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে কথা বলছে।
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো শ্রম আইন সংশোধনের জন্য বলছে বেশ আগে থেকে। শ্রম আইন নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে উদ্বেগ আছে, সেটা সরকারকে জানাচ্ছি প্রতিনিয়ত। সরকারকে বলেছি, আইএলওর সর্বজনীন শ্রমিক অধিকারের আলোকে তারা (ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে শ্রম আইনের সংশোধন চাচ্ছে। সরকার থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, সংশোধিত শ্রম আইন কেবিনেটে আছে। শিগগিরই নতুন সংশোধিত শ্রম আইন পাস হয়ে যাবে। আমি এই ব্যাপারে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছি যাতে সরকার শ্রম আইন তাড়াতাড়ি পাস করে। আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সরকারকে বলতে পারি। এটা শেষমেশ সরকারকেই করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সরকারের ভাবনা কী এই ব্যাপারে?
ফারুক হাসান: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার সুযোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি অনেক দিনের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাকে বলেছে, ইপিজেড এলাকায় যদি শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার দেওয়া না হয়, তাহলে তোমরা সমস্যায় পড়বে। আমরা সরকারকে বলেছি তাদের দাবিগুলো আমলে নিতে।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৫ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৫ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৬ ঘণ্টা আগে