বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী অসৎ ব্যবসায়ীদের দায় নেবে না এফবিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৪৭

অসৎ ব্যবসায়ীদের তৈরি করা কৃত্রিম সংকটে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। এসব ব্যবসায়ীর দায় এফবিসিসিআই নেবে না। বরং বাজার সমিতি তাঁদের চিহ্নিত করবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে।

এমন কথা বলেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ সভা করে এফবিসিসিআই।

সভায় মাহবুবুল আলম বলেন, ‘রমজান মাস ইবাদতের মাস। আপনারা সারা বছর ব্যবসা করেন, রমজান মাসেও করবেন। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে উৎসব উপলক্ষে ছাড় দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও তেমন হতে হবে। আপনারা রমজান মাসে ন্যায্য লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এ বিষয়ে সতর্ক আছেন। তাই এই দিক সবাইকে সাবধান হতে হবে।’

অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কথা বলবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রমজানে বাজার মনিটরিং পুলিশ দিয়ে করানো হোক, তা চাই না। বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিটরিং করলেই হয়। আপনার এটা না করলে সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। এটা আমরা চাই না। অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কোনো কথা বলবে না।’

এফবিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘রমজান মাসে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাপ্লাই চেইনে ঘাটতি হলে কৃত্রিম সংকট তৈরি হবে। এটা যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে সবাইকে। ব্যবসায়ীরা লাভও করে, লসও করে। তবে এই লাভটা যেন ন্যায্য হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পথে চাঁদাবাজির শিকার হলে আমাদের জানাবেন। আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আলাপ করব।’

মতবিনিময় সভায় শ্যামবাজার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসবে। তখন পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে।’

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সভাপতি বলেন, ‘উৎপাদক পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করে। দাম সহনীয় রাখতে খুচরা ও আড়তদারদের সঙ্গে ভোক্তার অধিকারের আলোচনা প্রয়োজন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত