ন্যাশনাল টির অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১: ১২

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানির মূলধন বাড়াতে চাঁদা উত্তোলনের (সাবস্ক্রিপশন) সময় বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। 
 
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ৯২৬ তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সভা শেষে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডর (এনটিসি) বিগত ৫ বছরে সরকারি শেয়ারধারণ হ্রাসের কারণ, শেয়ার বিক্রয় বা হস্তান্তরের মাধ্যমে কোম্পানির মূলধন কাঠামোর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, শেয়ারের চাঁদা গ্রহণের সময় বৃদ্ধির আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় বিও হিসাবে শেয়ার ক্রেডিট করার কারণ, বিদ্যমান ঋণের দায় এবং গত তিন বছর ধরে ক্রমাগত লোকসানের কারণ, কোম্পানির শেয়ারদরের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কারণ, মূলধন বৃদ্ধির সম্মতিপত্রে উল্লেখিত শর্তসমূহের পরিপালিত হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করাসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত পরিচালনার জন্য বিএসইসি এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কমিশনের সম্মতিপত্রে উল্লিখিত সরকারের শেয়ার ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের (এনটিসি) আবেদন মোতাবেক মূলধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রদত্ত সম্মতিপত্রের মেয়াদ (শেয়ারের চাঁদা গ্রহণের সময়সীমাসহ) ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। একই সঙ্গে সংগৃহীত চাঁদার ক্ষেত্রে সরকারের শেয়ার ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির শর্ত পরিপালিত না হলে কমিশনের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোম্পানিটি ওই চাঁদা বহার করতে পারবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।’ 

কোম্পানিটি মূলধন বাড়াতে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিদ্যমান শেয়ারধারীদের মধ্যে নতুন ২ কোটি ৩৪ লাখ শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের এপ্রিলে বিএসইসি বিষয়টি অনুমোদন করে। 

নিয়ম অনুযায়ী, এনটিসির প্লেসমেন্ট শেয়ারের চাঁদা গ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ছিল ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এর মধ্যে গত ১৯ জুন থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে চাঁদা গ্রহণের কার্যক্রম। নির্ধারিত সময়ে ২৮০ কোটি টাকার বিপরীতে চাঁদা জমা পড়ে মাত্র ৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ, প্রত্যাশার ১৯ শতাংশ। বাকি ৮১ শতাংশ শেয়ারধারী তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা শেয়ারের জন্য চাঁদা জমা দেননি। 

ওই কারণে কোম্পানির পর্ষদের পক্ষ থেকে মূলধন সংগ্রহ কার্যক্রমের সময় আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই এবং প্লেসমেন্টের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ না হতেই যে ১৯ শতাংশ আবেদনকারী চাঁদা জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২ অক্টোবর শেয়ার বণ্টন করে দেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। 

কোম্পানির পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই কয়েকজন কর্মকর্তা শেয়ার বণ্টনের এই সিদ্ধান্ত নেন। বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য যোগসাজশ করে এমনটা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। 
 
অন্যদিকে নানা কারণে নির্ধারিত সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারের চাঁদা জমা দিতে না পারায় কোম্পানিটিতে সরকারের মালিকানা ৪১ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে নেমে আসে। এ অবস্থায় কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারের চাঁদা জমা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত