Ajker Patrika

আন্তর্জাতিক বন্দরের রূপ পেল বেনাপোল স্থলবন্দর

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি  
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৪: ২৩
নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর পূর্ণ সক্ষমতার বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি: আজকের পত্রিকা
নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর পূর্ণ সক্ষমতার বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে ৪১ একর জমিতে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের বাধায় বন্ধ থাকা ১৬ একরের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এখন বন্দরটি পূর্ণ সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে ২৫ একর জায়গায় কাজ সম্পন্ন হলেও বাকি অংশ চালু করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল সীমান্তের শূন্যরেখায়, বাংলাদেশ অংশে অবস্থিত।

নতুন এ টার্মিনালে ভারতীয় পণ্যবাহী দেড় হাজার ট্রাকের পার্কিং সুবিধা রয়েছে। ট্রাকচালকদের জন্য তিনটি আধুনিক টয়লেট কমপ্লেক্স, সেবা ভবন, ইউটিলিটি ভবন, কার্গো ভবন, ফায়ার সার্ভিস ভবনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছে, নতুন এ সুবিধা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, দেশের ১৪টি স্থলবন্দরের মাধ্যমে বর্তমানে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালিত হয়। কিন্তু বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় এর মাধ্যমে বাণিজ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে জায়গার সংকটের কারণে এত দিন ব্যবসায়ীদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩২৯ কোটি টাকা বরাদ্দে প্রথমে ২৫ একর ও পরে ১৬ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের পাশে ২৫ একরের কাজ শেষ হলেও ১৬ একরের নির্মাণে বিএসএফ বাধা দেয়। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রথমে ২৫ একরেই বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তী সময়ে আলোচনা শেষে ১৬ একরের নির্মাণ শেষ হলে এখন পুরো ৪১ একরেই কার্যক্রম চলছে।

ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক অসিম কুমার জানান, বন্দরে বাণিজ্য সুবিধা ও নিরাপত্তা অনেক বেড়েছে। আগের মতো আর রাস্তার ওপর ট্রাক পার্ক করতে হচ্ছে না। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, বিএসএফের বাধার কারণে ১৬ একরে কাজ আটকে ছিল। এখন সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছে। সামনের দিনগুলোয় এটি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে আরও বড় ভূমিকা রাখবে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন জানান, ৪১ একর জমিতে নির্মিত এই কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল এখন পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য সেবা দিচ্ছে। বাণিজ্যিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন্দরে আনসার, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমা এবং আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত