সাক্ষাৎকার

অধিকাংশ আউটলেটের কার্যক্রম গ্রামাঞ্চলে

আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আপনার ব্যাংকের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাই? 
আবেদ আহাম্মদ খান: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আমানত জমা হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। হিসাব খোলা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ। স্থানীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ করা করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। এসব তথ্যের মাধ্যমেই আমাদের ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম-সংক্রান্ত চিত্র সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আর ৭৩৭টি আউটলেটের মাধ্যমে একদিকে অর্ধসহস্রাধিক উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে, পাশাপাশি ২ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সাড়া বেশি পাচ্ছেন শহর নাকি গ্রামে? 
আবেদ আহাম্মদ খান: অবশ্যই গ্রামাঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বাড়তি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এজেন্ট ব্যাংকিং মূলত গ্রামভিত্তিক ব্যাংকিং খাত। আমাদের ৬৪৮টি আউটলেট গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত এবং মাত্র ৮৯টি শহরাঞ্চলে অবস্থিত। সেই হিসাবে ৮৬ শতাংশ আউটলেটের কার্যক্রম গ্রামাঞ্চলে পরিচালিত হচ্ছে। 

আজকের পত্রিকা: এজেন্টদের মাধ্যমে আমানতের পাশাপাশি বিনিয়োগ সম্ভব কি? 
আবেদ আহাম্মদ খান: অবশ্যই এজেন্টদের মাধ্যমে আমানতের পাশাপাশি বিনিয়োগ সম্ভব। তবে এজেন্ট সরাসরি কোনো বিনিয়োগ করতে পারেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী, এজেন্ট তার গ্রাহকদের মধ্যে বিনিয়োগ করতে হলে অবশ্যই শাখার মাধ্যমে করতে হবে। এজেন্টরা এক্ষেত্রে কেবল সহযোগিতা করবেন। 

আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মুনাফা নাকি লোকসান হচ্ছে? 
আবেদ আহাম্মদ খান: যেসব এজেন্ট শুরু থেকে কঠোর পরিশ্রম, আন্তরিক ও সততার সঙ্গে লেনদেন করে যাচ্ছেন, তাঁদের সবাই মুনাফা করছেন। এখানে বেশি মুনাফার সুযোগ রয়েছে। কেননা, গ্রাহকেরা ব্যাংকের শাখার চেয়ে এজেন্ট আউটলেট সেবায় বাড়তি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। 

আজকের পত্রিকা: নতুন গ্রাহক আকর্ষণে নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কী ভাবছেন? 
আবেদ আহাম্মদ খান: এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু থেকেই প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি আধুনিক হচ্ছে। গ্রাহকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করে যাচ্ছি। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত