মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ ইসলামিকে লেনদেন করে মক্কা-মদিনা সফরের জন্য প্রথম উপহার বিজয়ী হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের মোহাম্মদ মুন্না। ব্যাংক থেকে নগদ ইসলামিকে অ্যাড মানি করে এই উপহার জিতেছেন তিনি। সম্প্রতি মুন্নার বাড়ির সামনে তাঁর হাতে এই উপহারের কাগজপত্র তুলে দেন হলি টিউনের সিইও ইসলামিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। 

যাত্রা শুরুর পর থেকেই নগদ ইসলামিক বিভিন্ন আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইন এনেছে ইসলামপ্রিয় মানুষের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় এবার পবিত্র রমজান মাসে মক্কা-মদিনা সফরের এই ক্যাম্পেইন আনা হয়। নগদ ইসলামিক অ্যাপ বা *১৬৭# ডায়াল করে যেকোনো পরিমাণ টাকা লেনদেন করলেই নির্বাচিত হওয়া যাচ্ছিল মক্কা ও মদিনা সফরের জন্য। এর জন্য লেনদেনের কোনো সর্বনিম্ন সীমা ছিল না। যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করলেই এই সুযোগ পাওয়া যেত। 
এমনকি কোনো নির্দিষ্ট লেনদেনের ওপরও নয় এই অফার। নগদ অ্যাপ বা *১৬৭# ডায়াল করে যেকোনো লেনদেন করলেই এই সুযোগ পেতেন গ্রাহকেরা। মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্ট, ব্যাংক বা কার্ড থেকে অ্যাড মানিসহ যেকোনো লেনদেনই বিবেচ্য হয়েছে। কেবল শর্ত হচ্ছে, নগদ ইসলামিকের ব্যবহারকারী হতে হবে এবং পরিপূর্ণ সক্রিয় একটি নগদ ইসলামিক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। 
 
এই ক্যাম্পেইনে বেশ কয়েক জন মক্কা-মদিনা সফরের উপহার পাবেন। তার মধ্যে প্রথম উপহার পেলেন শ্রমিক মুন্না। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছোট ছেলে। পারিবারিকভাবেই কাঠের কাজের সঙ্গে জড়িত মুন্না। 

মুন্নার পরিবার সুদের লেনদেন করেন না। ফলে শুরু থেকেই পরিবারের সবাই একমাত্র শরিয়াহসম্মত মোবাইল লেনদেন সেবা নগদ ইসলামিক ব্যবহার করেন। এই ব্যবহার করতে গিয়েই ব্যাংক থেকে অ্যাড মানি করেন মুন্না। 

মক্কা-মদিনা সফরের উপহার পাওয়ার কথা শুনে আবেগে আপ্লুত মুন্না বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকেই ইসলামসম্মত জীবন যাপন করি। সে জন্য আমি কেবল নগদ ইসলামিক অ্যাপ ব্যবহার করি। এখান থেকেই আমি সব পেমেন্ট দিই, কেনাকাটা করি। সেভাবে অ্যাড মানি করে এই উপহারের জন্য নির্বাচিত হয়েছি।’ 
মুন্না আরও বলেন, ‘আমার ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল মক্কা-মদিনা সফরের। নগদের মাধ্যমে সেই সুযোগ হয়েছে। নগদের প্রতি আমার অনেক কৃতজ্ঞতা।’ 

দেশের প্রথম ও একমাত্র মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আলাদা ইসলামিক এমএফএস চালু করে নগদ। প্রতিষ্ঠানটির ইসলামিক অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ শরিয়াহ পর্যবেক্ষক কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। ‘নগদ ইসলামিক’ মোবাইল অ্যাকাউন্টটির মাধ্যমে গ্রাহকেরা খুব সহজেই সুদমুক্ত ও শরিয়াহসম্মত উপায়ে নিজস্ব তহবিল পরিচালনা করতে পারছেন, যা তাঁদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বিধানকে সংরক্ষণ করছে। 

এই অ্যাকাউন্টের অর্থ সব সময়ই কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিংয়ে রক্ষিত থাকে। ফলে গ্রাহককে কোনো রকম সুদ গ্রহণ বা ইসলামে অননুমোদিত লেনদেন করতে হয় না।