নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্রোকার্স ক্লাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবিএ সভাপতি বলেন, ‘যেভাবে বাজার পড়ছে, তার যৌক্তিক কারণ নেই। নেতিবাচক মনোভাবের কারণে পড়ছে।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন চলছে। এই সময়ে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার বাজার মূলধন হারিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি ছিল, ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফায় করারোপ না করা এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়ানো।
কিন্তু ৬ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে বাজেটে পুঁজিবাজারের শেয়ার বিক্রি করে আয় অর্থাৎ মূলধনি মুনাফায় বা ক্যাপিটাল গেইন ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। উল্টো বাজেটে কর ব্যবধান হ্রাস পেয়েছে।
পুঁজিবাজারের জন্য কোনো সুখবর না থাকায় বাজেটের পর তিন কর্মদিবসে ৩ শতাংশের বেশি সূচক কমেছে। চলতি সপ্তাহের রবি ও সোমবার ৬৫ করে ১৩০ পয়েন্ট এবং আজ মঙ্গলবার ৩৫ পয়েন্ট পতন হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন দিনে ডিএসই সূচক হারাল ১৬৫ পয়েন্ট।
আজ লেনদেন চলাকালীন সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজার প্রায় চার বছর খরার মধ্যে যাচ্ছে। উত্তরণের চেষ্টা করেও হচ্ছে না। একটা গণজাগরণের সৃষ্টি না হলে এই জায়গা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।’
পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণ হিসেবে শুধু করারোপই দায়ী নয়। দীর্ঘ মেয়াদে সুশাসনের অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারসহ বিভিন্ন অংশীজন এর দায় এড়াতে পারেন না বলেও স্বীকার করেন ডিবিএ সভাপতি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএইসি, ডিএসই, কোম্পানি ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সুশাসনের ঘাটতি আছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকায় নতুন করে ভালো মানের কোম্পানি বাজারে আসতে চাইছে না।’
ডিবিএ বলছে, ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসটে ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী (ইন্টামেডিয়ারিজ) প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রুগ্ণ হয়ে যাচ্ছি, হয়ে গেছি। তাহলে বাজারের হাল ধরবে কে? এর জন্য আমাদের নীতি-সহায়তা দরকার।’
এ অবস্থায় সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য সাতটি দাবি উত্থাপন করে ডিবিএ। সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, মূলধন আয়ের ৫০ লাখ টাকার অধিক আয়ের ওপর স্তরভিত্তিক করারোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, পাঁচ বছরে বেশি সময় ধরে রাখা বিনিয়োগ থেকে আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এই করারোপের প্রস্তাব রহিতকরণের জন্য আমরা জোর সুপারিশ করছি।
ক্যাপিটাল গেইনে করারোপের এটা উপযুক্ত সময় নয় জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৫০ শতাংশ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান টিকে থাকার মতো অবস্থায় নেই। আমরা কর দিতে চাই। তবে এটা কি সঠিক সময়?’
ব্রোকারেজ হাউসগুলো দুটি স্তরে কর প্রদান করে। সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং মোট করপোরেট আয়ের ওপর কর। এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে ব্রোকাদের করের হার ৪০ শতাংশ বা তার বেশি হয়ে যায়।
সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব করহার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। আর এই আয়কেই চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখতে এবং নতুন বিনিয়োগকারী আনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্তির রোডম্যাপ চায় ডিবিএ। সংগঠনের সাইফুল ইসলাম বলেন,গত ১ দশকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করার অনুরোধ করছি। পরিস্কার রোডম্যাপ দেওয়া হলে বাজার মানসম্পন্ন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজে প্রতিযোগীতামূলক ভাল ব্যবসা তৈরিতে উৎসাহিত হবে।
দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গত এক দশক আগে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) মাধ্যমে স্বতন্ত্র পরিচালকদের আনা হয়েছে। কিন্তু এই লম্বা সময়ে প্রকৃতপক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জের কোন উন্নতি হয়নি।
এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর গত ১০ বছরে স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো উন্নতি হয়েছে? যদি না হয়, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন রিভিউ করা উচিত। আমরা মনে করি, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন রিভিউ করার সময় এসেছে।’
প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত করের হার ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করের হার ব্যক্তিশ্রেণির করের হারের নিচে। আর কর্পোরেটের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠারে মধ্যে করের পার্থক্য ২ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এ অবস্থায় ডিবিএ বলছে,ব্যক্তিশ্রেণির সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশের ওপরে অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করহার নির্ধারণ করতে হবে। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের করহার হ্রাস করতে হবে।
পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজার নতুন বিনিয়োগকারী আকর্ষণ করতে পারছে না। গত কয়েক বছরে বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব ৩৩ লাখ থেকে ১৭ লাখে নেমেছে।
বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী সৃষ্টি এবং বাজারের মূলধন বৃদ্ধির জন্য সাইফুল ইসলাম সুপারিশ করেন, সব নতুন বিও অ্যাকাউন্টকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগের সীমা সাপেক্ষে তিন বছর পর্যন্ত সময়কালের জন্য করছাড় দিতে হবে। আর শিক্ষার্থী,সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী এবং প্রবীণ নাগরিক বিও হিসাবধারীদের লাভের ওপর কর মওকুফ করতে হবে।
পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্রোকার্স ক্লাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবিএ সভাপতি বলেন, ‘যেভাবে বাজার পড়ছে, তার যৌক্তিক কারণ নেই। নেতিবাচক মনোভাবের কারণে পড়ছে।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন চলছে। এই সময়ে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার বাজার মূলধন হারিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি ছিল, ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফায় করারোপ না করা এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়ানো।
কিন্তু ৬ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে বাজেটে পুঁজিবাজারের শেয়ার বিক্রি করে আয় অর্থাৎ মূলধনি মুনাফায় বা ক্যাপিটাল গেইন ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। উল্টো বাজেটে কর ব্যবধান হ্রাস পেয়েছে।
পুঁজিবাজারের জন্য কোনো সুখবর না থাকায় বাজেটের পর তিন কর্মদিবসে ৩ শতাংশের বেশি সূচক কমেছে। চলতি সপ্তাহের রবি ও সোমবার ৬৫ করে ১৩০ পয়েন্ট এবং আজ মঙ্গলবার ৩৫ পয়েন্ট পতন হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন দিনে ডিএসই সূচক হারাল ১৬৫ পয়েন্ট।
আজ লেনদেন চলাকালীন সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজার প্রায় চার বছর খরার মধ্যে যাচ্ছে। উত্তরণের চেষ্টা করেও হচ্ছে না। একটা গণজাগরণের সৃষ্টি না হলে এই জায়গা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।’
পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণ হিসেবে শুধু করারোপই দায়ী নয়। দীর্ঘ মেয়াদে সুশাসনের অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারসহ বিভিন্ন অংশীজন এর দায় এড়াতে পারেন না বলেও স্বীকার করেন ডিবিএ সভাপতি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএইসি, ডিএসই, কোম্পানি ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সুশাসনের ঘাটতি আছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকায় নতুন করে ভালো মানের কোম্পানি বাজারে আসতে চাইছে না।’
ডিবিএ বলছে, ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসটে ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী (ইন্টামেডিয়ারিজ) প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রুগ্ণ হয়ে যাচ্ছি, হয়ে গেছি। তাহলে বাজারের হাল ধরবে কে? এর জন্য আমাদের নীতি-সহায়তা দরকার।’
এ অবস্থায় সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য সাতটি দাবি উত্থাপন করে ডিবিএ। সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, মূলধন আয়ের ৫০ লাখ টাকার অধিক আয়ের ওপর স্তরভিত্তিক করারোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, পাঁচ বছরে বেশি সময় ধরে রাখা বিনিয়োগ থেকে আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এই করারোপের প্রস্তাব রহিতকরণের জন্য আমরা জোর সুপারিশ করছি।
ক্যাপিটাল গেইনে করারোপের এটা উপযুক্ত সময় নয় জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৫০ শতাংশ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান টিকে থাকার মতো অবস্থায় নেই। আমরা কর দিতে চাই। তবে এটা কি সঠিক সময়?’
ব্রোকারেজ হাউসগুলো দুটি স্তরে কর প্রদান করে। সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং মোট করপোরেট আয়ের ওপর কর। এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে ব্রোকাদের করের হার ৪০ শতাংশ বা তার বেশি হয়ে যায়।
সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব করহার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। আর এই আয়কেই চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখতে এবং নতুন বিনিয়োগকারী আনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্তির রোডম্যাপ চায় ডিবিএ। সংগঠনের সাইফুল ইসলাম বলেন,গত ১ দশকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করার অনুরোধ করছি। পরিস্কার রোডম্যাপ দেওয়া হলে বাজার মানসম্পন্ন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজে প্রতিযোগীতামূলক ভাল ব্যবসা তৈরিতে উৎসাহিত হবে।
দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গত এক দশক আগে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) মাধ্যমে স্বতন্ত্র পরিচালকদের আনা হয়েছে। কিন্তু এই লম্বা সময়ে প্রকৃতপক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জের কোন উন্নতি হয়নি।
এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর গত ১০ বছরে স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো উন্নতি হয়েছে? যদি না হয়, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন রিভিউ করা উচিত। আমরা মনে করি, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন রিভিউ করার সময় এসেছে।’
প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত করের হার ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করের হার ব্যক্তিশ্রেণির করের হারের নিচে। আর কর্পোরেটের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠারে মধ্যে করের পার্থক্য ২ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এ অবস্থায় ডিবিএ বলছে,ব্যক্তিশ্রেণির সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশের ওপরে অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করহার নির্ধারণ করতে হবে। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের করহার হ্রাস করতে হবে।
পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজার নতুন বিনিয়োগকারী আকর্ষণ করতে পারছে না। গত কয়েক বছরে বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব ৩৩ লাখ থেকে ১৭ লাখে নেমেছে।
বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী সৃষ্টি এবং বাজারের মূলধন বৃদ্ধির জন্য সাইফুল ইসলাম সুপারিশ করেন, সব নতুন বিও অ্যাকাউন্টকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগের সীমা সাপেক্ষে তিন বছর পর্যন্ত সময়কালের জন্য করছাড় দিতে হবে। আর শিক্ষার্থী,সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী এবং প্রবীণ নাগরিক বিও হিসাবধারীদের লাভের ওপর কর মওকুফ করতে হবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্যদের জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ব্যাংক এবং বেসিস-এর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
৪৩ মিনিট আগেদেশে গত বোরো মৌসুমের পরই বাড়তে থাকে চালের দাম। ক্রেতাদের আশা ছিল, আমন মৌসুম শুরু হলে দাম কমবে। কিন্তু আশা দুরাশাই রয়ে গেছে এখন পর্যন্ত। মোকামে আমন ধান আসতে শুরু করলেও চালের বাজারে খুব একটা প্রভাব নেই। শুধু তা-ই নয়, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েও পণ্যটির দাম কমিয়ে আনতে পারছে না।
২ ঘণ্টা আগেআসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
১১ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
১১ ঘণ্টা আগে