নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্রোকার্স ক্লাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবিএ সভাপতি বলেন, ‘যেভাবে বাজার পড়ছে, তার যৌক্তিক কারণ নেই। নেতিবাচক মনোভাবের কারণে পড়ছে।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন চলছে। এই সময়ে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার বাজার মূলধন হারিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি ছিল, ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফায় করারোপ না করা এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়ানো।
কিন্তু ৬ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে বাজেটে পুঁজিবাজারের শেয়ার বিক্রি করে আয় অর্থাৎ মূলধনি মুনাফায় বা ক্যাপিটাল গেইন ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। উল্টো বাজেটে কর ব্যবধান হ্রাস পেয়েছে।
পুঁজিবাজারের জন্য কোনো সুখবর না থাকায় বাজেটের পর তিন কর্মদিবসে ৩ শতাংশের বেশি সূচক কমেছে। চলতি সপ্তাহের রবি ও সোমবার ৬৫ করে ১৩০ পয়েন্ট এবং আজ মঙ্গলবার ৩৫ পয়েন্ট পতন হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন দিনে ডিএসই সূচক হারাল ১৬৫ পয়েন্ট।
আজ লেনদেন চলাকালীন সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজার প্রায় চার বছর খরার মধ্যে যাচ্ছে। উত্তরণের চেষ্টা করেও হচ্ছে না। একটা গণজাগরণের সৃষ্টি না হলে এই জায়গা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।’
পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণ হিসেবে শুধু করারোপই দায়ী নয়। দীর্ঘ মেয়াদে সুশাসনের অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারসহ বিভিন্ন অংশীজন এর দায় এড়াতে পারেন না বলেও স্বীকার করেন ডিবিএ সভাপতি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএইসি, ডিএসই, কোম্পানি ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সুশাসনের ঘাটতি আছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকায় নতুন করে ভালো মানের কোম্পানি বাজারে আসতে চাইছে না।’
ডিবিএ বলছে, ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসটে ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী (ইন্টামেডিয়ারিজ) প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রুগ্ণ হয়ে যাচ্ছি, হয়ে গেছি। তাহলে বাজারের হাল ধরবে কে? এর জন্য আমাদের নীতি-সহায়তা দরকার।’
এ অবস্থায় সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য সাতটি দাবি উত্থাপন করে ডিবিএ। সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, মূলধন আয়ের ৫০ লাখ টাকার অধিক আয়ের ওপর স্তরভিত্তিক করারোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, পাঁচ বছরে বেশি সময় ধরে রাখা বিনিয়োগ থেকে আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এই করারোপের প্রস্তাব রহিতকরণের জন্য আমরা জোর সুপারিশ করছি।
ক্যাপিটাল গেইনে করারোপের এটা উপযুক্ত সময় নয় জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৫০ শতাংশ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান টিকে থাকার মতো অবস্থায় নেই। আমরা কর দিতে চাই। তবে এটা কি সঠিক সময়?’
ব্রোকারেজ হাউসগুলো দুটি স্তরে কর প্রদান করে। সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং মোট করপোরেট আয়ের ওপর কর। এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে ব্রোকাদের করের হার ৪০ শতাংশ বা তার বেশি হয়ে যায়।
সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব করহার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। আর এই আয়কেই চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখতে এবং নতুন বিনিয়োগকারী আনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্তির রোডম্যাপ চায় ডিবিএ। সংগঠনের সাইফুল ইসলাম বলেন,গত ১ দশকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করার অনুরোধ করছি। পরিস্কার রোডম্যাপ দেওয়া হলে বাজার মানসম্পন্ন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজে প্রতিযোগীতামূলক ভাল ব্যবসা তৈরিতে উৎসাহিত হবে।
দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গত এক দশক আগে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) মাধ্যমে স্বতন্ত্র পরিচালকদের আনা হয়েছে। কিন্তু এই লম্বা সময়ে প্রকৃতপক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জের কোন উন্নতি হয়নি।
এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর গত ১০ বছরে স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো উন্নতি হয়েছে? যদি না হয়, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন রিভিউ করা উচিত। আমরা মনে করি, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন রিভিউ করার সময় এসেছে।’
প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত করের হার ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করের হার ব্যক্তিশ্রেণির করের হারের নিচে। আর কর্পোরেটের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠারে মধ্যে করের পার্থক্য ২ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এ অবস্থায় ডিবিএ বলছে,ব্যক্তিশ্রেণির সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশের ওপরে অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করহার নির্ধারণ করতে হবে। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের করহার হ্রাস করতে হবে।
পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজার নতুন বিনিয়োগকারী আকর্ষণ করতে পারছে না। গত কয়েক বছরে বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব ৩৩ লাখ থেকে ১৭ লাখে নেমেছে।
বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী সৃষ্টি এবং বাজারের মূলধন বৃদ্ধির জন্য সাইফুল ইসলাম সুপারিশ করেন, সব নতুন বিও অ্যাকাউন্টকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগের সীমা সাপেক্ষে তিন বছর পর্যন্ত সময়কালের জন্য করছাড় দিতে হবে। আর শিক্ষার্থী,সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী এবং প্রবীণ নাগরিক বিও হিসাবধারীদের লাভের ওপর কর মওকুফ করতে হবে।

পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্রোকার্স ক্লাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবিএ সভাপতি বলেন, ‘যেভাবে বাজার পড়ছে, তার যৌক্তিক কারণ নেই। নেতিবাচক মনোভাবের কারণে পড়ছে।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন চলছে। এই সময়ে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার বাজার মূলধন হারিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি ছিল, ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফায় করারোপ না করা এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়ানো।
কিন্তু ৬ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে বাজেটে পুঁজিবাজারের শেয়ার বিক্রি করে আয় অর্থাৎ মূলধনি মুনাফায় বা ক্যাপিটাল গেইন ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। উল্টো বাজেটে কর ব্যবধান হ্রাস পেয়েছে।
পুঁজিবাজারের জন্য কোনো সুখবর না থাকায় বাজেটের পর তিন কর্মদিবসে ৩ শতাংশের বেশি সূচক কমেছে। চলতি সপ্তাহের রবি ও সোমবার ৬৫ করে ১৩০ পয়েন্ট এবং আজ মঙ্গলবার ৩৫ পয়েন্ট পতন হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন দিনে ডিএসই সূচক হারাল ১৬৫ পয়েন্ট।
আজ লেনদেন চলাকালীন সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজার প্রায় চার বছর খরার মধ্যে যাচ্ছে। উত্তরণের চেষ্টা করেও হচ্ছে না। একটা গণজাগরণের সৃষ্টি না হলে এই জায়গা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।’
পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণ হিসেবে শুধু করারোপই দায়ী নয়। দীর্ঘ মেয়াদে সুশাসনের অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারসহ বিভিন্ন অংশীজন এর দায় এড়াতে পারেন না বলেও স্বীকার করেন ডিবিএ সভাপতি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএইসি, ডিএসই, কোম্পানি ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সুশাসনের ঘাটতি আছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকায় নতুন করে ভালো মানের কোম্পানি বাজারে আসতে চাইছে না।’
ডিবিএ বলছে, ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসটে ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী (ইন্টামেডিয়ারিজ) প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রুগ্ণ হয়ে যাচ্ছি, হয়ে গেছি। তাহলে বাজারের হাল ধরবে কে? এর জন্য আমাদের নীতি-সহায়তা দরকার।’
এ অবস্থায় সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য সাতটি দাবি উত্থাপন করে ডিবিএ। সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, মূলধন আয়ের ৫০ লাখ টাকার অধিক আয়ের ওপর স্তরভিত্তিক করারোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, পাঁচ বছরে বেশি সময় ধরে রাখা বিনিয়োগ থেকে আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এই করারোপের প্রস্তাব রহিতকরণের জন্য আমরা জোর সুপারিশ করছি।
ক্যাপিটাল গেইনে করারোপের এটা উপযুক্ত সময় নয় জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৫০ শতাংশ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান টিকে থাকার মতো অবস্থায় নেই। আমরা কর দিতে চাই। তবে এটা কি সঠিক সময়?’
ব্রোকারেজ হাউসগুলো দুটি স্তরে কর প্রদান করে। সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং মোট করপোরেট আয়ের ওপর কর। এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে ব্রোকাদের করের হার ৪০ শতাংশ বা তার বেশি হয়ে যায়।
সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব করহার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। আর এই আয়কেই চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখতে এবং নতুন বিনিয়োগকারী আনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্তির রোডম্যাপ চায় ডিবিএ। সংগঠনের সাইফুল ইসলাম বলেন,গত ১ দশকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করার অনুরোধ করছি। পরিস্কার রোডম্যাপ দেওয়া হলে বাজার মানসম্পন্ন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজে প্রতিযোগীতামূলক ভাল ব্যবসা তৈরিতে উৎসাহিত হবে।
দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গত এক দশক আগে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) মাধ্যমে স্বতন্ত্র পরিচালকদের আনা হয়েছে। কিন্তু এই লম্বা সময়ে প্রকৃতপক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জের কোন উন্নতি হয়নি।
এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর গত ১০ বছরে স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো উন্নতি হয়েছে? যদি না হয়, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন রিভিউ করা উচিত। আমরা মনে করি, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন রিভিউ করার সময় এসেছে।’
প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত করের হার ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করের হার ব্যক্তিশ্রেণির করের হারের নিচে। আর কর্পোরেটের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠারে মধ্যে করের পার্থক্য ২ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এ অবস্থায় ডিবিএ বলছে,ব্যক্তিশ্রেণির সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশের ওপরে অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করহার নির্ধারণ করতে হবে। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের করহার হ্রাস করতে হবে।
পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজার নতুন বিনিয়োগকারী আকর্ষণ করতে পারছে না। গত কয়েক বছরে বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব ৩৩ লাখ থেকে ১৭ লাখে নেমেছে।
বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী সৃষ্টি এবং বাজারের মূলধন বৃদ্ধির জন্য সাইফুল ইসলাম সুপারিশ করেন, সব নতুন বিও অ্যাকাউন্টকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগের সীমা সাপেক্ষে তিন বছর পর্যন্ত সময়কালের জন্য করছাড় দিতে হবে। আর শিক্ষার্থী,সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী এবং প্রবীণ নাগরিক বিও হিসাবধারীদের লাভের ওপর কর মওকুফ করতে হবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
২ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস পে-আউট পুরস্কার পেয়েছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা ৪০টি সহযোগী মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্রোকার্স ক্লাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১১ জুন ২০২৪
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
২ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস পে-আউট পুরস্কার পেয়েছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা ৪০টি সহযোগী মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে নীতিমালা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে থ্রি-হুইলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনীতির গতি আরও বেগবান হবে।
আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টাডি অন ইন্টিগ্রিটিংস ইলেকট্রনিক থ্রি-হুইলার ইনটু ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়েফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির প্রোগ্রাম সহযোগী মো. খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে লাখ লাখ যানবাহন চলে। কিন্তু নিবন্ধিত আছে মাত্র সাড়ে ২২ হাজার। এর বাইরে থ্রি-হুইলার রিকশা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেবা নিচ্ছেন ১১২ কোটি মানুষ, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এত বড়সংখ্যক যানের রেজিস্ট্রেশন নেই। যারা চালান, তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এতে দক্ষতা বাড়ছে না। মুখের কথায় চলে এসব যান। যদি প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়, তখন একটা আয় পাবে সরকার। আবার নীতিমালার কারণে ক্ষতি কমবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আয় বাড়বে। যার বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া লাখ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। এই গণপরিবহন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে চলছে। এটার সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। স্ট্রাকচার থাকতে হবে। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক যান হওয়ায় পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কীভাবে কার অনুমোদন নিয়ে চলবে, নির্ধারণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনা জরুরি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি দিতে হবে ৷ তখন এলোমেলো চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। মানুষ উন্নত সেবা পাবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের যানের প্রায় ৪০ লাখ চালক, তাঁদের পরিবারসহ বিশাল জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী। তাঁদের রোড নেটওয়ার্ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সেফটি, এয়ার কোয়ালিটির ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও নীতিমালা জরুরি।
অনুষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা; বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা; প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করা; ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা, জব্দ গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া; চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করা এবং চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে নীতিমালা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে থ্রি-হুইলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনীতির গতি আরও বেগবান হবে।
আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টাডি অন ইন্টিগ্রিটিংস ইলেকট্রনিক থ্রি-হুইলার ইনটু ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়েফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির প্রোগ্রাম সহযোগী মো. খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে লাখ লাখ যানবাহন চলে। কিন্তু নিবন্ধিত আছে মাত্র সাড়ে ২২ হাজার। এর বাইরে থ্রি-হুইলার রিকশা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেবা নিচ্ছেন ১১২ কোটি মানুষ, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এত বড়সংখ্যক যানের রেজিস্ট্রেশন নেই। যারা চালান, তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এতে দক্ষতা বাড়ছে না। মুখের কথায় চলে এসব যান। যদি প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়, তখন একটা আয় পাবে সরকার। আবার নীতিমালার কারণে ক্ষতি কমবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আয় বাড়বে। যার বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া লাখ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। এই গণপরিবহন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে চলছে। এটার সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। স্ট্রাকচার থাকতে হবে। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক যান হওয়ায় পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কীভাবে কার অনুমোদন নিয়ে চলবে, নির্ধারণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনা জরুরি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি দিতে হবে ৷ তখন এলোমেলো চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। মানুষ উন্নত সেবা পাবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের যানের প্রায় ৪০ লাখ চালক, তাঁদের পরিবারসহ বিশাল জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী। তাঁদের রোড নেটওয়ার্ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সেফটি, এয়ার কোয়ালিটির ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও নীতিমালা জরুরি।
অনুষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা; বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা; প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করা; ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা, জব্দ গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া; চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করা এবং চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্রোকার্স ক্লাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১১ জুন ২০২৪
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস পে-আউট পুরস্কার পেয়েছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা ৪০টি সহযোগী মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস পে-আউট পুরস্কার পেয়েছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা ৪০টি সহযোগী মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানিয়েছে।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো ইবিএল এই আয়োজন করেছে। এবারের অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘স্কাইস্ফ্রি: ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫’।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি কনভেনশন হলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইবিএল তার ব্যবসায়িক সহযোগীদের সম্মাননা জানায়।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার। নগদের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, সহযোগী প্রশাসক আনোয়ার উল্লাহ ও নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া। এ সময় ইবিএলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আনোয়ার, হেড অব ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস আহসান উল্লাহ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইবিএলের এবারের আয়োজনে নগদ পে-আউট ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে, কারণ বাংলাদেশের ডিজিটাল লেনদেনকে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। নগদ পে-আউট সলিউশন ও ইভল্যুশনে তাদের প্রভাব রেখেছে এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস পে-আউট পুরস্কার পেয়েছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা ৪০টি সহযোগী মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানিয়েছে।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো ইবিএল এই আয়োজন করেছে। এবারের অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘স্কাইস্ফ্রি: ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫’।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি কনভেনশন হলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইবিএল তার ব্যবসায়িক সহযোগীদের সম্মাননা জানায়।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার। নগদের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, সহযোগী প্রশাসক আনোয়ার উল্লাহ ও নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া। এ সময় ইবিএলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আনোয়ার, হেড অব ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস আহসান উল্লাহ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইবিএলের এবারের আয়োজনে নগদ পে-আউট ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে, কারণ বাংলাদেশের ডিজিটাল লেনদেনকে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। নগদ পে-আউট সলিউশন ও ইভল্যুশনে তাদের প্রভাব রেখেছে এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্রোকার্স ক্লাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১১ জুন ২০২৪
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
২ ঘণ্টা আগে
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ২২০টি স্টল থাকবে। ২৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় এবারের মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করেন আয়োজকেরা।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় রিহ্যাব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, রিহ্যাব পরিচালক ও মিডিয়া স্টানিং কমিটির চেয়ারম্যান লাবিব বিল্লাহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় মোট ২২০টি স্টল থাকবে। এতে অংশ নিচ্ছে চারটি ডায়মন্ড স্পনসর, সাতটি গোল্ড স্পনসর, ১০টি কো-স্পনসর, ১৪টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রতিষ্ঠান ও ১২টি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। প্রবেশ টিকিটের মূল্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ৫০ টাকা ও মাল্টিপল এন্ট্রি ১০০ টাকা। টিকিট বিক্রির সম্পূর্ণ অর্থ রিহ্যাবের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। প্রতিদিন রাত ৯টায় র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
রিহ্যাব নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আবাসন খাত স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০২৫ আবাসন খাতে নতুন গতি আনবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবাসন খাত শুধু মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করছে না; বরং সরকারের রাজস্ব আয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রড-সিমেন্টসহ ২০০টির বেশি লিংকেজ শিল্পের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে নির্মাণ খাতের অবদান জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ১৫ শতাংশ এবং এ খাতের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২ কোটি মানুষ।
রিহ্যাব নেতারা বলেন, রিহ্যাব ফেয়ার ক্রেতাদের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম, যেখানে এক ছাদের নিচে ফ্ল্যাট ও প্লট কেনাবেচা, গৃহঋণ সুবিধা, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক নির্মাণসামগ্রী যাচাইয়ের সুযোগ পাওয়া যায়। ব্যস্ত জীবনে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে তথ্য সংগ্রহের পরিবর্তে এ মেলা ক্রেতাদের জন্য সময় ও সিদ্ধান্ত নেওয়াকে সহজ করে।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা, ২০২৫-এ পুরোনো জটিলতা ও বৈষম্য অনেকাংশে দূর করা হয়েছে। নতুন ড্যাপ ও বিধিমালা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং আবাসন খাতকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল করবে।
তিন দিন ছুটি থাকায় এবারের মেলায় লোকসমাগম অনেক বাড়বে—এমন প্রত্যাশা করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এই ফেয়ার শুধু একটি প্রদর্শনী নয়; এটি ক্রেতা ও ডেভেলপারদের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম। একসঙ্গে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প মান, অবস্থান, সুযোগ-সুবিধা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে যাচাই-বাছাই করার সুযোগ রিহ্যাব ফেয়ার ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ২২০টি স্টল থাকবে। ২৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় এবারের মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করেন আয়োজকেরা।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় রিহ্যাব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, রিহ্যাব পরিচালক ও মিডিয়া স্টানিং কমিটির চেয়ারম্যান লাবিব বিল্লাহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় মোট ২২০টি স্টল থাকবে। এতে অংশ নিচ্ছে চারটি ডায়মন্ড স্পনসর, সাতটি গোল্ড স্পনসর, ১০টি কো-স্পনসর, ১৪টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রতিষ্ঠান ও ১২টি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। প্রবেশ টিকিটের মূল্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ৫০ টাকা ও মাল্টিপল এন্ট্রি ১০০ টাকা। টিকিট বিক্রির সম্পূর্ণ অর্থ রিহ্যাবের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। প্রতিদিন রাত ৯টায় র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
রিহ্যাব নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আবাসন খাত স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০২৫ আবাসন খাতে নতুন গতি আনবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবাসন খাত শুধু মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করছে না; বরং সরকারের রাজস্ব আয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রড-সিমেন্টসহ ২০০টির বেশি লিংকেজ শিল্পের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে নির্মাণ খাতের অবদান জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ১৫ শতাংশ এবং এ খাতের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২ কোটি মানুষ।
রিহ্যাব নেতারা বলেন, রিহ্যাব ফেয়ার ক্রেতাদের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম, যেখানে এক ছাদের নিচে ফ্ল্যাট ও প্লট কেনাবেচা, গৃহঋণ সুবিধা, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক নির্মাণসামগ্রী যাচাইয়ের সুযোগ পাওয়া যায়। ব্যস্ত জীবনে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে তথ্য সংগ্রহের পরিবর্তে এ মেলা ক্রেতাদের জন্য সময় ও সিদ্ধান্ত নেওয়াকে সহজ করে।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা, ২০২৫-এ পুরোনো জটিলতা ও বৈষম্য অনেকাংশে দূর করা হয়েছে। নতুন ড্যাপ ও বিধিমালা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং আবাসন খাতকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল করবে।
তিন দিন ছুটি থাকায় এবারের মেলায় লোকসমাগম অনেক বাড়বে—এমন প্রত্যাশা করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এই ফেয়ার শুধু একটি প্রদর্শনী নয়; এটি ক্রেতা ও ডেভেলপারদের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম। একসঙ্গে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প মান, অবস্থান, সুযোগ-সুবিধা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে যাচাই-বাছাই করার সুযোগ রিহ্যাব ফেয়ার ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্রোকার্স ক্লাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১১ জুন ২০২৪
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ
২ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস পে-আউট পুরস্কার পেয়েছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা ৪০টি সহযোগী মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে