দুর্বল ভিত্তির টেকনো ড্রাগস বাজার থেকে তুলে নিল শতকোটি টাকা

আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮: ৫৫
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৪, ১৪: ৫৪

ইস্যু ম্যানেজারের দেওয়া সব ধরনের কাগজপত্র দেখে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। রেজাউল করিম মুখপাত্র, বিএসইসি

অংশীদারদের সম্পদের বিপরীতে মুনাফা পাওয়ার অনুপাত (আরওই) নিম্নমুখী টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের। নিট সম্পদের কাছাকাছি রয়েছে ঋণের পরিমাণ। সমপর্যায়ের কোম্পানির তুলনায় মুনাফার হার কম। কোম্পানির গবেষণা বিভাগও শক্তশালী নয়। ফলে ভবিষ্যতে ব্যবসায় বেশি উন্নতি করার সম্ভাবনাও ক্ষীণ।

এ প্রসঙ্গে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম  বলেন, ‘ইস্যু ম্যানেজারের দেওয়া সব ধরনের কাগজপত্র দেখে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।’

টেকনো ড্রাগসের ১০০ কোটি টাকার শেয়ারের বিপরীতে প্রায় ২৫ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে। গত মঙ্গলবার শেয়ার বণ্টন করা হয়। বেশি আবেদন পড়ার কারণ হিসেবে ব্রোকারেজ হাউস রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেডের গবেষণা প্রধান একরামুল আলম বলেন, ‘সেকেন্ডারি বাজার থেকে মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণত আইপিওর শেয়ারে মুনাফা করা যায়। তাই আবেদন অনেক বেশি পড়েছে।’

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, টেকনো ড্রাগসের ইকুইটি সম্পদের বিপরীতে রিটার্নের হার ২০২৩ সালে এসে এক বছরের ব্যবধানে ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নেমেছে। কোম্পানিটির ইকুইটি মূলধন অর্থাৎ দায়বিহীন সম্পদ রয়েছে ২৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ২৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানির ইকুইটি মূলধনের চেয়েও ঋণের পরিমাণ বেশি রয়েছে। এর কারণে সর্বশেষ হিসাব বছরে ৫৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পরিচালন মুনাফা করলেও ঋণের বিপরীতে সুদ বাবদ ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা পরিশোধ করায় কোম্পানির নিট মুনাফায় ভাটা পড়েছে।

২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির পরিচালন থেকে নগদ প্রবাহ হয়েছে ২২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু সুদ ও বিভিন্ন ব্যয় বাদে বছর শেষে নগদ ও ব্যাংক স্থিতি মিলিয়ে টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

রয়েল ক্যাপিটালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানির মুনাফা মার্জিন ৭ দশমিক ২০ শতাংশ, যেখানে সমপর্যায়ের কোম্পানিগুলোর ১৪.৯০ শতাংশের মতো।

কোম্পানির গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগও সম্পর্কে একটি ব্রোকারেজ হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আর অ্যান্ড ডি টিম দুর্বল। গত ১০ বছরের কোম্পানির নতুন কোনো প্রোডাক্ট, আবিষ্কার নেই।

সার্বিক বিষয়ে কোম্পানি সচিব দেবাশীষ দাস গুপ্ত বলেন, ‘এগুলো সবকিছু দেখেই বিএসইসি অনুমোদন দিয়েছে। প্রসপেক্টাসেও সবকিছুর ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত