হাসান আলী
যেকোনো নির্যাতনই নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তারপরও নির্যাতন বন্ধ করা যাচ্ছে না। কে নির্যাতিত হন? দুর্বল মানুষই বেশি নির্যাতনের শিকার হন। কে দুর্বল? প্রবীণ, নারী ও শিশুরাই বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সহায়-সম্বলহীন মানুষ যাঁরা শ্রম বিক্রি করেন, তাঁরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন।
নির্যাতনকারী যখন বুঝতে পারেন নির্যাতিত ব্যক্তির প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার ক্ষমতা দুর্বল, তখন তিনি নির্যাতনের কথা ভাববেন। নির্যাতন করলে কিছু হবে না বা হলেও তা মোকাবিলা করতে পারবেন, এই মনোভাব থেকে নির্যাতনে আগ্রহী হন।
যুগে যুগে নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন। নির্যাতনে শারীরিক শক্তি একসময় প্রধান ছিল। শারীরিকভাবে শক্তিশালী লোকজন আশপাশের লোকজনকে সব সময়ই তাঁর নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করেন। নিয়ন্ত্রণ অমান্যকারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো।
শারীরিক নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ বাড়ছে। ফলে নির্যাতনের ধরন পাল্টে গেছে।
এখন তুলনামূলকভাবে মানসিক নির্যাতন-নিপীড়নের হার অনেক বেড়ে গেছে। মানসিক নির্যাতন পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে, সেবা প্রতিষ্ঠানে, অফিস-আদালতে দিন দিন বাড়ছে। নির্যাতিত মানুষের মনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দানা বাঁধছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ক্ষোভ প্রশমনে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যকর রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, আইন শেষ পর্যন্ত শক্তিমানের পক্ষেই যায়। তবুও মানুষ আশায় বুক বাঁধে একদিন সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রকৃতপক্ষে মানুষ সুযোগ-সুবিধার চেয়ে ন্যায়বিচার বেশি দাবি করে। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাক—এটাই একমাত্র কাম্য হয়ে ওঠে। কারণ যা-ই হোক না কেন রাষ্ট্রযন্ত্র শেষ পর্যন্ত শক্তিমানের স্বার্থ রক্ষায় বেশি মনোযোগী হয়। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষেরা লড়াই-সংগ্রাম করে রাষ্ট্রকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেন। বরাবরই নির্যাতন-নিপীড়ন ভোগ করার জন্য দুর্বল মানুষই থাকে। এই দুর্বল মানুষের রক্ত-ঘামে আমাদের সমাজসভ্যতা ও সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
আমাদের দৈনন্দিন সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ দুর্বল মানুষের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতা থেকে প্রাপ্ত। দুর্বল মানুষের লড়াই-সংগ্রাম থেকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল।
নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে মানুষকে মুক্ত করার সংগ্রাম করতে গিয়ে সভ্যতার বিকাশ সাধন হয়েছে। নির্যাতন মানুষকে প্রতিবাদী হতে প্রেরণা জোগায়। নতুন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন সহনীয় মাত্রায় রাখার চেষ্টা করা হয়।
একটা সময় জমিদারি প্রথা, মহাজনি সুদ মানুষকে চরম নির্যাতনের মধ্যে রেখেছিল। মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে জমিদারি ও মহাজনি সুদ বিলুপ্ত হলেও নতুন কায়দায় জমিদারি প্রথা ও মহাজনি সুদ সমাজে বিরাজমান রয়েছে।
কিছু কিছু ধর্মীয় বিধান মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হওয়ার কারণে আন্দোলন-সংগ্রাম-দাবির মুখে স্থগিত করা হয়েছে।
প্রবীণেরা সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠী। তাঁদের অধিকাংশই সহায়সম্পদহীন অবস্থায় প্রবীণ জীবনে প্রবেশ করেন। ভরসা করেন সন্তান এবং নিয়তির ওপর। কপালের লিখন খণ্ডানো যায় না—এই বিশ্বাস থেকে সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নকে মেনে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। প্রবীণেরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। এই নির্যাতনের প্রায় পুরোটাই পরিবার-পরিজনের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। নির্যাতনবিরোধী আইন থাকার পরও অল্প কিছুসংখ্যক মানুষ সন্তানসন্ততির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেন। মানসিক নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রবীণের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করা কিংবা চুপ করে থাকাও বড় ধরনের মানসিক নির্যাতন। প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা দেখতে পাই গণমাধ্যমের কল্যাণে। কোনো নির্যাতনই এককভাবে মোকাবিলা করা যায় না। মোকাবিলা করতে হয় সম্মিলিতভাবে। প্রবীণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে তাঁদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রবীণ জনগোষ্ঠী পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে প্রাপ্ত জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সক্রিয় হবেন। প্রবীণেরা বার্ধক্যের ভার পরিবার-পরিজন আর নিয়তির ওপর ছেড়ে দিতে চাইবেন না। তাঁরা নিজেদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে অর্থ সঞ্চয় করবেন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন, স্বস্তিদায়ক জীবনের জন্য কু-অভ্যাস ত্যাগ করবেন, সন্তাননির্ভর মানসিকতা বাদ দেবেন।
প্রবীণদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তাঁরা নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। তাঁদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে নির্যাতনের পরিমাণ অনেক কমে যাবে।
কারও ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করা পাপ—এটা শত-সহস্রবার প্রচার করলেও নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নির্যাতন করা মানবাধিকার পরিপন্থী, এ কথায়ও কাজ হবে না। নির্যাতনবিরোধী কঠিন আইন করা হলেও নির্যাতন বন্ধ হবে না। নির্যাতন বন্ধ করতে ব্যক্তিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। ব্যক্তির নির্ভরতা যত কম হবে, নির্যাতনের মাত্রাও তত কম হবে। সন্তাননির্ভর জীবনের আকাঙ্ক্ষা কিংবা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের শেষ দিনগুলো অতিবাহিত করার ইচ্ছা মানুষকে আবেগিক সংকটে ফেলে দেয়। যদি জীবনের শুরু থেকে প্রবীণ জীবনের প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তবে নির্যাতনের আশঙ্কা অনেকখানি কমে যায়। ব্যক্তি তখন ঠিক করেন আয়ের কতটুকু নিজের জন্য, কতটুকু সন্তানের জন্য, কতটুকু স্ত্রী বা স্বামীর জন্য, কতটুকু প্রবীণ জীবনের জন্য রাখবেন। নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা থেকে সরে আসতে থাকবেন। নিজেকে বঞ্চিত করে সবকিছু পরিবারের সদস্যদের জন্য উৎসর্গ করা মূর্খতা ছাড়া আর কী হতে পারে?
প্রবীণ নির্যাতন অবশ্যই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে ভালো কিছু অর্জনের সুযোগ থাকে। প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা যত বেশি মানুষের সামনে হাজির হবে, মানুষ তত বেশি নিজের নিরাপত্তার কথা ভাববেন। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নানান রকমের উপায় খুঁজে বের করবেন। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আশপাশের শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে বৃহৎ শক্তি হিসেবে আবির্ভাব ঘটাতে পারবেন। বৃহৎ শক্তির মোকাবিলা করার বিষয়টি সব সময় নির্যাতনকারী মাথায় রাখবেন। তিনি বুঝতে পারবেন, নির্যাতন করলে শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাবেন না।
লেখক: সভাপতি, এজিং সাপোর্ট ফোরাম
যেকোনো নির্যাতনই নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তারপরও নির্যাতন বন্ধ করা যাচ্ছে না। কে নির্যাতিত হন? দুর্বল মানুষই বেশি নির্যাতনের শিকার হন। কে দুর্বল? প্রবীণ, নারী ও শিশুরাই বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সহায়-সম্বলহীন মানুষ যাঁরা শ্রম বিক্রি করেন, তাঁরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন।
নির্যাতনকারী যখন বুঝতে পারেন নির্যাতিত ব্যক্তির প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার ক্ষমতা দুর্বল, তখন তিনি নির্যাতনের কথা ভাববেন। নির্যাতন করলে কিছু হবে না বা হলেও তা মোকাবিলা করতে পারবেন, এই মনোভাব থেকে নির্যাতনে আগ্রহী হন।
যুগে যুগে নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন। নির্যাতনে শারীরিক শক্তি একসময় প্রধান ছিল। শারীরিকভাবে শক্তিশালী লোকজন আশপাশের লোকজনকে সব সময়ই তাঁর নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করেন। নিয়ন্ত্রণ অমান্যকারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো।
শারীরিক নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ বাড়ছে। ফলে নির্যাতনের ধরন পাল্টে গেছে।
এখন তুলনামূলকভাবে মানসিক নির্যাতন-নিপীড়নের হার অনেক বেড়ে গেছে। মানসিক নির্যাতন পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে, সেবা প্রতিষ্ঠানে, অফিস-আদালতে দিন দিন বাড়ছে। নির্যাতিত মানুষের মনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দানা বাঁধছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ক্ষোভ প্রশমনে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যকর রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, আইন শেষ পর্যন্ত শক্তিমানের পক্ষেই যায়। তবুও মানুষ আশায় বুক বাঁধে একদিন সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রকৃতপক্ষে মানুষ সুযোগ-সুবিধার চেয়ে ন্যায়বিচার বেশি দাবি করে। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাক—এটাই একমাত্র কাম্য হয়ে ওঠে। কারণ যা-ই হোক না কেন রাষ্ট্রযন্ত্র শেষ পর্যন্ত শক্তিমানের স্বার্থ রক্ষায় বেশি মনোযোগী হয়। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষেরা লড়াই-সংগ্রাম করে রাষ্ট্রকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করেন। বরাবরই নির্যাতন-নিপীড়ন ভোগ করার জন্য দুর্বল মানুষই থাকে। এই দুর্বল মানুষের রক্ত-ঘামে আমাদের সমাজসভ্যতা ও সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
আমাদের দৈনন্দিন সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ দুর্বল মানুষের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতা থেকে প্রাপ্ত। দুর্বল মানুষের লড়াই-সংগ্রাম থেকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল।
নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে মানুষকে মুক্ত করার সংগ্রাম করতে গিয়ে সভ্যতার বিকাশ সাধন হয়েছে। নির্যাতন মানুষকে প্রতিবাদী হতে প্রেরণা জোগায়। নতুন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন সহনীয় মাত্রায় রাখার চেষ্টা করা হয়।
একটা সময় জমিদারি প্রথা, মহাজনি সুদ মানুষকে চরম নির্যাতনের মধ্যে রেখেছিল। মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে জমিদারি ও মহাজনি সুদ বিলুপ্ত হলেও নতুন কায়দায় জমিদারি প্রথা ও মহাজনি সুদ সমাজে বিরাজমান রয়েছে।
কিছু কিছু ধর্মীয় বিধান মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হওয়ার কারণে আন্দোলন-সংগ্রাম-দাবির মুখে স্থগিত করা হয়েছে।
প্রবীণেরা সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠী। তাঁদের অধিকাংশই সহায়সম্পদহীন অবস্থায় প্রবীণ জীবনে প্রবেশ করেন। ভরসা করেন সন্তান এবং নিয়তির ওপর। কপালের লিখন খণ্ডানো যায় না—এই বিশ্বাস থেকে সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নকে মেনে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। প্রবীণেরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। এই নির্যাতনের প্রায় পুরোটাই পরিবার-পরিজনের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। নির্যাতনবিরোধী আইন থাকার পরও অল্প কিছুসংখ্যক মানুষ সন্তানসন্ততির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেন। মানসিক নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রবীণের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করা কিংবা চুপ করে থাকাও বড় ধরনের মানসিক নির্যাতন। প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা দেখতে পাই গণমাধ্যমের কল্যাণে। কোনো নির্যাতনই এককভাবে মোকাবিলা করা যায় না। মোকাবিলা করতে হয় সম্মিলিতভাবে। প্রবীণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে তাঁদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রবীণ জনগোষ্ঠী পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে প্রাপ্ত জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সক্রিয় হবেন। প্রবীণেরা বার্ধক্যের ভার পরিবার-পরিজন আর নিয়তির ওপর ছেড়ে দিতে চাইবেন না। তাঁরা নিজেদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে অর্থ সঞ্চয় করবেন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন, স্বস্তিদায়ক জীবনের জন্য কু-অভ্যাস ত্যাগ করবেন, সন্তাননির্ভর মানসিকতা বাদ দেবেন।
প্রবীণদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তাঁরা নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। তাঁদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে নির্যাতনের পরিমাণ অনেক কমে যাবে।
কারও ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করা পাপ—এটা শত-সহস্রবার প্রচার করলেও নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নির্যাতন করা মানবাধিকার পরিপন্থী, এ কথায়ও কাজ হবে না। নির্যাতনবিরোধী কঠিন আইন করা হলেও নির্যাতন বন্ধ হবে না। নির্যাতন বন্ধ করতে ব্যক্তিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। ব্যক্তির নির্ভরতা যত কম হবে, নির্যাতনের মাত্রাও তত কম হবে। সন্তাননির্ভর জীবনের আকাঙ্ক্ষা কিংবা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের শেষ দিনগুলো অতিবাহিত করার ইচ্ছা মানুষকে আবেগিক সংকটে ফেলে দেয়। যদি জীবনের শুরু থেকে প্রবীণ জীবনের প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তবে নির্যাতনের আশঙ্কা অনেকখানি কমে যায়। ব্যক্তি তখন ঠিক করেন আয়ের কতটুকু নিজের জন্য, কতটুকু সন্তানের জন্য, কতটুকু স্ত্রী বা স্বামীর জন্য, কতটুকু প্রবীণ জীবনের জন্য রাখবেন। নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা থেকে সরে আসতে থাকবেন। নিজেকে বঞ্চিত করে সবকিছু পরিবারের সদস্যদের জন্য উৎসর্গ করা মূর্খতা ছাড়া আর কী হতে পারে?
প্রবীণ নির্যাতন অবশ্যই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে ভালো কিছু অর্জনের সুযোগ থাকে। প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা যত বেশি মানুষের সামনে হাজির হবে, মানুষ তত বেশি নিজের নিরাপত্তার কথা ভাববেন। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নানান রকমের উপায় খুঁজে বের করবেন। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আশপাশের শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে বৃহৎ শক্তি হিসেবে আবির্ভাব ঘটাতে পারবেন। বৃহৎ শক্তির মোকাবিলা করার বিষয়টি সব সময় নির্যাতনকারী মাথায় রাখবেন। তিনি বুঝতে পারবেন, নির্যাতন করলে শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাবেন না।
লেখক: সভাপতি, এজিং সাপোর্ট ফোরাম
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
২০ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
২০ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২১ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২৪ দিন আগে