সাইবার ঝুঁকি প্রতিরোধ না করলে সব উদ্যোগ বিফলে যাবে: আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭: ০০

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সাইবার জগতের সম্ভাব্য হুমকি ও ঝুঁকি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি তাহলে পুলিশের সক্ষমতা ও উদ্যোগগুলো বিফলে যাবে। অপরাধীরা আবার মাথা চারা দিয়ে উঠবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন শারীরিক পুলিশিংয়ের পাশাপাশি সাইবার জগতের দিকে মনোনিবেশ করছে। 

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমি (ইন্টারপা) আন্তর্জাতিক ১১তম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

আইজিপি বলেন, ‘জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে প্রযুক্তিগত সেবা বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, অনলাইন ইমিগ্রেশন, ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও ই-ট্রাফিক সিকিউরিটি সিস্টেমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে সব ধরনের সাইবার হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা জোরদার করার সময় এসেছে।’ 

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং সাধারণ মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ সব সময়ে অনলাইনে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, সাইবার সন্ত্রাসবাদ এবং যেকোনো হুমকি মোকাবিলার সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।’ 

পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ‘প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে কয়েক দশক ধরে অর্থনীতি, সামাজিক জীবনে অপরাধ এবং অপরাধীদের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। অপরাধীরা নতুন নতুন পন্থায় অপরাধ করছে। তারা বিশ্বের অন্য দেশে বসেও সাইবার হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে পারে। অপরাধীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সাইবার হামলা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।’ 

পুলিশ কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটালাইজড পুলিশিং, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি, বিশেষজ্ঞ পুলিশদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি সময়ের দাবি। এই উদ্যোগটি বিশ্ব পুলিশ নেতাদের বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে যোগ করেন ড. বেনজীর আহমেদ। 

আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ সব সময়ই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পেশাদার জ্ঞান বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। আমরা প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রমের বিকাশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’ 

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পুলিশ প্রমাণ করেছে যে, তারা এই মাটির জন্য কতটা বিশ্বস্ত। পুলিশ তাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছে।’ 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ইন্টারপার সভাপতি ও তুরকী পুলিশ একাডেমির রেক্টর প্রফেসর ইলমাজ লাক, পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার গোলাম ফারুক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন প্রমুখ। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত