অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘ জীবনযাপনের জন্য চীনের শতবর্ষী নারী কিউ চাইশি লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন। জীবনযাত্রার সহজ নিয়ম এবং কিছু অভ্যাসকে নিজের দীর্ঘ জীবনের রহস্য হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিউ চাইশি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯০১ সালে। সেই সময়টিতে চীন ছিল ছিং রাজবংশের অধীনে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ১২৪ তম জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন কিউ। সিচুয়ান প্রদেশের নানচং শহরের শতায়ু এই নারী বর্তমানে ছয় প্রজন্মের পরিবারে বসবাস করছেন। তাঁর নাতনির বয়স ৬০ বছর, আর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য মাত্র আট মাস বয়সী।
সম্প্রতি কিউ তাঁর দীর্ঘ জীবনের রহস্য নিয়ে চীনা গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, প্রতিদিন তিনি তিন বেলা নিয়ম করে খাবার খান। খাবারের পর হাঁটাহাঁটি করেন এবং রাত ৮টার মধ্যেই ঘুমাতে যান। এ ছাড়া নিজের কাজকর্ম সব সময় তিনি নিজেই করেন। যেমন—চুল আঁচড়ানো, হাঁস-মুরগিকে খাওয়ানো এবং আগুন জ্বালানোর মতো বাড়ির অন্যান্য কাজ। এই বয়সেও সিঁড়ি বেয়ে উঠতে তাঁর কোনো সমস্যা হয় না।
কিউয়ের প্রিয় খাবার হলো—মিষ্টি কুমড়া, শীতকালীন তরমুজ এবং ভাঙা ভুট্টার তৈরি পোরিজ, যার ওপরে এক চামচ লার্ড (চর্বি) থাকে। তাঁর নাতনি জানিয়েছেন, লার্ড তাঁর খুব পছন্দ হলেও বর্তমানে ডাক্তারদের পরামর্শে তিনি এটি সীমিত পরিমাণে খান।
কিউয়ের জীবন কেটেছে নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে। ছিং রাজবংশের শাসনামলে অনেক মানুষ খাবারের অভাবে মারা গিয়েছিল। তবে কিউ সেই সময় বেঁচে গিয়েছিলেন। বিয়ের আগেই তিনি গ্রামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। হিসাবে দক্ষতা এবং শারীরিক শক্তির জন্য সম্মানিত ছিলেন তিনি। এমনকি জমি চাষ এবং পাথর বহনের মতো কঠিন কৃষিকাজও অবলীলায় করতেন।
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে তাঁর স্বামী মারা যান। তখন চার সন্তানকে একা হাতে বড় করেন কিউ। আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যেও তিনি সন্তানদের জন্য নতুন কাপড় এবং খাবারের ব্যবস্থা করতেন।
গত শতকের সত্তরের দশকে বড় ছেলের মৃত্যু এবং পুত্রবধূর পুনর্বিবাহ কিউয়ের জীবনে একটি বড় ধাক্কার মতো ছিল। কিউ তখন নিজের নাতনিকে মানুষ করার দায়িত্ব নেন।
বর্তমানে কিউ তাঁর নাতনির সঙ্গে তিনতলা একটি গ্রামীণ বাড়িতে থাকেন। শত বছর পেরোনোর পর তাঁর দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণশক্তি কিছুটা কমে গেছে। তবে তিনি এখনো বুদ্ধিমত্তা এবং সরলতায় ভরপুর।
হাসতে হাসতে কিউ বলেন, ‘আমার ভাইবোন, স্বামী আর ছেলে সবাই চলে গেছে। মৃত্যুর দেবতা হয়তো আমাকে ভুলে গেছে!’
তাঁর নাতনি তাওহুয়া বলেন, ‘দাদিমা কখনো অভিযোগ করেন না। প্রতিবারই দুঃখকে পেছনে ফেলে তিনি হাসি আর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ফিরে আসেন।’
কিউ চাইশি হলেন নানচংয়ের ৯৬০ জন শতায়ু ব্যক্তির একজন। ২০২০ সালের জাতীয় আদমশুমারি অনুসারে, চীন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শতায়ু মানুষের আবাসস্থল। সেই সময় দেশটিতে ১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ শতবর্ষী ছিলেন।
২০২৩ সালের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনের গড় আয়ু ৭৮.৬ বছর। এর মধ্যে হংকং ছিল শীর্ষে, যেখানে গড় আয়ু ৮৫.৬৩ বছর।
দীর্ঘ জীবনযাপনের জন্য চীনের শতবর্ষী নারী কিউ চাইশি লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন। জীবনযাত্রার সহজ নিয়ম এবং কিছু অভ্যাসকে নিজের দীর্ঘ জীবনের রহস্য হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিউ চাইশি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯০১ সালে। সেই সময়টিতে চীন ছিল ছিং রাজবংশের অধীনে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ১২৪ তম জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন কিউ। সিচুয়ান প্রদেশের নানচং শহরের শতায়ু এই নারী বর্তমানে ছয় প্রজন্মের পরিবারে বসবাস করছেন। তাঁর নাতনির বয়স ৬০ বছর, আর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য মাত্র আট মাস বয়সী।
সম্প্রতি কিউ তাঁর দীর্ঘ জীবনের রহস্য নিয়ে চীনা গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, প্রতিদিন তিনি তিন বেলা নিয়ম করে খাবার খান। খাবারের পর হাঁটাহাঁটি করেন এবং রাত ৮টার মধ্যেই ঘুমাতে যান। এ ছাড়া নিজের কাজকর্ম সব সময় তিনি নিজেই করেন। যেমন—চুল আঁচড়ানো, হাঁস-মুরগিকে খাওয়ানো এবং আগুন জ্বালানোর মতো বাড়ির অন্যান্য কাজ। এই বয়সেও সিঁড়ি বেয়ে উঠতে তাঁর কোনো সমস্যা হয় না।
কিউয়ের প্রিয় খাবার হলো—মিষ্টি কুমড়া, শীতকালীন তরমুজ এবং ভাঙা ভুট্টার তৈরি পোরিজ, যার ওপরে এক চামচ লার্ড (চর্বি) থাকে। তাঁর নাতনি জানিয়েছেন, লার্ড তাঁর খুব পছন্দ হলেও বর্তমানে ডাক্তারদের পরামর্শে তিনি এটি সীমিত পরিমাণে খান।
কিউয়ের জীবন কেটেছে নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে। ছিং রাজবংশের শাসনামলে অনেক মানুষ খাবারের অভাবে মারা গিয়েছিল। তবে কিউ সেই সময় বেঁচে গিয়েছিলেন। বিয়ের আগেই তিনি গ্রামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। হিসাবে দক্ষতা এবং শারীরিক শক্তির জন্য সম্মানিত ছিলেন তিনি। এমনকি জমি চাষ এবং পাথর বহনের মতো কঠিন কৃষিকাজও অবলীলায় করতেন।
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে তাঁর স্বামী মারা যান। তখন চার সন্তানকে একা হাতে বড় করেন কিউ। আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যেও তিনি সন্তানদের জন্য নতুন কাপড় এবং খাবারের ব্যবস্থা করতেন।
গত শতকের সত্তরের দশকে বড় ছেলের মৃত্যু এবং পুত্রবধূর পুনর্বিবাহ কিউয়ের জীবনে একটি বড় ধাক্কার মতো ছিল। কিউ তখন নিজের নাতনিকে মানুষ করার দায়িত্ব নেন।
বর্তমানে কিউ তাঁর নাতনির সঙ্গে তিনতলা একটি গ্রামীণ বাড়িতে থাকেন। শত বছর পেরোনোর পর তাঁর দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণশক্তি কিছুটা কমে গেছে। তবে তিনি এখনো বুদ্ধিমত্তা এবং সরলতায় ভরপুর।
হাসতে হাসতে কিউ বলেন, ‘আমার ভাইবোন, স্বামী আর ছেলে সবাই চলে গেছে। মৃত্যুর দেবতা হয়তো আমাকে ভুলে গেছে!’
তাঁর নাতনি তাওহুয়া বলেন, ‘দাদিমা কখনো অভিযোগ করেন না। প্রতিবারই দুঃখকে পেছনে ফেলে তিনি হাসি আর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ফিরে আসেন।’
কিউ চাইশি হলেন নানচংয়ের ৯৬০ জন শতায়ু ব্যক্তির একজন। ২০২০ সালের জাতীয় আদমশুমারি অনুসারে, চীন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শতায়ু মানুষের আবাসস্থল। সেই সময় দেশটিতে ১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ শতবর্ষী ছিলেন।
২০২৩ সালের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনের গড় আয়ু ৭৮.৬ বছর। এর মধ্যে হংকং ছিল শীর্ষে, যেখানে গড় আয়ু ৮৫.৬৩ বছর।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪