Ajker Patrika

ঢাবি এলাকায় অটোরিকশা ভাঙচুর করে ছিনতাইচেষ্টা, আটক ৪

ঢাবি সংবাদদাতা
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৫, ২০: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সহায়তায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা আটক এ চার ব্যক্তিকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিএসসির দিক থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা শাহবাগের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে পেছন থেকে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। পরে রিকশাচালক ও তিন যাত্রী একযোগে সিএনজি ভাঙচুর করেন। তাঁদের আক্রমণে সিএনজির সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। সিএনজির এক পাশের গেট বেঁকে যায়।

এ সময় ঘটনাটি পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া কয়েক শিক্ষার্থীর চোখে পড়লে তাঁরা এগিয়ে আসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্যে রিকশাচালকসহ অভিযুক্ত চার ব্যক্তিকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন জানান, রিকশাচালকসহ লোকগুলোকে দেখে নেশাগ্রস্ত মনে হয়েছে। তাঁদের মুখ থেকে মাদকের গন্ধ বের হচ্ছিল।

সিএনজিচালক মো. রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আটক লোকগুলো আমাকে টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশন থেকে অনুসরণ করছিল। তাঁরা বারবার হর্ন বাজিয়ে বিরক্ত করছিল। কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এসে হুট করে রিকশা দিয়ে সিএনজিতে আঘাত করে। একযোগে সবাই নেমে এসে আমার গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে, টেনে লোহার গেট বাঁকিয়ে ফেলে।’

রাসেল বলেন, ‘আমাকে তাঁরা বলতেছিল, তুই শুধু গেট খোল, তোর কিছু হবে না। কিন্তু আমি ঝুঁকি নিতে চাইনি, তাই গেট বন্ধ করে রাখি।’

এ ঘটনায় আটক চার ব্যক্তি হলেন আমান, মামুন, হানিফ ও রিকশাচালক শাকিল। আমান ও মামুন রাজধানীর আজমপুরে থাকেন। হানিফ থাকেন ডেমরায়। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁরা তিনজন কাঁচামালের ব্যবসা করেন। রিকশাচালক শাকিলের বাড়ি দিনাজপুর। তিনি ঢাকায় নিয়মিত রিকশা চালান।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রেসক্লাবে তাঁদের ভাইয়ের দোকান রয়েছে। তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন। গুলিস্তান থেকে তাঁরা এ রিকশায় ওঠেন। তাঁরা ছিনতাই করার জন্য সিএনজি ভাঙচুর করেননি। সিএনজিচালক শুরুতে রিকশায় ধাক্কা দিয়ে তাঁদের ফেলে দিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা সিএনজি ভাঙচুর করেছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দুপুরে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে নেশাগ্রস্ত চারজন লোক একটি সিএনজির সঙ্গে ঝামেলা করার ঘটনা জানতে পারি। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্যে তাদের থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, এখন তাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে। এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল কি না—বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তারপর তাঁদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত