নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বাঙলা কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ওই কলেজেরই এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। ১৮ মে কলেজের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় কলেজ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিষয়টি আপসের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একপর্যায়ে আজ শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা-মায়ের উপস্থিতেতে ‘যৌন হেনস্তার ঘটনা সঠিক নয়’ এমন মুচলেকা নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দারুসসালাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যৌন নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হাবিবের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের পিটিয়ে আহত ও শিক্ষার্থীকে কোপানোর অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘পূর্বে মামলা থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
তবে অভিযোগ দেওয়ার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগে বলেছেন, ‘বুধবার আমি নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় লাইব্রেরিতে পড়তে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে সিঁড়িতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গে দেখা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি আমার হাত ধরার চেষ্টা করেন। আমি বাধা দিলে তিনি আমায় জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন ও পোশাক খোলার চেষ্টা করেন। আমি চিৎকার করলে হাবিব আমার মুখ চেপে ধরেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে আমি নিচে নেমে আসি। এই ঘটনা উল্লেখ করে কলেজ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় আমার নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় অভিযোগ দিলাম।’
নতুন ভবনের সিঁড়িতে ধর্ষণচেষ্টার পরে ছাত্রলীগ নেতা মেসেঞ্জারে ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাইছেন—এমন কয়েকটি স্ক্রিনশট আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যায়, এই ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে হাবিব লিখেছেন, ‘ক্ষমা চাইছি, দয়া করে ক্ষমা করে দেও। আর জীবনেও এমন অপরাধ হবে না। আমি সত্যি লজ্জিত।’
তবে সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী খান বলেন, ‘মেয়েটি (ছাত্রী) লিখিত দিয়েছে যে অন্যের প্ররোচনায় পড়ে এই কাজটি করেছে। ওর (ভুক্তভোগী) বাবা-মাকে কলেজে ডেকেছি। তাঁরা বলেছেন, না আমার মেয়ে এমন কিছু করে নাই। মেয়েটির বাবা-মা বলেছেন, আমার মেয়ে পুলিশের কাছে কেন যাবে?—এমন কিছুই ঘটেনি।’
তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও কুপিয়ে আহত করার বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাব না দিয়েই ফোন কেটে দেন ফেরদৌসী খান।
এদিকে কলেজের অধ্যক্ষের রুমে দারুসসালাম থানার ওসির উপস্থিতিতে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর সহপাঠী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনার তিন-চার দিন পার হওয়ার পরও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি অভিযোগ না নিয়ে ওই ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কাছে নিয়ে এসেছেন। সেখানে তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নির্যাতনের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাঁর বাবা-মা অধ্যক্ষের রুমে অবস্থান করছেন। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতা হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘নতুন ভবনে ওই ছাত্রী আমাকে ডেকে নিয়ে এমন একটি মুহূর্তের সৃষ্টি করেছে। আমি ভুক্তভোগী। আপনারা যা পারেন লেখেন। আমার কিছু বলার নাই।’
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে হাবিব বলেন, ‘সে সরকারবিরোধী নানা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। আমি তাঁকে এই বিষয়ে বোঝাতে গিয়েছিলাম। এখন সে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছে।’
এ ঘটনার পরে নির্যাতিত ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেন হাবিব। তিনি বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার একটি ভালো সম্পর্ক ছিল। তাই কিছু বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছি।’
রাজধানীর বাঙলা কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ওই কলেজেরই এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। ১৮ মে কলেজের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় কলেজ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিষয়টি আপসের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একপর্যায়ে আজ শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা-মায়ের উপস্থিতেতে ‘যৌন হেনস্তার ঘটনা সঠিক নয়’ এমন মুচলেকা নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দারুসসালাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যৌন নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হাবিবের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের পিটিয়ে আহত ও শিক্ষার্থীকে কোপানোর অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘পূর্বে মামলা থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
তবে অভিযোগ দেওয়ার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগে বলেছেন, ‘বুধবার আমি নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় লাইব্রেরিতে পড়তে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে সিঁড়িতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গে দেখা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি আমার হাত ধরার চেষ্টা করেন। আমি বাধা দিলে তিনি আমায় জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন ও পোশাক খোলার চেষ্টা করেন। আমি চিৎকার করলে হাবিব আমার মুখ চেপে ধরেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে আমি নিচে নেমে আসি। এই ঘটনা উল্লেখ করে কলেজ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় আমার নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় অভিযোগ দিলাম।’
নতুন ভবনের সিঁড়িতে ধর্ষণচেষ্টার পরে ছাত্রলীগ নেতা মেসেঞ্জারে ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাইছেন—এমন কয়েকটি স্ক্রিনশট আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যায়, এই ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে হাবিব লিখেছেন, ‘ক্ষমা চাইছি, দয়া করে ক্ষমা করে দেও। আর জীবনেও এমন অপরাধ হবে না। আমি সত্যি লজ্জিত।’
তবে সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী খান বলেন, ‘মেয়েটি (ছাত্রী) লিখিত দিয়েছে যে অন্যের প্ররোচনায় পড়ে এই কাজটি করেছে। ওর (ভুক্তভোগী) বাবা-মাকে কলেজে ডেকেছি। তাঁরা বলেছেন, না আমার মেয়ে এমন কিছু করে নাই। মেয়েটির বাবা-মা বলেছেন, আমার মেয়ে পুলিশের কাছে কেন যাবে?—এমন কিছুই ঘটেনি।’
তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও কুপিয়ে আহত করার বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাব না দিয়েই ফোন কেটে দেন ফেরদৌসী খান।
এদিকে কলেজের অধ্যক্ষের রুমে দারুসসালাম থানার ওসির উপস্থিতিতে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর সহপাঠী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনার তিন-চার দিন পার হওয়ার পরও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি অভিযোগ না নিয়ে ওই ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কাছে নিয়ে এসেছেন। সেখানে তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নির্যাতনের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাঁর বাবা-মা অধ্যক্ষের রুমে অবস্থান করছেন। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতা হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘নতুন ভবনে ওই ছাত্রী আমাকে ডেকে নিয়ে এমন একটি মুহূর্তের সৃষ্টি করেছে। আমি ভুক্তভোগী। আপনারা যা পারেন লেখেন। আমার কিছু বলার নাই।’
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে হাবিব বলেন, ‘সে সরকারবিরোধী নানা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। আমি তাঁকে এই বিষয়ে বোঝাতে গিয়েছিলাম। এখন সে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছে।’
এ ঘটনার পরে নির্যাতিত ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেন হাবিব। তিনি বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার একটি ভালো সম্পর্ক ছিল। তাই কিছু বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছি।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৭ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৭ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৭ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২১ দিন আগে