সাইফুল ইসলাম সানি, সখীপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের সখীপুরের একটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জন্য নির্ধারিত জমি ও টিনের ছাপড়া পাহারা দিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে! উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নে ৩ শতাংশ ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জন্য নির্ধারিত বলে দাবি করে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় তিন সহোদর ভাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় স্থাপনের নামে প্রায় তিন একর বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নিয়েছেন যাদবপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল ও আব্দুল্লাহেল কাফী নামে তিন সহোদর ভাই।
তাঁরা ওই জমি ভোগ দখলকারী তিন ভাই নজরুল ইসলাম, বজলু মিয়া ও সেলিম আজাদকে উচ্ছেদ করে পাঁচটি টিন দিয়ে একটি ছাপড়া দিয়েছেন। পাশে টাঙানো হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ওই জমি ও ছাপড়া সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন শামসুল আলম ও তাঁর ভাই-ভাতিজারা।
উচ্ছেদের শিকার নজরুল ইসলাম ও তাঁর ভাইদের দাবি, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে স্পর্শকাতর ইস্যু তৈরি করে ফাঁদ পেতেছেন দখলকারীরা।
আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে এভাবে জমি দখলের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও খোদ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যেই ক্ষোভ দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে লাঙ্গুলিয়া গ্রামের বংশীপাড়া এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের শেষের দিকে লাঙ্গুলিয়া মৌজার ৫৪৭ দাগের ১২ খতিয়ানে ২ একর ৯৩ শতাংশ জমি জবরদখল করেন আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম ও তাঁর দুই ভাই আবদুল জলিল এবং আব্দুল্লাহেল কাফী। জমির পুরোটা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে।
তিন ভাই মিলে ওই জমির প্রায় মাঝখানে ৩ শতাংশ জমি যাদবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। সেখানে কয়েকটি সিমেন্টের খুঁটি পুঁতে টিনের ছাপড়া দিয়ে সামনে টাঙানো হয়েছে সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডের ওপরে দুই পাশে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নির্ধারিত স্থান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কাছেই অবস্থিত আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির সামনে বসানো সিসি ক্যামেরা দিয়ে ছাপড়াটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ছাপড়ার ছবি তুলতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হকের ভাতিজা এ প্রতিনিধিকে বাধা দেন। পরে ওই জমি দখলকারী তিন ভাই এগিয়ে আসেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাঁরা বক্তব্য তুলে ধরেন। মুক্তিযোদ্ধা জলিল সিকদারের দাবি, ওই জমি তাঁদের তিন ভাইয়ের। যাঁরা জমির মালিকানা দাবি করছেন তাঁদের জমি অন্য দাগে।
সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে তাঁরা বলেন, প্রতিপক্ষরা প্রায়ই কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ফেলে। এ ছাড়া পারিবারিক নিরাপত্তার কারণেও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উচ্ছেদের শিকার নজরুল ইসলাম ও তাঁর ভাইয়েরা দাবি করেন, ১৯৪৯ সালে সাবরেজিস্ট্রি মূলে তাঁদের বাবা শুকুর মামুদ ওই জমি কিনেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তিন ভাই ভোগ দখল করে আসছেন। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ শতাধিক লোকজন নিয়ে আবদুল জলিল এবং তাঁর ভাইয়েরা ওই জমিটি দখল করেন। জমিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় স্থাপন করে সিসি ক্যামেরা দিয়ে রেখেছেন। যাতে ভাঙচুর করলে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে মামলা দেওয়া যায়।
তাঁরা বলেন, ওইটা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নয়; বরং আমাদের জন্য একটি ফাঁদ পেতে রেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোনায়েম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে বিরোধপূর্ণ জমিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নির্ধারিত স্থান বলে সাইনবোর্ড সাঁটানো ঠিক হয়নি। বিষয়টি একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘কয়েকজন লোক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস করতে জমি দিয়েছে। সেই দানকৃত জমিতে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। জমিটি বিরোধপূর্ণ বলে পরে জেনেছি।’
তবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নামে জমি দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন না উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার। তিনি বলেন, ‘আমরা এ রকম কার্যালয়ের বিষয়ে কিছুই জানি না। এ রকম কিছু হলে অবশ্যই আমরা জমি রেজিস্ট্রি অথবা কার্যালয় উদ্বোধনের সময় উপস্থিত থাকতাম। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
টাঙ্গাইলের সখীপুরের একটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জন্য নির্ধারিত জমি ও টিনের ছাপড়া পাহারা দিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে! উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নে ৩ শতাংশ ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জন্য নির্ধারিত বলে দাবি করে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় তিন সহোদর ভাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় স্থাপনের নামে প্রায় তিন একর বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নিয়েছেন যাদবপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল ও আব্দুল্লাহেল কাফী নামে তিন সহোদর ভাই।
তাঁরা ওই জমি ভোগ দখলকারী তিন ভাই নজরুল ইসলাম, বজলু মিয়া ও সেলিম আজাদকে উচ্ছেদ করে পাঁচটি টিন দিয়ে একটি ছাপড়া দিয়েছেন। পাশে টাঙানো হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ওই জমি ও ছাপড়া সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন শামসুল আলম ও তাঁর ভাই-ভাতিজারা।
উচ্ছেদের শিকার নজরুল ইসলাম ও তাঁর ভাইদের দাবি, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে স্পর্শকাতর ইস্যু তৈরি করে ফাঁদ পেতেছেন দখলকারীরা।
আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে এভাবে জমি দখলের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও খোদ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যেই ক্ষোভ দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে লাঙ্গুলিয়া গ্রামের বংশীপাড়া এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের শেষের দিকে লাঙ্গুলিয়া মৌজার ৫৪৭ দাগের ১২ খতিয়ানে ২ একর ৯৩ শতাংশ জমি জবরদখল করেন আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম ও তাঁর দুই ভাই আবদুল জলিল এবং আব্দুল্লাহেল কাফী। জমির পুরোটা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে।
তিন ভাই মিলে ওই জমির প্রায় মাঝখানে ৩ শতাংশ জমি যাদবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। সেখানে কয়েকটি সিমেন্টের খুঁটি পুঁতে টিনের ছাপড়া দিয়ে সামনে টাঙানো হয়েছে সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডের ওপরে দুই পাশে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নির্ধারিত স্থান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কাছেই অবস্থিত আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির সামনে বসানো সিসি ক্যামেরা দিয়ে ছাপড়াটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ছাপড়ার ছবি তুলতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হকের ভাতিজা এ প্রতিনিধিকে বাধা দেন। পরে ওই জমি দখলকারী তিন ভাই এগিয়ে আসেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাঁরা বক্তব্য তুলে ধরেন। মুক্তিযোদ্ধা জলিল সিকদারের দাবি, ওই জমি তাঁদের তিন ভাইয়ের। যাঁরা জমির মালিকানা দাবি করছেন তাঁদের জমি অন্য দাগে।
সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে তাঁরা বলেন, প্রতিপক্ষরা প্রায়ই কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ফেলে। এ ছাড়া পারিবারিক নিরাপত্তার কারণেও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উচ্ছেদের শিকার নজরুল ইসলাম ও তাঁর ভাইয়েরা দাবি করেন, ১৯৪৯ সালে সাবরেজিস্ট্রি মূলে তাঁদের বাবা শুকুর মামুদ ওই জমি কিনেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তিন ভাই ভোগ দখল করে আসছেন। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ শতাধিক লোকজন নিয়ে আবদুল জলিল এবং তাঁর ভাইয়েরা ওই জমিটি দখল করেন। জমিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় স্থাপন করে সিসি ক্যামেরা দিয়ে রেখেছেন। যাতে ভাঙচুর করলে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে মামলা দেওয়া যায়।
তাঁরা বলেন, ওইটা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নয়; বরং আমাদের জন্য একটি ফাঁদ পেতে রেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোনায়েম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে বিরোধপূর্ণ জমিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নির্ধারিত স্থান বলে সাইনবোর্ড সাঁটানো ঠিক হয়নি। বিষয়টি একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘কয়েকজন লোক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস করতে জমি দিয়েছে। সেই দানকৃত জমিতে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। জমিটি বিরোধপূর্ণ বলে পরে জেনেছি।’
তবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নামে জমি দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন না উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার। তিনি বলেন, ‘আমরা এ রকম কার্যালয়ের বিষয়ে কিছুই জানি না। এ রকম কিছু হলে অবশ্যই আমরা জমি রেজিস্ট্রি অথবা কার্যালয় উদ্বোধনের সময় উপস্থিত থাকতাম। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৭ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৭ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৭ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২১ দিন আগে