সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
মঞ্চ, চেয়ার কোনো কিছুই অক্ষত নেই। সিলিং ভেঙে পড়েছে, খসে পড়েছে দেয়ালের পলেস্তারা। দেয়ালে জন্মানো গাছের শেকড় ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে কাঠামো। সিঁড়িতেও জন্মেছে গাছ। ছাদে পানি পড়ে শ্যাওলা জন্মেছে। রাতে এখানে প্রবেশ তো দূরের কথা, দিনের আলোতেও যেন ভুতুড়ে বাড়ি।
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ার শহীদ জিয়া হলের বর্তমান অবস্থা এমনই। ১৯৮১ সালে নির্মাণের পর এই হল হয়ে উঠেছিল জেলাবাসীর সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম কেন্দ্র। মঞ্চনাটক, যাত্রাপালা, আবৃত্তিসহ রকমারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো হলটিতে। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর হলটিতে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর দীর্ঘদিন অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা হলটিকে একসময় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। হল ভেঙে বহুতল মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দাবি উঠেছে হলটি সংস্কারের। জেলা প্রশাসনও হলটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আন্তরিক।
দোতলা এই হল ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিল জেলার সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম কেন্দ্র। তবে গত ১৪ বছরে এ হলে আয়োজন করা হয়নি কোনো অনুষ্ঠান। কেবল হলের বাইরে বিভিন্ন মেলা বসানো হতো। চারুগঞ্জ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ঐকিক থিয়েটারের সদস্য আহমেদুর রহমান তনু বলেন, ‘অতি দ্রুত জিয়া হলকে সরকারি উদ্যোগে সংস্কার অথবা পুনর্নির্মাণ করা দরকার। নারায়ণগঞ্জ শহরে তেমন কোনো হল নেই। সব অনুষ্ঠানের চাপ পড়ে শহীদ মিনারে। একটি নগরীতে টাউন হলে যেসব সুবিধা থাকা দরকার, তা যুক্ত করে দ্রুত জিয়া হল প্রস্তুত করা প্রয়োজন।’
নিরাপত্তার ব্যবস্থা না রাখায় ভেতরের বিভিন্ন আসবাব খুলে নিয়ে গেছে মাদকসেবী ও চোরেরা। ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণার পর দরজা, জানালা এমনকি গ্রিলও কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও হলের ছাদে দৃশ্যমান ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল। আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রতাপশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারীরা ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাতের আঁধারে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলেন।
জাসাস জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান সানি বলেন, ‘জিয়া হলটিতে প্রায় সাড়ে ৫০০ আসন ছিল। প্রচুর অনুষ্ঠান হতো এখানে। এখন জিয়া হলের ভঙ্গুর দশা। এই হল সংস্কারের জন্য একাধিকবার দাবি জানিয়েছি। নতুন করে হলটি প্রস্তুত হলে সংস্কৃতিচর্চাসহ বিভিন্ন সভা-সেমিনার করা সহজ হবে।’
জিয়া হল দেখভালের জন্য গত ৫ আগস্টের পর নতুন কেয়ারটেকার নিযুক্ত করেছে জেলা প্রশাসন। কেয়ারটেকার জামাল সরকার গতকাল রোববার ঘুরেফিরে দেখান হলটির ভেতরের অবস্থা। তিনি বলেন, ‘জিয়া হল আগে অনেক জাঁকজমক ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর হলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে এটা ভূতের বাড়ি হয়ে গেছে। সরকার যদি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়, তাহলে ভালো হয়। অযত্নের কারণে হলটা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সংস্কারেরও অবস্থা নেই।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নামে একটিমাত্র স্থাপনা রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। বিগত সরকার এই হল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছিল। জিয়াউর রহমানের নাম থাকার কারণে হলটি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই হলটি নতুন করে নির্মাণ করা হোক।’
হলটি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ‘২০১৫ সালে পিডব্লিউডির প্রকৌশলীরা হলটি পরিদর্শন করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। হলটি নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন। এই হলের একটি কমিটি রয়েছে, ওই কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
মঞ্চ, চেয়ার কোনো কিছুই অক্ষত নেই। সিলিং ভেঙে পড়েছে, খসে পড়েছে দেয়ালের পলেস্তারা। দেয়ালে জন্মানো গাছের শেকড় ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে কাঠামো। সিঁড়িতেও জন্মেছে গাছ। ছাদে পানি পড়ে শ্যাওলা জন্মেছে। রাতে এখানে প্রবেশ তো দূরের কথা, দিনের আলোতেও যেন ভুতুড়ে বাড়ি।
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ার শহীদ জিয়া হলের বর্তমান অবস্থা এমনই। ১৯৮১ সালে নির্মাণের পর এই হল হয়ে উঠেছিল জেলাবাসীর সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম কেন্দ্র। মঞ্চনাটক, যাত্রাপালা, আবৃত্তিসহ রকমারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো হলটিতে। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর হলটিতে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর দীর্ঘদিন অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা হলটিকে একসময় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। হল ভেঙে বহুতল মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দাবি উঠেছে হলটি সংস্কারের। জেলা প্রশাসনও হলটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আন্তরিক।
দোতলা এই হল ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিল জেলার সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম কেন্দ্র। তবে গত ১৪ বছরে এ হলে আয়োজন করা হয়নি কোনো অনুষ্ঠান। কেবল হলের বাইরে বিভিন্ন মেলা বসানো হতো। চারুগঞ্জ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ঐকিক থিয়েটারের সদস্য আহমেদুর রহমান তনু বলেন, ‘অতি দ্রুত জিয়া হলকে সরকারি উদ্যোগে সংস্কার অথবা পুনর্নির্মাণ করা দরকার। নারায়ণগঞ্জ শহরে তেমন কোনো হল নেই। সব অনুষ্ঠানের চাপ পড়ে শহীদ মিনারে। একটি নগরীতে টাউন হলে যেসব সুবিধা থাকা দরকার, তা যুক্ত করে দ্রুত জিয়া হল প্রস্তুত করা প্রয়োজন।’
নিরাপত্তার ব্যবস্থা না রাখায় ভেতরের বিভিন্ন আসবাব খুলে নিয়ে গেছে মাদকসেবী ও চোরেরা। ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণার পর দরজা, জানালা এমনকি গ্রিলও কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও হলের ছাদে দৃশ্যমান ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল। আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রতাপশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারীরা ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাতের আঁধারে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলেন।
জাসাস জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান সানি বলেন, ‘জিয়া হলটিতে প্রায় সাড়ে ৫০০ আসন ছিল। প্রচুর অনুষ্ঠান হতো এখানে। এখন জিয়া হলের ভঙ্গুর দশা। এই হল সংস্কারের জন্য একাধিকবার দাবি জানিয়েছি। নতুন করে হলটি প্রস্তুত হলে সংস্কৃতিচর্চাসহ বিভিন্ন সভা-সেমিনার করা সহজ হবে।’
জিয়া হল দেখভালের জন্য গত ৫ আগস্টের পর নতুন কেয়ারটেকার নিযুক্ত করেছে জেলা প্রশাসন। কেয়ারটেকার জামাল সরকার গতকাল রোববার ঘুরেফিরে দেখান হলটির ভেতরের অবস্থা। তিনি বলেন, ‘জিয়া হল আগে অনেক জাঁকজমক ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর হলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে এটা ভূতের বাড়ি হয়ে গেছে। সরকার যদি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়, তাহলে ভালো হয়। অযত্নের কারণে হলটা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সংস্কারেরও অবস্থা নেই।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নামে একটিমাত্র স্থাপনা রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। বিগত সরকার এই হল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছিল। জিয়াউর রহমানের নাম থাকার কারণে হলটি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই হলটি নতুন করে নির্মাণ করা হোক।’
হলটি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ‘২০১৫ সালে পিডব্লিউডির প্রকৌশলীরা হলটি পরিদর্শন করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। হলটি নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন। এই হলের একটি কমিটি রয়েছে, ওই কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪