মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে তিন দিন ধরে থেমে থেমে টেঁটা বল্লম নিয়ে সংঘর্ষ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আকবরনগরে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে। এতে এক পক্ষের সমর্থকদের আটটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আকবরনগর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বালুচর ইউনিয়নের আকবরনগর গ্রামটি নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলী ইউনিয়ন ঘেঁষা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বালুচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন ও বক্তাবলী এলাকার সামেদ আলীদের সঙ্গে আকবরনগর গ্রামের হাসান আলীদের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। 

আজ দুপুরে আফজাল হোসেনের এক সমর্থককে মারধর করে হাসান আলীর লোকজন। পরে আফজাল ও সামেদ আলীর লোকজন হাসান আলীর সর্মথকদের বাড়িঘর ঘেরাও করে হামলা চালায়। সে সময় ৭-৮টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে তারা। পরে পুলিশ খবর পেলে ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের আন্তরিকতার অভাবে সংঘর্ষ থামছে না। 

এর আগে গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচ জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ১৭ জন আহত হয়। এছাড়া উভয় পক্ষের ১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। 

সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কয়েক দিন আগের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা হয়েছে। বক্তাবলীর লোকজন আকবরনগর না এলে কোনো ঝগড়া হওয়ার সম্ভবনা নেই। আজকে সেখানে গিয়েছিলাম। বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত এবং ফতুল্লা থানার ওসি ঝামেলা কমাতে তাঁর এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন।’