আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গাদকারি সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি একে ‘নীরব সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সড়কে এই প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। মৃতদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজারই শিশু। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১০ হাজার মানুষ। ৩৫ হাজার পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের মৃত্যুসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। অধিকাংশ দুর্ঘটনার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ‘অতিরিক্ত গতি।’
মৌলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেও বহু মৃত্যু ঘটেছে। প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ হেলমেট না পরার কারণে মারা গেছেন। সিটবেল্ট ব্যবহার না করায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ হাজার জন। অতিরিক্ত মাল বহনও একটি বড় কারণ, এতে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর কারণে ৩৪ হাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভুল দিক দিয়ে গাড়ি চালানোও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ শতাংশ দুর্ঘটনায় চালকের কাছে লার্নার্স লাইসেন্স ছিল বা কোনো লাইসেন্সই ছিল না। পুরোনো যানবাহনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম, যেমন—সিটবেল্ট ও এয়ারব্যাগ না থাকাও ঝুঁকির কারণ।
ভারতের বিশৃঙ্খল ট্র্যাফিক পরিস্থিতি সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখানকার রাস্তাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এর মধ্যে আছে—মোটরগাড়ি, বাইসাইকেল, রিকশার মতো অ-মোটর চালিত যান, গরুর গাড়ি, পথচারী এবং রাস্তার পশু। হকারদের রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করার কারণে পথচারীরা বাধ্য হয়ে মূল সড়কে নেমে আসেন। এটি যান চলাচলে বাধা দেয় এবং বিপদ বাড়ায়।
চলমান প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ সত্ত্বেও ভারতের রাস্তাগুলো বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকট শুধু রাস্তার অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে নয়। এর জন্য দায়ী মানুষের সমস্যাযুক্ত আচরণ, আইনের অপর্যাপ্ত প্রয়োগ এবং সার্বিক অব্যবস্থাপনাও। এই দুর্ঘটনার অর্থনৈতিক প্রভাবও ব্যাপক। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ভারতের বার্ষিক জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ ক্ষতি হয়।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক নেটওয়ার্কের দেশ। ভারতের সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৬৬ লাখ কিলোমিটার। জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলো এই নেটওয়ার্কের প্রায় ৫ শতাংশ। দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি। মন্ত্রী গাদকারি দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভয়ের অভাবকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার অনেক কারণ আছে, তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো মানুষের আচরণ।’ তবে তিনি অবকাঠামোগত ত্রুটির কথাও স্বীকার করেছেন।
গত মাসেই মন্ত্রী নিম্নমানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুশীলনের বিষয়টি তুলে ধরেন। সড়কের ত্রুটিপূর্ণ নকশা, নিম্নমানের নির্মাণকাজ, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং অপর্যাপ্ত সাইন ও মার্কিংকে তিনি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধী হলেন ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা।’ এমনকি রাস্তার সাইন ও মার্কিংয়ের মতো ছোট বিষয়গুলোও দেশে অত্যন্ত নিম্নমানের বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
তাঁর মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় সড়কগুলোতে ৫৯টি বড় ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৭৯৫টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে, মাত্র ৫ হাজার ৩৬ টিতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)—দিল্লির ট্রান্সপোর্টেশন রিসার্চ অ্যান্ড ইনজুরি প্রিভেনশন সেন্টারের (টিআরআইপিপি) সড়ক সুরক্ষা নিরীক্ষাতেও ধারাবাহিকভাবে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়েছে। ক্র্যাশ ব্যারিয়ারগুলো সঠিকভাবে বসানো হয় না। এগুলো অনেক সময় উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। রাস্তায় বেশি উঁচু মিডিয়ান (১০ সেমি-এর বেশি) টায়ার ফেটে যাওয়া বা গাড়ি উল্টে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। গ্রামীণ সড়কগুলোতে বারবার সংস্কারের ফলে রাস্তা উঁচু হয়ে গেছে। এর ফলে বিপজ্জনক ঢাল তৈরি হয়েছে যা বিশেষ করে দুই চাকার যানবাহনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ভারতের সড়ক নকশার মান কাগজে-কলমে ভালো হলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ খুবই দুর্বল। আইআইটি দিল্লির অধ্যাপক গীতম তিওয়ারি উল্লেখ করেছেন, ‘একটি প্রধান সমস্যা হলো নিরাপত্তা মান না মানলে শাস্তি খুবই সামান্য হয়।’ এ ছাড়া, ঠিকাদারদের চুক্তিতে প্রায়শই এই প্রয়োজনীয়তাগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না। পেমেন্ট সাধারণত কত কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে তার ভিত্তিতে দেওয়া হয়, নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলার ভিত্তিতে নয়।
মন্ত্রী গাদকারি ২৫ হাজার কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি দুর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করবে। তবে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর শিক্ষক কাভি ভাল্লার মতো বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সন্দিহান।
ভাল্লার যুক্তি, ‘রাস্তা চওড়া করলে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে এমন কোনো কারণ নেই।’ তিনি বলেন, ‘প্রমাণ আছে যে, রাস্তার মানোন্নয়ন করলে গাড়ির গতি বাড়ে, যা পথচারী, বাইসাইকেল চালক এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য মারাত্মক। তিনি আরও বলেন, নতুন রাস্তা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নকশা অনুকরণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার ট্র্যাফিক পরিস্থিতি ভারতের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে নিরাপত্তা প্রকৌশল গবেষণা এবং দুর্ঘটনা ডেটা সিস্টেমে বিনিয়োগ করছে না।’
এই সংকট মোকাবিলায় সরকার ‘ফাইভ ই’ বা ‘৫ ই’ কৌশল বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে—সড়কের ইঞ্জিনিয়ারিং, যানবাহনের ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, আইন প্রয়োগ এবং জরুরি পরিষেবা। ইন্টারন্যাশনাল রোড ফেডারেশনের কর্মকর্তা কেকে কপিলা বলেন, ‘সঠিক সময়ে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে ৫০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমানো সম্ভব।’
কপিলা ভারত সরকারকে একটি সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করছেন। তিনি জানান, সাতটি প্রধান রাজ্যে ‘৫ ই’ কাঠামোর ভিত্তিতে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের ফলে আগে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো এখন সেই রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা একমত যে, ভারতের উন্নয়নের জন্য আরও সড়ক তৈরি করা জরুরি। তবে তারা টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারীদের জীবনের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন।
কাভি ভাল্লা বলেন, ‘উন্নয়নের মূল্য যেন সমাজের দরিদ্রতম অংশকে বহন করতে না হয়।’ তিনি একটি পুনরাবৃত্তিমূলক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কীভাবে নিরাপদ রাস্তা তৈরি করতে হয়, তা শেখার একমাত্র উপায় হলো বিভিন্ন পদ্ধতিতে চেষ্টা করা, সেগুলো কতটা কার্যকর তা মূল্যায়ন করা। যদি ফল না পাওয়া যায় তবে সেগুলো পরিবর্তন করে আবার মূল্যায়ন করা। এটি না করা হলে মসৃণ রাস্তা, দ্রুতগামী গাড়ি এবং ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর চক্র চলতেই থাকবে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গাদকারি সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি একে ‘নীরব সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সড়কে এই প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। মৃতদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজারই শিশু। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১০ হাজার মানুষ। ৩৫ হাজার পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের মৃত্যুসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। অধিকাংশ দুর্ঘটনার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ‘অতিরিক্ত গতি।’
মৌলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেও বহু মৃত্যু ঘটেছে। প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ হেলমেট না পরার কারণে মারা গেছেন। সিটবেল্ট ব্যবহার না করায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ হাজার জন। অতিরিক্ত মাল বহনও একটি বড় কারণ, এতে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর কারণে ৩৪ হাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভুল দিক দিয়ে গাড়ি চালানোও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ শতাংশ দুর্ঘটনায় চালকের কাছে লার্নার্স লাইসেন্স ছিল বা কোনো লাইসেন্সই ছিল না। পুরোনো যানবাহনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম, যেমন—সিটবেল্ট ও এয়ারব্যাগ না থাকাও ঝুঁকির কারণ।
ভারতের বিশৃঙ্খল ট্র্যাফিক পরিস্থিতি সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখানকার রাস্তাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এর মধ্যে আছে—মোটরগাড়ি, বাইসাইকেল, রিকশার মতো অ-মোটর চালিত যান, গরুর গাড়ি, পথচারী এবং রাস্তার পশু। হকারদের রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করার কারণে পথচারীরা বাধ্য হয়ে মূল সড়কে নেমে আসেন। এটি যান চলাচলে বাধা দেয় এবং বিপদ বাড়ায়।
চলমান প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ সত্ত্বেও ভারতের রাস্তাগুলো বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকট শুধু রাস্তার অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে নয়। এর জন্য দায়ী মানুষের সমস্যাযুক্ত আচরণ, আইনের অপর্যাপ্ত প্রয়োগ এবং সার্বিক অব্যবস্থাপনাও। এই দুর্ঘটনার অর্থনৈতিক প্রভাবও ব্যাপক। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ভারতের বার্ষিক জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ ক্ষতি হয়।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক নেটওয়ার্কের দেশ। ভারতের সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৬৬ লাখ কিলোমিটার। জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলো এই নেটওয়ার্কের প্রায় ৫ শতাংশ। দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি। মন্ত্রী গাদকারি দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভয়ের অভাবকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার অনেক কারণ আছে, তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো মানুষের আচরণ।’ তবে তিনি অবকাঠামোগত ত্রুটির কথাও স্বীকার করেছেন।
গত মাসেই মন্ত্রী নিম্নমানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুশীলনের বিষয়টি তুলে ধরেন। সড়কের ত্রুটিপূর্ণ নকশা, নিম্নমানের নির্মাণকাজ, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং অপর্যাপ্ত সাইন ও মার্কিংকে তিনি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধী হলেন ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা।’ এমনকি রাস্তার সাইন ও মার্কিংয়ের মতো ছোট বিষয়গুলোও দেশে অত্যন্ত নিম্নমানের বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
তাঁর মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় সড়কগুলোতে ৫৯টি বড় ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৭৯৫টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে, মাত্র ৫ হাজার ৩৬ টিতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)—দিল্লির ট্রান্সপোর্টেশন রিসার্চ অ্যান্ড ইনজুরি প্রিভেনশন সেন্টারের (টিআরআইপিপি) সড়ক সুরক্ষা নিরীক্ষাতেও ধারাবাহিকভাবে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়েছে। ক্র্যাশ ব্যারিয়ারগুলো সঠিকভাবে বসানো হয় না। এগুলো অনেক সময় উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। রাস্তায় বেশি উঁচু মিডিয়ান (১০ সেমি-এর বেশি) টায়ার ফেটে যাওয়া বা গাড়ি উল্টে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। গ্রামীণ সড়কগুলোতে বারবার সংস্কারের ফলে রাস্তা উঁচু হয়ে গেছে। এর ফলে বিপজ্জনক ঢাল তৈরি হয়েছে যা বিশেষ করে দুই চাকার যানবাহনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ভারতের সড়ক নকশার মান কাগজে-কলমে ভালো হলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ খুবই দুর্বল। আইআইটি দিল্লির অধ্যাপক গীতম তিওয়ারি উল্লেখ করেছেন, ‘একটি প্রধান সমস্যা হলো নিরাপত্তা মান না মানলে শাস্তি খুবই সামান্য হয়।’ এ ছাড়া, ঠিকাদারদের চুক্তিতে প্রায়শই এই প্রয়োজনীয়তাগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না। পেমেন্ট সাধারণত কত কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে তার ভিত্তিতে দেওয়া হয়, নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলার ভিত্তিতে নয়।
মন্ত্রী গাদকারি ২৫ হাজার কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি দুর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করবে। তবে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর শিক্ষক কাভি ভাল্লার মতো বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সন্দিহান।
ভাল্লার যুক্তি, ‘রাস্তা চওড়া করলে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে এমন কোনো কারণ নেই।’ তিনি বলেন, ‘প্রমাণ আছে যে, রাস্তার মানোন্নয়ন করলে গাড়ির গতি বাড়ে, যা পথচারী, বাইসাইকেল চালক এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য মারাত্মক। তিনি আরও বলেন, নতুন রাস্তা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নকশা অনুকরণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার ট্র্যাফিক পরিস্থিতি ভারতের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে নিরাপত্তা প্রকৌশল গবেষণা এবং দুর্ঘটনা ডেটা সিস্টেমে বিনিয়োগ করছে না।’
এই সংকট মোকাবিলায় সরকার ‘ফাইভ ই’ বা ‘৫ ই’ কৌশল বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে—সড়কের ইঞ্জিনিয়ারিং, যানবাহনের ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, আইন প্রয়োগ এবং জরুরি পরিষেবা। ইন্টারন্যাশনাল রোড ফেডারেশনের কর্মকর্তা কেকে কপিলা বলেন, ‘সঠিক সময়ে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে ৫০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমানো সম্ভব।’
কপিলা ভারত সরকারকে একটি সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করছেন। তিনি জানান, সাতটি প্রধান রাজ্যে ‘৫ ই’ কাঠামোর ভিত্তিতে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের ফলে আগে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো এখন সেই রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা একমত যে, ভারতের উন্নয়নের জন্য আরও সড়ক তৈরি করা জরুরি। তবে তারা টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারীদের জীবনের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন।
কাভি ভাল্লা বলেন, ‘উন্নয়নের মূল্য যেন সমাজের দরিদ্রতম অংশকে বহন করতে না হয়।’ তিনি একটি পুনরাবৃত্তিমূলক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কীভাবে নিরাপদ রাস্তা তৈরি করতে হয়, তা শেখার একমাত্র উপায় হলো বিভিন্ন পদ্ধতিতে চেষ্টা করা, সেগুলো কতটা কার্যকর তা মূল্যায়ন করা। যদি ফল না পাওয়া যায় তবে সেগুলো পরিবর্তন করে আবার মূল্যায়ন করা। এটি না করা হলে মসৃণ রাস্তা, দ্রুতগামী গাড়ি এবং ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর চক্র চলতেই থাকবে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গাদকারি সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি একে ‘নীরব সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সড়কে এই প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। মৃতদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজারই শিশু। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১০ হাজার মানুষ। ৩৫ হাজার পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের মৃত্যুসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। অধিকাংশ দুর্ঘটনার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ‘অতিরিক্ত গতি।’
মৌলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেও বহু মৃত্যু ঘটেছে। প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ হেলমেট না পরার কারণে মারা গেছেন। সিটবেল্ট ব্যবহার না করায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ হাজার জন। অতিরিক্ত মাল বহনও একটি বড় কারণ, এতে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর কারণে ৩৪ হাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভুল দিক দিয়ে গাড়ি চালানোও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ শতাংশ দুর্ঘটনায় চালকের কাছে লার্নার্স লাইসেন্স ছিল বা কোনো লাইসেন্সই ছিল না। পুরোনো যানবাহনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম, যেমন—সিটবেল্ট ও এয়ারব্যাগ না থাকাও ঝুঁকির কারণ।
ভারতের বিশৃঙ্খল ট্র্যাফিক পরিস্থিতি সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখানকার রাস্তাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এর মধ্যে আছে—মোটরগাড়ি, বাইসাইকেল, রিকশার মতো অ-মোটর চালিত যান, গরুর গাড়ি, পথচারী এবং রাস্তার পশু। হকারদের রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করার কারণে পথচারীরা বাধ্য হয়ে মূল সড়কে নেমে আসেন। এটি যান চলাচলে বাধা দেয় এবং বিপদ বাড়ায়।
চলমান প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ সত্ত্বেও ভারতের রাস্তাগুলো বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকট শুধু রাস্তার অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে নয়। এর জন্য দায়ী মানুষের সমস্যাযুক্ত আচরণ, আইনের অপর্যাপ্ত প্রয়োগ এবং সার্বিক অব্যবস্থাপনাও। এই দুর্ঘটনার অর্থনৈতিক প্রভাবও ব্যাপক। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ভারতের বার্ষিক জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ ক্ষতি হয়।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক নেটওয়ার্কের দেশ। ভারতের সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৬৬ লাখ কিলোমিটার। জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলো এই নেটওয়ার্কের প্রায় ৫ শতাংশ। দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি। মন্ত্রী গাদকারি দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভয়ের অভাবকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার অনেক কারণ আছে, তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো মানুষের আচরণ।’ তবে তিনি অবকাঠামোগত ত্রুটির কথাও স্বীকার করেছেন।
গত মাসেই মন্ত্রী নিম্নমানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুশীলনের বিষয়টি তুলে ধরেন। সড়কের ত্রুটিপূর্ণ নকশা, নিম্নমানের নির্মাণকাজ, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং অপর্যাপ্ত সাইন ও মার্কিংকে তিনি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধী হলেন ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা।’ এমনকি রাস্তার সাইন ও মার্কিংয়ের মতো ছোট বিষয়গুলোও দেশে অত্যন্ত নিম্নমানের বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
তাঁর মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় সড়কগুলোতে ৫৯টি বড় ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৭৯৫টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে, মাত্র ৫ হাজার ৩৬ টিতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)—দিল্লির ট্রান্সপোর্টেশন রিসার্চ অ্যান্ড ইনজুরি প্রিভেনশন সেন্টারের (টিআরআইপিপি) সড়ক সুরক্ষা নিরীক্ষাতেও ধারাবাহিকভাবে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়েছে। ক্র্যাশ ব্যারিয়ারগুলো সঠিকভাবে বসানো হয় না। এগুলো অনেক সময় উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। রাস্তায় বেশি উঁচু মিডিয়ান (১০ সেমি-এর বেশি) টায়ার ফেটে যাওয়া বা গাড়ি উল্টে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। গ্রামীণ সড়কগুলোতে বারবার সংস্কারের ফলে রাস্তা উঁচু হয়ে গেছে। এর ফলে বিপজ্জনক ঢাল তৈরি হয়েছে যা বিশেষ করে দুই চাকার যানবাহনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ভারতের সড়ক নকশার মান কাগজে-কলমে ভালো হলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ খুবই দুর্বল। আইআইটি দিল্লির অধ্যাপক গীতম তিওয়ারি উল্লেখ করেছেন, ‘একটি প্রধান সমস্যা হলো নিরাপত্তা মান না মানলে শাস্তি খুবই সামান্য হয়।’ এ ছাড়া, ঠিকাদারদের চুক্তিতে প্রায়শই এই প্রয়োজনীয়তাগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না। পেমেন্ট সাধারণত কত কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে তার ভিত্তিতে দেওয়া হয়, নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলার ভিত্তিতে নয়।
মন্ত্রী গাদকারি ২৫ হাজার কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি দুর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করবে। তবে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর শিক্ষক কাভি ভাল্লার মতো বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সন্দিহান।
ভাল্লার যুক্তি, ‘রাস্তা চওড়া করলে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে এমন কোনো কারণ নেই।’ তিনি বলেন, ‘প্রমাণ আছে যে, রাস্তার মানোন্নয়ন করলে গাড়ির গতি বাড়ে, যা পথচারী, বাইসাইকেল চালক এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য মারাত্মক। তিনি আরও বলেন, নতুন রাস্তা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নকশা অনুকরণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার ট্র্যাফিক পরিস্থিতি ভারতের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে নিরাপত্তা প্রকৌশল গবেষণা এবং দুর্ঘটনা ডেটা সিস্টেমে বিনিয়োগ করছে না।’
এই সংকট মোকাবিলায় সরকার ‘ফাইভ ই’ বা ‘৫ ই’ কৌশল বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে—সড়কের ইঞ্জিনিয়ারিং, যানবাহনের ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, আইন প্রয়োগ এবং জরুরি পরিষেবা। ইন্টারন্যাশনাল রোড ফেডারেশনের কর্মকর্তা কেকে কপিলা বলেন, ‘সঠিক সময়ে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে ৫০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমানো সম্ভব।’
কপিলা ভারত সরকারকে একটি সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করছেন। তিনি জানান, সাতটি প্রধান রাজ্যে ‘৫ ই’ কাঠামোর ভিত্তিতে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের ফলে আগে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো এখন সেই রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা একমত যে, ভারতের উন্নয়নের জন্য আরও সড়ক তৈরি করা জরুরি। তবে তারা টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারীদের জীবনের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন।
কাভি ভাল্লা বলেন, ‘উন্নয়নের মূল্য যেন সমাজের দরিদ্রতম অংশকে বহন করতে না হয়।’ তিনি একটি পুনরাবৃত্তিমূলক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কীভাবে নিরাপদ রাস্তা তৈরি করতে হয়, তা শেখার একমাত্র উপায় হলো বিভিন্ন পদ্ধতিতে চেষ্টা করা, সেগুলো কতটা কার্যকর তা মূল্যায়ন করা। যদি ফল না পাওয়া যায় তবে সেগুলো পরিবর্তন করে আবার মূল্যায়ন করা। এটি না করা হলে মসৃণ রাস্তা, দ্রুতগামী গাড়ি এবং ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর চক্র চলতেই থাকবে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গাদকারি সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি একে ‘নীরব সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সড়কে এই প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। মৃতদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজারই শিশু। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১০ হাজার মানুষ। ৩৫ হাজার পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের মৃত্যুসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। অধিকাংশ দুর্ঘটনার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ‘অতিরিক্ত গতি।’
মৌলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেও বহু মৃত্যু ঘটেছে। প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ হেলমেট না পরার কারণে মারা গেছেন। সিটবেল্ট ব্যবহার না করায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ হাজার জন। অতিরিক্ত মাল বহনও একটি বড় কারণ, এতে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর কারণে ৩৪ হাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভুল দিক দিয়ে গাড়ি চালানোও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ শতাংশ দুর্ঘটনায় চালকের কাছে লার্নার্স লাইসেন্স ছিল বা কোনো লাইসেন্সই ছিল না। পুরোনো যানবাহনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম, যেমন—সিটবেল্ট ও এয়ারব্যাগ না থাকাও ঝুঁকির কারণ।
ভারতের বিশৃঙ্খল ট্র্যাফিক পরিস্থিতি সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখানকার রাস্তাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এর মধ্যে আছে—মোটরগাড়ি, বাইসাইকেল, রিকশার মতো অ-মোটর চালিত যান, গরুর গাড়ি, পথচারী এবং রাস্তার পশু। হকারদের রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করার কারণে পথচারীরা বাধ্য হয়ে মূল সড়কে নেমে আসেন। এটি যান চলাচলে বাধা দেয় এবং বিপদ বাড়ায়।
চলমান প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ সত্ত্বেও ভারতের রাস্তাগুলো বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকট শুধু রাস্তার অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে নয়। এর জন্য দায়ী মানুষের সমস্যাযুক্ত আচরণ, আইনের অপর্যাপ্ত প্রয়োগ এবং সার্বিক অব্যবস্থাপনাও। এই দুর্ঘটনার অর্থনৈতিক প্রভাবও ব্যাপক। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ভারতের বার্ষিক জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ ক্ষতি হয়।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক নেটওয়ার্কের দেশ। ভারতের সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৬৬ লাখ কিলোমিটার। জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলো এই নেটওয়ার্কের প্রায় ৫ শতাংশ। দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি। মন্ত্রী গাদকারি দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভয়ের অভাবকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার অনেক কারণ আছে, তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো মানুষের আচরণ।’ তবে তিনি অবকাঠামোগত ত্রুটির কথাও স্বীকার করেছেন।
গত মাসেই মন্ত্রী নিম্নমানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুশীলনের বিষয়টি তুলে ধরেন। সড়কের ত্রুটিপূর্ণ নকশা, নিম্নমানের নির্মাণকাজ, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং অপর্যাপ্ত সাইন ও মার্কিংকে তিনি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধী হলেন ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা।’ এমনকি রাস্তার সাইন ও মার্কিংয়ের মতো ছোট বিষয়গুলোও দেশে অত্যন্ত নিম্নমানের বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
তাঁর মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় সড়কগুলোতে ৫৯টি বড় ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৭৯৫টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে, মাত্র ৫ হাজার ৩৬ টিতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)—দিল্লির ট্রান্সপোর্টেশন রিসার্চ অ্যান্ড ইনজুরি প্রিভেনশন সেন্টারের (টিআরআইপিপি) সড়ক সুরক্ষা নিরীক্ষাতেও ধারাবাহিকভাবে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়েছে। ক্র্যাশ ব্যারিয়ারগুলো সঠিকভাবে বসানো হয় না। এগুলো অনেক সময় উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। রাস্তায় বেশি উঁচু মিডিয়ান (১০ সেমি-এর বেশি) টায়ার ফেটে যাওয়া বা গাড়ি উল্টে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। গ্রামীণ সড়কগুলোতে বারবার সংস্কারের ফলে রাস্তা উঁচু হয়ে গেছে। এর ফলে বিপজ্জনক ঢাল তৈরি হয়েছে যা বিশেষ করে দুই চাকার যানবাহনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ভারতের সড়ক নকশার মান কাগজে-কলমে ভালো হলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ খুবই দুর্বল। আইআইটি দিল্লির অধ্যাপক গীতম তিওয়ারি উল্লেখ করেছেন, ‘একটি প্রধান সমস্যা হলো নিরাপত্তা মান না মানলে শাস্তি খুবই সামান্য হয়।’ এ ছাড়া, ঠিকাদারদের চুক্তিতে প্রায়শই এই প্রয়োজনীয়তাগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না। পেমেন্ট সাধারণত কত কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে তার ভিত্তিতে দেওয়া হয়, নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলার ভিত্তিতে নয়।
মন্ত্রী গাদকারি ২৫ হাজার কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি দুর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করবে। তবে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর শিক্ষক কাভি ভাল্লার মতো বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সন্দিহান।
ভাল্লার যুক্তি, ‘রাস্তা চওড়া করলে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে এমন কোনো কারণ নেই।’ তিনি বলেন, ‘প্রমাণ আছে যে, রাস্তার মানোন্নয়ন করলে গাড়ির গতি বাড়ে, যা পথচারী, বাইসাইকেল চালক এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য মারাত্মক। তিনি আরও বলেন, নতুন রাস্তা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নকশা অনুকরণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার ট্র্যাফিক পরিস্থিতি ভারতের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে নিরাপত্তা প্রকৌশল গবেষণা এবং দুর্ঘটনা ডেটা সিস্টেমে বিনিয়োগ করছে না।’
এই সংকট মোকাবিলায় সরকার ‘ফাইভ ই’ বা ‘৫ ই’ কৌশল বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে—সড়কের ইঞ্জিনিয়ারিং, যানবাহনের ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, আইন প্রয়োগ এবং জরুরি পরিষেবা। ইন্টারন্যাশনাল রোড ফেডারেশনের কর্মকর্তা কেকে কপিলা বলেন, ‘সঠিক সময়ে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে ৫০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমানো সম্ভব।’
কপিলা ভারত সরকারকে একটি সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করছেন। তিনি জানান, সাতটি প্রধান রাজ্যে ‘৫ ই’ কাঠামোর ভিত্তিতে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের ফলে আগে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো এখন সেই রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা একমত যে, ভারতের উন্নয়নের জন্য আরও সড়ক তৈরি করা জরুরি। তবে তারা টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারীদের জীবনের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন।
কাভি ভাল্লা বলেন, ‘উন্নয়নের মূল্য যেন সমাজের দরিদ্রতম অংশকে বহন করতে না হয়।’ তিনি একটি পুনরাবৃত্তিমূলক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কীভাবে নিরাপদ রাস্তা তৈরি করতে হয়, তা শেখার একমাত্র উপায় হলো বিভিন্ন পদ্ধতিতে চেষ্টা করা, সেগুলো কতটা কার্যকর তা মূল্যায়ন করা। যদি ফল না পাওয়া যায় তবে সেগুলো পরিবর্তন করে আবার মূল্যায়ন করা। এটি না করা হলে মসৃণ রাস্তা, দ্রুতগামী গাড়ি এবং ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর চক্র চলতেই থাকবে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের অসহায় বাবা-মায়েদের মানবিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটি বৃহৎ অনলাইন প্রতারণা চক্র লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই মানবিক আবেদনগুলো শিশুদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের দাবি করে
২ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম...
৫ ঘণ্টা আগে
বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের অসহায় বাবা-মায়েদের মানবিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটি বৃহৎ অনলাইন প্রতারণা চক্র লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই মানবিক আবেদনগুলো শিশুদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের দাবি করে জনসাধারণকে প্রতারিত করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই প্রতারণার শিকার অন্তত ১৫টি পরিবার তাদের নামে সংগৃহীত তহবিলের সামান্য অংশই পেয়েছে, অনেকে কিছুই পায়নি। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারগুলো জানতেও পারেনি যে তাদের মর্মান্তিক দৃশ্যের শুটিং করা হলেও ক্যাম্পেইনটি আদৌ প্রকাশিত হয়েছে কি না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ফিলিপাইনের সেবু শহরের সাত বছরের শিশু খলিলকে নিয়ে একটি ভিডিও তৈরির জন্য তার মা আলজিন তাবাসাকে রাজি করানো হয়। খলিলের ক্যানসার ছিল। আলজিনের ভাষ্যমতে, শুটিংয়ের জন্য তাঁর ছেলেকে দিয়ে অভিনয় করানো হয় এবং তাকে একটি ভুয়া স্যালাইন ড্রিপে যুক্ত করে পরিবারের সদস্যদের দিয়ে সাজানো জন্মদিনের অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। সবচেয়ে নির্মম হলো, শিশুটিকে ইংরেজিতে বলার জন্য একটি স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়, যেখানে সে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আমার ক্যানসার হয়েছে, আমার জীবন বাঁচান।’
খলিলের কান্না দেখানোর জন্য চোখের নিচে মেনথল ও পাশে কাটা পেঁয়াজ রাখা হয়েছিল। ১২ ঘণ্টা ধরে এই শুটিং চলে এবং বারবার রিটেক নিতে বলা হয়।
খলিলের নামে প্রকাশিত এই ক্যাম্পেইনে ২৭ হাজার ডলার সংগৃহীত হলেও আলজিনকে বলা হয়েছিল ক্যাম্পেইনটি ব্যর্থ। তিনি শুধু শুটিংয়ের জন্য ৭০০ ডলার ‘পারিশ্রমিক’ পেয়েছিলেন। এক বছর পর খলিল মারা যায়। আলজিন আক্ষেপ করে বলেন, ‘যদি আমি জানতে পারতাম আমাদের জন্য এত টাকা উঠেছে, তবে হয়তো খলিল আজও আমাদের মাঝে থাকত। আমি বুঝতে পারছি না তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে এটা করতে পারল।’
বিবিসির সঙ্গে কথা বলা ৯টি পরিবার, যাদের ক্যাম্পেইন একই প্রতারণা চক্রের অংশ বলে মনে করা হয়, তারা জানিয়েছে, তাদের নামে তোলা প্রায় ৪০ লাখ ডলার তহবিলের কোনো অংশই তারা পায়নি।
এই প্রতারণা চক্রের একজন হুইসেলব্লোয়ার (পর্দা ফাঁসকারী) জানান, ক্যাম্পেইনের জন্য শিশুদের বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি ছিল। তাঁরা এমন শিশুদের খুঁজতেন, যারা দেখতে ‘সুন্দর’ ও তিন থেকে ৯ বছর বয়সের মধ্যে এবং ন্যাড়ামাথা।
অনুসন্ধানে ইরেজ হাদারি নামের কানাডাবাসী এক ইসরায়েলি ব্যক্তিকে এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চান্স লেতিকভা বা চান্স ফর হোপ ও ‘ওয়ালস অব হোপ’ নামের সংগঠনগুলো এসব ক্যাম্পেইন প্রচার করত। ইরেজ হাদারি যখন তহবিল সম্পর্কে আলজিনের জেরার মুখে পড়েন, তখন তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই জানান যে, বিজ্ঞাপন বাবদ সব অর্থ খরচ হয়ে গেছে এবং সংস্থার লোকসান হয়েছে। যদিও চ্যারিটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাম্পেইনের মোট সংগৃহীত অর্থের ২০ শতাংশের বেশি বিজ্ঞাপনের পেছনে খরচ হওয়ার কথা নয়।
চক্রের সঙ্গে যুক্ত একজন স্বীকার করেছেন, তাঁরা একটি কনভেয়র বেল্টের মতো কাজ করেন। ডজনখানেক কোম্পানি একইভাবে তহবিল সংগ্রহ করে।
ফিলিপাইনের মতো কলম্বিয়া ও ইউক্রেনেও একই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।
কলম্বিয়ায় আট বছর বয়সী আনার (ব্রেন টিউমার রোগী) বাবাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজি করানো হয়। আনার নামে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার সংগৃহীত হয়েছিল। মজার বিষয় হলো, আনা সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও স্থানীয় দালাল ইজাবেল তাকে মেসেজ করে হাসপাতালের আরও ছবি দিতে বলেন। পরে বলেন, ক্যাম্পেইনের জন্য বানানো ভিডিওটি অনলাইনে আপলোডই করা হয়নি। যদিও তাঁরা এই ভিডিও দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
ইউক্রেনের পাঁচ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়ার (ব্রেন ক্যানসার রোগী) মা ওলেনা ফিরসোভা জানান, তাঁর মেয়ের ছবি ব্যবহার করে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার সংগ্রহ করা হলেও তিনি এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ভিক্টোরিয়ার শুটিং হয়েছিল অ্যাঞ্জেলহোম ক্লিনিকে। জানা যায়, এই ক্যাম্পেইনের সঙ্গে যুক্ত তেতিয়ানা খালিয়াভকা ওই ক্লিনিকের বিজ্ঞাপন ও যোগাযোগ বিভাগের কর্মী ছিলেন। যদিও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরে তাঁর নিয়োগ বাতিল করে দেয় এবং তহবিল সংগ্রহের সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে।
ওলেনা যে চুক্তিতে সই করেছিলেন, তাতে ফিল্মিং (শুটিং) ফি বাবদ ১ হাজার ৫০০ ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে অতিরিক্ত ৮ হাজার ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও লক্ষ্যমাত্রার ঘরটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল।
অনুসন্ধান চলাকালীন ইরেজ হাদারির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো অভিযোগেরই উত্তর দেননি।
সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো, ফিলিপাইনের খলিল ও মেক্সিকোর হেক্টর—এই দুই শিশুই মারা গেছে—তাদের নামে তৈরি করা তহবিল সংগ্রহের ক্যাম্পেইন এখনো অনলাইনে চালু আছে এবং অর্থ সংগ্রহ চলছে।
দ্বিতীয়বার ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ভিক্টোরিয়ার মা ওলেনা এই চক্রের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জেনে বলেন, ‘যখন আপনার সন্তান জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, আর কেউ সেই সুযোগ নিয়ে টাকা কামাচ্ছে, এটা খুবই নোংরা কাজ। এটা প্রাণের বিনিময়ে টাকা।’
বিবিসি তেতিয়ানা খালিয়াভকা, অ্যালেক্স কোহেন, চান্স লেতিকভা, ওয়ালস অব হোপ, সেন্ট রাফেল, লিটল অ্যাঞ্জেলস ও সেন্ট তেরেসা নামের সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব চাওয়া হলেও তারা কেউই সাড়া দেয়নি।
ইসরায়েলের অলাভজনক সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানকারী ইসরায়েলি করপোরেশন অথরিটি বিবিসিকে বলেছে, যদি তাদের কাছে প্রমাণ থাকে যে প্রতিষ্ঠাতারা ‘অবৈধ কার্যকলাপের আড়াল’ হিসেবে সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছেন, তাহলে দেশে নিবন্ধন বাতিল করা হতে পারে এবং প্রতিষ্ঠাতাকে এই খাতে কাজ করতে বাধা দেওয়া হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা চ্যারিটি কমিশন দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে দান করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সব সময় সংস্থাগুলো সম্পর্কে আগে খোঁজখবর নেওয়ার পরামর্শ দেয়। সংস্থাটি নিবন্ধিত কি না, তা যাচাই করতে এবং সন্দেহ হলে উপযুক্ত তহবিল সংগ্রহ নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের অসহায় বাবা-মায়েদের মানবিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটি বৃহৎ অনলাইন প্রতারণা চক্র লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই মানবিক আবেদনগুলো শিশুদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের দাবি করে জনসাধারণকে প্রতারিত করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই প্রতারণার শিকার অন্তত ১৫টি পরিবার তাদের নামে সংগৃহীত তহবিলের সামান্য অংশই পেয়েছে, অনেকে কিছুই পায়নি। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারগুলো জানতেও পারেনি যে তাদের মর্মান্তিক দৃশ্যের শুটিং করা হলেও ক্যাম্পেইনটি আদৌ প্রকাশিত হয়েছে কি না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ফিলিপাইনের সেবু শহরের সাত বছরের শিশু খলিলকে নিয়ে একটি ভিডিও তৈরির জন্য তার মা আলজিন তাবাসাকে রাজি করানো হয়। খলিলের ক্যানসার ছিল। আলজিনের ভাষ্যমতে, শুটিংয়ের জন্য তাঁর ছেলেকে দিয়ে অভিনয় করানো হয় এবং তাকে একটি ভুয়া স্যালাইন ড্রিপে যুক্ত করে পরিবারের সদস্যদের দিয়ে সাজানো জন্মদিনের অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। সবচেয়ে নির্মম হলো, শিশুটিকে ইংরেজিতে বলার জন্য একটি স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়, যেখানে সে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আমার ক্যানসার হয়েছে, আমার জীবন বাঁচান।’
খলিলের কান্না দেখানোর জন্য চোখের নিচে মেনথল ও পাশে কাটা পেঁয়াজ রাখা হয়েছিল। ১২ ঘণ্টা ধরে এই শুটিং চলে এবং বারবার রিটেক নিতে বলা হয়।
খলিলের নামে প্রকাশিত এই ক্যাম্পেইনে ২৭ হাজার ডলার সংগৃহীত হলেও আলজিনকে বলা হয়েছিল ক্যাম্পেইনটি ব্যর্থ। তিনি শুধু শুটিংয়ের জন্য ৭০০ ডলার ‘পারিশ্রমিক’ পেয়েছিলেন। এক বছর পর খলিল মারা যায়। আলজিন আক্ষেপ করে বলেন, ‘যদি আমি জানতে পারতাম আমাদের জন্য এত টাকা উঠেছে, তবে হয়তো খলিল আজও আমাদের মাঝে থাকত। আমি বুঝতে পারছি না তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে এটা করতে পারল।’
বিবিসির সঙ্গে কথা বলা ৯টি পরিবার, যাদের ক্যাম্পেইন একই প্রতারণা চক্রের অংশ বলে মনে করা হয়, তারা জানিয়েছে, তাদের নামে তোলা প্রায় ৪০ লাখ ডলার তহবিলের কোনো অংশই তারা পায়নি।
এই প্রতারণা চক্রের একজন হুইসেলব্লোয়ার (পর্দা ফাঁসকারী) জানান, ক্যাম্পেইনের জন্য শিশুদের বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি ছিল। তাঁরা এমন শিশুদের খুঁজতেন, যারা দেখতে ‘সুন্দর’ ও তিন থেকে ৯ বছর বয়সের মধ্যে এবং ন্যাড়ামাথা।
অনুসন্ধানে ইরেজ হাদারি নামের কানাডাবাসী এক ইসরায়েলি ব্যক্তিকে এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চান্স লেতিকভা বা চান্স ফর হোপ ও ‘ওয়ালস অব হোপ’ নামের সংগঠনগুলো এসব ক্যাম্পেইন প্রচার করত। ইরেজ হাদারি যখন তহবিল সম্পর্কে আলজিনের জেরার মুখে পড়েন, তখন তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই জানান যে, বিজ্ঞাপন বাবদ সব অর্থ খরচ হয়ে গেছে এবং সংস্থার লোকসান হয়েছে। যদিও চ্যারিটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাম্পেইনের মোট সংগৃহীত অর্থের ২০ শতাংশের বেশি বিজ্ঞাপনের পেছনে খরচ হওয়ার কথা নয়।
চক্রের সঙ্গে যুক্ত একজন স্বীকার করেছেন, তাঁরা একটি কনভেয়র বেল্টের মতো কাজ করেন। ডজনখানেক কোম্পানি একইভাবে তহবিল সংগ্রহ করে।
ফিলিপাইনের মতো কলম্বিয়া ও ইউক্রেনেও একই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।
কলম্বিয়ায় আট বছর বয়সী আনার (ব্রেন টিউমার রোগী) বাবাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজি করানো হয়। আনার নামে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার সংগৃহীত হয়েছিল। মজার বিষয় হলো, আনা সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও স্থানীয় দালাল ইজাবেল তাকে মেসেজ করে হাসপাতালের আরও ছবি দিতে বলেন। পরে বলেন, ক্যাম্পেইনের জন্য বানানো ভিডিওটি অনলাইনে আপলোডই করা হয়নি। যদিও তাঁরা এই ভিডিও দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
ইউক্রেনের পাঁচ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়ার (ব্রেন ক্যানসার রোগী) মা ওলেনা ফিরসোভা জানান, তাঁর মেয়ের ছবি ব্যবহার করে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার সংগ্রহ করা হলেও তিনি এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ভিক্টোরিয়ার শুটিং হয়েছিল অ্যাঞ্জেলহোম ক্লিনিকে। জানা যায়, এই ক্যাম্পেইনের সঙ্গে যুক্ত তেতিয়ানা খালিয়াভকা ওই ক্লিনিকের বিজ্ঞাপন ও যোগাযোগ বিভাগের কর্মী ছিলেন। যদিও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরে তাঁর নিয়োগ বাতিল করে দেয় এবং তহবিল সংগ্রহের সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে।
ওলেনা যে চুক্তিতে সই করেছিলেন, তাতে ফিল্মিং (শুটিং) ফি বাবদ ১ হাজার ৫০০ ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে অতিরিক্ত ৮ হাজার ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও লক্ষ্যমাত্রার ঘরটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল।
অনুসন্ধান চলাকালীন ইরেজ হাদারির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো অভিযোগেরই উত্তর দেননি।
সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো, ফিলিপাইনের খলিল ও মেক্সিকোর হেক্টর—এই দুই শিশুই মারা গেছে—তাদের নামে তৈরি করা তহবিল সংগ্রহের ক্যাম্পেইন এখনো অনলাইনে চালু আছে এবং অর্থ সংগ্রহ চলছে।
দ্বিতীয়বার ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ভিক্টোরিয়ার মা ওলেনা এই চক্রের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জেনে বলেন, ‘যখন আপনার সন্তান জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, আর কেউ সেই সুযোগ নিয়ে টাকা কামাচ্ছে, এটা খুবই নোংরা কাজ। এটা প্রাণের বিনিময়ে টাকা।’
বিবিসি তেতিয়ানা খালিয়াভকা, অ্যালেক্স কোহেন, চান্স লেতিকভা, ওয়ালস অব হোপ, সেন্ট রাফেল, লিটল অ্যাঞ্জেলস ও সেন্ট তেরেসা নামের সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব চাওয়া হলেও তারা কেউই সাড়া দেয়নি।
ইসরায়েলের অলাভজনক সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানকারী ইসরায়েলি করপোরেশন অথরিটি বিবিসিকে বলেছে, যদি তাদের কাছে প্রমাণ থাকে যে প্রতিষ্ঠাতারা ‘অবৈধ কার্যকলাপের আড়াল’ হিসেবে সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছেন, তাহলে দেশে নিবন্ধন বাতিল করা হতে পারে এবং প্রতিষ্ঠাতাকে এই খাতে কাজ করতে বাধা দেওয়া হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা চ্যারিটি কমিশন দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে দান করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সব সময় সংস্থাগুলো সম্পর্কে আগে খোঁজখবর নেওয়ার পরামর্শ দেয়। সংস্থাটি নিবন্ধিত কি না, তা যাচাই করতে এবং সন্দেহ হলে উপযুক্ত তহবিল সংগ্রহ নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৫
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম...
৫ ঘণ্টা আগে
বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত। এমনকি যুদ্ধ কার সঙ্গে কোথায় হয়েছে, সে বিষয়েও কোনো উল্লেখ নেই।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার সময় তাঁদের বীরত্ব, নিষ্ঠা ও অটল সংকল্প দিয়ে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।’
কংগ্রেসের এ নেতা আরও বলেন, ‘তাঁদের অদম্য সাহস, সংগ্রাম ও সর্বোচ্চ ত্যাগ সর্বদা প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’
এর আগে, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এ দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
নরেন্দ্র মোদির ইংরেজিতে দেওয়া টুইটের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সেনাদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের দৃঢ়সংকল্প ও নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’
অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মোদি একই ধরনের কাজ করেছেন। ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা ও অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব ও অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’
ঐতিহাসিক দলিল বলে, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণের দলিলেও পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। অথচ এর আগের প্রায় ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের কমান্ডারও ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, যাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা খুবই নগণ্য।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত। এমনকি যুদ্ধ কার সঙ্গে কোথায় হয়েছে, সে বিষয়েও কোনো উল্লেখ নেই।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার সময় তাঁদের বীরত্ব, নিষ্ঠা ও অটল সংকল্প দিয়ে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।’
কংগ্রেসের এ নেতা আরও বলেন, ‘তাঁদের অদম্য সাহস, সংগ্রাম ও সর্বোচ্চ ত্যাগ সর্বদা প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’
এর আগে, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এ দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
নরেন্দ্র মোদির ইংরেজিতে দেওয়া টুইটের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সেনাদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের দৃঢ়সংকল্প ও নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’
অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মোদি একই ধরনের কাজ করেছেন। ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা ও অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব ও অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’
ঐতিহাসিক দলিল বলে, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণের দলিলেও পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। অথচ এর আগের প্রায় ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের কমান্ডারও ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, যাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা খুবই নগণ্য।

ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৫
অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের অসহায় বাবা-মায়েদের মানবিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটি বৃহৎ অনলাইন প্রতারণা চক্র লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই মানবিক আবেদনগুলো শিশুদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের দাবি করে
২ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম...
৫ ঘণ্টা আগে
বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ‘শান্তির জন্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক উন্মুক্ত বিতর্কে জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানের বক্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য এবং অনস্বীকার্য অংশ’ বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে নয়াদিল্লি।
জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হরিশ পর্বতানেনি বলেন, ‘এগুলো অতীতে ভারতের ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’ বিতর্কে পাকিস্তানের প্রতিনিধি যে বক্তব্য দেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে পর্বতানেনি ভারতের এবং ভারতের জনগণের ক্ষতি করার বিষয়ে ইসলামাবাদের ‘মোহাবিষ্ট মানসিকতা’র কঠোর সমালোচনা করেন।
সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু’ হিসেবে অভিহিত করেন। পর্বতানেনির ভাষায়, ‘ভারত ৬৫ বছর আগে সদিচ্ছা এবং বন্ধুত্বের মনোভাব নিয়ে সিন্ধু নদ পানিবণ্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। গত সাড়ে ৬ দশকে পাকিস্তান ভারতের ওপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এই চুক্তির মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, গত চার দশকে পাকিস্তানে মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলায় হাজার হাজার ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি চলতি বছরের এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে এক বিদেশি নাগরিকসহ ২৬ বেসামরিক মানুষ নিহত হন।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এই প্রেক্ষাপটেই ভারত ঘোষণা করেছে, যতক্ষণ না পাকিস্তান—যা সন্ত্রাসবাদের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু—বিশ্বাসযোগ্য এবং স্থায়ীভাবে আন্তসীমান্ত ও সব ধরনের সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করছে, ততক্ষণ এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরকে আজীবন দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়গুলোকে ‘সাংবিধানিক ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানানোর জন্য পাকিস্তানের এক অনন্য উপায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জেল খাটানো, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক ক্যু ঘটাতে দেওয়া ও সেনাপ্রধানকে আজীবন দায়মুক্তি প্রদান করা।’
এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—ভারত তার সমস্ত শক্তি দিয়ে পাকিস্তান-স্পনসরকৃত সন্ত্রাসবাদের প্রতিটি রূপ ও প্রকাশকে মোকাবিলা করবে।’
পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সমালোচনা করে জম্মু-কাশ্মীরকে ‘অমীমাংসিত বিরোধ’ হিসেবে উল্লেখ করলে তার জবাবেই ভারতের এই বক্তব্য আসে।
আসিম আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়, কিন্তু শান্তি কোনো একতরফা প্রচেষ্টা হতে পারে না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর নিরাপত্তা পরিষদের অ্যাজেন্ডায় থাকা অন্যতম প্রাচীন অমীমাংসিত বিরোধ। এর জন্য জাতিসংঘের সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি ন্যায়সংগত নিষ্পত্তি প্রয়োজন—যা ভারত ক্রমাগত লঙ্ঘন ও অস্বীকার করে চলেছে।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ‘শান্তির জন্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক উন্মুক্ত বিতর্কে জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানের বক্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য এবং অনস্বীকার্য অংশ’ বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে নয়াদিল্লি।
জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হরিশ পর্বতানেনি বলেন, ‘এগুলো অতীতে ভারতের ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’ বিতর্কে পাকিস্তানের প্রতিনিধি যে বক্তব্য দেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে পর্বতানেনি ভারতের এবং ভারতের জনগণের ক্ষতি করার বিষয়ে ইসলামাবাদের ‘মোহাবিষ্ট মানসিকতা’র কঠোর সমালোচনা করেন।
সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু’ হিসেবে অভিহিত করেন। পর্বতানেনির ভাষায়, ‘ভারত ৬৫ বছর আগে সদিচ্ছা এবং বন্ধুত্বের মনোভাব নিয়ে সিন্ধু নদ পানিবণ্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। গত সাড়ে ৬ দশকে পাকিস্তান ভারতের ওপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এই চুক্তির মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, গত চার দশকে পাকিস্তানে মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলায় হাজার হাজার ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি চলতি বছরের এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে এক বিদেশি নাগরিকসহ ২৬ বেসামরিক মানুষ নিহত হন।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এই প্রেক্ষাপটেই ভারত ঘোষণা করেছে, যতক্ষণ না পাকিস্তান—যা সন্ত্রাসবাদের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু—বিশ্বাসযোগ্য এবং স্থায়ীভাবে আন্তসীমান্ত ও সব ধরনের সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করছে, ততক্ষণ এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরকে আজীবন দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়গুলোকে ‘সাংবিধানিক ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানানোর জন্য পাকিস্তানের এক অনন্য উপায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জেল খাটানো, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক ক্যু ঘটাতে দেওয়া ও সেনাপ্রধানকে আজীবন দায়মুক্তি প্রদান করা।’
এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—ভারত তার সমস্ত শক্তি দিয়ে পাকিস্তান-স্পনসরকৃত সন্ত্রাসবাদের প্রতিটি রূপ ও প্রকাশকে মোকাবিলা করবে।’
পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সমালোচনা করে জম্মু-কাশ্মীরকে ‘অমীমাংসিত বিরোধ’ হিসেবে উল্লেখ করলে তার জবাবেই ভারতের এই বক্তব্য আসে।
আসিম আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়, কিন্তু শান্তি কোনো একতরফা প্রচেষ্টা হতে পারে না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর নিরাপত্তা পরিষদের অ্যাজেন্ডায় থাকা অন্যতম প্রাচীন অমীমাংসিত বিরোধ। এর জন্য জাতিসংঘের সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি ন্যায়সংগত নিষ্পত্তি প্রয়োজন—যা ভারত ক্রমাগত লঙ্ঘন ও অস্বীকার করে চলেছে।’

ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৫
অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের অসহায় বাবা-মায়েদের মানবিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটি বৃহৎ অনলাইন প্রতারণা চক্র লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই মানবিক আবেদনগুলো শিশুদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের দাবি করে
২ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত।
৪ ঘণ্টা আগে
বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
ইমিগ্রেশন ব্যুরোর মুখপাত্র ডানা স্যান্ডোভাল জানান, সাজিদ আকরাম ভারতে ইস্যু করা একটি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ফিলিপাইনে যান, অন্যদিকে তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম একটি অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন।
স্যান্ডোভাল আরও বলেন, তাঁরা ফিলিপাইনে তাঁদের চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে দক্ষিণের শহর ডাভাওকে ঘোষণা করেছিলেন এবং তাঁদের অস্ট্রেলিয়া ফেরার ফ্লাইটটি সিডনির জন্য নির্ধারিত ছিল।
ডাভাও হলো ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাও-এর পূর্বে অবস্থিত একটি বিস্তৃত মহানগরী। উল্লেখ্য, মিন্দানাও-এর কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ-পশ্চিমের দরিদ্র এলাকাগুলোতে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে, ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি সে দেশে থাকাকালীন ‘সামরিক ধাঁচের প্রশিক্ষণ’ নিয়েছিলেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তাঁরা এখনো তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:

বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
ইমিগ্রেশন ব্যুরোর মুখপাত্র ডানা স্যান্ডোভাল জানান, সাজিদ আকরাম ভারতে ইস্যু করা একটি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ফিলিপাইনে যান, অন্যদিকে তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম একটি অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন।
স্যান্ডোভাল আরও বলেন, তাঁরা ফিলিপাইনে তাঁদের চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে দক্ষিণের শহর ডাভাওকে ঘোষণা করেছিলেন এবং তাঁদের অস্ট্রেলিয়া ফেরার ফ্লাইটটি সিডনির জন্য নির্ধারিত ছিল।
ডাভাও হলো ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাও-এর পূর্বে অবস্থিত একটি বিস্তৃত মহানগরী। উল্লেখ্য, মিন্দানাও-এর কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ-পশ্চিমের দরিদ্র এলাকাগুলোতে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে, ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি সে দেশে থাকাকালীন ‘সামরিক ধাঁচের প্রশিক্ষণ’ নিয়েছিলেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তাঁরা এখনো তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:

ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৫
অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের অসহায় বাবা-মায়েদের মানবিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটি বৃহৎ অনলাইন প্রতারণা চক্র লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই মানবিক আবেদনগুলো শিশুদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের দাবি করে
২ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম...
৫ ঘণ্টা আগে