Ajker Patrika

কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০, প্রকৃত সংখ্যাটি এখনো ‘অনিশ্চিত’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ২৭
কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়ে। ছবি: এনডিটিভির সৌজন্যে
কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়ে। ছবি: এনডিটিভির সৌজন্যে

ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের মর্গে এখনো অনেক লাশ আসছে।

স্থানীয় তিন পুলিশ সদস্য মতি লাল নেহরু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। তাঁদের একজন রয়টার্সকে বলেন, ‘একের পর লাশ আসছে। আমরা পরিচয় যাচাই করে স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তর করছি। এখন পর্যন্ত ৩০টি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বৈভব কৃষ্ণ নামে পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের সামনে ভিড় সামলানোয় ব্যস্ত ছিলাম। ঠিক কতজন মারা গেছেন, এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার ভোরে মৌনি অমাবস্যা উপলক্ষে ‘অমৃত স্নানের’ জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে প্রয়াগরাজে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

মৌনি অমাবস্যা মহাকুম্ভের অন্যতম পবিত্র দিন। এই দিন প্রায় ১০ লাখ মানুষ গঙ্গা ও যমুনার সংযোগস্থলে (সঙ্গম) স্নানের জন্য উপস্থিত হন।

অধিক মানুষের ভিড়ে পদদলিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ কিছু মানুষকে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়ে ভক্তদের স্নান শেষ করে, দ্রুত ঘাট ছেড়ে দিতে বলে। যাতে অন্যরাও স্নানের সুযোগ পান। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনার পর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি মেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দ্রুত চিকিৎসা ও অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, মোদি মেলার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন এবং এ পর্যন্ত দুই বার যোগী আদিত্য নাথের সঙ্গে কথা বলেছেন।

মৌনি অমাবস্যায় প্রায় ১০ কোটি ভক্তের সমাগম হতে পারে বলে আগে থেকেই উত্তর প্রদেশ সরকার নিরাপত্তা ও জনসমাবেশের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করেছিল। সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, সঙ্গমে স্নান করতে গেলে ভক্তরা যেন অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলেন। কোনো ধরনের ভুল তথ্য বা গুজব না ছড়ানোরও আহ্বান জানান হয় এই বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রসঙ্গত, এই ‘অমৃত স্নান’ মহাকুম্ভ মেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র অংশ। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মৌনি অমাবস্যার এই স্নানকে সর্বাধিক পবিত্র বলে মনে করে। তাঁরা বিশ্বাস করে, এই দিনে নদীর জল ‘অমৃতে’ পরিণত হয়। প্রতি ১২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ মেলা। এ বছর ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। মেলা চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত