বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা। এতে বিদ্যুৎবিহীন থেকে ভোগান্তির পাশাপাশি নতুন ট্রান্সফরমার সংযোজনে লাখ লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও গ্রাহকদের। এতে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রাহকেরা। এদিকে চুরির ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মামলা করলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চোর ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে তিন মাসে বাগেরহাটে ২৩টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে; যেগুলোর বেশির ভাগ সদর উপজেলায়। এতে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েন কয়েক হাজার গ্রাহক। চুরি যাওয়া ২৩ ট্রান্সফরমারের আর্থিক মূল্য ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৭ টাকা।
সর্বশেষ ১২ জানুয়ারি বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে কাজী মহিদুল ইসলামের বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা ট্রান্সফরমার চুরি হয়। একই রাতে পাশের বিষ্ণুপুর গ্রামেও একটি খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা করা হয়। চুরি করতে না পেরে তা খুঁটির নিচে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ফলে দুই দিন বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের। পরে নতুন ট্রান্সফরমার বসালে সচল হয় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
শুধু ফতেপুর গ্রাম নয়, সদর উপজেলার সৈয়দপুর, দড়িতালুক, মেগনিতলা, চাপাতলা, বাগমারা, বাদোখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি ঠেকাতে অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লোহার শিকল দিয়ে ট্রান্সফরমার বেঁধে রেখেছেন স্থানীয়রা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী, চুরি হওয়া এলাকায় নতুন ট্রান্সফরমার বসানোর জন্য ট্রান্সফরমারের দামের অর্ধেক পরিশোধ করতে হয় গ্রাহকদের। আর দ্বিতীয়বার চুরি হলে ট্রান্সফরমারের মূল্যের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হয় গ্রাহকদের; যা দরিদ্র গ্রাহকদের জন্য খুব কষ্টের। যেকোনো মূল্যে চোর চক্রকে শনাক্ত করতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন গ্রাহকেরা।
ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে বিদ্যুৎবিহীন থাকা গ্রাহক ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা মিনা নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আমাদের ট্রান্সফরমারটি চুরি হয়ে যায়। তিন দিনেও বিদ্যুৎ পাইনি। কারণ, ট্রান্সফরমারের মূল দামের অর্ধেক অর্থাৎ ২২ হাজার টাকা আমাদের দিতে হবে। এত টাকা একবারে জোগাড় করা খুবই কষ্টের।’
বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাঝে মাঝেই ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে। আর চুরি হলেই কয়েক দিন বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়, আবার টাকাও গুনতে হয়। এর থেকে ভোগান্তি আর কিছু নেই।’
বাদোখালী এলাকার কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চুরি হওয়ার পরে এলাকার ট্রান্সফরমারটি লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছি। তারপরও চুরি হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি। ট্রান্সফরমার থাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপরে, এটা পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।’ চুরি ঠেকাতে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান এই কৃষক।
ট্রান্সফরমার চুরি এড়াতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সুশান্ত রায়। তিনি বলেন, ‘চুরির খবর পাওয়ার পরেই আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দিয়েছি। এখনো কোনো চোরকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে চুরি ঠেকাতে গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিটি চুরির ঘটনা একই রকম। চোরেরা ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা মূল্যবান তামার তার নিয়ে ধাতব গোল বাক্স ও তেল ফেলে চলে যায়। পরে তামার তারগুলো ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে খুবই কম টাকায়। ভাঙারির দোকানগুলোতে নজরদারি বাড়াতে পারলে চোর ধরা সম্ভব বলে মনে করেন পল্লী বিদ্যুতের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) তৌহিদুল আরিফ বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। চোরদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। খুব শিগগির চোর চক্রকে শনাক্ত ও আটক করা সম্ভব হবে।
বাগেরহাটে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা। এতে বিদ্যুৎবিহীন থেকে ভোগান্তির পাশাপাশি নতুন ট্রান্সফরমার সংযোজনে লাখ লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও গ্রাহকদের। এতে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রাহকেরা। এদিকে চুরির ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মামলা করলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চোর ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে তিন মাসে বাগেরহাটে ২৩টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে; যেগুলোর বেশির ভাগ সদর উপজেলায়। এতে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েন কয়েক হাজার গ্রাহক। চুরি যাওয়া ২৩ ট্রান্সফরমারের আর্থিক মূল্য ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৭ টাকা।
সর্বশেষ ১২ জানুয়ারি বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে কাজী মহিদুল ইসলামের বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা ট্রান্সফরমার চুরি হয়। একই রাতে পাশের বিষ্ণুপুর গ্রামেও একটি খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা করা হয়। চুরি করতে না পেরে তা খুঁটির নিচে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ফলে দুই দিন বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের। পরে নতুন ট্রান্সফরমার বসালে সচল হয় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
শুধু ফতেপুর গ্রাম নয়, সদর উপজেলার সৈয়দপুর, দড়িতালুক, মেগনিতলা, চাপাতলা, বাগমারা, বাদোখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি ঠেকাতে অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লোহার শিকল দিয়ে ট্রান্সফরমার বেঁধে রেখেছেন স্থানীয়রা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী, চুরি হওয়া এলাকায় নতুন ট্রান্সফরমার বসানোর জন্য ট্রান্সফরমারের দামের অর্ধেক পরিশোধ করতে হয় গ্রাহকদের। আর দ্বিতীয়বার চুরি হলে ট্রান্সফরমারের মূল্যের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হয় গ্রাহকদের; যা দরিদ্র গ্রাহকদের জন্য খুব কষ্টের। যেকোনো মূল্যে চোর চক্রকে শনাক্ত করতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন গ্রাহকেরা।
ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে বিদ্যুৎবিহীন থাকা গ্রাহক ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা মিনা নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আমাদের ট্রান্সফরমারটি চুরি হয়ে যায়। তিন দিনেও বিদ্যুৎ পাইনি। কারণ, ট্রান্সফরমারের মূল দামের অর্ধেক অর্থাৎ ২২ হাজার টাকা আমাদের দিতে হবে। এত টাকা একবারে জোগাড় করা খুবই কষ্টের।’
বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাঝে মাঝেই ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে। আর চুরি হলেই কয়েক দিন বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়, আবার টাকাও গুনতে হয়। এর থেকে ভোগান্তি আর কিছু নেই।’
বাদোখালী এলাকার কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চুরি হওয়ার পরে এলাকার ট্রান্সফরমারটি লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছি। তারপরও চুরি হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি। ট্রান্সফরমার থাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপরে, এটা পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।’ চুরি ঠেকাতে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান এই কৃষক।
ট্রান্সফরমার চুরি এড়াতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সুশান্ত রায়। তিনি বলেন, ‘চুরির খবর পাওয়ার পরেই আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দিয়েছি। এখনো কোনো চোরকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে চুরি ঠেকাতে গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিটি চুরির ঘটনা একই রকম। চোরেরা ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা মূল্যবান তামার তার নিয়ে ধাতব গোল বাক্স ও তেল ফেলে চলে যায়। পরে তামার তারগুলো ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে খুবই কম টাকায়। ভাঙারির দোকানগুলোতে নজরদারি বাড়াতে পারলে চোর ধরা সম্ভব বলে মনে করেন পল্লী বিদ্যুতের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) তৌহিদুল আরিফ বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। চোরদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। খুব শিগগির চোর চক্রকে শনাক্ত ও আটক করা সম্ভব হবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪