ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
‘মদের বোতল’ নিয়ে আড্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলার সদস্যসচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ বুধবার সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক আবু হুরাইরা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
একই সঙ্গে ভিডিও এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার পর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলামা খাতুনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ব্যাগ হাতে সংগঠনের জেলা শাখার মুখপাত্র এলমা খাতুন একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর সঙ্গে থাকা ব্যাগ রেখে পাশে খাটের ওপর বসেন। আগে থেকে খাটে শুয়ে ছিলেন সদস্যসচিব সাইদুর রহমান। এরপর সাইদুর একটি পাতলা কম্বল নিজের শরীরের ওপর বিছিয়ে দেন আর এলমা খাতুন তাঁর পাশে খাটে হেলান দিয়ে মোবাইল ফোন টিপতে থাকেন। পরে একটি মদের বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন।
এ বিষয়ে কথা বলতে এলমা খাতুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে সাড়া না দেওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে সদস্যসচিব সাইদুর রহমান বলেন, ‘গেল বছরের অক্টোবর মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন বিষয়ে কেন্দ্র থেকে একজন প্রতিনিধি আমাদের ডেকেছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঢাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু রাতে ৮ থেকে ১০ জনের থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় সহপাঠীর এক আত্মীয়ের বাসায় ছেলে ও মেয়েরা আলাদা কক্ষে ছিলাম।’
সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় অন্য সহপাঠীরা আসে। এলমা আপুও আসেন। সে পাশে বসে পড়ায় আমি কম্বলটা গায়ে জড়িয়ে নিই। তখন আপু পাশে বসে মোবাইল চালাচ্ছিলেন। তবে তাঁর হাতে কিসের বোতল ছিল, সেটা তখন আমি বুঝতে পারিনি। কেউ শত্রুতাবশত ইচ্ছাকৃত এ কাজ করেছে। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য।’
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু হুরাইরা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
আবু হুরাইরা বলেন, ‘আমার মনে হয় না সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের কোনো অনৈতিক সম্পর্ক আছে। ওই কক্ষে সাইদুর, এলমাসহ আরও ছয় থেকে সাতজন ছিল। তাদের মধ্যে কেউ একজন ভিডিওটি করেছে। তবে সে কে, তা-ও নির্দিষ্ট করবে তদন্ত কমিটি। তখনই পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
‘মদের বোতল’ নিয়ে আড্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলার সদস্যসচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ বুধবার সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক আবু হুরাইরা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
একই সঙ্গে ভিডিও এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার পর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলামা খাতুনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ব্যাগ হাতে সংগঠনের জেলা শাখার মুখপাত্র এলমা খাতুন একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর সঙ্গে থাকা ব্যাগ রেখে পাশে খাটের ওপর বসেন। আগে থেকে খাটে শুয়ে ছিলেন সদস্যসচিব সাইদুর রহমান। এরপর সাইদুর একটি পাতলা কম্বল নিজের শরীরের ওপর বিছিয়ে দেন আর এলমা খাতুন তাঁর পাশে খাটে হেলান দিয়ে মোবাইল ফোন টিপতে থাকেন। পরে একটি মদের বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন।
এ বিষয়ে কথা বলতে এলমা খাতুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে সাড়া না দেওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে সদস্যসচিব সাইদুর রহমান বলেন, ‘গেল বছরের অক্টোবর মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন বিষয়ে কেন্দ্র থেকে একজন প্রতিনিধি আমাদের ডেকেছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঢাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু রাতে ৮ থেকে ১০ জনের থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় সহপাঠীর এক আত্মীয়ের বাসায় ছেলে ও মেয়েরা আলাদা কক্ষে ছিলাম।’
সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় অন্য সহপাঠীরা আসে। এলমা আপুও আসেন। সে পাশে বসে পড়ায় আমি কম্বলটা গায়ে জড়িয়ে নিই। তখন আপু পাশে বসে মোবাইল চালাচ্ছিলেন। তবে তাঁর হাতে কিসের বোতল ছিল, সেটা তখন আমি বুঝতে পারিনি। কেউ শত্রুতাবশত ইচ্ছাকৃত এ কাজ করেছে। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য।’
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু হুরাইরা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
আবু হুরাইরা বলেন, ‘আমার মনে হয় না সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের কোনো অনৈতিক সম্পর্ক আছে। ওই কক্ষে সাইদুর, এলমাসহ আরও ছয় থেকে সাতজন ছিল। তাদের মধ্যে কেউ একজন ভিডিওটি করেছে। তবে সে কে, তা-ও নির্দিষ্ট করবে তদন্ত কমিটি। তখনই পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৪ দিন আগেধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
২১ দিন আগেসাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫