মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আইনি ব্যাখ্যাকে ‘আংশিক ও খণ্ডিত’ বলে মনে করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আজ বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ দপ্তর) মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এমন কথা বলা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুরে অন-ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স খোলার বিষয়ে ইউজিসির চিঠির জবাব দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই জবাব দেওয়া হয়। ইউজিসির পাঠানো চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের যেসব ধারা বর্ণিত হয়েছে সেটিকে আংশিক ও খণ্ডিত বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২-এর কয়েকটি ধারা উল্লেখ্য করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির গৃহীত সিদ্ধান্ত আইনসংগত ও যথার্থ।’ 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠিটি নিয়ে কমিশনের সভায় বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হবে। 

গতকাল মঙ্গলবার এক অফিস আদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ সব কার্যক্রম স্থগিতকরণের নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। একই সঙ্গে অন-ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চায় কমিশন। একই দিন ইউজিসির উপপরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগ) মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি এ বিষয়ে বলা হয়, মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর কমিশনের এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। 

গত ২০ জুলাই মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে চার বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয়গুলো হলো এলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই কোর্সগুলোর ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।