নিজস্ব শিক্ষক ছাড়াই চলছে জাককানইবির মার্কেটিং বিভাগ

জাককানইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১: ৩৬

নিজস্ব কোনো শিক্ষক ছাড়াই এক বছর যাবৎ চলছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) মার্কেটিং বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে অন্য বিভাগের শিক্ষক দিয়ে কোনোমতে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগ চালু করা হয়। আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিভাগটিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। 

সূত্রে আরও জানা যায়, মার্কেটিং বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের পাঁচটি কোর্সের জন্য বিভিন্ন বিভাগের পাঁচজন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানো হয়। বিভাগীয় প্রধান ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে উপাচার্যের তত্ত্বাবধানে তাঁদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় সেমিস্টারের পাঁচটি কোর্সের জন্য নতুন করে শিক্ষক চূড়ান্ত করেছেন বিভাগীয় প্রধান। 

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব শিক্ষক না থাকায় অভিভাবকশূন্যতায় রয়েছি। এ ছাড়া আমাদের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হ‌ুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালে ইউজিসির অনুমোদন নিয়ে মার্কেটিং বিভাগে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করি। পরে শিক্ষক অনুমোদনের চাহিদা ইউজিসির কাছে পাঠালেও করোনাসহ নানা কারণে অনুমোদন পেতে দেরি হয়। তবে চলতি বছরের ৩১ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ৭ জুলাই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য উপস্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটের অনুমোদনের পর শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আমি নিজে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রথম সেমিস্টার সম্পন্ন করে দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করেছি। আগামী সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে।’ 

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩০ জন শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এক সেমিস্টার শেষ হয়ে গেলেও এখনো কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাচের ভর্তির জন্য ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত