প্রকৌশল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮: ০৪

বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা চুয়েট, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা রুয়েট ও খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা কুয়েট উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে সম্মিলিতভাবে প্রকৌশল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। আগামী ৩ মার্চ গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রকৌশল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি হতে হবে সাজানো-গোছানো ও পরিকল্পিত। কীভাবে একজন শিক্ষার্থী প্রস্তুতি নেবেন, নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন ২০২২-২৩ সেশনে প্রকৌশল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হওয়া এস এম নাফিসুল আজিজ। 

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ 

  • গণিত: এ বিষয়ে ভালো করার জন্য ‘প্রশ্ন ব্যাংক’ সম্পর্কে ভালো দখল থাকা জরুরি; কেননা, প্রায় প্রতিবারই বেশ কিছুসংখ্যক প্রশ্ন হুবহু প্রশ্ন ব্যাংক থেকে আসে। এ ছাড়া একই ধরনের বিগত বছরের প্রশ্নগুলোর অনেক সময় পুনরাবৃত্তি হতে দেখা যায়। তবে কেবল প্রশ্ন ব্যাংক থেকে কমন পাওয়ার আশা না করে প্রতিটি অধ্যায়ের সব বিষয়বস্তু ভালোভাবে বোঝার ও আয়ত্তে আনার চেষ্টা করতে হবে। বৃত্ত, সরলরেখা, কণিক—এই অধ্যায়গুলোতে প্রায়ই এমন প্রশ্ন আসে, যেগুলো মোটামুটি একটা গ্রাফ এঁকে সমাধান করলে সময় কম লাগে। এ ছাড়া অন্তরীকরণ, যোগজীকরণ, ত্রিকোণমিতি অধ্যায় থেকে প্রায়ই বেশ কিছুসংখ্যক প্রশ্ন এসে থাকে, তাই এই অধ্যায়গুলোকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
  • পদার্থবিজ্ঞান: এ বিষয়ে মুখস্থভিত্তিক প্রশ্ন প্রায় আসে না বললেই চলে। এ কারণে গণিতবিষয়ক প্রশ্নগুলো ভালোভাবে ও দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। দ্রুত সমাধানের জন্য অনুশীলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি প্রতিটি অধ্যায় সম্পর্কে কনসেপ্ট ক্লিয়ার রাখা জরুরি। এ ছাড়া বেশ কিছু অধ্যায় মিলে একটি প্রশ্ন হয়। যেমন ভেক্টর, নিউটনিয়ান বলবিদ্যা, কাজ শক্তি ও ক্ষমতা, মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ—এই অধ্যায়গুলো মিলিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন দেখা যায়। আবার ১ম পত্রের ১০ম অধ্যায় এবং ২য় পত্রের ১ম অধ্যায় মিলিয়েও প্রশ্ন দেখা যায়। এ ছাড়া আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা অধ্যায়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
  • রসায়ন: পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতের মতো এখানে কেবল ক্যালকুলেটিভ প্রশ্নই আসে না, বরং এর পাশাপাশি বিভিন্ন থিউরিটিক্যাল প্রশ্ন আসে। মুখস্থভিত্তিক প্রশ্নের মধ্যে বিভিন্ন আদর্শ মান, বিভিন্ন বস্তুর পিএইচ, বিভিন্ন সূত্রের বিবৃতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া প্রথম পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের দ্রাব্যতা ও দ্রাব্যতা গুণফলভিত্তিক অঙ্ক এবং চতুর্থ অধ্যায়ের সাম্য ধ্রুবক-সংক্রান্ত অঙ্ক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুই পত্রের অধ্যায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের একটি হলো জৈব রসায়ন, যেখান থেকে প্রায় প্রতিবছরই প্রচুর প্রশ্ন এসে থাকে। এই অধ্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং নামধারী বিক্রিয়া সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন।
  • ইংরেজি: যদিও এই বিষয়ে নম্বর ৫০, যেখানে বাকি ৩টা বিষয়ে ১৫০; তবু চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কী ধরনের প্রশ্ন আসে, তা বোঝার জন্য প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ধারণা নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি synonym, antonym, right form of verbs, transformation, narration এই টপিকগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
পরীক্ষা সন্নিকটে হওয়ায় এখন একটু কৌশলের সঙ্গে পড়তে হবে। এ সময়টা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। সবকিছু রিভিশন দিতে হবে। বারবার প্রশ্ন ব্যাংক ফলো করার পাশাপাশি যে অধ্যায়গুলো থেকে পরীক্ষায় বেশি প্রশ্ন হয়, সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। 

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত