এত দিন চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, কিংবা গণিত পড়তে হয়েছে। তবে এখন থেকে পড়ার মূল বিষয়বস্তু ঘুরপাক খাবে মানবশরীর ঘিরে। মানবশরীর মহাবিশ্বের তুলনায় খুব ছোট হলেও, এতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা অদ্ভুতুড়ে সব কর্মকাণ্ড বৈচিত্র্য ও জটিলতার দিক দিয়ে বিশ্বপ্রকৃতির কর্মযজ্ঞের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। এ ব্যাপারে জানতে ও শিখতে পারা ভীষণ আনন্দের। তবে শেখার প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ ও শ্রমসাধ্য। তাই ভালো করার জন্য অধ্যবসায়ী হওয়া জরুরি।
কারিকুলামের আদ্যোপান্ত
এমবিবিএস প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ের পাঠ্য বিষয় হলো অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে কারিকুলামে ইন্টিগ্রেটেড টিচিং অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, ক্লিনিক্যাল ও প্যারা ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোর সঙ্গে এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কিছুটা পরিচয় ঘটবে। তবে এর উদ্দেশ্য মূলত শিক্ষার্থীদের প্রধান পাঠ্য বিষয়গুলোর সঙ্গে ক্লিনিক্যাল অনুশীলনকে সম্বন্ধ স্থাপন করতে শেখানো।
পরীক্ষা, পরীক্ষা আর পরীক্ষা
প্রথম পর্যায় শেষ করে প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তিনটি স্তর পেরিয়ে আসতে হয়। প্রতি বিষয়ের ছয়টি কার্ড, আর প্রতি কার্ডে গড়ে ১০ থেকে ১২টির মতো আইটেম থাকে। তাই পরীক্ষা যে এখন থেকে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। মনে রাখবেন, প্রতিটি স্তরের পরীক্ষাই সমান গুরুত্বপূর্ণ; আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পড়াশোনায় নিয়মিত থেকে সব পরীক্ষায় সময় মতো অংশ নেওয়া।
মৌলিক কৌশল
এরই মধ্যে নিশ্চয় নিজ মেডিকেল কলেজ থেকে নির্ধারিত বইয়ের তালিকা পেয়েছেন। বইগুলো সংগ্রহ করে পড়াশোনার তোড়জোড়ও হয়তো শুরু হয়ে গেছে। নিয়মিত ক্লাস লেকচার অনুসরণ করা, লেকচার অনুযায়ী পাঠ্যবই থেকে পড়া এবং টিউটোরিয়াল-প্র্যাক্টিক্যালে যথাযথভাবে সক্রিয় থাকাই এখন ভালো করার মূল চাবিকাঠি।
বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
অ্যানাটমি বিষয়টি তুলনামূলক বড় হওয়ায় বিশেষভাবে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। অ্যানাটমি অংশের মধ্যে রয়েছে গ্রস অ্যানাটমি, হিস্টোলজি, এমব্রিয়োলজি, অস্টিওলজি ও জেনারেল অ্যানাটমি। তার মধ্যে আগে যে আইটেম নামের পরীক্ষাগুলোর কথা বলেছি, সেগুলো মূলত হয়ে থাকে গ্রস অ্যানাটমি নিয়ে; এর মধ্য দিয়ে অবশ্য অস্টিওলজি আর জেনারেল অ্যানাটমি বিষয়েও অনেকটাই পড়া হয়ে যায়। অ্যানাটমি অংশে মূলত পড়ানো হয় শরীরের হাড়, পেশি, রক্তনালি ও বিভিন্ন অঙ্গের বাহ্যিক গঠন নিয়ে। আমাদের দেশে এখনো সত্যিকারের মানবশরীরের অংশ (বোনস এবং ভিসেরা) নিয়েই পড়ানো হয়। সিমুলেশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হলেও, তা মূলধারায় আসেনি।
ডিসেকশন হলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও প্রথম বর্ষের অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বলা হয়ে থাকে যে ডিসেকশন হলো মৃতরা জীবিতদের শেখায়। তাই আমাদের শেখার ও সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার জন্য যাঁরা নিজেদের সর্বোচ্চ বিলিয়ে দিয়ে গেছেন–সেই মৃত শরীরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মৃতদের ত্যাগ সার্থক করার জন্য যথাযথভাবে শেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই ডিসেকশন হলেই আমাদের ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা সোনালি অনুপাতের সৌন্দর্য ধরা পড়ে। জানা যায়, মানবযন্ত্রের অবকাঠামো ঠিক কতটা জটিল ও একই সঙ্গে নিখুঁত।
সুস্থ মানবদেহকে পরিপূর্ণভাবে জানার মাধ্যমেই শুরু হয়, অসুস্থ মানুষকে পুনরায় সুস্থতার জায়গায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এ ছাড়া সরাসরি ডিসেকশন ক্লাসের পাশাপাশি আমাদের হাতে অনেক অনলাইন রিসোর্সও রয়েছে। আমার এখনো মনে আছে, হেড-নেক কার্ডের সময়ে টেরিগোপ্যালাটাইন ফসার গঠনটি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। এর অবস্থান মাথার খুলির এমন জায়গায় যে ‘ভেতর কিংবা বাইরে’—কোনো দিক দিয়েই আমাদের চোখ সেখানে পৌঁছতে পারছিল না। তখন ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিল কিছু অনলাইন ভিডিও অ্যাটলাস। পাশাপাশি নিটারের অ্যাটলাস তো আছেই। অ্যানাটমি বুঝতে হলে এ সব অ্যাটলাস বারবার দেখার বিকল্প নেই।
অন্যদিকে গ্রস অ্যানাটমির সিলেবাস বিশাল। তবে শেষ পর্যন্ত সবার এ বিষয়টি ভালো লাগে। বিপত্তি বাঁধে মূলত হিস্টোলজি ও এমব্রিয়োলজি অংশে। দেখা যায়, অন্যান্য বিষয়ের আইটেমের চাপে এ দুই অংশ পড়া হয় কেবল টার্ম ও প্রফের আগে। অথচ ‘অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রই হোক, বা ক্লিনিক্যাল অনুশীলন’—ওই দুটি বিষয়ের গুরুত্বও কম নয়। হিস্টোলজির কাজ শরীরের আণুবীক্ষণিক স্তরের গঠন, অর্থাৎ কোষ ও টিস্যু নিয়ে। বর্তমানে এ কথা স্বীকৃত যে যেকোনো রোগ সৃষ্টি হয় কোষীয় স্তরে।
শরীরে তার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার অনেক আগেই দেখা দেয়, কোষীয় অবকাঠামোর বিকৃতি। কাজেই হিস্টোলজিতে কোষ-কলার স্বাভাবিক গঠন শেখার মাধ্যমে পরবর্তীতে তাতে অস্বাভাবিকতা চিনতে পারা সম্ভব হয়ে ওঠে। আর এমব্রিয়োলজিতে পড়াশোনা করা হয় মানবভ্রূণের বিকাশ নিয়ে, যা পরিপূর্ণ মানবশরীরের গঠন ও তার সমস্যা বোঝার জন্য অপরিহার্য। তাই কেবল পরীক্ষার আগে নয়, শুরু থেকেই এই বিষয়গুলোর জন্য যথোপযুক্ত পরিমাণে সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।
লক্ষ্যে অবিচল থাকা
এতক্ষণ পড়াশোনায় নিয়মিত থাকার কথা বললেও, এবারে বলতে চাই উল্টো পিঠের কথা। কারণ, চাইলেও সব সময় নিয়মিত থাকা সবার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। মেডিকেলের শিডিউল এমন যে এক রাতের জ্বরের কারণে দুই থেকে তিনটি আইটেম পেন্ডিং বা অনুস্পাদিত হয়ে যেতে পারে। এমন ঘটনা যেকোনো স্তরেই ঘটতে পারে, যেটি মেডিকেলের খুবই সাধারণ চিত্র। তবে এর জন্য হতাশাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের এই অতি ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে কোনোভাবে হতাশা ঢুকে গেলে নিজেদের জন্যই ক্ষতি। তাই কখনো হোঁচট খেলেও, হাসিমুখে পুনরায় এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ধারণ করতে হবে।
এত দিন চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, কিংবা গণিত পড়তে হয়েছে। তবে এখন থেকে পড়ার মূল বিষয়বস্তু ঘুরপাক খাবে মানবশরীর ঘিরে। মানবশরীর মহাবিশ্বের তুলনায় খুব ছোট হলেও, এতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা অদ্ভুতুড়ে সব কর্মকাণ্ড বৈচিত্র্য ও জটিলতার দিক দিয়ে বিশ্বপ্রকৃতির কর্মযজ্ঞের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। এ ব্যাপারে জানতে ও শিখতে পারা ভীষণ আনন্দের। তবে শেখার প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ ও শ্রমসাধ্য। তাই ভালো করার জন্য অধ্যবসায়ী হওয়া জরুরি।
কারিকুলামের আদ্যোপান্ত
এমবিবিএস প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ের পাঠ্য বিষয় হলো অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে কারিকুলামে ইন্টিগ্রেটেড টিচিং অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, ক্লিনিক্যাল ও প্যারা ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোর সঙ্গে এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কিছুটা পরিচয় ঘটবে। তবে এর উদ্দেশ্য মূলত শিক্ষার্থীদের প্রধান পাঠ্য বিষয়গুলোর সঙ্গে ক্লিনিক্যাল অনুশীলনকে সম্বন্ধ স্থাপন করতে শেখানো।
পরীক্ষা, পরীক্ষা আর পরীক্ষা
প্রথম পর্যায় শেষ করে প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তিনটি স্তর পেরিয়ে আসতে হয়। প্রতি বিষয়ের ছয়টি কার্ড, আর প্রতি কার্ডে গড়ে ১০ থেকে ১২টির মতো আইটেম থাকে। তাই পরীক্ষা যে এখন থেকে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। মনে রাখবেন, প্রতিটি স্তরের পরীক্ষাই সমান গুরুত্বপূর্ণ; আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পড়াশোনায় নিয়মিত থেকে সব পরীক্ষায় সময় মতো অংশ নেওয়া।
মৌলিক কৌশল
এরই মধ্যে নিশ্চয় নিজ মেডিকেল কলেজ থেকে নির্ধারিত বইয়ের তালিকা পেয়েছেন। বইগুলো সংগ্রহ করে পড়াশোনার তোড়জোড়ও হয়তো শুরু হয়ে গেছে। নিয়মিত ক্লাস লেকচার অনুসরণ করা, লেকচার অনুযায়ী পাঠ্যবই থেকে পড়া এবং টিউটোরিয়াল-প্র্যাক্টিক্যালে যথাযথভাবে সক্রিয় থাকাই এখন ভালো করার মূল চাবিকাঠি।
বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
অ্যানাটমি বিষয়টি তুলনামূলক বড় হওয়ায় বিশেষভাবে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। অ্যানাটমি অংশের মধ্যে রয়েছে গ্রস অ্যানাটমি, হিস্টোলজি, এমব্রিয়োলজি, অস্টিওলজি ও জেনারেল অ্যানাটমি। তার মধ্যে আগে যে আইটেম নামের পরীক্ষাগুলোর কথা বলেছি, সেগুলো মূলত হয়ে থাকে গ্রস অ্যানাটমি নিয়ে; এর মধ্য দিয়ে অবশ্য অস্টিওলজি আর জেনারেল অ্যানাটমি বিষয়েও অনেকটাই পড়া হয়ে যায়। অ্যানাটমি অংশে মূলত পড়ানো হয় শরীরের হাড়, পেশি, রক্তনালি ও বিভিন্ন অঙ্গের বাহ্যিক গঠন নিয়ে। আমাদের দেশে এখনো সত্যিকারের মানবশরীরের অংশ (বোনস এবং ভিসেরা) নিয়েই পড়ানো হয়। সিমুলেশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হলেও, তা মূলধারায় আসেনি।
ডিসেকশন হলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও প্রথম বর্ষের অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বলা হয়ে থাকে যে ডিসেকশন হলো মৃতরা জীবিতদের শেখায়। তাই আমাদের শেখার ও সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার জন্য যাঁরা নিজেদের সর্বোচ্চ বিলিয়ে দিয়ে গেছেন–সেই মৃত শরীরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মৃতদের ত্যাগ সার্থক করার জন্য যথাযথভাবে শেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই ডিসেকশন হলেই আমাদের ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা সোনালি অনুপাতের সৌন্দর্য ধরা পড়ে। জানা যায়, মানবযন্ত্রের অবকাঠামো ঠিক কতটা জটিল ও একই সঙ্গে নিখুঁত।
সুস্থ মানবদেহকে পরিপূর্ণভাবে জানার মাধ্যমেই শুরু হয়, অসুস্থ মানুষকে পুনরায় সুস্থতার জায়গায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এ ছাড়া সরাসরি ডিসেকশন ক্লাসের পাশাপাশি আমাদের হাতে অনেক অনলাইন রিসোর্সও রয়েছে। আমার এখনো মনে আছে, হেড-নেক কার্ডের সময়ে টেরিগোপ্যালাটাইন ফসার গঠনটি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। এর অবস্থান মাথার খুলির এমন জায়গায় যে ‘ভেতর কিংবা বাইরে’—কোনো দিক দিয়েই আমাদের চোখ সেখানে পৌঁছতে পারছিল না। তখন ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিল কিছু অনলাইন ভিডিও অ্যাটলাস। পাশাপাশি নিটারের অ্যাটলাস তো আছেই। অ্যানাটমি বুঝতে হলে এ সব অ্যাটলাস বারবার দেখার বিকল্প নেই।
অন্যদিকে গ্রস অ্যানাটমির সিলেবাস বিশাল। তবে শেষ পর্যন্ত সবার এ বিষয়টি ভালো লাগে। বিপত্তি বাঁধে মূলত হিস্টোলজি ও এমব্রিয়োলজি অংশে। দেখা যায়, অন্যান্য বিষয়ের আইটেমের চাপে এ দুই অংশ পড়া হয় কেবল টার্ম ও প্রফের আগে। অথচ ‘অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রই হোক, বা ক্লিনিক্যাল অনুশীলন’—ওই দুটি বিষয়ের গুরুত্বও কম নয়। হিস্টোলজির কাজ শরীরের আণুবীক্ষণিক স্তরের গঠন, অর্থাৎ কোষ ও টিস্যু নিয়ে। বর্তমানে এ কথা স্বীকৃত যে যেকোনো রোগ সৃষ্টি হয় কোষীয় স্তরে।
শরীরে তার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার অনেক আগেই দেখা দেয়, কোষীয় অবকাঠামোর বিকৃতি। কাজেই হিস্টোলজিতে কোষ-কলার স্বাভাবিক গঠন শেখার মাধ্যমে পরবর্তীতে তাতে অস্বাভাবিকতা চিনতে পারা সম্ভব হয়ে ওঠে। আর এমব্রিয়োলজিতে পড়াশোনা করা হয় মানবভ্রূণের বিকাশ নিয়ে, যা পরিপূর্ণ মানবশরীরের গঠন ও তার সমস্যা বোঝার জন্য অপরিহার্য। তাই কেবল পরীক্ষার আগে নয়, শুরু থেকেই এই বিষয়গুলোর জন্য যথোপযুক্ত পরিমাণে সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।
লক্ষ্যে অবিচল থাকা
এতক্ষণ পড়াশোনায় নিয়মিত থাকার কথা বললেও, এবারে বলতে চাই উল্টো পিঠের কথা। কারণ, চাইলেও সব সময় নিয়মিত থাকা সবার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। মেডিকেলের শিডিউল এমন যে এক রাতের জ্বরের কারণে দুই থেকে তিনটি আইটেম পেন্ডিং বা অনুস্পাদিত হয়ে যেতে পারে। এমন ঘটনা যেকোনো স্তরেই ঘটতে পারে, যেটি মেডিকেলের খুবই সাধারণ চিত্র। তবে এর জন্য হতাশাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের এই অতি ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে কোনোভাবে হতাশা ঢুকে গেলে নিজেদের জন্যই ক্ষতি। তাই কখনো হোঁচট খেলেও, হাসিমুখে পুনরায় এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ধারণ করতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অব ডেট্রয়েট মার্সি স্কলারশিপ-২০২৫-এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার এবং ই-মেইল ব্যবহারের কারণে হাতে লেখার চর্চা কমে গেছে। তবুও, শিক্ষাক্ষেত্রে বা পরীক্ষার খাতায় হাতে লেখা গুরুত্ব কোনো অংশে কমেনি।
১৬ ঘণ্টা আগেএশিয়া-প্যাসিফিক কোয়ালিটি নেটওয়ার্ক (এপিকিউএন) একাডেমিক কনফারেন্স ২০২৪-এ বেস্ট মডেল ইন্টারনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স (কিউএ) অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে এপিকিউএন কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে এই এপিকিউএন কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্
১৬ ঘণ্টা আগেব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার কেনিয়ার মোম্বাসায় অনুষ্ঠিত আফ্রিকান মার্কেটিং কনফেডারেশন (এএমসি) ফোরাম ২০২৪-এ প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রফেসর ফারহাত আনোয়ার এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। এই সম্মেলন আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের মা
১৬ ঘণ্টা আগে