রাহুল শর্মা, ঢাকা
জন্মনিবন্ধন সনদের নাম অনলাইনে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় নেই। কারও কারও ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন হলেও অনলাইনে নামের ঘরে নাম লেখা নেই। এ ধরনের কিছু সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি পাওয়া নিয়ে নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে ২৬ লাখ শিক্ষার্থীর আইডি পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন সনদে শিক্ষার্থীর নাম অনলাইনে উভয় ভাষায় (বাংলা ও ইংরেজি) না থাকায় ২৬ লাখ শিক্ষার্থীর আইডি তৈরি হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়কে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিগগির এর সমাধান হবে।’
জটিলতার বিষয়ে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের সব তথ্য পরিপূর্ণভাবে না থাকলে ইউনিক আইডি তৈরি সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদন ছাড়া কোনো তথ্য সিস্টেমে যোগ করার সুযোগ নেই। এতে আইনি বাধা আছে। এ জন্য ২৬ লাখ শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ইউনিক আইডি তৈরি এবং সমন্বিত শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়ন করতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। প্রকল্পের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের ৩০ জুন।
পরে প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এ সময়েও শেষ হয়নি কাজ। এখন প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার উদ্দেশ্যেই তৈরি করার কথা ইউনিক আইডি। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এ আইডিই জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে। মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮-এর নিচে, তাদের তথ্য সিস্টেমের মধ্যে আনাই ইউনিক আইডির মুখ্য উদ্দেশ্য। আর শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তরকে একই সফটওয়্যারে আনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হবে।
ঘোষণা ছিল, মুজিববর্ষেই (২০২২ সালের মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। যদিও সে ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি। আর এ জন্য করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের কারিগরি সমস্যাকে দায়ী করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রকল্পের সর্বশেষ (২ জুন) অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ শিক্ষার্থীর ডেটা এন্ট্রি শেষ। এর মধ্যে ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি সিস্টেমে তৈরি হয়েছে। আর বাকিগুলোর ডেটা এন্ট্রি কাজ চলছে। এ বিষয়ে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ বলা হলেও তা ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি হবে না। করোনার কারণে শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি, জাতীয় পরিচয়পত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, দ্বৈত শিক্ষার্থী থাকায় এ সংখ্যা কমেছে।
ইউনিক আইডি তৈরিতে অন্যতম দায়িত্ব পালনকারী সংস্থা জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউনিক আইডি দেওয়ার অন্যতম শর্ত জন্মনিবন্ধন সনদে নাম বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় থাকতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে ইউনিক আইডি তৈরি হয় না। জন্মসনদ সংশোধন ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইন অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আগামী জুলাই মাস থেকে পর্যায়ক্রমে কার্ড বিতরণ করা সম্ভব হবে।
জন্মনিবন্ধন সনদের নাম অনলাইনে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় নেই। কারও কারও ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন হলেও অনলাইনে নামের ঘরে নাম লেখা নেই। এ ধরনের কিছু সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি পাওয়া নিয়ে নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে ২৬ লাখ শিক্ষার্থীর আইডি পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন সনদে শিক্ষার্থীর নাম অনলাইনে উভয় ভাষায় (বাংলা ও ইংরেজি) না থাকায় ২৬ লাখ শিক্ষার্থীর আইডি তৈরি হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়কে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিগগির এর সমাধান হবে।’
জটিলতার বিষয়ে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের সব তথ্য পরিপূর্ণভাবে না থাকলে ইউনিক আইডি তৈরি সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদন ছাড়া কোনো তথ্য সিস্টেমে যোগ করার সুযোগ নেই। এতে আইনি বাধা আছে। এ জন্য ২৬ লাখ শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ইউনিক আইডি তৈরি এবং সমন্বিত শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়ন করতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। প্রকল্পের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের ৩০ জুন।
পরে প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এ সময়েও শেষ হয়নি কাজ। এখন প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার উদ্দেশ্যেই তৈরি করার কথা ইউনিক আইডি। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এ আইডিই জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে। মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮-এর নিচে, তাদের তথ্য সিস্টেমের মধ্যে আনাই ইউনিক আইডির মুখ্য উদ্দেশ্য। আর শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তরকে একই সফটওয়্যারে আনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হবে।
ঘোষণা ছিল, মুজিববর্ষেই (২০২২ সালের মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। যদিও সে ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি। আর এ জন্য করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের কারিগরি সমস্যাকে দায়ী করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রকল্পের সর্বশেষ (২ জুন) অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ শিক্ষার্থীর ডেটা এন্ট্রি শেষ। এর মধ্যে ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি সিস্টেমে তৈরি হয়েছে। আর বাকিগুলোর ডেটা এন্ট্রি কাজ চলছে। এ বিষয়ে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ বলা হলেও তা ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি হবে না। করোনার কারণে শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি, জাতীয় পরিচয়পত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, দ্বৈত শিক্ষার্থী থাকায় এ সংখ্যা কমেছে।
ইউনিক আইডি তৈরিতে অন্যতম দায়িত্ব পালনকারী সংস্থা জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউনিক আইডি দেওয়ার অন্যতম শর্ত জন্মনিবন্ধন সনদে নাম বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় থাকতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে ইউনিক আইডি তৈরি হয় না। জন্মসনদ সংশোধন ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইন অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আগামী জুলাই মাস থেকে পর্যায়ক্রমে কার্ড বিতরণ করা সম্ভব হবে।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ ‘ইউআইইউ সিএসই ফেস্ট ২০২৫’ শিরোনামে আন্তকলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্লক চেইন অলিম্পিয়াড, আইসিটি অলিম্পিয়াড, প্রজেক্ট শো, লাইন ফলোয়িং রোবট (এলএফআর), প্রোগ্রামিং কনটেস্টসহ মোট ছয়টি বিষয়ে দুই দি
৮ ঘণ্টা আগেজীবনের প্রতিটি ধাপে ছোট-বড় অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে আপনার অস্তিত্ব শুরু হয়েছিল অসাধারণ জয় দিয়ে। আমরা ৪০ কোটি শুক্রাণুর মধ্যে একমাত্র বিজয়ী হয়ে জন্মেছি।
৮ ঘণ্টা আগেঅনেকে মনে করেন, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতির সময়। কারণ, সামনের চার-পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময়ের পড়ালেখার বিষয় নিশ্চিত করতে হয় এই সময়ে। তাই প্রথমে নির্ধারণ করুন—কী করতে চান, কী নিয়ে এগোতে চান এবং পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান। এভাবে লক্ষ্য ঠিক করুন।
২১ ঘণ্টা আগেএতক্ষণ প্রশ্নপত্র দেখেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন এবং সম্ভাব্য উত্তর ধরে নিয়েছেন। এখন রেকর্ডিং শোনার পালা। এবার রেকর্ডিং শুনে প্রশ্নপত্রের ওপর নোট নিতে থাকুন। যেহেতু সম্ভাব্য উত্তর কী হবে তা আগে থেকে জানেন, তাই সঠিক উত্তর ধরতে পারা সহজ হবে। তবে যতটা সম্ভব নোট নিতে থাকুন। প্রয়োজন না হলে বাদ দেওয়া যাবে...
২১ ঘণ্টা আগে