
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
ইলিয়াস শান্ত

প্রশ্ন: গত ২২ সেপ্টেম্বর খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নবীন শিক্ষার্থীদেরও ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কেমন চলছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন?
উপাচার্য: একটা অনিশ্চিত সময় অতিক্রম করে সবার সহযোগিতায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। পাঠদান শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। ক্লাস শুরুর পরপরই আমরা নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। অভিভাবকদের সঙ্গেও বিভিন্ন পর্যায়ে আমার কথা হয়েছে। এটা সত্যি যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে একটা অনিশ্চয়তা ছিল, যেটা সময়ের ব্যবধানে কেটে যাচ্ছে। আমি তিনটি বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এসব বিভাগে নিয়মিত ৮৬-৯০ ভাগ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হচ্ছেন। নতুন শিক্ষাবর্ষে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরাও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্লাসে থাকছেন।
প্রশ্ন: সিন্ডিকেট এক সিদ্ধান্তে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নন, শিক্ষক-কর্মচারীদেরও দলীয় রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছে...
উপাচার্য: দলীয় রাজনীতির বিষয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। যেটা হয়েছে সেটা হলো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা। আমরা এটা এর আগেও বহুবার বলেছি, ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব। তবে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বলতে আমরা যে কাঠামোর সঙ্গে পরিচিত, বিগত বছরগুলোতে যে রাজনীতির নামে অপরাজনীতির চর্চা হয়েছে, যেটার মাধ্যমে আমাদের যে কঠিন ও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। এ ধরনের রাজনীতি চলতে দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: এখন ডাকসু নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ডাকসু এবং ১৮টি হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের ৫ বছর পার হয়ে গেছে। নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না কেন? এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন?
উপাচার্য: আমাদের নীতিগত ও সংবিধিবদ্ধ যেসব ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর আওতায় ডাকসু এবং ডাকসুকে কেন্দ্র করে নেতৃত্ব তৈরির যে গণতান্ত্রিক চর্চা, সেটি আমরা সবাই ভালোভাবে অবগত। ডাকসুকে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিয়াশীল করতে সচেষ্ট আছি। তবে বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করতে চাই। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই—সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। তবে ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই অনুভব করি।
প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই আন্দোলন সফল হয়েছে। আন্দোলনে ঢাবি থেকে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের দুজন এখন সরকারে আছেন। সামনের সারির বাকি দুজন ছায়া সরকারের ভূমিকায়। তাঁদের কারও কারও এখনো পড়ালেখা শেষ হয়নি। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে?
উপাচার্য: যেকোনো বিবেচনায় আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ প্রক্রিয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবার প্রতিই আমাদের অভিবাদন এবং কৃতজ্ঞতা আছে। এ বিপ্লবে যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখব। তাঁদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগও হচ্ছে। যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, কিন্তু এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতিও আমাদের সমান শ্রদ্ধা-সম্মান রয়েছে। এখনো হাসপাতালগুলোতে যাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন, আমরা তাঁদের বিষয়েও সচেতন রয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা সরাসরি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের স্মরণ করার জন্য বিশেষায়িত ক্লাবগুলোর মাধ্যমে কিছু মূল্যবান ছবি সংগ্রহ করেছি। কিছু গ্রাফিতি বিভিন্ন পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের যে দলটি এই অভ্যুত্থান নিয়ে তদন্ত করছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তাদের এসব সরবরাহ করব। আমরা নিজেরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো তদন্তে একটি কমিটি করেছি। এ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি কর্নার করার চিন্তা রয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু সভা-সেমিনার ও একাডেমিক আলোচনা আমরা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে একাডেমিক এবং এক্সট্রা কারিকুলার—দুই দিক থেকেই স্মরণ করতে চাই, তাঁদের অবদানকে স্বীকার করতে চাই।

প্রশ্ন: এ আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এদের অনেকের বিরুদ্ধে আরও নানা ধরনের অভিযোগও রয়েছে...
উপাচার্য: এ বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। কিছু ক্ষেত্রে মোটামুটি সমঝোতা হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে সমঝোতা হয়নি। সে ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। একটি বিষয় পরিষ্কার, যারা গুরুতর অপরাধে জড়িত, তাদের আইন অনুযায়ী বিচার হবে। যেসব জায়গায় দ্বন্দ্ব নিরসনের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন সম্ভব, সেখানে সেটাই করা হবে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে তালিকায় ১০০০-এর মধ্য আছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই পাঁচটির মধ্যেও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবির অবস্থান ১০০১-১২০০তমের মধ্যে...
উপাচার্য: আমরা র্যাঙ্কিংকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমাদের সম্মানিত উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষায়িত দল এখন কাজ করছে। এর বাইরে আমাদের যাঁরা ভালো গবেষক রয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় ১০ জন গবেষক জায়গা পেয়েছেন। এটি যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের, অন্যদিকে দেশবাসীর জন্য একটি আনন্দের খবর। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণার জন্য আলাদা কিছু বৃত্তি এবং বিশেষ ফান্ড দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের আগের প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল। তাদের ভালো উদ্যোগগুলোকে আমরা আরও প্রসারিত করার চেষ্টা করছি। র্যাঙ্কিং নিয়ে বড় দাগে কথা হচ্ছে, আমরা কোনো রকম অজুহাত দেখাতে চাচ্ছি না। ঢাবি যেহেতু সর্ব জনতার বিশ্ববিদ্যালয়, সেহেতু সবার কাছে প্রত্যাশা একটু বেশিই। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সুতরাং, আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ভালো করলে সবাই যেমন খুশি হন, সেটা আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে মনে রাখি। আমরা যখন ভালো করি না, তখন তারা দুঃখিত হন। সেটাতেও আমরা সচেতন থাকি। এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে, র্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ দেশের জাতীয় জীবনে বেশ কিছু কাজে ভূমিকা পালন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক একাডেমিক যে কাজ, তার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। আমাদের অনেক বড় সামাজিক পরিসরে কাজ করতে হয়। এ কারণে সারা বছর র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক আমাদের একই ধরনের গুরুত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবু আমরা বলতে চাই, র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টি আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যেই রয়েছে।
প্রশ্ন: আবাসনব্যবস্থায় বড় সংস্কার হয়েছে বলা যায়। অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশনার পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা খুশি। তবে ছাত্রীদের আবাসন নিয়ে এখনো সংকট রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কিছু কিছু হলে এখনো ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ছাত্রী অবস্থান করছেন...
উপাচার্য: আমাদের হল প্রশাসন স্মরণকালের বছরগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো হলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। বহু বহু বছর পর আমরা প্রথমবারের মতো চেষ্টা করছি, হল প্রশাসন হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিট বরাদ্দ দিচ্ছে। ফলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন বণ্টনে একরকম ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মোটামুটি শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং মেরিট দুটোকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল বরাদ্দ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা এখন হলগুলোতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছেন। গণরুমের সংস্কৃতি সম্পূর্ণভাবে দূর হয়েছে। তবু সংকট থেকেই যাচ্ছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল নিয়ে ভুগছেন। আমি এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করার চেষ্টা করছি। এখন আমাদের যেটা হয়েছে, সেটা হলো আমাদের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ৫১-৫৩ ভাগ। ধীরে ধীরে ছাত্রীরা এখন মেজরিটির দিকে যাচ্ছে। জাতীয় দিক বিবেচনায় এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। কিন্তু ছাত্রীরা এগিয়ে এলেও তাদের জন্য আমাদের হলের সংখ্যা মাত্র ৫টি। এটার মানে হচ্ছে, আমাদের হল পর্যাপ্ত না। পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব থাকায় এ সমস্যার সরাসরি কোনো সমাধান বা ম্যাজিক বুলেট বলতে যা বোঝায়, সেটি আমাদের হাতে নেই। আমরা এখন যেটি করছি, সেটা হলো প্রথম সুযোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অলরেডি বিভিন্ন বন্ধুদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। দেশের সরকার এবং ইউজিসির সঙ্গেও আমাদের এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ইউজিসি আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। আমরা আশাবাদী, ছাত্রীদের জন্য একটা হল অচিরেই নির্মাণকাজ শুরু করতে পারব। ছেলেদের হলে অবকাঠোমোও কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা করছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। প্রাথমিক ব্যবস্থাপনায় আমরা মেয়েদের হলগুলোর ফাঁকা স্থানে নতুন কিছু বেড সংযোজন করা যায় কি না সে বিষয়ে কাজ করছি।
প্রশ্ন: গত ২২ সেপ্টেম্বর খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নবীন শিক্ষার্থীদেরও ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কেমন চলছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন?
উপাচার্য: একটা অনিশ্চিত সময় অতিক্রম করে সবার সহযোগিতায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। পাঠদান শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। ক্লাস শুরুর পরপরই আমরা নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। অভিভাবকদের সঙ্গেও বিভিন্ন পর্যায়ে আমার কথা হয়েছে। এটা সত্যি যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে একটা অনিশ্চয়তা ছিল, যেটা সময়ের ব্যবধানে কেটে যাচ্ছে। আমি তিনটি বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এসব বিভাগে নিয়মিত ৮৬-৯০ ভাগ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হচ্ছেন। নতুন শিক্ষাবর্ষে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরাও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্লাসে থাকছেন।
প্রশ্ন: সিন্ডিকেট এক সিদ্ধান্তে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নন, শিক্ষক-কর্মচারীদেরও দলীয় রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছে...
উপাচার্য: দলীয় রাজনীতির বিষয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। যেটা হয়েছে সেটা হলো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা। আমরা এটা এর আগেও বহুবার বলেছি, ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব। তবে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বলতে আমরা যে কাঠামোর সঙ্গে পরিচিত, বিগত বছরগুলোতে যে রাজনীতির নামে অপরাজনীতির চর্চা হয়েছে, যেটার মাধ্যমে আমাদের যে কঠিন ও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। এ ধরনের রাজনীতি চলতে দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: এখন ডাকসু নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ডাকসু এবং ১৮টি হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের ৫ বছর পার হয়ে গেছে। নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না কেন? এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন?
উপাচার্য: আমাদের নীতিগত ও সংবিধিবদ্ধ যেসব ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর আওতায় ডাকসু এবং ডাকসুকে কেন্দ্র করে নেতৃত্ব তৈরির যে গণতান্ত্রিক চর্চা, সেটি আমরা সবাই ভালোভাবে অবগত। ডাকসুকে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিয়াশীল করতে সচেষ্ট আছি। তবে বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করতে চাই। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই—সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। তবে ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই অনুভব করি।
প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই আন্দোলন সফল হয়েছে। আন্দোলনে ঢাবি থেকে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের দুজন এখন সরকারে আছেন। সামনের সারির বাকি দুজন ছায়া সরকারের ভূমিকায়। তাঁদের কারও কারও এখনো পড়ালেখা শেষ হয়নি। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে?
উপাচার্য: যেকোনো বিবেচনায় আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ প্রক্রিয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবার প্রতিই আমাদের অভিবাদন এবং কৃতজ্ঞতা আছে। এ বিপ্লবে যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখব। তাঁদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগও হচ্ছে। যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, কিন্তু এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতিও আমাদের সমান শ্রদ্ধা-সম্মান রয়েছে। এখনো হাসপাতালগুলোতে যাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন, আমরা তাঁদের বিষয়েও সচেতন রয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা সরাসরি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের স্মরণ করার জন্য বিশেষায়িত ক্লাবগুলোর মাধ্যমে কিছু মূল্যবান ছবি সংগ্রহ করেছি। কিছু গ্রাফিতি বিভিন্ন পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের যে দলটি এই অভ্যুত্থান নিয়ে তদন্ত করছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তাদের এসব সরবরাহ করব। আমরা নিজেরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো তদন্তে একটি কমিটি করেছি। এ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি কর্নার করার চিন্তা রয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু সভা-সেমিনার ও একাডেমিক আলোচনা আমরা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে একাডেমিক এবং এক্সট্রা কারিকুলার—দুই দিক থেকেই স্মরণ করতে চাই, তাঁদের অবদানকে স্বীকার করতে চাই।

প্রশ্ন: এ আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এদের অনেকের বিরুদ্ধে আরও নানা ধরনের অভিযোগও রয়েছে...
উপাচার্য: এ বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। কিছু ক্ষেত্রে মোটামুটি সমঝোতা হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে সমঝোতা হয়নি। সে ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। একটি বিষয় পরিষ্কার, যারা গুরুতর অপরাধে জড়িত, তাদের আইন অনুযায়ী বিচার হবে। যেসব জায়গায় দ্বন্দ্ব নিরসনের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন সম্ভব, সেখানে সেটাই করা হবে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে তালিকায় ১০০০-এর মধ্য আছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই পাঁচটির মধ্যেও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবির অবস্থান ১০০১-১২০০তমের মধ্যে...
উপাচার্য: আমরা র্যাঙ্কিংকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমাদের সম্মানিত উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষায়িত দল এখন কাজ করছে। এর বাইরে আমাদের যাঁরা ভালো গবেষক রয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় ১০ জন গবেষক জায়গা পেয়েছেন। এটি যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের, অন্যদিকে দেশবাসীর জন্য একটি আনন্দের খবর। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণার জন্য আলাদা কিছু বৃত্তি এবং বিশেষ ফান্ড দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের আগের প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল। তাদের ভালো উদ্যোগগুলোকে আমরা আরও প্রসারিত করার চেষ্টা করছি। র্যাঙ্কিং নিয়ে বড় দাগে কথা হচ্ছে, আমরা কোনো রকম অজুহাত দেখাতে চাচ্ছি না। ঢাবি যেহেতু সর্ব জনতার বিশ্ববিদ্যালয়, সেহেতু সবার কাছে প্রত্যাশা একটু বেশিই। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সুতরাং, আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ভালো করলে সবাই যেমন খুশি হন, সেটা আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে মনে রাখি। আমরা যখন ভালো করি না, তখন তারা দুঃখিত হন। সেটাতেও আমরা সচেতন থাকি। এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে, র্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ দেশের জাতীয় জীবনে বেশ কিছু কাজে ভূমিকা পালন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক একাডেমিক যে কাজ, তার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। আমাদের অনেক বড় সামাজিক পরিসরে কাজ করতে হয়। এ কারণে সারা বছর র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক আমাদের একই ধরনের গুরুত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবু আমরা বলতে চাই, র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টি আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যেই রয়েছে।
প্রশ্ন: আবাসনব্যবস্থায় বড় সংস্কার হয়েছে বলা যায়। অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশনার পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা খুশি। তবে ছাত্রীদের আবাসন নিয়ে এখনো সংকট রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কিছু কিছু হলে এখনো ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ছাত্রী অবস্থান করছেন...
উপাচার্য: আমাদের হল প্রশাসন স্মরণকালের বছরগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো হলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। বহু বহু বছর পর আমরা প্রথমবারের মতো চেষ্টা করছি, হল প্রশাসন হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিট বরাদ্দ দিচ্ছে। ফলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন বণ্টনে একরকম ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মোটামুটি শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং মেরিট দুটোকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল বরাদ্দ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা এখন হলগুলোতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছেন। গণরুমের সংস্কৃতি সম্পূর্ণভাবে দূর হয়েছে। তবু সংকট থেকেই যাচ্ছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল নিয়ে ভুগছেন। আমি এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করার চেষ্টা করছি। এখন আমাদের যেটা হয়েছে, সেটা হলো আমাদের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ৫১-৫৩ ভাগ। ধীরে ধীরে ছাত্রীরা এখন মেজরিটির দিকে যাচ্ছে। জাতীয় দিক বিবেচনায় এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। কিন্তু ছাত্রীরা এগিয়ে এলেও তাদের জন্য আমাদের হলের সংখ্যা মাত্র ৫টি। এটার মানে হচ্ছে, আমাদের হল পর্যাপ্ত না। পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব থাকায় এ সমস্যার সরাসরি কোনো সমাধান বা ম্যাজিক বুলেট বলতে যা বোঝায়, সেটি আমাদের হাতে নেই। আমরা এখন যেটি করছি, সেটা হলো প্রথম সুযোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অলরেডি বিভিন্ন বন্ধুদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। দেশের সরকার এবং ইউজিসির সঙ্গেও আমাদের এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ইউজিসি আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। আমরা আশাবাদী, ছাত্রীদের জন্য একটা হল অচিরেই নির্মাণকাজ শুরু করতে পারব। ছেলেদের হলে অবকাঠোমোও কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা করছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। প্রাথমিক ব্যবস্থাপনায় আমরা মেয়েদের হলগুলোর ফাঁকা স্থানে নতুন কিছু বেড সংযোজন করা যায় কি না সে বিষয়ে কাজ করছি।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৬ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৬ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
২০ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৬ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
২০ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৬ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৬ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
২০ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৬ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৭ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
২০ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৬ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৬ ঘণ্টা আগে