জাবি প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের ২য় ডোজের টিকা নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীদের। ছাত্রদের দাবি, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে টিকা কেন্দ্র থেকে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছে।
জানা যায়, গত অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ১ম ডোজের টিকা দেওয়া হয়। সেই তথ্য সুরক্ষা অ্যাপে দেওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিতে পারেনি। এর ফলে শিক্ষার্থীদের টিকা ছাড়াই কেন্দ্র থেকে ফিরে আসতে হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আবাসিক হলে ওঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে যেসব শিক্ষার্থীরা ১ম ডোজ টিকা নিয়েছেন তাঁরা ১১,১২, ১৩ নভেম্বর সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টিকা গ্রহণ করবেন। এ জন্য শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ক্যাম্পাস থেকে বাস দেওয়া হবে।'
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাসে শিক্ষার্থীরা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যায়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়ালেও টিকা ছাড়াই ফিরে আসতে হয়। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি। তাই অ্যাপে তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি।
এ বিষয়য়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মিজানুর রহমান বলেন, 'প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আমরা ফিরে আসি। এখন টিকা নেওয়ার জন্য আমাদের আবার ঘুরতে হবে। আমরা চাই এ ধরনের বিড়ম্বনা যেন আর না হয়।'
সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বলা হয়, নিয়মিত ম্যাসেজ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের টিকা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে হলে আলাদা বুথ ও লোকবল লাগবে। কিন্তু আজ এ রকম কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সাইমুল হুদা বলেন, 'আমাদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিসকে বলেছি, প্রথম ডোজ টিকাপ্রাপ্ত সকলের তালিকা যেন অনলাইনে নিবন্ধন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে অনলাইনে প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার তথ্য নিবন্ধিত না থাকায়, বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে পারিনি।'
এদিকে শিক্ষার্থীরা টিকাকেন্দ্র থেকে ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা এই সমস্যা নিরসনে প্রশাসনের দ্রুত উদ্যোগ কামনা করেন।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, 'ভুল বোঝাবুঝিতে আজকের ঘটনাটি ঘটেছে। যেটি কাম্য ছিল না। এরপরে চেষ্টা করব ২য় ডোজের টিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থা করার। অন্যথায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জাবির শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ২টি বুথের ব্যবস্থা করা হবে।'
দর্শন বিভাগের ৪৫ ব্যাচের ছাত্রী আনিকা সুবাহ বলেন, 'এই ভোগান্তির পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ২য় ডোজের টিকা নিতে চাই। প্রশাসন বলেছে ১ম ডোজের টিকা গ্রহণকারীদের তথ্য আগামী সাত দিনের মধ্যে সুরক্ষা অ্যাপে যুক্ত করবে। প্রশাসন সেটি না করলে শিক্ষার্থীরা ২৩ তারিখের পর কর্মসূচি দেবে।'
প্রসঙ্গত, গত ১১,১২ ও ১৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে অস্থায়ী ছয়টি বুথে শিক্ষার্থীদের ১ম ডোজ টিকা দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের ২য় ডোজের টিকা নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীদের। ছাত্রদের দাবি, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে টিকা কেন্দ্র থেকে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছে।
জানা যায়, গত অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ১ম ডোজের টিকা দেওয়া হয়। সেই তথ্য সুরক্ষা অ্যাপে দেওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিতে পারেনি। এর ফলে শিক্ষার্থীদের টিকা ছাড়াই কেন্দ্র থেকে ফিরে আসতে হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আবাসিক হলে ওঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে যেসব শিক্ষার্থীরা ১ম ডোজ টিকা নিয়েছেন তাঁরা ১১,১২, ১৩ নভেম্বর সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টিকা গ্রহণ করবেন। এ জন্য শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ক্যাম্পাস থেকে বাস দেওয়া হবে।'
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাসে শিক্ষার্থীরা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যায়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়ালেও টিকা ছাড়াই ফিরে আসতে হয়। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি। তাই অ্যাপে তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি।
এ বিষয়য়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মিজানুর রহমান বলেন, 'প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আমরা ফিরে আসি। এখন টিকা নেওয়ার জন্য আমাদের আবার ঘুরতে হবে। আমরা চাই এ ধরনের বিড়ম্বনা যেন আর না হয়।'
সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বলা হয়, নিয়মিত ম্যাসেজ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের টিকা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে হলে আলাদা বুথ ও লোকবল লাগবে। কিন্তু আজ এ রকম কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সাইমুল হুদা বলেন, 'আমাদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিসকে বলেছি, প্রথম ডোজ টিকাপ্রাপ্ত সকলের তালিকা যেন অনলাইনে নিবন্ধন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে অনলাইনে প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার তথ্য নিবন্ধিত না থাকায়, বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে পারিনি।'
এদিকে শিক্ষার্থীরা টিকাকেন্দ্র থেকে ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা এই সমস্যা নিরসনে প্রশাসনের দ্রুত উদ্যোগ কামনা করেন।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, 'ভুল বোঝাবুঝিতে আজকের ঘটনাটি ঘটেছে। যেটি কাম্য ছিল না। এরপরে চেষ্টা করব ২য় ডোজের টিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থা করার। অন্যথায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জাবির শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ২টি বুথের ব্যবস্থা করা হবে।'
দর্শন বিভাগের ৪৫ ব্যাচের ছাত্রী আনিকা সুবাহ বলেন, 'এই ভোগান্তির পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ২য় ডোজের টিকা নিতে চাই। প্রশাসন বলেছে ১ম ডোজের টিকা গ্রহণকারীদের তথ্য আগামী সাত দিনের মধ্যে সুরক্ষা অ্যাপে যুক্ত করবে। প্রশাসন সেটি না করলে শিক্ষার্থীরা ২৩ তারিখের পর কর্মসূচি দেবে।'
প্রসঙ্গত, গত ১১,১২ ও ১৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে অস্থায়ী ছয়টি বুথে শিক্ষার্থীদের ১ম ডোজ টিকা দেওয়া হয়।
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
১৪ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১ দিন আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১ দিন আগে