Ajker Patrika

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনের ১০০ বছর 

ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২১, ১৫: ১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনের ১০০ বছর 

স্বাধীনতার আগে–পরে সব ইতিবাচক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে অনেক সংগ্রাম জড়িত। বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরালো হতে থাকে। ১৯২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও আমাদের পেছনের দিকে তাকাতে হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জানার জন্য। বাঙালি নাগরিক সমাজের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের দীর্ঘ বোঝাপড়ার ফসল এই বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গভঙ্গ রদের অল্প কিছুদিন পরেই ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। সময়টি ছিল ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। ১৯১২ সালের ২৭ মে নাথান কমিশন গঠিত হয়। ১৯১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কমিশন ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। এর পরে বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যায়। এর পরেও বাঙালি নাগরিক সমাজ বসে থাকেনি। তারা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাতে থাকে। ১৯১৭ সালে স্যাডলার কমিশন ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত ধাপ তৈরি হয়ে যায়। অবশেষে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইনসভায় ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ১৯২০’ পাস হয়। ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এই বিলে সম্মতি প্রদান করেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সব সন্দেহের অবসান ঘটে। এই আইনকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইনটি বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। 

সৈয়দ আবুল মকসুদ তাঁর লিখিত 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা' বইয়ে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতার কারণে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এত উৎসাহ-আয়োজন দেখালেও লর্ড হার্ডিঞ্জের প্রস্তাবের পর পূর্ববঙ্গের মুসলমান নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অক্লান্ত আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। নওয়াব সলিমুল্লাহর মৃত্যুর (১৯১৪) পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়নকে নিজের প্রধান রাজনৈতিক এজেন্ডা বানিয়ে এই লক্ষ্যে মাঠে-ময়দানে লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে দাবি-দাওয়া পেশ ও চাপ প্রয়োগ করে অসাধারণ দৃঢ়তার পরিচয় দেন নওয়াব আলী চৌধুরী। এ ছাড়া আরও যেসব নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন নবাব সিরাজুল ইসলাম, স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা, আবদুল করিম, এ কে ফজলুল হক, আহছানউল্লাহ প্রমুখ (পৃ.৫৫-৬৯)। 

সৈয়দ শামসুল হুদার ভূমিকা উঠে এসেছে বইটিতে। এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট কমানোর প্রতিবাদ করেন। ঢাকায় প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় যেন ‘উন্নত মানের আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়’ হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে পূর্ববঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে, সে ব্যাপারে তিনি সরব ছিলেন। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো বরাদ্দ দেওয়া, ভালো শিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক লাইব্রেরিসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতেও তিনি সোচ্চার ছিলেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প ঘোষণার পর থেকে বিশ্বযুদ্ধ, সরকারের আর্থিক অসংগতিসহ অসংখ্য কারণে এই প্রকল্প পিছিয়ে যায়। এই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পকে সরকারের অগ্রাধিকারে রাখার জন্য রাজনীতির মঞ্চে, লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী। শুধু হিন্দু বুদ্ধিজীবী শ্রেণি নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নে তাঁকে আলীগড়পন্থীদেরও মোকাবিলা করতে হয়েছিল। তাঁদের আশ্বস্ত করতে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তা প্রস্তাবিত আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না। ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নাথান কমিটির ২৫টি সাব-কমিটির ৬টিতেই তিনি সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘আঞ্চলিক আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬ হাজার টাকার তহবিল দান করা ইত্যাদি ছিল তাঁর অনন্য অবদান। হিন্দুধর্ম ও হিন্দু পুরাণ প্রাধান্যের পাঠ্যপুস্তকের বদলে যেন মুসলমানদের পছন্দসই পাঠ্যপুস্তক চালু করা হয়, এই ছিল তাঁর সব সময়ের দাবি। মাতৃভাষার প্রশ্নে সমসাময়িক মুসলিম নেতাদের মতো আচ্ছন্নতায় না ভুগে তিনি ঘোষণা করেছিলেন : ‘আমাদের মাতৃভাষা উর্দু নয়, বাংলা।’ দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর নামে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করেছে (পৃ.৬৪-৬৬)। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নে নিবেদিত আরেকজন মুসলিম নেতা ছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। মুসলমানদের শিক্ষার প্রসঙ্গ ছিল তাঁর রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু মুসলমানরা উপকৃত হবে—এই তত্ত্বের তিনি ছিলেন ঘোর বিরোধী। বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় তিনি এর বিরোধিতা করেন, পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতি যে বৈষম্য হচ্ছে তার ব্যাপারে তিনি সোচ্চার ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি, ছাত্রদের সমস্যার খোঁজখবর করতে নিয়মিত আসতেন। আরেকজন মুসলমান নেতা, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি হলেন খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ। শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়ায় তিনি সরকারের শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে থাকতেন এবং মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে গেছেন (পৃ.৬৯-৭২)। 

দেশের এই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, পরিবেশ-পরিস্থিতি, স্বল্প বাজেট, রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে পদায়ন, ক্ষমতাসীনদের একক আধিপত্য ও ভিন্নমত দমনে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির কারণে গণমানুষের চাওয়াকে পাওয়ায় পরিণত করতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে। এত কিছুর পরেও বলা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে তার জাতির পিতা উপহার দিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ, আইনসভা এবং রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ অংশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদচারণা দৃশ্যমান। 

 '৫২–র ভাষা আন্দোলন, '৬২–র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৯–এর গণ-অভ্যুত্থান, '৭০–এর নির্বাচন এবং '৭১–এর মহান স্বাধীনতার সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। ২৫ মার্চ কালরাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেদিন অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পরে '৯০–এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা লক্ষণীয়। দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। কিওএস র‍্যাঙ্কিংসহ অন্যান্য র‍্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় নিম্নগামী হওয়ার কারণে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এগিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা, আবাসনব্যবস্থা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ডিজিটালাইজেশনে নিতান্তই অপ্রতুল। সরকারি চাকরির প্রতি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মোহের কারণে, লেজুড়বৃত্তি শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতির কারণে সমসাময়িক গবেষক তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনা মহামারিতে টিকা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ দেশের সাধারণ মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসব কিছু আশা করে। 

বিশ্ব যখন ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়ে গেছে পশ্চাৎপদ। ডিজিটাল ক্লাসরুম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, আবাসিক সুবিধা, অনলাইনে ফি পরিশোধের ব্যবস্থা ও ভর্তি কার্যক্রমে জটিলতা কমাতে পারেনি। আবাসিক সুযোগ-সুবিধা, শতভাগ ডিজিটালাইজেশন, লেজুড়বৃত্তির শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে উঠলেই বিশ্বের সেরা বিদ্যাপীঠের স্থান দখল করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। 

করোনার ভয়াল থাবায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন :   

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির মূল অনুষ্ঠান পেছানো হয়েছে। ১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 

ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। 

আজ সীমিত পরিসরে অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচি পালিত হবে। অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচিতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। 

এতে মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন ভাষাসৈনিক, কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ : ফিরে দেখা' শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।

মহামারির কারণে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, টিএসসি ও কার্জন হল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। 

শতবর্ষ পূর্তিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের’ নানা পরিকল্পনা থাকলেও দেশে লকডাউনের কারণে এক দিন আগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ফ্লোরে সীমিত পরিসরে পতাকা উত্তোলন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছে। 

শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এক শুভেচ্ছাবাণী দিয়েছেন। 

শুভেচ্ছাবাণীতে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে প্রিয় মাতৃভূমি ও গণমানুষের প্রতি আমাদের অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চিরগৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসহ গণমানুষের সব লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশসেবায় রেখেছে অনন্য অবদান। 

 'মহান এই বিদ্যাপীঠের স্বনামধন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ (মুজিববর্ষ), মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্‌যাপনের বিরল সৌভাগ্যপ্রাপ্তির ক্ষণে আমরা দেশের শিক্ষা ও গবেষণার মানকে আরও উন্নত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

শিক্ষা ডেস্ক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।

[গতকালের পর]

ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)

১. Synonyms & Antonyms:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।

২. Spelling Correction:

Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

৩. Idioms & Phrases:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।

ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)

যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় লেখক:

William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।

প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।

ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।

বৃত্তির ধরন

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।

সুযোগ-সুবিধা

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত