অনিশ্চিত হয়ে গেল আড়াই হাজার শিক্ষক নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২১, ১৩: ৪৭
আপডেট : ২৮ জুন ২০২১, ১৪: ৩৫

ঢাকা: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আড়াই হাজার শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অর্থাৎ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) তাদের নিজস্ব নিয়মানুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবে। ফলে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী প্রায় ২ হাজার ৫০০ চাকরিপ্রার্থীর এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে দেয়।

রিট আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে। এর ফলে রিটকারীদের নিয়োগও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। 

আদালতে এনটিআরসিএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। অন্যদিকে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মো. মহিউদ্দিন হানিফ। গতকাল রোববার আপিল বিভাগে শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

১৪ জুন এই আপিল করা হয়। ২২ জুন চেম্বার জজ বিচারপতি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন আপিলটি। 

গত ৬ মে এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় দেড় হাজার নিবন্ধনধারীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই সুপারিশের সময় দেওয়া হয় সাত দিন। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।

একই সঙ্গে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গত ৩০ মার্চ জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আদালত।

২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করতে নির্দেশনা দিয়ে এক রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদালতের রায় বাস্তবায়ন না করেই পুনরায় শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার মামলা হয়।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রায় দেড় হাজার জন উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাঁদের নিয়োগ না দিয়েই নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি হতে থাকে। এ পর্যায়ে ২০১৭ সালে উত্তীর্ণ কয়েক শ চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৭ সালের ২৮ মে হাইকোর্ট এক আদেশে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সনদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর এক রায়ে সনদধারীদের নিয়োগের সুপারিশ করতে বলা হয়। তাঁদের নিয়োগ দেওয়ার আগে নতুন বিজ্ঞপ্তি না দিতে নির্দেশ দেন। এরপরই আগের রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত